এ নিয়ে আমার জীবনে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটে গেল।
প্রথমবার ঘটেছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিতে আসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নতুবা পড়াশোনা করবো না। তাই ফর্ম কেটেছিলাম একটাই। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে আমার সিট পড়ে। কিন্তু সিট খুঁজে পেতে পেতে পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়। এক ঘন্টার পরীক্ষার মধ্যে যদি পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়, তাও আবার এগারো তলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে হয় তাহলে কী অবস্থা হবে!
কর্তব্যরত টিচার হয়তো ভেবেছিলেন আমার কোনো সময়জ্ঞান নেই। ইশ্বর টিচারের ভাবনায় একটা বড় রকমের অট্টহাসি দিয়েছিলেন আমি নিশ্চিত। কারন ইশ্বর আর আমি জানি সময়ের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্ম হিসাব কেমন করে আমি মেনে চলি ....
আজ মঙ্গলবার। শুক্রবারে পরীক্ষা হয়েছিল দুইটা ত্রিশ মিনিটে। আমি ভাবছি আজকেও দুইটা ত্রিশ মিনিটে। দুইটার দিকে আস্তে আস্তে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। আমি সাধারনত পরীক্ষার হলে যাই দশ মিনিট আগে। পকেটে থাকে চকলেট। পরীক্ষা দেই আর চকলেট কডর কডর খাই। আমার পাশের তারা চকলেট চাই কিন্তু আমি দেই না, লালুস দেখাই, খুব মজা পাই।
সিঁড়ি বেয়ে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। সিঁড়ি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি কী খুব আগে চলে আসলাম?
ওমা! পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে একটা ত্রিশ মিনিটে, মাথায় একটা পাথর যেন পড়লো!
আস্তে করে খাতা প্রশ্ন নিলাম। ভীস্মদেব স্যার আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলেন, আমার কানের কাছে মুখ রাখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বললেন, "কোনো সমস্যা নাই বাবা, সময়টা ভাগ করে নাও, তুমি পারবে।"
'তুমি পারবে' কথাটা জাদুর মতো আমার
মনে কাজ করতে আরম্ভ করে। আমি ভুলে গেছি এক ঘন্টা পরে আমি পরীক্ষা দিতে আসছি।
পাঁচ নং প্রশ্ন মানে শেষ প্রশ্ন লিখছি, হাতে আছে এক ঘন্টা। বিভাগের HOD ভীস্মদেব চৌধুরী স্যার আবার আমার কাছে আসলেন।
প্রশ্ন সব লিখতে পেরেছো?
জ্বি স্যার। শেষ প্রশ্ন লিখছি।
স্যারের মুখে হাসি। আমার মুখে ও মনে হাসি।
আমার মুখেমনে আনন্দ এই জন্য যে আমি জানতে পেরেছি আজ আবার নতুন করে একজন শিক্ষক আর একজন ছাত্রের সম্পর্ক কোথায় এবং তা কত শক্তিশালী ....
প্রথমবার ঘটেছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিতে আসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নতুবা পড়াশোনা করবো না। তাই ফর্ম কেটেছিলাম একটাই। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে আমার সিট পড়ে। কিন্তু সিট খুঁজে পেতে পেতে পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়। এক ঘন্টার পরীক্ষার মধ্যে যদি পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়, তাও আবার এগারো তলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে হয় তাহলে কী অবস্থা হবে!
কর্তব্যরত টিচার হয়তো ভেবেছিলেন আমার কোনো সময়জ্ঞান নেই। ইশ্বর টিচারের ভাবনায় একটা বড় রকমের অট্টহাসি দিয়েছিলেন আমি নিশ্চিত। কারন ইশ্বর আর আমি জানি সময়ের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্ম হিসাব কেমন করে আমি মেনে চলি ....
আজ মঙ্গলবার। শুক্রবারে পরীক্ষা হয়েছিল দুইটা ত্রিশ মিনিটে। আমি ভাবছি আজকেও দুইটা ত্রিশ মিনিটে। দুইটার দিকে আস্তে আস্তে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। আমি সাধারনত পরীক্ষার হলে যাই দশ মিনিট আগে। পকেটে থাকে চকলেট। পরীক্ষা দেই আর চকলেট কডর কডর খাই। আমার পাশের তারা চকলেট চাই কিন্তু আমি দেই না, লালুস দেখাই, খুব মজা পাই।
সিঁড়ি বেয়ে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। সিঁড়ি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি কী খুব আগে চলে আসলাম?
ওমা! পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে একটা ত্রিশ মিনিটে, মাথায় একটা পাথর যেন পড়লো!
আস্তে করে খাতা প্রশ্ন নিলাম। ভীস্মদেব স্যার আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলেন, আমার কানের কাছে মুখ রাখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বললেন, "কোনো সমস্যা নাই বাবা, সময়টা ভাগ করে নাও, তুমি পারবে।"
'তুমি পারবে' কথাটা জাদুর মতো আমার
মনে কাজ করতে আরম্ভ করে। আমি ভুলে গেছি এক ঘন্টা পরে আমি পরীক্ষা দিতে আসছি।
পাঁচ নং প্রশ্ন মানে শেষ প্রশ্ন লিখছি, হাতে আছে এক ঘন্টা। বিভাগের HOD ভীস্মদেব চৌধুরী স্যার আবার আমার কাছে আসলেন।
প্রশ্ন সব লিখতে পেরেছো?
জ্বি স্যার। শেষ প্রশ্ন লিখছি।
স্যারের মুখে হাসি। আমার মুখে ও মনে হাসি।
আমার মুখেমনে আনন্দ এই জন্য যে আমি জানতে পেরেছি আজ আবার নতুন করে একজন শিক্ষক আর একজন ছাত্রের সম্পর্ক কোথায় এবং তা কত শক্তিশালী ....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন