তিনি শ্রমজীবী মানুষ। দিনে সাপ্লায়ার। রাতে ডিম বিক্রি করে। সংসার চালাতে তারপরও অনেক কষ্ট। কিন্তু সিমলার মাটি বাতাস তাকে হাসতে মানা করে না। খুব সহজ মিশুক তিনি। এতো রাতে কে ডিম কিনতে আসে এটা গভীর ভাবনার বিষয়। কারন রাত আটটার পর পাহাড়ি সিমলা খুব একা হয়ে যায়। নদীর পাড়ের মানুষের মতো এই কর্মকার কাকুর কলাগাছিয়া দৃষ্টি। খুব সবুজ। তাহলে বুঝতে পারি নদী আর পাহাড় সমানুপাতিক লেন্সের দৃষ্টি উৎপাদন করতে পারে।
কাকুর পাশেই আরেকজন ছিলেন যিনি কোনও প্রকার ছবি তুলতে রাজি না। মনিহারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। কেউ ছবি তুলতে অস্বীকার করলে আমার দুজনের কথা মাথায় আসে। একজন হলেন রুমী। রুমী মানে মাওলানা রুমী না। রুমী মানে আমগো জাহানারা ইমামের পুলা। জাহানারা ইমাম আমাদের জানিয়েছেন রুমী ছবি তুলতে এতো রাজি ছিলেন না, কারন সে বিপ্লবী, কারন সে মুক্তিযোদ্ধা। রুমীর সর্বনাম তিনি ব্যবহার করা আবশ্যক কিন্তু সে ব্যবহার করলে আপন আপন মনে বোধ করি।
আরেকজন হলেন আমার ডিজিএফআই ভাই। তার নাম বলতে মানা। তিনি আমার সাথে ছবি তুলেন এবং সাবধান বানী আমার কানে দিয়ে থাকেন আমি যেন কোনো প্রকার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড না করি। আমি তখন হাসি। আমার হাসিরও অতীব গোপন কারন আছে। তা চেগুয়েভারা বেঁচে থাকলে বুঝতে পারতেন। কারন সে বেশ ফটোহেছা লোক ছিল। আমাদের দ্রুত হোটেলে যাওয়া দরকার।
রাতে আমি আর সোহান বের হয়েছি। শেষ রাতে সিমলাকে একটু ভালো করে দেখা।শেষ রাত বলতে সিমলায় আজকেই আমাদের শেষ দিন। জুস খেলাম। বেশ টেস্টি। কোনো প্রকার ফরমালিন এখানকার ফলে থাকে না। দোকানদার ফরমালিন চিনেই না। আমগো দেশে ব্যবসাতে মাত্র পয়দা হইছে এমন লোকও ফরমালিননামার হাফেজ। দোকান বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় আমরা জুসের জন্য হামলা করি। দিতে চাইলেন না তারপরও কেন যেন দিলেন। আমরা জুস খাচ্ছি আর তারা দোকান পরিষ্কার করছে।
দেখছেন তারা কত পরিষ্কার সচেতন, ঘুমিয়ে যাবে কিন্তু দোকান পরিষ্কার করে ঘুমাবে।
আমিও বললাম তাইতো, প্রত্যেক সনাতনী অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে অথচ মুসলমানদের ওয়াজে আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ, কুরানে আছে লা তাকরাবু ছালাতা ওয়া আনতুম ছুগারা ...
মানে কী?
মানে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় যেন প্রার্থনার ধারে কাছে না যাওয়া হয়।
পরে দোকানদারের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে মুসলমান। আমরা একটু অবাক হলাম। তারপরও মনে মনে বুঝতে পারলাম সামগ্রিক সমাজ নৌকা জীবনাচার সেখানে কেবলই পালের বাতাস।
আমাদের দ্রুত হোটেলে যেতে হবে। কারন আমাদের জন্য খাবার অপেক্ষা করছে। গরম গরম খাবার। জাপানিরা সব কিছু গরম খেতে পছন্দ করে। গরম পানিও জাপানিরা নিয়ম করে খায়। আমার দাদা জয়দর আলী দিনে একদুই বার গরম পানি খেত। কিন্তু সে জাপানি ছিল না। কিন্তু আয়ু পেয়েছিল জাপানিদের চেয়ে বেশি-- একশত ছয় বছর। দাদার সকাল বেলার খাবারে দই মানে চাক্কা দই ইজ মাস্ট, দুপুরের খাবারের পর গরম দুধ ইজ মাস্ট। আমার দাদির দুধও বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল।
সোহান আমারে অহন আফনে অহন তুমি বলে ডাকে -- ভালোই লাগে।
চলো রেজা কিংফিশার কত জিগাই।
হুম চলো।
দোকানদার আমাদের সাথে হালকা মজা করলো -- ''এই সব পেপসি তো বাচ্চারা খায় ''।
হালাম্মার পুত এ কী কই! বাংলা গালি বুঝবে না। বারো পার্সেন্ট বৈধ এ্যালকোহল নাকি বাচ্চারা খায়।
চলো সোহান চলো চলো।
রাতের সিমলা যেন আকাশের তারা। জ্বলছে চলছে। মানুষদের সরলতার শেষ নেই। বিকাল বেলা যখন রিটজি ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষন তখন মনে জন্মের আগের মুহূর্তের কথা ভাসতে থাকে যেখানে বাতাস হয়ে বাতাসির সাথে ধ্বনিহীন ছাদের তলে সময়হীনতা যাপন করতাম।
হোটেলে এসে দেখি খাবার অলরেডি চালু হয়ে গ্যাছে। আমরাও খাবার খেতে বসে গেলাম।
কাকুর পাশেই আরেকজন ছিলেন যিনি কোনও প্রকার ছবি তুলতে রাজি না। মনিহারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। কেউ ছবি তুলতে অস্বীকার করলে আমার দুজনের কথা মাথায় আসে। একজন হলেন রুমী। রুমী মানে মাওলানা রুমী না। রুমী মানে আমগো জাহানারা ইমামের পুলা। জাহানারা ইমাম আমাদের জানিয়েছেন রুমী ছবি তুলতে এতো রাজি ছিলেন না, কারন সে বিপ্লবী, কারন সে মুক্তিযোদ্ধা। রুমীর সর্বনাম তিনি ব্যবহার করা আবশ্যক কিন্তু সে ব্যবহার করলে আপন আপন মনে বোধ করি।
আরেকজন হলেন আমার ডিজিএফআই ভাই। তার নাম বলতে মানা। তিনি আমার সাথে ছবি তুলেন এবং সাবধান বানী আমার কানে দিয়ে থাকেন আমি যেন কোনো প্রকার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড না করি। আমি তখন হাসি। আমার হাসিরও অতীব গোপন কারন আছে। তা চেগুয়েভারা বেঁচে থাকলে বুঝতে পারতেন। কারন সে বেশ ফটোহেছা লোক ছিল। আমাদের দ্রুত হোটেলে যাওয়া দরকার।
রাতে আমি আর সোহান বের হয়েছি। শেষ রাতে সিমলাকে একটু ভালো করে দেখা।শেষ রাত বলতে সিমলায় আজকেই আমাদের শেষ দিন। জুস খেলাম। বেশ টেস্টি। কোনো প্রকার ফরমালিন এখানকার ফলে থাকে না। দোকানদার ফরমালিন চিনেই না। আমগো দেশে ব্যবসাতে মাত্র পয়দা হইছে এমন লোকও ফরমালিননামার হাফেজ। দোকান বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় আমরা জুসের জন্য হামলা করি। দিতে চাইলেন না তারপরও কেন যেন দিলেন। আমরা জুস খাচ্ছি আর তারা দোকান পরিষ্কার করছে।
দেখছেন তারা কত পরিষ্কার সচেতন, ঘুমিয়ে যাবে কিন্তু দোকান পরিষ্কার করে ঘুমাবে।
আমিও বললাম তাইতো, প্রত্যেক সনাতনী অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে অথচ মুসলমানদের ওয়াজে আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ, কুরানে আছে লা তাকরাবু ছালাতা ওয়া আনতুম ছুগারা ...
মানে কী?
মানে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় যেন প্রার্থনার ধারে কাছে না যাওয়া হয়।
পরে দোকানদারের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে মুসলমান। আমরা একটু অবাক হলাম। তারপরও মনে মনে বুঝতে পারলাম সামগ্রিক সমাজ নৌকা জীবনাচার সেখানে কেবলই পালের বাতাস।
আমাদের দ্রুত হোটেলে যেতে হবে। কারন আমাদের জন্য খাবার অপেক্ষা করছে। গরম গরম খাবার। জাপানিরা সব কিছু গরম খেতে পছন্দ করে। গরম পানিও জাপানিরা নিয়ম করে খায়। আমার দাদা জয়দর আলী দিনে একদুই বার গরম পানি খেত। কিন্তু সে জাপানি ছিল না। কিন্তু আয়ু পেয়েছিল জাপানিদের চেয়ে বেশি-- একশত ছয় বছর। দাদার সকাল বেলার খাবারে দই মানে চাক্কা দই ইজ মাস্ট, দুপুরের খাবারের পর গরম দুধ ইজ মাস্ট। আমার দাদির দুধও বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল।
সোহান আমারে অহন আফনে অহন তুমি বলে ডাকে -- ভালোই লাগে।
চলো রেজা কিংফিশার কত জিগাই।
হুম চলো।
দোকানদার আমাদের সাথে হালকা মজা করলো -- ''এই সব পেপসি তো বাচ্চারা খায় ''।
হালাম্মার পুত এ কী কই! বাংলা গালি বুঝবে না। বারো পার্সেন্ট বৈধ এ্যালকোহল নাকি বাচ্চারা খায়।
চলো সোহান চলো চলো।
রাতের সিমলা যেন আকাশের তারা। জ্বলছে চলছে। মানুষদের সরলতার শেষ নেই। বিকাল বেলা যখন রিটজি ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষন তখন মনে জন্মের আগের মুহূর্তের কথা ভাসতে থাকে যেখানে বাতাস হয়ে বাতাসির সাথে ধ্বনিহীন ছাদের তলে সময়হীনতা যাপন করতাম।
হোটেলে এসে দেখি খাবার অলরেডি চালু হয়ে গ্যাছে। আমরাও খাবার খেতে বসে গেলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন