আমি। একটা সময়। খুব অসুস্থ থাকতাম। অসুস্থতা বলতে বড় ধরনের কোনো রোগ না। খুচরো রোগ। বারো মাসের মধ্যে চব্বিশ মাসই আমার ঠান্ডা লেগে থাকতো। পারত আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসা করি না, হোমিওপ্যাথিতে আমি আস্তিক।
একবার আমার জ্বর হয়েছিল। খুব জ্বর। একশত চার ডিগ্রি। তারপরও আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসার কাছে বায়াত গ্রহন করেনি। হোমিও চিকিৎসা আমার মুর্শিদ। হোমিও কখনো রোগের চিকিৎসা করে না, হোমিও রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর চিকিৎসা বলতে মানসিকতার চিকিৎসা।
হ্যাঁ আমি বলতে চাই বনের বাঘে মানুষকে খায় না মনের বাঘেই খায়। বনের ক্ষুধার্ত বাঘ যে মানুষকে পেলে খাবে না এমনটা না, পেলে অবশ্যই খাবে।
রোগ মানে মানসিকতার বিশৃঙ্খলা। ঔষধ মানেও বিশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলাকে শারীরিক বিশৃঙ্খলা ধবংস করার জন্য পাঠানো হয়। যদি দুটি বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় হয় তখন একটি আরেকটিকে বিকর্ষন করে মানে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে একটি মারা যায় একটি বেঁচে যায়। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা যাকে আমরা ঔষধ বলে জানি তার বেঁচে থাকার একটি বয়স সীমা রয়েছে, বয়স সীমার পর সে আপনি আপনি মারা যায়। একারনে এলোপ্যাথী চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পরও শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে।
যদি প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় না হয় তাহলে মহা বিপদ-- দুই বিশৃঙ্খলা একসঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে, রোগী হয়ে পড়ে আরও দুর্বল। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কথা আছে 'একটি ভুল ঔষধ একটি মরন'।
হোমিওপ্যাথিতে মাত্রাজ্ঞান খুব গুরুত্বসহকারে মেইনটেইন করা হয়। প্রথমে power ত্রিশ থেকে শুরু হয়-- ত্রিশ প্রয়োগ করে যদি দেখা যায় প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় তখন আস্তে আস্তে ঔষধমাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে ঔষধও মরতে থাকে রোগকেও মারতে থাকে। মরতে থাকা আর মারতে থাকার সময়সীমা সমান হয়ে যায়। অর্থাৎ রোগকে মেরে হোমিও ঔষধ আর শরীরে অবস্থান করে না। তাই অনেকে মনে করে হোমিও চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত কোনো ঔষধ পৃথিবীতে নেই। ঔষধ কেন, কোনো খাবারও নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। যেমন লবনের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, পেঁয়াজের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, চিনি মাথার খাবার আবার এই চিনিই গুপ্তবিষ( slow poison)।
অবশ্যই মাত্রাজ্ঞান একটি ফ্যাক্ট-- অল্পমাত্রায় বিষও কখনো কখনো ঔষধ, অধিক মাত্রায় ঔষধও কখনো কখনো বিষ।
মানসিক অনভ্যস্ততার বিষয়টিও কিন্তু বিশৃঙ্খলা বা রোগের কারন। কোনো ব্যক্তি যদি প্রতদিনি এক কেজি দুধ খেতে অভ্যস্ত থাকে তাহলে তার হজম ম্যাকানিজম এইভাবেই তৈরি হবে। এক কেজির চেয়ে বেশি দুধ খেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে বা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মাত্রাতিরিক্ত রেগে যাওয়া যদি একটি রোগ হয় তাহলে আপনাকে রোগী করতে আমার ঔষধ প্রয়োগের দরকার হবে না, জাস্ট কয়েকটি নির্বাচিত গালি প্রয়োগই যথেষ্ট। গালি কিন্তু জাস্ট একটি বাতাস যার কোনো বস্তুগত দৃশ্যপট নেই।
ঘুমহীনতা যদি রোগ হয় তাহলে আপনার একটি কথাই আপনার প্রেমিকার কয়েক মাসের ঘুমহীন রাতের কারন হতে পারে।
বাসের নাম শুনলেই আমার বুমি আসতো, আর এখন বাসে আরামসে ঘুমাই, তাও আবার এসি বাসে। বুমি দূর করার জন্য আমি কোনো প্রকার ঔষধ সেবন করেনি। তবে হ্যাঁ, মনকে চকলেট দিয়ে দিয়ে বুঝানোর কাজটা করেছি, শিশু মন আমার কথা শুনেছে। সুস্থ থাকার জন্য মন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাই আমি বলতে চাই
সুস্থ মন
সুস্থ দেহ
একবার আমার জ্বর হয়েছিল। খুব জ্বর। একশত চার ডিগ্রি। তারপরও আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসার কাছে বায়াত গ্রহন করেনি। হোমিও চিকিৎসা আমার মুর্শিদ। হোমিও কখনো রোগের চিকিৎসা করে না, হোমিও রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর চিকিৎসা বলতে মানসিকতার চিকিৎসা।
হ্যাঁ আমি বলতে চাই বনের বাঘে মানুষকে খায় না মনের বাঘেই খায়। বনের ক্ষুধার্ত বাঘ যে মানুষকে পেলে খাবে না এমনটা না, পেলে অবশ্যই খাবে।
রোগ মানে মানসিকতার বিশৃঙ্খলা। ঔষধ মানেও বিশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলাকে শারীরিক বিশৃঙ্খলা ধবংস করার জন্য পাঠানো হয়। যদি দুটি বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় হয় তখন একটি আরেকটিকে বিকর্ষন করে মানে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে একটি মারা যায় একটি বেঁচে যায়। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা যাকে আমরা ঔষধ বলে জানি তার বেঁচে থাকার একটি বয়স সীমা রয়েছে, বয়স সীমার পর সে আপনি আপনি মারা যায়। একারনে এলোপ্যাথী চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পরও শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে।
যদি প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় না হয় তাহলে মহা বিপদ-- দুই বিশৃঙ্খলা একসঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে, রোগী হয়ে পড়ে আরও দুর্বল। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কথা আছে 'একটি ভুল ঔষধ একটি মরন'।
হোমিওপ্যাথিতে মাত্রাজ্ঞান খুব গুরুত্বসহকারে মেইনটেইন করা হয়। প্রথমে power ত্রিশ থেকে শুরু হয়-- ত্রিশ প্রয়োগ করে যদি দেখা যায় প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় তখন আস্তে আস্তে ঔষধমাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে ঔষধও মরতে থাকে রোগকেও মারতে থাকে। মরতে থাকা আর মারতে থাকার সময়সীমা সমান হয়ে যায়। অর্থাৎ রোগকে মেরে হোমিও ঔষধ আর শরীরে অবস্থান করে না। তাই অনেকে মনে করে হোমিও চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত কোনো ঔষধ পৃথিবীতে নেই। ঔষধ কেন, কোনো খাবারও নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। যেমন লবনের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, পেঁয়াজের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, চিনি মাথার খাবার আবার এই চিনিই গুপ্তবিষ( slow poison)।
অবশ্যই মাত্রাজ্ঞান একটি ফ্যাক্ট-- অল্পমাত্রায় বিষও কখনো কখনো ঔষধ, অধিক মাত্রায় ঔষধও কখনো কখনো বিষ।
মানসিক অনভ্যস্ততার বিষয়টিও কিন্তু বিশৃঙ্খলা বা রোগের কারন। কোনো ব্যক্তি যদি প্রতদিনি এক কেজি দুধ খেতে অভ্যস্ত থাকে তাহলে তার হজম ম্যাকানিজম এইভাবেই তৈরি হবে। এক কেজির চেয়ে বেশি দুধ খেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে বা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মাত্রাতিরিক্ত রেগে যাওয়া যদি একটি রোগ হয় তাহলে আপনাকে রোগী করতে আমার ঔষধ প্রয়োগের দরকার হবে না, জাস্ট কয়েকটি নির্বাচিত গালি প্রয়োগই যথেষ্ট। গালি কিন্তু জাস্ট একটি বাতাস যার কোনো বস্তুগত দৃশ্যপট নেই।
ঘুমহীনতা যদি রোগ হয় তাহলে আপনার একটি কথাই আপনার প্রেমিকার কয়েক মাসের ঘুমহীন রাতের কারন হতে পারে।
বাসের নাম শুনলেই আমার বুমি আসতো, আর এখন বাসে আরামসে ঘুমাই, তাও আবার এসি বাসে। বুমি দূর করার জন্য আমি কোনো প্রকার ঔষধ সেবন করেনি। তবে হ্যাঁ, মনকে চকলেট দিয়ে দিয়ে বুঝানোর কাজটা করেছি, শিশু মন আমার কথা শুনেছে। সুস্থ থাকার জন্য মন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাই আমি বলতে চাই
সুস্থ মন
সুস্থ দেহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন