এখন অনেক রাত। রাত আমার এতো ভালো লাগে কেন জানি না। বিষয়টি মানসিক। অবশ্যই সব ভালোবোধই মানসিক ব্যাপার। নতুবা পৃথিবীতে এতো রং থাকতে পর্নারং আমার ভালো লাগবে কেন।
ভালোলাগা পুরোটাই ভেতরকার ব্যাপার। শব্দশ্রবনও ভেতরকার ব্যাপার। কারন বাইরে অনেক শব্দ আছে আমি শুনতে পারি না কিন্তু কুকুর শুনে। বাইরে অনেক শব্দ আছে আমিও শুনি না কুকুরও শুনে না কিন্তু শব্দ যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
রাত যে আমার এতো ভালো লাগে তার কারন হতে পারে রাতের বিচিত্র রং, রাতের নীরবতার বাহার। আমার কিন্তু সেই দিনের রাতের কথা খুব মনে পড়ছে।
দাদাটা আমাকে সারাটা ট্রেন আপ্যায়নের মধ্যে রাখলেন। বোলপুর স্টেশনে নেমে চা খাওয়ালেন, অনেক মজার মজার গল্প করলেন, তারপর আমার কাছ থেকে বিদায় নিলেন যখন আমি নিরাপদ সীমায় পৌঁছে গেলাম। আমার ত মনে হচ্ছিল সে একজন ফেরেশতা যে সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল। কারন শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের ভীড় দেখে রীতিমত ভয় পাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক যুবা আসলো, এসে ট্রেনের ভেতরের অনেকটা জায়গা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিলো। তারপর বিভিন্ন মজার গল্প বলতে বলতে নিয়ে আসলো বোলপুর। আমি টেরই পেলাম না পাঁচ ঘন্টা আমি ট্রেনে ছিলাম। তাই দাদাটাকে আমি মানুষ ভাবতে পারলাম না। কারন মানুষ অনেক ব্যস্ত, মানুষ নিজের ভোগের বাইরে অন্য কিছুকে বিরক্তিকর মনে করে। মানুষ হলেও তার ভেতরে ফেরেশতা আছর করেছিল। মানুষের উপরে শুধু শয়তান আছর করবে? না। ফেরেশতাও মানুষের উপর আছর করে। মানুষ তখন হয়ে পড়ে ফেরেশতাগ্রস্থ।
তবে শান্তিনিকেতনের সেই মেয়েটির উপর নিশ্চিত ভূত আছর করেছিল। বলছি মেয়েটির কথা....
সাইকেল নিয়ে সকাল সকাল বের হলাম। আম্রকুঞ্জ দেখবো। সকাল বেলার আম্রকুঞ্জ সত্যিই মনোলোভা। যেন প্রশান্তি কবরের মতো শুয়ে থাকে আম্রকুঞ্জের পাতায় শাখায়। দেখছি আর ভাবছি, ভাবছি আর দেখছি। ভাবতে ভাবতে দেখতে দেখতে সময় বয়ে যাচ্ছে। তারপর আরও সুন্দর দৃশ্য। বাচ্চারা গাছের নিচে গোল হয়ে পাঠ নিচ্ছে। আমি একটা গোলের কাছে নয় কাছাকাছি ঠাঁই নিলাম। আমার চোখে সানগ্লাস, মাথায় হেড, মুখে নীরবতা। পাঠ দিচ্ছেন এক ইয়াং লেডি।
ছোট বাচ্চা হঠাৎ বলে ওঠলো "কী দেখছেন?"
ইয়াং লেডি একটু আওয়াজ করেই বলে ওঠলো "মেয়ে দেখছে মেয়ে।"
আমি কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। স্তব্ধ হলাম দুটি কারনে। এক, মেয়েটি কোনো ট্রমার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠেছে অথচ সে বাচ্চাদের পাঠ দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর! দুই, শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের এলাকা যেখানে পজেটিভ চিন্তাচর্চা হওয়া ফরজে আইন অথচ সেখানে মেয়েটি নেগেটিভ চিন্তা করছে।
মনে মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে বললাম, 'আপনি বোলপুরে শান্তিনিকেতন নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না, বাশারকে ইনসান করার জন্য, আর আপনার এখানে এই অবস্থা ...'
রবীন্দ্রনাথের সাথে আলাপ শেষ করার সাথে সাথে দেখলাম এক পিচ্চি আমার সাইকেলের কাছে।
এসে বলে "আপনি কে? এখান থেকে চলে যান।"
আমি কিন্তু সত্যিই চলে যাই। কিন্তু ....। আমার সাথে সব বাচ্চারা চলে আসতে থাকে। ঐ মেয়ে আর কিছু বুঝে ওঠতে পারে নাই। মেয়েটি হয়তো ভাবছে আমি হিমিলনের বাঁশিওয়ালা। সাথে সাথে এক মুরুব্বি শিক্ষক নিয়ে আমার কাছে আসে। বাচ্চারা যেতে চাচ্ছে না। আমি বলছি তোমরা যাও, তোমাদের সাথে আরেকদিন আড্ডা দিবো। বাচ্চারা চলে গেলে আমি সানগ্লাস খুলে মেয়েটির চোখে চোখ রেখে বললাম,
"আমি চোখ দ্বারা দেখি না, চোখ দিয়ে দেখি, মুখ দ্বারা কথা বলি না, মুখ দিয়ে কথা বলি"
ভালোলাগা পুরোটাই ভেতরকার ব্যাপার। শব্দশ্রবনও ভেতরকার ব্যাপার। কারন বাইরে অনেক শব্দ আছে আমি শুনতে পারি না কিন্তু কুকুর শুনে। বাইরে অনেক শব্দ আছে আমিও শুনি না কুকুরও শুনে না কিন্তু শব্দ যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
রাত যে আমার এতো ভালো লাগে তার কারন হতে পারে রাতের বিচিত্র রং, রাতের নীরবতার বাহার। আমার কিন্তু সেই দিনের রাতের কথা খুব মনে পড়ছে।
দাদাটা আমাকে সারাটা ট্রেন আপ্যায়নের মধ্যে রাখলেন। বোলপুর স্টেশনে নেমে চা খাওয়ালেন, অনেক মজার মজার গল্প করলেন, তারপর আমার কাছ থেকে বিদায় নিলেন যখন আমি নিরাপদ সীমায় পৌঁছে গেলাম। আমার ত মনে হচ্ছিল সে একজন ফেরেশতা যে সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল। কারন শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের ভীড় দেখে রীতিমত ভয় পাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক যুবা আসলো, এসে ট্রেনের ভেতরের অনেকটা জায়গা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিলো। তারপর বিভিন্ন মজার গল্প বলতে বলতে নিয়ে আসলো বোলপুর। আমি টেরই পেলাম না পাঁচ ঘন্টা আমি ট্রেনে ছিলাম। তাই দাদাটাকে আমি মানুষ ভাবতে পারলাম না। কারন মানুষ অনেক ব্যস্ত, মানুষ নিজের ভোগের বাইরে অন্য কিছুকে বিরক্তিকর মনে করে। মানুষ হলেও তার ভেতরে ফেরেশতা আছর করেছিল। মানুষের উপরে শুধু শয়তান আছর করবে? না। ফেরেশতাও মানুষের উপর আছর করে। মানুষ তখন হয়ে পড়ে ফেরেশতাগ্রস্থ।
তবে শান্তিনিকেতনের সেই মেয়েটির উপর নিশ্চিত ভূত আছর করেছিল। বলছি মেয়েটির কথা....
সাইকেল নিয়ে সকাল সকাল বের হলাম। আম্রকুঞ্জ দেখবো। সকাল বেলার আম্রকুঞ্জ সত্যিই মনোলোভা। যেন প্রশান্তি কবরের মতো শুয়ে থাকে আম্রকুঞ্জের পাতায় শাখায়। দেখছি আর ভাবছি, ভাবছি আর দেখছি। ভাবতে ভাবতে দেখতে দেখতে সময় বয়ে যাচ্ছে। তারপর আরও সুন্দর দৃশ্য। বাচ্চারা গাছের নিচে গোল হয়ে পাঠ নিচ্ছে। আমি একটা গোলের কাছে নয় কাছাকাছি ঠাঁই নিলাম। আমার চোখে সানগ্লাস, মাথায় হেড, মুখে নীরবতা। পাঠ দিচ্ছেন এক ইয়াং লেডি।
ছোট বাচ্চা হঠাৎ বলে ওঠলো "কী দেখছেন?"
ইয়াং লেডি একটু আওয়াজ করেই বলে ওঠলো "মেয়ে দেখছে মেয়ে।"
আমি কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। স্তব্ধ হলাম দুটি কারনে। এক, মেয়েটি কোনো ট্রমার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠেছে অথচ সে বাচ্চাদের পাঠ দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর! দুই, শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের এলাকা যেখানে পজেটিভ চিন্তাচর্চা হওয়া ফরজে আইন অথচ সেখানে মেয়েটি নেগেটিভ চিন্তা করছে।
মনে মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে বললাম, 'আপনি বোলপুরে শান্তিনিকেতন নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না, বাশারকে ইনসান করার জন্য, আর আপনার এখানে এই অবস্থা ...'
রবীন্দ্রনাথের সাথে আলাপ শেষ করার সাথে সাথে দেখলাম এক পিচ্চি আমার সাইকেলের কাছে।
এসে বলে "আপনি কে? এখান থেকে চলে যান।"
আমি কিন্তু সত্যিই চলে যাই। কিন্তু ....। আমার সাথে সব বাচ্চারা চলে আসতে থাকে। ঐ মেয়ে আর কিছু বুঝে ওঠতে পারে নাই। মেয়েটি হয়তো ভাবছে আমি হিমিলনের বাঁশিওয়ালা। সাথে সাথে এক মুরুব্বি শিক্ষক নিয়ে আমার কাছে আসে। বাচ্চারা যেতে চাচ্ছে না। আমি বলছি তোমরা যাও, তোমাদের সাথে আরেকদিন আড্ডা দিবো। বাচ্চারা চলে গেলে আমি সানগ্লাস খুলে মেয়েটির চোখে চোখ রেখে বললাম,
"আমি চোখ দ্বারা দেখি না, চোখ দিয়ে দেখি, মুখ দ্বারা কথা বলি না, মুখ দিয়ে কথা বলি"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন