সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা

মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার মানুষ। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য প্রায় এক। কিন্তু মানুষের সৌন্দর্য বৈচিত্র্যমিত্র।

মানুষের হিংসা ভালো লাগে, মানুষের রাগ ভালো লাগে, মানুষের অভিমান ভালো লাগে, মানুষের নির্লিপ্ততা ভালো লাগে। আকাশ যেকারনে আকাশ সেই কারনে আকাশকে ভালো লাগে। মানুষ যে কারনে মানুষ সেই কারন ছাড়াও মানুষকে ভালো লাগে।

সৌর জগৎ কসমিক সময়ের কাছে একটি বালির চেয়েও ছোট। আর পৃথিবীর জায়গা তো সেখানে নেই বললেই চলে। মানুষ ত আরও নেই। তবুও মানুষ একটা পারমানবিক বোমার নাম, মানুষ একটা ঐতিহাসিক প্রেমের নাম।

কোপাই নদীর সাথে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেশ মিল। গোমতী নদী কিন্তু আমাদের ছোট নদী না যে বাঁকে বাঁকে চলে।

সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা। দশম শ্রেনির ছাত্রী। তাকে দেখে আমার মাথিনের কথা মনে পড়ে। ধীরাজ বেটা কৃষ্ণের যোগ্য বংশধর হয়তো। এখানে মাথিনকূপ নেই, আছে কংকালীতলা। সন্ধ্যা মাঝি কংকালীতলা মাঠের রাখাল। মা তার আজ অসুস্থ, তাই সে স্কুলে যায়নি। চমৎকার সরল মন আর লাজুক হাসি দিয়ে সন্ধ্যা মাঝিকে ভগবান সজ্জিত করেছেন-- কোপাই নদীর মতো বাঁকে বাঁকে চলে।

কংকালীতলা থেকে লাভপুর। ফুল্লুধারার মতো সবুজ ধানক্ষেত। ধানক্ষেতে বাতাস নাচতে থাকে নাবোঢ়া কন্যার হাসির লাহান। রোদ এসে বাতাসের লগে কামলার ভূমিকায় কিছু কথা বলে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে বলা কথা মানুষের কানে যায় না। মানুষ মিষ্টির মতো কড়া মিষ্টি চায়, মেশানো মিষ্টি আর ভালো লাগে না তাদের। বাবু বাগদী তবুও বাউল গান করে, মানুষের কাছে মানুষ হয়ে পৌঁছে যেতে চায়। কিন্তু মানুষ ত মানুষের ভেতর শুধু মানুষ চায় না, পশুও চায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন