শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

শান্তির মা অনেক আগেই মারা গ্যাছে

রাগ করতে ভালোবাসে, ভয় পেতে ভালোবাসে, হিংসা করতে ভালোবাসে, খেতে ভালোবাসে, ঘুমাতে ভালোবাসে। চিন্তা করতে অনেকটা কম ভালোবাসে মানুষ। মানুষ তো পারে তার ঘরে একটি ফ্রিজ কিনে আনতে, না, মানুষ কিনে আনে দেখানো দেখানো মনোভাব।

খুব সকাল হবে
খুব রাত হবে
খুব বিজ্ঞান হবে
খুব মিথ্যার মতো সত্যের চাষ হবে
নদীয়া যাবে সরলতার ঘরে আরও-- সরল চিরদিন সরল থাকিয়া যায়-- এখানেই জীবন।

আগুনের পরে ছাই, ছাই যদি পৃথিবী হবে তাহলে কেন এতদূর হাঁটাচলা! থামতে পারে পাখি যেকোনো দুপুরে, ডানার শান্তি পাখির ঘর।

শান্তি পেতে ভালোবাসে। শান্তির জন্য সুখ কিনে আনে রোজ। পত্রিকার পাতা বুর্তি সুখ, টিভির কালার বুর্তি  সুখ, বাথটাবে ফুল আর ফুল, ভুলে ভুলে সুখ। অনেক সুখ দেখে শান্তি পালায় পালায়।

তার ঘরে এখনো মরিচবাটার সাথে গরম নরম ভাত, ভালো কোনো তরকারি নেই বহুকাল। তবুও তাদের ঘরে বাতাস আসে, আবার তারা ঘেমে যায়, আবার বাতাস আসে, তারা কষ্ট পেতে পেতে কষ্ট পায়। তারাও ভালোবাসা চায়
আমিও ভালোবাসা চাই
খুনিও তো মানুষ ভালোবাসার ঘরে
ডাক্তার হলে রোগীর জন্য ঘৃনা অনেক দূরে থাকে, অনেক দূরে থাকে

কালাই গোবিন্দপুর

কালাই গোবিন্দপুর। নদী মাতা গ্রাম। অর্থনীতির চাকা নদী মাতার স্তন পান করে। এখানকার স্তন্যপায়ীরা সূর্যমুখী ফুলের মতো হাসে, মেঘনার জলের মতো স্বচ্ছ তাদের মন। কামে আর প্রেমে তাহাদের দিনযাপন। রোদের তাপে শরীরের ব্যক্তিগত চামড়া পর্যন্ত শীতকালের পাতার মতো মৃতপ্রায়। তবুও তারা বেঁচে থাকতে জানে নির্মম কঠিন সত্যের সাথে। তারাই মানুষ।

বেলাল নাকি খুব সুন্দর করে আযান দিতেন। সুন্দর করে আযান দেয়ার জন্য মিউজিক সেন্স থাকা লাগে। কারন আযানটা কন্ঠের ব্যাপার। হৃদয় কন্ঠের কাছাকাছি না আসলে মিউজিক দরিয়ায় ঢেউ ওঠে না, আর হৃদয়টা প্রকৃতির কাছাকাছি না থাকলে হৃদয়টা ঠিক হৃদয় হয়ে ওঠে না।

গোবিন্দপুর গ্রামে প্রকৃতি ভাড়া পাওয়া যায়, হৃদয় ভাড়া পাওয়া যায়। আমরা যারা আজকাল শহুরে মানুষ এসিরুম ভাড়া করার জন্য হাপিত্যেশ করতে থাকি তারা হয়তো মানুষ না, রোবটের অপভ্রংশ।  প্রকৃতি বিক্রি করে এসিরুম ভাড়া করার নাম নাকি আধুনিকতা। আধুনিকতা গ্রাস করে আধুনিকতা, আর প্রকৃতি একটানা সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় প্রকৃতিপাড়ায়। 

অনেক অনেক অভিজ্ঞতা

মাথা ব্যথা পর বৃষ্টি নামে। আকাশ সমান মানুষের ঘরে দেখা দেয় মাতৃকালীন অসুখ। জড় পদার্থ হৃদয় প্রান খুঁজে হয়রান। মানুষের ঘরে মানুষ না থাকলেও চলে, হাতির বাচ্চা নদী ভালোই চিনে!অসুখ সারানো যায় না, যে যেমন আছে তেমনই থাকে, ভালো লাগা শুধু সমষ্টিতে, সৃষ্টিতে, আপন মনের গোপন বন্দনায়।

তারা প্রান খুঁজে ব্রিজে, প্রান খুঁজে ক্যাফেটেরিয়ায় লকলকে আয়নায়।যারা যারা তারা তারাই থাকে,
তারা তারা কখনো আমরা আমরা হয় না।

এইভাবে আমি আমরা হয়েও আমিই।  এইভাবে আমরা আমি হয়েও তারা। সমাজ এক জটিল ধাঁধা, প্রেমিকার মনেও কাদা আর কাদা।

বন্দনা শেষে প্রার্থনা হবে, শুকনামরিচ আগুনে যাবে, আইকন চোখে অন্ধকার নামলে রাখাল পাবে না কোনো প্রকার তরবারি সুখ। চরমতম বেদনা থাকলে কাজে লাগেই দালান কিংবা ব্রিজে-- তারা প্রান খুঁজে ব্রিজের ফুটপাতে। বন্দনা করার আগেও তো গান করা যায় এবং গান বন্দনার বহু বছর আগের কল্পকথা, গল্পকথা, জীবন ব্যবসা।

ব্যবসা হবে বলেই মোনাজাত ধরলেন আমগো ইমাম সাহেব। ব্যবসা ছাড়া প্রার্থনা করতেন যে নদী তাকে আমরা হত্যার করছি নিয়মমাফিক রোজ রোজ। ফাস্ট ফোডেস্ক তো আর প্রকৃতির রান্নাঘর চিনে না জনাব। আমাদের টিনের চালে বৃষ্টি হলে মেঘনায় আমিও বেড়াতে যাবো স্নানশখ বাসনায়। 

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

Nothing But

Sometime is very disturbing word, want to say the definite time. Definite time and man equally not found here I strongly believe. My belief proved in my experience. Past is everything, we live in the past, future is nothing and present is light afar. So we live in the past and past is history.

It is must to learn on past aureole. Past made us , our present. Parents past word is. We need a definite man who can say anything the truth straight approach either do or die. We have to forget the compromise chamber. Man is for all, man is the universe itself, nothing is alone in the project of the system. We can try to be alone on a wide wide sea but being lonely we have to fall in alone project that is a collective project. 

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

সিমলা টু

চোখের পাতা আস্তে আস্তে নিভে আসে। লোকটি জানে সে ভুল করছে। তারপরও করে। অভ্যাস জনাব অভ্যাস। অভ্যাসের কারনে মানুষ খাবার খায়, প্রানি সঙ্গম করে, বাচ্চা উৎপাদন করে কতিপয় অনির্বান সেন। নকশাল কেবল খাবারের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে বলে আপনার মনে হতেই পারে। মনটা তো আপনার, মনের মুখোমুখি আপনি না হয়ে স্নো পাউডারও মাখতে পারেন। কিন্তু ততক্ষনে আমাদের শরীরের হাওয়া বদল হতে লাগলো। শরীরে শীত শীত ডাকাতের আক্রমন। ঘুম থেকে ওঠে দেখি কেউ আর ঘুমে নেই। আমিই ঘুমিয়ে আছি। দ্রুত নাকি রেডি হতে হবে। তারপর দিল্লী, তারপর চন্ডীঘর।

আমরা চন্ডীঘর নামবো। চন্ডীঘরে জনাব চন্ডাল আছে কিনা জানি না। অনেক কিছুই আমরা জানি না, তারপরও আমাদের মাস্তানি শেষ হয় না। শেভুকে মাস্তান মাস্তান লাগছে। ভদ্র মাস্তান। সব মাস্তানেরই ভেতরে একটা অসহায় ভাব থাকে। শেভুরও আছে তবে তা খুব গভীর চোখ দিয়ে দেখতে হয়।

পৃথিবী বড্ড বিদঘুটে জায়গা। সিস্টেমে চললে সিস্টেমবাজ, আতেল আবার একলা একলা কিংবা নিজের মতো থাকলে অসামাজিক, ক্ষেত ইত্যাদি গালি কপালে জুটে। মাঝামাঝি থাকলেও বলদ, বাঙালি সমাজে মধ্যবিত্ত তো এক বিশাল গালি।

আসল কথা কী জানেন তো, গালি না দিতে পারলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না। গালি একটা দেয়াই লাগবে শালা। এই দেখো, আমিও গালি দিয়ে দিলাম। আসলেই বাজপাখি না খেলেও বাজপাখি পোষা বেশ আরামদায়ক এবং মানুষ এ কাজটি ভালোই পারে।

শেভু আমাকে ডাক দিলো। আমি গেলাম।

এই বল তুই, ভাই আসছে...

বল, বল

আমি কী বলবো? ফারিয়ার জবাব।

আমি বলি তাহলে।

ভাই, জানি আপনি অনেক বুদ্ধিমান, কিন্তু সে মজা নিতে পারে না, তাই ওর সাথে মজা করবেন না। (আমার চোখে চোখ রাখার চেষ্টা  কিন্তু ব্যর্থ)

ঠিক আছে ভাই, আমি বললাম।

আমি শেভুর দুর্বলতার জায়গাটি ধরতে পেরেছি। নদীর পাড়ের মানুষ ভাঙন স্বপ্ন দেখে, সৃষ্টির মাঝেও দেখে ধবংসের ইতিকথা-- এমনটাই স্বাভাবিক।

পরে ওদের সাথে কোনো কথাই বলেনি। ফলে ফল হয়েছিল অন্যরকম। অন্যরকম ফল আবার আমাকেই মীমাংসা করতে হয়। কারন গ্রুপের কেউ ওদের পক্ষে ছিল না।

চন্ডীঘর তাহলে আরও এক ঘন্টার পথ। সব কিছু গোছাতে কিছু সময় লাগলো। তাতে কী, মনে বিশাল আনন্দ! জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছি। সবার মনে আনন্দ। শীত বাড়তেই লাগলো। ব্যাগ থেকে শীতের কাপড় খুলে নিলাম। পলওয়েল মার্কেট থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে কেনা শীতের কাপড়টা আমার কোনো কাজেই লাগেনি সেই অর্থে। বাংলাদেশে শীতকাল যেন সাইবেরিয়ায় বেরাতে গ্যাছে। কারন তেল মাথায় তেল দেয়ার স্বভাব শীতের কেন থাকবে না? থাকতেই পারে। শীতের কাপড়টি পড়ে নিলাম। বাহ! দুই হাজার টাকায় কেনা শীতের কাপড়ের ক্ষমতা অস্বীকার করেও শীত শরীরে কুসুম কুসুম আক্রমন করছে। এখুনি নেমে যেতে হবে।

ট্রেন আস্তে আস্তে থামছে। অবশেষে ট্রেন থামলো। আমরা এক টন আনন্দ নিয়ে চন্ডীঘর স্টেশনে নামলাম। চমৎকার স্টেশন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জেল হাজতের সামনের জায়গাটিকে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়াম। চন্ডীঘর স্টেশন আসলেই সুন্দর। ভোর রাতের এই সময়টাতে আরও সুন্দর লাগছে। নীরব সুন্দর। প্রার্থনারত আমার নানিকে যেমন সুন্দর লাগতো তেমন সুন্দর। কষ্ট পেয়েছি যখন দেখলাম অনেক ভিক্ষুক এখানে ঘুমাচ্ছে।

আবার ভাবলাম এটাই সুন্দরের ক্ষত। যখন কোনো দেশ উন্নতির দিকে যেতে থাকে তখন তার ক্ষত থাকবেই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ।

সবাই ট্রলি নিয়ে শাঁ শাঁ করে যাচ্ছে। দৃশ্যটি চমৎকার। সবাই সবার দায়িত্বে। আমাদের সবার দায়িত্বে শ্রাবন ভাই। আমরা তাকে অনুসরন করছি। যাবো কিন্তু সিমলায়। ট্রলি চলছে। কেমন একটা ট্রেনিং ট্রেনিং ভাব। টুরিস্ট বাস আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা বাসে ওঠে গেলাম। বাস চলছে। তখনো পৃথিবীতে সূর্য আসে নি। কিন্তু ভোরের আলো পৃথিবীতে নেমে এসেছে। গোল গোল পাহাড়ি রাস্তা। ভূমি থেকে হাজার হাজার ফুট উপরে সিমলা। প্রায় পাঁচ ঘন্টা আমরা বাসে। মানুষ পারে। মানুষ সব পারে। এমন বিশাল বিশাল পাহাড়ের বুকে সে স্থাপন করেছে রাস্তা, বসিয়ে দিয়েছে বাড়ি, বসিয়ে দিয়েছে মর্ডান দাবা। মানুষ পারে, সব কিছু পারে।

বাসে নিজেকে বড় মাপের সাপ মনে হলো -- আঁকাবাঁকা আঁকাবাঁকা। আমাদের সাথে কিন্তু বাকা স্যার আছেন।

বাংলা বিভাগে আকা, বাকা, ফাকা নামে আমাদের তিনজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আছেন। পৃথিবীর কোথাও এমন থ্রি টেম্পলেট অনুপ্রাস সমেত শিক্ষক পাওয়া যাবে না। এটা বাংলাদেশেই সম্ভব এবং বাংলা বিভাগে।

আকা মানে আকতার কামাল, বাকা মানে বায়তুল্লাহ কাদেরী, ফাকা মানে ফাতেমা কাওছার। আকতার কামাল আপা চমৎকার রবীন্দ্রনাথ পড়ান, একশত পার্সেন্ট মনোযোগ দিয়ে তাঁর ক্লাসে বসে থাকতে হয়, কারন কোন সময় কোন গুরুত্বপূর্ন কথা আবার চলে যায়।

যখনই আমরা শাহ আবদুল করীমের কুল বাঁকা, গাঙ বাঁকা গানটা ধরেছি তখনই স্যার আমাদের দিকে মুচকি হাসিতে তাকান।  আমরা বিষয়টি খুব ইনজয় করি।

বড় মাপের সাপ মনে হয়েছে নিজেকে   কারন সাপ কখনো সোজা চলে না, পাহাড়ি রাস্তাও সোজা চলে না। তাহলে যুক্তিবিদ্যা বলছে সাপ আগে পাহাড়ি রাস্তা ছিল। পাহাড় কিন্তু পিচ্ছিলও বটে তবে শ্যাওলার মতো অত পিচ্ছিল না। জীবনটা যদি শ্যাওলার মতো পিচ্ছিল থাকতো তাহলে বরং ভালো হতো। তবে ভালোই আছি।

একটা বিষয় খুব করে নোটিশ করলাম, জলরমন ভেতরকে বাইরে টেনে আনে, আর পাহাড়বিহার  ভেতরকে আরও ভেতরমুখী করে তুলে। আমার কেন অত পিচ্ছিল হতে মন চায় তার জন্য অবশ্যই একখান বায়োলজিকেল রিদম জনিত কোনো ব্যাপার আছে।

কুফরি গিয়েছি বরফের জন্য। কুফরি থেকে ফাগু যেতে হয়। ফাগু মূলত বারফি এলাকা। ফাগুতে ঘোড়া দিয়ে যেতে হয়। প্রতিজন তিনশ টাকা। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা-- ঘোড়া আস্তে আস্তে উপরে ওঠছে। ঘোড়াদের মেয়েদের মতো একটা সংসার সংসার মন আছে। তা ফাগু ওঠতে ওঠতে মনে হলো। ফাগুতে যখনই বরফ দেখলাম আমার মন আনন্দে নেচে ওঠলো। বারফি দেখে আমার মনে যেমন আনন্দ আসে তেমন কোনো আনন্দ আমার আসেনি যখন আমি সিমলার শেষ চূড়া হনুমানজির মন্দিরে ওঠেছিলাম। আমি বরং আরও চুপচাপ হয়ে যায়। তবে অন্যরকম আনন্দ পেয়েছি যখন আমার হাত থেকে হঠাৎ দেখি টুপিটা নাই।

টুপি কে নিল কে নিল?

বানর টুপিটা নিয়ে গেল।
এখন তাহলে কী করি?

যখনই পাশের দোকান থেকে বিশ টাকার খাবার কিনে দিলাম বানরটিকে তখুনি টুপিটা সুন্দর করে দিয়ে দিল সে।

সিমলার উপরতলার বানর আমাকে শিক্ষা দিল, নতুন এক শিক্ষা-- অধিকার কখনো কখনো আদায় করে নিতে হয়, অধিকার আদায় করে নিতে জানলেই ভালো থাকা যায়। আমি তো অধিকার আদায় করে নিতে জানি না। তারপরও তো ভালোই আছি।

হনুমানজির মন্দিরে ওঠতে ওঠতে আমি কিন্তু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারন আমার শ্বাসপ্রশ্বাস প্রায় থেমে থেমে আসছে। এক মন বলছে নিচে নেমে যা রেজা, আরেক মন বলছে রেজা তোমার ক্ষমতা তুমি এতো সকালে ভুলে যাবা। দুই মন নিয়ে আমি পড়লাম মহা সংশয়ে। তারপর চোখ বন্ধ করলাম। শ্বাসপ্রশ্বাসের স্পষ্ট ডাক শুনতে পাচ্ছি, হার্টের কথা কান পেতে শুনতে পাচ্ছি। ভয় আরও বেড়ে গেলো।

ভয় চরম পর্যায়ে গেলে আমি আমার কাছে যাই। আমার কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি সাহস আর সাহস, যে সাহস আমাকে বলছে রেজা চালিয়ে যাও অভিযান, বিপদ বলে কিছু নেই, যেখানে থেমে যাবে জীবন, সেটাই নতুন এক স্টেশন। স্টেশন বদল হলে আরও এক নতুন জীবন, নতুন এক আস্তিক প্রেমের বাড়ি। চোখ খুলে মনে বিশাল সাহস পেলাম। ওঠতে লাগি হনুমানজির মন্দিরে। ওঠেও গেলাম। মন্দির দেখছি দেখছি, ভয়ে ভয়েও আছি, কারন যেকোন সময় বানর আক্রমন চালাতে পারে। হঠাৎ দেখি সে ওঠে এলো।

সে গাড়ি নিয়ে আসে। যাক একজন চেনা মানুষের সাথে পরিচয় হলো। অচেনা জায়গায় একটা চেনা ফুলও হৃদয়ে আশা জাগায়, আর সে তো ফুলের মতো সুন্দর মনের এক নারী-- নীহারিকা। তার সাথে মন্দিরের ভেতরে গেলাম, মন্দিরের প্রসাদ খেলাম। নীহারিকা খুব অল্প কথা বলে। অল্প কথায় আমার কাছে জানতে চাইলো অনেক কিছু। আমি ত আর হিন্দি ততটা ভালো পারি না, তারপরও অধিক কিছু বলার চেষ্টা করেছি। তারপর তারা চলে গেল তাদের পথে আমি আস্তে আস্তে চলে আসি আমার পথে। নীহারিকা আমাকে সিকিম যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে, আমিও যাবো হয়তো, হয়তো আমাদের আবার দেখা হবে, হয়তো কোনোদিনই আমাদের দেখা হবে না। দেখা আর অদেখার মাঝে বেঁচে থাকি আমরা-- আমাদের জীবন-- জীবন নিয়ে ভালোই আছি।

রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭

স্বাধীনতা দিবস

পঁচিশ মার্চ কালো রাত হিসাবে ছোট কাল থেকে শুনে আসছি। রাত কালো হয় কীভাবে জানি না। অন্ধকার আর কালো এক কথা না। অনেক সময় দেখি মুখের আগে অনেকে কালো বিশেষন হিসাবে ব্যবহার করেন। কালো মুখ। আমাদের প্রভুরা শাদা কালারের। তাইতো প্রভুদের সরাসরি চেলা বা ভাব চেলারা কালোকে নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন।

পঁচিশ মার্চ রাতে ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন অংশে আক্রমন চালায় পূর্ব পাকিস্থানের রূহানি ভাই পশ্চিম পাকিস্থানের কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। আবার বলছি কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবন মানে শাষকগোষ্ঠী কখনো জনগনের কথা শতভাগ মাথায় রাখতে পারে না অথবা পারতে চায় না। কিন্তু আমরা শুনেছিলাম সেই স্মরনীয় বক্তব্য "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এ দেশের মানুষের মুক্তি চাই"।

এ দেশের মানুষের মুক্তি বলতে অবশ্যই অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির খোলা বাতায়নকে বুঝায়। মুক্তি কী পরিমানে আসলো এই প্রশ্নটা রাখার মানুষ এখনো আমার চোখের সামনে দেখি না।

স্বাধীনতা যুদ্ধে শিবপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। অথচ আজকে মানে স্বাধীনতা দিবসে কোনো প্রকার উৎসব আনন্দ ভাব শিবপুরে নেই। শিবপুর কেন, বাংলাদেশের কোনো গ্রামে স্বাধীনতা দিবস শব্দটি তেমন করে ছড়ায়নি। স্কুল কলেজে হালকা জিকিরের মতো একটু নাচানাচি চলে কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের চেতনা কোথায় ....তখনো গ্রামের মানুষ জানে না ঢাকায় কী হচ্ছে, এখনো জানে না স্বাধীনতা দিবসের মানেটা কী দাঁড়ায়।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল মেরুদন্ড গ্রাম।

আজকে আমরা কয়েকজন গ্রাম জিয়ারতে বের হয়েছি। জয়নগর চৌরাস্তায় কোনো এক চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে দেখলাম বাংলাদেশের পতাকাটা আকাশে উড়ছে....

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

সিমলায়

তিনি শ্রমজীবী মানুষ। দিনে সাপ্লায়ার। রাতে ডিম বিক্রি করে। সংসার চালাতে তারপরও অনেক কষ্ট। কিন্তু সিমলার মাটি বাতাস তাকে হাসতে মানা করে না। খুব সহজ মিশুক তিনি। এতো রাতে কে ডিম কিনতে আসে এটা গভীর ভাবনার বিষয়। কারন রাত আটটার পর পাহাড়ি সিমলা খুব একা হয়ে যায়। নদীর পাড়ের মানুষের মতো এই কর্মকার কাকুর কলাগাছিয়া দৃষ্টি। খুব সবুজ। তাহলে বুঝতে পারি নদী আর পাহাড় সমানুপাতিক লেন্সের দৃষ্টি উৎপাদন করতে পারে।

কাকুর পাশেই আরেকজন ছিলেন যিনি কোনও প্রকার ছবি তুলতে রাজি না। মনিহারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। কেউ ছবি তুলতে অস্বীকার করলে আমার দুজনের কথা মাথায় আসে। একজন হলেন রুমী। রুমী মানে মাওলানা রুমী না। রুমী মানে আমগো জাহানারা ইমামের পুলা। জাহানারা ইমাম আমাদের জানিয়েছেন রুমী ছবি তুলতে এতো রাজি ছিলেন না, কারন সে বিপ্লবী, কারন সে মুক্তিযোদ্ধা। রুমীর সর্বনাম তিনি ব্যবহার করা আবশ্যক কিন্তু সে ব্যবহার করলে আপন আপন মনে বোধ করি।

আরেকজন হলেন আমার ডিজিএফআই ভাই। তার নাম বলতে মানা। তিনি আমার সাথে ছবি তুলেন এবং সাবধান বানী আমার কানে দিয়ে থাকেন আমি যেন কোনো প্রকার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড না করি। আমি তখন হাসি। আমার হাসিরও অতীব গোপন কারন আছে। তা চেগুয়েভারা বেঁচে থাকলে বুঝতে পারতেন। কারন সে বেশ ফটোহেছা লোক ছিল। আমাদের দ্রুত হোটেলে যাওয়া দরকার।

রাতে আমি আর সোহান বের হয়েছি। শেষ রাতে সিমলাকে একটু ভালো করে দেখা।শেষ রাত বলতে সিমলায় আজকেই আমাদের শেষ দিন। জুস খেলাম। বেশ টেস্টি। কোনো প্রকার ফরমালিন এখানকার ফলে থাকে না। দোকানদার ফরমালিন চিনেই না। আমগো দেশে ব্যবসাতে মাত্র পয়দা হইছে এমন লোকও ফরমালিননামার হাফেজ। দোকান বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় আমরা জুসের জন্য হামলা করি। দিতে চাইলেন না তারপরও কেন যেন দিলেন। আমরা জুস খাচ্ছি আর তারা দোকান পরিষ্কার করছে।

দেখছেন তারা কত পরিষ্কার সচেতন, ঘুমিয়ে যাবে কিন্তু দোকান পরিষ্কার করে ঘুমাবে।

আমিও বললাম তাইতো, প্রত্যেক সনাতনী অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে অথচ মুসলমানদের ওয়াজে আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ, কুরানে আছে লা তাকরাবু ছালাতা ওয়া  আনতুম ছুগারা ...
মানে কী?
মানে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় যেন প্রার্থনার ধারে কাছে না যাওয়া হয়।

পরে দোকানদারের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে মুসলমান। আমরা একটু অবাক হলাম। তারপরও মনে মনে বুঝতে পারলাম সামগ্রিক সমাজ নৌকা জীবনাচার সেখানে কেবলই পালের বাতাস।

আমাদের দ্রুত হোটেলে যেতে হবে। কারন আমাদের জন্য খাবার অপেক্ষা করছে। গরম গরম খাবার। জাপানিরা সব কিছু গরম খেতে পছন্দ করে। গরম পানিও জাপানিরা নিয়ম করে খায়। আমার দাদা জয়দর আলী দিনে একদুই বার গরম পানি খেত। কিন্তু সে জাপানি ছিল না। কিন্তু আয়ু পেয়েছিল জাপানিদের চেয়ে বেশি-- একশত ছয় বছর। দাদার সকাল বেলার খাবারে দই মানে চাক্কা দই ইজ মাস্ট, দুপুরের খাবারের পর গরম দুধ ইজ মাস্ট। আমার দাদির দুধও বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল।

সোহান আমারে অহন আফনে অহন তুমি বলে ডাকে -- ভালোই লাগে।

চলো রেজা কিংফিশার কত জিগাই।

হুম চলো।

দোকানদার আমাদের সাথে হালকা মজা করলো -- ''এই সব পেপসি তো বাচ্চারা খায় ''।

হালাম্মার পুত এ কী কই! বাংলা গালি বুঝবে না। বারো পার্সেন্ট বৈধ এ্যালকোহল নাকি বাচ্চারা খায়।

চলো সোহান চলো চলো।

রাতের সিমলা যেন আকাশের তারা। জ্বলছে চলছে। মানুষদের সরলতার শেষ নেই। বিকাল বেলা যখন রিটজি ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষন তখন মনে জন্মের আগের মুহূর্তের কথা ভাসতে থাকে যেখানে বাতাস হয়ে বাতাসির সাথে ধ্বনিহীন ছাদের তলে সময়হীনতা যাপন করতাম।

হোটেলে এসে দেখি খাবার অলরেডি চালু হয়ে গ্যাছে। আমরাও খাবার খেতে বসে গেলাম।

অপেক্ষা

অপেক্ষা যেখানে থাকে না সেখানে মৃত্যু। পুকুরের কোনো অপেক্ষা নেই, ডুবারও নেই, লেকের আরও নেই। নদীর রয়েছে অসীম অপেক্ষা-- সাগরের সাথে মিলিবার অপেক্ষা।

যে নদী অপেক্ষা করতে জানে না সে নদী পুকুর হয়ে যায়, ডুবা হয়ে যায়, সে নদী দ্রুত মারা যায়। 

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

বাউন্ডুলে

বাউল তত্ত্বে ক্ষয় করার মধ্য দিয়ে জয় করার একটি প্রবনতা আছে। জনপ্রিয়তা ক্ষয় করার মধ্য দিয়েও নিজের স্বগত বোধকে জানা যায়। প্রসংশা গ্রহন করতে করতে যদি প্রসংশাকে নিজের চেতনায় স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা যায় তাও চৈতন্যের জয়। নিন্দা সহ্য করতে করতে নিন্দাকেও স্বাভাবিকভাবে নেয়ার প্রবনতাই মানুষের সত্যিকারের ধর্ম। জীবনে কেবল ফটোগ্রাফার না হয়ে ফটোও হতে হবে...

.:

মুখ এখনো কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা, তাই চোখ দিয়ে এখনো কিছু শুনছি না 

ন:::

মীনা বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে। সে পড়ালেখা শিখতে চায়, সে বড় হতে চায়। কারন সে বন্দী থাকতে চায় না। মীনা পড়ালেখা শিখে, বড় হয় এবং বড় অফিসে চাকরি করে। কিন্তু সে মুক্ত হতে পারে না। কারন অফিসারের উপরে অফিসার থাকে। অফিসার তাকে একান্ত ব্যক্তিগত রুমে ঘন ঘন ডাকে, মীনাকে একান্ত ব্যক্তিগত সময়ে না পেলে অফিসারের ক্লান্তি শেষ হয় না।

অফিসেও মীনা বন্দী। কারন অফিসে মীনা মানুষ নহে মাংস, অফিসে মাংসের কদর অনেক অধিক। মীনা বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে।

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

হয়তো পরে

একজন সুন্দরী রাত ছিল আমার। ভাবছেন হতাশার কথা বলবো। একদম না।

রাতের ছিল পাখনা। ভাবছেন বলবো পাখনা দিয়ে পাখি উড়ে গিয়েছিল। আরে একদম না। মাটির ময়না উড়ে উড়ে যায় না।

রাতের একটা ব্যক্তিগত দল আছে। আচ্ছা, আগে বলেছেন ছিল এখন আবার একেবারে নিত্য বর্তমান, ঘটনাটি হুলাছা করেন তো মশাই।

আরে মিয়া এতো হিসাব করে কথা বলি নাকি। হিসাব করে তো  কথা তারা বলবে যাদের সম্পদ অঢেল, ন্যাংটার আবার এতো হিসাব নিকাশের প্রয়োজন আছে বলে আমার পূর্বপুরুষদের কেউ বলেনি।
কিন্তু আজকাল তো হগলে মিললা ন্যাংটা হতে মুখিয়ে আছে, এইডা কিচ্ছু তো বুঝি না।

খুব সহজ, স্মার্ট সাজনের আধুনিক কিংবা অত্যাধুনিক ভাব।

ভাবে তো পেট ভরে না।

দুরু মিয়া, বুঝেন না কেরে? ভাব নিয়া থাকলেই তো বান্দরবনকে বৃন্দাবন মনে অইবো ...

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

গো

গোলাপবালা
আলাবালা
রাত্রি নিশি
দিচ্ছে জ্বালা


আমার কিছু ব্যক্তিগত বেশ্যা আছে
আমারও কিছু ব্যক্তিগত বেশ্যা থাকবে
যারা আমার নিন্দা করতে ভালোবাসে গোপনে
যারা রং মাখিয়ে মাখিয়ে কথা বলে
যারা অঙ্কের আগে বসায় সংখ্যা সংখ্যার আগে অযথা অঙ্ক
জানেন তো ব্যবসা থেকে বেশ্যা
তারা আসলে ব্যবসাটিকে ভালো বুঝে
ব্যবসা করবে বলে তারা গ্রাম থেকে শহর চিনেছে
হতে চেয়েছে শিল্প মাস্তান, নিজেই দিচ্ছে নিজেকে পদক
সাধু সাধু জয় গুরু জয় গুরু
তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ প্রনাম
তারা জয় করেছেন আমার বদনাম 

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭

চিকিৎসা বিজ্ঞান

আমি। একটা সময়। খুব অসুস্থ থাকতাম। অসুস্থতা বলতে বড় ধরনের কোনো রোগ না। খুচরো রোগ। বারো মাসের মধ্যে চব্বিশ মাসই আমার ঠান্ডা লেগে থাকতো। পারত আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসা করি না, হোমিওপ্যাথিতে আমি আস্তিক।

একবার আমার জ্বর হয়েছিল। খুব জ্বর। একশত চার ডিগ্রি। তারপরও আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসার কাছে বায়াত গ্রহন করেনি। হোমিও চিকিৎসা আমার মুর্শিদ। হোমিও কখনো রোগের চিকিৎসা করে না, হোমিও রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর চিকিৎসা বলতে মানসিকতার চিকিৎসা।

হ্যাঁ আমি বলতে চাই বনের বাঘে মানুষকে খায় না মনের বাঘেই খায়। বনের ক্ষুধার্ত  বাঘ যে মানুষকে পেলে খাবে না এমনটা না, পেলে অবশ্যই খাবে।

রোগ মানে মানসিকতার বিশৃঙ্খলা। ঔষধ মানেও বিশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলাকে শারীরিক বিশৃঙ্খলা ধবংস করার জন্য পাঠানো হয়। যদি দুটি বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় হয় তখন একটি আরেকটিকে বিকর্ষন করে মানে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে একটি মারা যায় একটি বেঁচে যায়। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা যাকে আমরা ঔষধ বলে জানি তার বেঁচে থাকার একটি বয়স সীমা রয়েছে, বয়স সীমার পর সে আপনি আপনি মারা যায়। একারনে এলোপ্যাথী চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পরও শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে।

যদি প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় না হয় তাহলে মহা বিপদ-- দুই বিশৃঙ্খলা একসঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে, রোগী হয়ে পড়ে আরও দুর্বল। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কথা আছে 'একটি ভুল ঔষধ একটি মরন'।

হোমিওপ্যাথিতে মাত্রাজ্ঞান খুব গুরুত্বসহকারে মেইনটেইন করা হয়। প্রথমে power ত্রিশ থেকে শুরু হয়-- ত্রিশ প্রয়োগ করে যদি দেখা যায় প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা আর শারীরিক বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় তখন আস্তে আস্তে ঔষধমাত্রা বাড়তে থাকে।   ফলে ঔষধও মরতে থাকে রোগকেও  মারতে থাকে। মরতে থাকা আর মারতে থাকার সময়সীমা সমান হয়ে যায়। অর্থাৎ রোগকে মেরে হোমিও ঔষধ আর শরীরে অবস্থান করে না। তাই অনেকে মনে করে হোমিও চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত কোনো ঔষধ পৃথিবীতে নেই। ঔষধ কেন, কোনো খাবারও নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। যেমন লবনের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, পেঁয়াজের উপকার আছে আবার অপকারও আছে, চিনি মাথার খাবার আবার এই চিনিই গুপ্তবিষ( slow poison)।

অবশ্যই মাত্রাজ্ঞান একটি ফ্যাক্ট-- অল্পমাত্রায় বিষও কখনো কখনো ঔষধ, অধিক মাত্রায় ঔষধও কখনো কখনো বিষ।

মানসিক অনভ্যস্ততার বিষয়টিও কিন্তু বিশৃঙ্খলা বা রোগের কারন। কোনো ব্যক্তি যদি প্রতদিনি এক কেজি দুধ খেতে অভ্যস্ত থাকে তাহলে তার হজম ম্যাকানিজম এইভাবেই তৈরি হবে। এক কেজির চেয়ে বেশি দুধ খেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে বা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

মাত্রাতিরিক্ত রেগে যাওয়া যদি একটি রোগ হয় তাহলে আপনাকে রোগী করতে আমার ঔষধ প্রয়োগের দরকার হবে না, জাস্ট কয়েকটি নির্বাচিত গালি প্রয়োগই যথেষ্ট। গালি কিন্তু জাস্ট একটি বাতাস যার কোনো বস্তুগত দৃশ্যপট নেই।

ঘুমহীনতা যদি রোগ হয় তাহলে আপনার একটি কথাই আপনার প্রেমিকার কয়েক মাসের ঘুমহীন রাতের কারন হতে পারে।

বাসের নাম শুনলেই আমার বুমি আসতো, আর এখন বাসে আরামসে ঘুমাই, তাও আবার এসি বাসে। বুমি দূর করার জন্য আমি কোনো প্রকার ঔষধ সেবন করেনি। তবে হ্যাঁ, মনকে চকলেট দিয়ে দিয়ে বুঝানোর কাজটা করেছি, শিশু মন আমার কথা শুনেছে। সুস্থ থাকার জন্য মন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাই আমি বলতে চাই

সুস্থ মন
সুস্থ দেহ 

একলা

বড় হতে হতে ভুলে গেছি বড় হওয়া কাকে বলে
ছোটকালে অনেকেই ছিল আজ বড় একা একা লাগে 

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

পুরাতন থেকে গেলে

অনেক পথ এখনো বাকী
মাতা হারি তোমার অনুপম স্তন জোছনা-- তোমার স্তনের নিচে পৃথিবীর অন্ধকার-- তোমার স্তনের জোছনায় এখনো হয়নি স্নান করা
অনেক পথ এখনো বাকী
তোমার চোখের নিচে কাব্য মাতামাতি করে নেশায় বিভোর আমি হয়নি মাতাল এখনো

অনেক পথ তাইতো বাকী মাতা হারি-- মিলনে মিলনে কৈত্থিকা জীবন
তোমার নাভিদ্বীপ জলে ঘেরা পদ্মফুল আষাঢ় শ্রাবন
তোমার স্তনে শিশ্ন রেখে স্তনপাহাড়ে হয়নি চড়া-- নামেনি বৃষ্টি অঝোর ধারা
ঠোঁটের ভেতর ঠোঁট রেখে হয়নি বলা গোপন কথা--জলকেলি কইনচেনদেহি মনে রাখেনি সুর

অনেক পথ এখনো বাকী মাতা হারি

চুলের নিচে মুখ লুকিয়ে ঘ্রানের দেশে পথ চলা এখনো হয়নি তোমার সাথে
তার আগে তারই আগে তুমি চলে গেলে
একটি গুলির শব্দ
একটি অন্ধকার
একটি মৃত্যু
তোমাকে নিয়ে গেল পরপারে
আমি এখনো অন্ধকারে সূর্যের দেশে
গরু মহিষের মাংসের মতো তুমিও আমার কাছে মাংস ছিল-- টকটকে লাল মাংস-- তোমার মাংস আর ঝুলে হেছে নিতাম সাদের যৌবন-- বেশ্যা ভেবে তোমাকে তারা বিদায় দিল চিরতরে, আমিও দিতেন সাধু পুরুষ।

তারা বলে তুমি বেশ্যা ছিলে, বেশ্যার কখনো ভিলিডেটি শেষ হয় না আমাদের কাছে-- ছাইকেও আমরা জৈবসারে কাজে লাগাই-- তুমি ছিলে হুমকির মাতা হারি-- হাজার বছরের স্রোতে তুমি নিছক হুমকি-- তুমি ছিলে নতুন--ষোলো ভাগ পুরাতন এই পৃথিবীতে-- তাই তুমি চলে গেলে-- পুরাতন থেকে গেলে মন আমার কেমন কেমন করে মন আমার নতুন নতুন লাগে

ওরাও হাগু করে, ওদের হাগুর নাম অক্সিজেন 

বর্ষার রাত

কোনো এক বর্ষার রাতে
নদীর দারে কোনো এক ঘরে
মাথার উপরে বৃষ্টির চাল-- তোমাকে ডাকি যদি

আসবে?

জানালা চোখে ঢেউ দেখা যায়
এক ঢেউয়ের উপর আরেক ঢেউ, আরেক ঢেউয়ের উপর অন্য কোনো ঢেউ

ভাসবে?

দুটি হাঁস ভাসতে ভাসতে ভুলে গ্যাছে বাড়ির ঠিকানা
আমাদের ঘরে তখন একটানা বৃষ্টি, হিমশীতল বাতাস

তুমি আসলে, ভাসলে, ভাসালে
অনেকদিন পর তুমি অনেকের কথা ভুলে গেলে

অনেকের কথা মাথায় নিয়ে তুমি হয়েছিলে মুদির দোকান
আজকে তুমি শব্দটি আমার, কেবলই আমার, আজকে আনন্দ আমার বেদনার সমান 

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭

Envelope

Sometimes I feel like doing nothing. I don't want to live in the heaven or hell. What is the meaning of peace and agony? Just nothing.

Everything is system, everything is somnolent,everything is Madeline going on atmosphere. A delicious food junction, a den without food some day live in the same house just for the demand of ecosystem. But what will be then?

I want my time before the time of birth. I need the time when I was time  being itself. Who sends me here to have the noise violin?

Go, goes and gone, eat and eaten everything is some how illusion!

I feel better in winter. Feeling  better is not the best result for me. Everything is laughing stock, everything is chin with the chin. Matrix of being self know nothing but walk on walking, move on moving.

But why?
But why my dear dodo?

When I kiss my dear I feel the time dead, when I touch my dear I feel the time stooped fish. I can't live within the feelings.
You?
You can't.
Why so fish prone envelope over your lives? 

র.

পৃথিবী থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, রক্ত দরকার তার বারবার 

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

অভিযোগ

আকাশের ঘরে অভিমান বানিয়ে বসে আছো-- আমার ঘরে অপেক্ষারোদ

যেন বেশ

মধ্যমদের রোগের নাম হারানো রোগ। তারা হাসতে গেলে ভাবে এই বুঝি হাসি চুরি হয়ে গেল, প্রেম করতে গেলে ভাবে এই বুঝি মানুষ জেনে ফেললো, বাজার করতে গেলে ভাবে এই বুঝি হেরে গেলাম, বন্ধুর সাথে স্বাভাবিকভাবে মিশতে গেলে ভাবে এই বুঝি সংসার নষ্ট হয়ে গেলো। কথা বলতে গেলে ভাবে এই বুঝি হাজার বছরের (মানে পিতা এবং পিতার বাবার কাছ থেকে পাওয়া) জনপ্রিয়তা মারা গেল একেবারে মাঠে মারা গেল।  গেলো গেলো। একেবারে গেলো।

মধ্যমদের হারানো রোগের ভাইরাসের নাম 'দেখে ফেললো, দেখে ফেললাম'।

তারা মেপে মেপে কথা বলে, তাদের কাছে জীবনের ইঞ্চি ইঞ্চি মাপ। মাপতে মাপতে তারা জীবন ভুলে যায়-- মাপের ভেতর তাদের জীবন ঘুরপাক খায়।

আর উপরওয়ালাদের সে এক দারুন রোগ-- 'তালগাছটা তোমার না আমার'।

নিচে যারা আছে তারা তো মহান-- চাকার মতো কেবল ঘুরে আর ঘুরে, তিনি নাচালে মহানরা নাচে। 

সেই

সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক 

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭

রাতের তারা

যো ন হৃষ্যতি ন দ্বেষ্টি ন শোচতি ন কাঙহ্মতি।
শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান যঃ স মে প্রিয়ঃ।।

রাত অনেক গভীর। ফেনোবারবিটন। গভীর এক বেদনাবোধ কাজ করে মনে। রাত অনেক গভীর। ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা। ঘুমানো হচ্ছে না। সকাল হবে। সকালের চেয়ে ভোর শব্দটি দ্যোতনাময়, আশাবাদী।
ভোর হবে। অনেকদিন হলো একটি তাজা ভোর দেখি না। রাতের আকাশে অনেক তারা। আকাশে অনেক তারা হলে একদল নদী চোখে আসে। আজকের আকাশে চাঁদও বেশ সুন্দরী।

মনে আমার অমীমাংসিত বোধ কাজ করে। অমীমাংসিত বোধে প্রশান্তি হাঁটতে আসে না, পরবাসী কেউ তো আরও সাহস পায় না।

আজকাল মানুষকে ফেনা মনে হয় যা ঢেউফল। অথচ ফলাফলের আশায় অনেকদিন ধরে বসে আছি ডাকঘরে-- চিঠি আসবে সবুজ খামে সবুজ কালিতে পাতায় পাতায় বেলুনের কারুকার্য।

চিঠি আসে না-- ইহা আধুনিক সময়। এখন কেউ ডাকপিয়নের কাছে অপেক্ষা জমা রাখে না। এখন সব কিছু দ্রুত ঘটে -- সম্পর্ক কিংবা বিচ্ছেদ।

সনাতন মন নিয়ে বড্ড একা বড্ড অর্বাচীন। আস্থা রাখি এমন একখান হৃদয়বোধ্য পিঁপড়াও নেই-- সবাই সময়বাদী শীতকালে বাস করে।

কানের কাছে প্রতিনিয়ত শব্দ করে মুনাফা, চোখের সামনে প্রতিনিয়ত নৃত্য করে মুনাফা, যমুনার জল এখন চায়ের কাপে, যমুনা গ্যাছে মরুভূমিতে। আমাদের সামনে হয়তো অনাগত সবুজ গাছের মেলা, লাল লিপস্টিকের একটু নিচে দুধসাদা দাঁতের বাঁধ। তবুও কী গরীব থেকে যাবো আমরা?

চোখে ঘুম অনেক। তোমার বিছানায়ও অনেক দিনের রাত জাগা। প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের আলাদা এক চোখ থাকে যার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই-- সব কিছু দেখে সেই চোখ তবুও কথা বলে না একটি শব্দ পরিমান।

পরবাসী, একটু আগে তো ঘুমিয়ে গ্যালে, আবার কেন রাত ভাঙলে-- আমাদের ঘর এখন অনেক দূরে -- অনাগত সুখ অবশ্যই নবাগত কষ্টের পরে।

চোখ এখন ঘুমিয়ে যাবে, তুমিও ঘুমিয়ে যাও....

Where and when

An angel has been a devil just for a flea-bitten business just for denying the authority. Authority having a strong power turns the right into wrong. Always the supreme writes a stunning history (his story not her story) of his winning time.

So political opinion is personal most of the time even the so called doctrine. Sometimes opinion is parcel bomb to make a grave of the reality.

Reality is you and me, reality is false den sometime, paranoia is also a reality when the reality is beyond of the pardner.

So devil is device process of the mentality, Jimmy of the authority.   

হু

ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা না জেনে অন্যকে হিংসা করে। শিমুল ফুল পাতা ছাড়া পেঁচাচোখে তাকিয়ে থাকে, গোলাপ পাতা নিয়েও লজ্জা সুন্দর দৃষ্টি ফেলে, অনেক পাতা আবার নিজেই ফুল। 

যেন বলে

খাঁটি সোনা দিয়ে অলঙ্কার হয় না, খাদ মেশাতে হয় -- কথাটি বলতে অনেকে আরামবোধ করে। কারন কথাটির মধ্য দিয়ে অনেক অপরাধকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আরামবোধ করার কারন নেই-- বস্তুগত নির্মান মানে বস্তুগত মিশ্রন। ঔষধ তৈরীতে কুকুরের প্রস্রাবও ঘৃনার্ত নহে, ঔষধ তৈরির উপাদান। 

সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

.:.

আকাশে চাঁদ আর আমি। চাঁদকে ভালো লাগে না। ন্যাংটা ন্যাংটা লাগে। কড়ই গাছের ফাঁকে ফাঁকে যখন চাঁদ দেখি তখন দুধসাদা চাঁদ হয়ে ওঠে আবেদনময়ী জোছনা।

ওগো সুন্দরী জোছনা তোমারও কাপড় পরিধানের দরকার আছে 

এক চোখে সময় দেখে মানুষ
অন্য চোখে আকাশ ভরা সংশয়
চুলমেঘ নেমে আসে বোধের বিছানায়
কেমন করে যেন দিনের ভেতর রাত ঢুকে যায়-- রাত হতে আস্তে আস্তে খসে পড়ে বয়সের পালক-- হালকা হয়ে আসে লিপস্টিক।

খুব সুন্দর তুমি আকাশের নিচে-- আকাশের দেশে তুমি এক ডানাকাটা মেঘ-- পরমা হৃদয়ে বসে আছে পুরুষ অঘোর বাসনায়-- নেমে আসো ওহে নাকের গন্ধসীমায় আপনা আপনি-- খুব সুন্দর তুমি খুবই সুন্দর তুমি আমারই রক্তে আমার সনাতন ভূমি-- তুমি শব্দটি ভুলে গেছি বহুকাল-- বৃষ্টি হবে আবার কেটে যাবে নিথুয়া আঁধার-- এমন করে এমন দিনে তারে (ভালোবাসি) বলা যায়-- তারে ন ভুলা যায় ন ভুলা যায় 

অতএব সুখ হবে

যুগজ্বর ধরেছে তোমার তন্ত্রীতে-- কালাতীত মানুষ নিজেকে হারায় কালের মহিমায় নিজেকে পাওয়ার বাসনায়।

আবেগের রাস্তায় মুখে হাত দিয়ে বসে থাকে বিবেক-- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল-- জন্ম রোগে কাফে আজন্ম ভের।
ব্রিজের উপর দিয়ে লাফাইতে লাফাইতে চলে যায় সুধী সময়-- হাসির চিত্রা নামে ঘন দাগের বর্ষায়-- চোখের উপর চশমা নামে রোগের বাহানায়। নারী তোমার সামনে থেমে যায় যতসব বিশ্বকথা-- পাহাড় পর্বত উপত্যকা ঝরনা সমতল অতএব নদী ফসল-- সবই আছে তোমার দেহে-- তোমার ভ্রমনে হয়ে যায় বিশ্বভ্রমন-- রমনে ভ্রমনে তুমি তো পবিত্রলিপি চোখ থেকে চোখে।

অতএব সুখ হবে অতপর তোমার কাছে এসে 

রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭

গানের লোক

গুচ্ছ গুচ্ছ আলোর পাশে
একটা পোকা থাকে অন্ধকারে
ধরার বেশে অধরা সে
জলের ভীড়ে মাছেরা হাসে।।

চুপিসারে অভিসার জানালা খোলা তার
জোছনা আসে তার বাতায়নে।।

শত শত কথার ভীড়ে
একটা কথা থাকে নীরব ঘরে
দেখা দিয়েও দেখায় না সে
খুব যতনে গোপনে হাঁটে।।

প্রতিদিন প্রতিদান মন তার ছিমছাম
অনুপম ভাবনায় কথা বলে।। 

একদিন আসবে বলে গতি থেমে যায়

কাক কাকের মতে উড়ে
                তাল তালের মতো পড়ে
নদী নদীর মতো বহে
             শিশু আপন মনে কাঁদে

গতির উপরেও গতি বলে কিছু একটা থাকে
থেমে থেমে আসে বোধ-- বোধের সাজানো বাসর

তরমুজের ব্যবসা করে যে লোকটা সেও জানে তরমুজ মানে লাল আর সবুজ জলকেলি মাংসের ভেলকি-- তরমুজ জানে অন্যকিছু-- অন্যরকম আলোর মতো কালো হয়ে আসে চিন্তার ঋতু।

ব্যবসার ভাষায় কথা বলতে পারে না যে লোকটি সে বড় বোকা সমাজের কাছে-- কিছু হয়ে ওঠে না কিছুই হয়ে ওঠে না ঘোড়ার ডিম টাইপের কিন্তু সময়ের কাছে সে যেন স্মার্ট এনাফ।

কার কাছে কি কতা কমু
চোখের কাছে চোখ বড় একা
দরজা খোলা থাকে
জানালায় বন্দী থাকে কিছু অপেক্ষা 

বোকা বোকা কথা বলে

 গাছের সব পাতা ঝরে না
শীতকাল হলেও কিছু পাতা থেকে যায়
কিছু পাতা থেকে যায় গাছকে ভালোবেসে

ভালোবাসা হৃদয়বাদী বোকা বোকা কথা বলে

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭

শাড়ি

একটা সময় শাড়ি পরা নারী দেখলে ভালো লাগত না। ভাবতাম মেয়েরা কেন শাড়ি পরবে? শাড়ি কোনো পোশাক হতে পারে নাকি! শাড়ি মেয়েদের আরও অধিক মেয়ে করে তুলে। মিছিলে গতিরোধক হিসাবে কাজ করে শাড়ি। শান্তিনিকেতন থেকে আসার পর শাড়ি পরা মেয়ে দেখলে ভালো লাগে। ভুবন মাঝি দেখলাম, দেখলাম তাদের ছোট ছোট আঁচলের শাড়ি পরা-- খুবই ভালো লেগেছে।

নারীকে নারীর মতো দেখায় শাড়িতে। কাঁঠালকে আমের মতো দেখার মধ্যে কাঁঠালের কোনো আভিজাত্য নেই। কাঁঠালের আভিজাত্য কাঁঠাল হওয়ার মধ্যে।

নারী যে সৃজনী, নারী যে নায়কের উপরে নায়ক, নারী যে মোলায়েম, নারী যে পৃথিবী তা আমরা টের পাই না। ভুবন মাঝি মুভিটা কিছুটা হলেও নারীর জায়গাটা ধরার চেষ্টা করেছে। একজন নহির হয়তো ইতিহাসের কালিক নায়ক কিন্তু নহিরকে নহির করে তুলে একজন ফরিদা একজন ইয়াছমিন একজন নারী। 

শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭

Lie for lie

A lie for lie makes the whole world dazzling dark. A lie is dark. A lie is killing operation against the sustenance. Only lie can make you great greater and the greatest. But not for the eternity for a time one. A bombastic lie and junk food family are same as burgeoning, but ill founded current -- win and win situation here be not found.

For a mosaic life one needs a musical job alike unveiling the dark face and that is mother of Pearl.

What should and what shouldn't is not the big fish, man! Big fish is man's paradigm towards his time cell. If I make a game today my child will be a player morrow. So what I keep for my generation is flick fact.

We love simplicity or our blood is simple river but we live in complex paradox. When paradox comes in our paper plate step spoiling us with boorish in-par-a clinical approach. We forget for a while the ripple effect of leading rite.

So it is high time to nod in factors, to cite some hidden tress, to watch the sky where birds are much more stark flying star.

বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০১৭

জাতির

এই জাতির সমস্যা খুব গভীরে
এই জাতির সমস্যা ক্ষুধায়
এই জাতির সমস্যা চোখে
এই জাতির সমস্যা খুব গভীরে
এই জাতি না   মিছিলে
এই জাতি না  গোপনে
এই জাতি মুখে মধু অন্তরে বিষ
এই জাতির এক মুখে হাজার শিস
এই জাতির এক মুখে চার কথা
তেলাপোকা বাজারি নেতা
তাদের আলাদা আলাদা ইশ্বর
তারা ইশ্বর বানায় নিজের ভোগের উপর
তাদের প্রভু থাকে অনেক দূরে আকাশের ঠিক টনখানি উপরে

প্রভুকে ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না বলেই প্রভু
রাম শাম কখনো প্রভু হয় না-- প্রভু থাকেন আলোর মিছিলে অন্ধকার থেকে অনেক দূরে আকাশের ঠিক মাসখানেক পরে

নিজের দুর্বলতা মেজাজে ঢাকে গরম গরম মেজাজ
শিশুর মতো চলে যারা তারা খুব দুর্বল তিনারা ভাবে
জাতিগত সমস্যা খুব গভীরে
প্রসংশা করে প্রসংশা ভাঙ্গে কেবলই প্রয়োজনে
চোখের প্রয়োজনে
ভোগের প্রয়োজনে
নামের প্রয়োজনে
খ্যাতির প্রয়োজনে
সচিব হওয়ার প্রয়োজনে
বিছানায় পাওয়ার প্রয়োজনে
মাস্টার হওয়ার প্রয়োজনে
তেলতেলে শরীর হবে তোমার খুব শীঘ্রই
শরীরের পোশাক থাকবে না খুব শীঘ্রই
বেহুলা কান্দন বেহুলা কান্দন খুব নিকটে
এই জাতির সমস্যা খুব গভীরে

শপ্তর্শি

ঘৃনার একখান শক্তিশালী শরীর আছে-- অনেক চোখ তা দেখে না, ভালোবাসারও একখান শক্তিশালী শরীর আছে-- অনেক হৃদয় তা উপলব্ধি করতে পারে না

মনের অসুখ সেরে যাবে মনের ঘরে মন পেলে পূজা
শিশুর ঘৃনা
শিশুর ভালোবাসা খুব সোজা খুব সোজা 

বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭

যেমন

প্রত্যেক নদীমুখে বাঁধ থাকে, বাঁধের পরপারে থাকে মাছ

স্টেশন ঘুমায় না, যাত্রীরা ঘুমিয়ে যায়

আগুন আর ঠোঁটের মাঝখানে সিগারেটের জীবন

যা চলছে তা চলবে, যা থেমে আছে তাও চলবে, চলনে বলনে পৃথিবীর জীবন 

দ্বারা

তারা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব নামে ব্যক্তিগত ফায়দা হাছিল করে 

সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

পেয়ে

প্রসাধন সজ্জিত নারীর স্বামীদের প্রায় পেট খারাপ করে 

রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭

শিরক

এখনো প্রেমে আমি শিরক করিনি
মুনাফিক হয়নি কাফের দুনিয়ায়
সাতশ কোটি মানুষের একুশ কোটি মুখ
তোমার মুখই একমাত্র পৃথিবীর সব আয়নায় 

শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭

লাঙল

খুব শখ করে একদিন লাঙল ধরেছিলাম। কৃষকের পুলা বলে কথা। লাঙল আমার মাটি কাটতে পারেনি, কেটেছিল গরুর পা। লাল হয়ে ওঠে বাবার চোখ।

তারপর থেকে তওবা তওবা। আমি লাঙল দেখলে পালাই, গরুও আমাকে দেখলে পালায়।

দুই দিক থেকে দুজনে পালাতে পালাতে ভুলে গ্যাছে সমাজ কৃষকের নাম, লাঙলও আজকাল জাদুঘরের সামান 

চুঁই চুঁই

চুঁই চুঁই চুঁই চুঁই  চুঁই
হাঁস ডেকেছে অই
কাঠবিড়ালি গাছে গাছে
বাবুই ছানা কই
বৃষ্টি আসে গোঁফ পাকিয়ে
ছাতার খবর নাই
চলো বাড়ি যাই
বাড়ি গিয়ে আম্মা পাবো
আদর হবে বেশ
টিনের চালে বৃষ্টি হবে
বেশ বেশ বেশ 

শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭

তারা উৎসব করতে শিখে গ্যাছে, উৎসের সুর ভুলে গ্যাছে 

টিপ না দিলেই ভালো লাগে

দাবা খেলতে জানে না
মানুষ দাবা খেলতে জানে না
চুমু খাবার আগেই তারা শুরু করে জলকেলি খেলা
দাবা খেলার আগেই মানুষ দেখায় আফিম কৌতুক
   
কৌশল
           যোগ্যতা
                        পৌষের মেলা

গতির মতন স্থির হয়ে আসে সৈয়দ শামসুল হক কিংবা তাহাদের পিতা
একদিন পরে আগের দিন দেখা যায়
আগের দিনে বসে দেখি পাবলিক বাস
ভ্রমনে রমনে হনুমানে সাপ মুন্সি গ্রাম-- মৃত্যুর পর মৃত্যু মৃত্যুর পর মৃত্যু খানিকটা জীবন
আর কত বেঁচে থাকা যায়-- এ যে নামাতা নামাতা আয়তন

আয়তনে নামে সুখ
আয়তনে নামে দুহ
আয়তনে রাজ্য
আয়তনে পরাজয়
আয়তনে যতসব রাজার আসন
আয়তনে কেনাবেচা
আয়তনের ভেতর আয়তন মুখোমুখি বসিবার কতিপয় বচন

একটা গতি বারবার বারবার মাথার ভেতর ডেকে ডেকে হয়রান
কোথাও যেতে বলে
কোথাও স্থির হতে দেয় না-- চলো চলো চলো
চলতে চলতে থামা ভুলে গেছি-- কষ্ট হয় যে মনের ভেতর
আর কত কষ্ট নিয়ে জীবনের সাথে বাজি খেলবা মন
আর কত কষ্টের বারান্দায় ফেলবে যবনিকা চিহ্ন
দাবা খেলবার বহুজাতিক নিয়মে তারাও আজকের ব্রাহ্মন 

সীমানা

আমাদের সীমানায় বহু বছর হলো কোনো মধ্যরাত আসে না, আসে না মধ্যরাতের কতিপয় ডাক  

বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭

সবপ্রশ্ন

ছোটকাল থেকে শুনে আসছি ধ্বনির সাংকেতিক চিহ্ন বর্ন। কথাটি আংশিক সত্য, অধিকাংশ সত্য নয়। কারন ধ্বনি একটি বিশাল এলাকা। আর বর্ন ছোট এলাকা, খুবই ছোট এলাকা।

উপলব্ধি যখন সাগর ধ্বনি তার জল। ধ্বনির বৈচিত্র্য ভাষার মাধুর্য নির্দেশ করে। আবিষ্কৃত বর্ন প্রায় সময় ধ্বনির বৈচিত্র্যময়  এলাকায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কারন বর্ন মৌলভি যারা আছেন তারা বর্নের প্রথাগত উচ্চারন জায়গায় একেবারে পাগড়ি পরে সুন্নতি লাঠি নিয়ে বসে তাহেন। ফলে মুরিদরা মনে করে বর্নের উচ্চারন শুদ্ধতা মানে ভাষার একেবারে গঙ্গাজল শুদ্ধতার জায়গা।

যেমন, ফন একটি শব্দ। ফন মানে সুন্দর, সতেজ, পরিষ্কার, ফ্রেশ। ফন শব্দটি উচ্চারন করার জন্য প এবং ফ এর মাঝে আরেকটি বর্ন আবিষ্কার করার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই বর্নটি নেই।

পৃথিবীর অনেক ভাষা পৃথিবীর অনেক শব্দ নিতে পারে না। এখানে ভাষার সীমাবদ্ধতা, বর্নের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু কন্ঠস্বর ঠিকই চর্চিত আচরনের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর যেকোন শব্দ তার করে নিতে পারে। এখানেই মানুষ আর তার আবিষ্কারের মধ্যে পার্থক্য। 

রেলপথ

রেললাইন দুটি মিলিত হয় না বলে অনেক প্রেমিক উপমা করে। একজন আরেকজনকে বলে দেখো রেললাইন কত কাছাকাছি অথচ কোনদিন তারা এক ঘরে এক বালিশে ঘুমাতে পারে না। এটাই প্রেম বুঝলা। মিলিত হওয়ার নাম প্রেম না। যদি রেললাইন দুটি মিলিত হয় তখন তাদের মিলনের নাম দুর্ঘটনা। তারপর তারা গান ধরে--  তোমার আমার দেখা হবে ঐ পাড়ে বন্ধু ঐ পাড়ে। মানে দুর্ঘটনার পর।

আরে ভাই প্রেমিক,
রেললাইন দুটি সমধাতু, সমকর্মী।

রেললাইন রেললাইন মিলিত হবে কেন? তারা তো সমকামী না।

রেললাইন মিলিত হবে চাকার সাথে। এবং চাকার আর রেললাইনের মিলন হয়েও থাকে 

বুধবার, ১ মার্চ, ২০১৭

এ.

মেঘমালা গো আমার-- কুতুব মিনার
গাছের ভেতর আয়োজন করে পাখির কথা
নিজামউদ্দিন আউলিয়া চলে যায় রাস্তায় বারবার
সূর্যের সামনে তুমি দাঁড়ালেই সঙ্গীত বেজে ওঠে-- কোনো কান কথা নয়
তুম আয়েগা তুম আয়েগা জরুর
আমার ইনতেজার আর কতখানি কাজে লাগে মরুময় হৃদয় তোমার
লালবাতি দেখালে হরতাল করলে
অভাগা গরীব ঘরে ভাত নেই রান্না হবে না বহুদিন-- অভিমান করলে তুমি মানহীন জীবন আমার-- রাস্তা ফাঁকা দেখিয়ে ফেনের মতো আলাদা হয়ে গেলে-- ভাত আমি পিষ্ট জীবন দাঁতের নিচে, মরনে মরনে আমি তুমিময় কাছে-- মিন্ট রোড দিল্লিতেও আছে তবুও তা ঢাকা থেকে দূরে বহু দূরে 

আজাইরা দ্বন্দ্ব

মাঠের পর মাঠ মাঠের পর মাঠ এবং মাঠের পর মাঠ। ট্রেন চলছে তো চলছে। আসামির মতো বসে আছে, শুয়ে আছে নিজ সিটে তারা। জানালার চোখ দিয়ে সবুজ মাঠে শাদা বকের মতো মন্দির দেখা যায়। শরৎ বাবুর কোনো উপন্যাসের কোনো একটি চরিত্র খুব মনে পড়ছে।

আকাশ হতে থেকে থেকে নেমে আসছে জাপানি রোদ। তাহলে বুঝতে পারলুম পৃথিবীর সব জায়গায় কমবেশি রোদ থাকে। এতো রোদের মাঝেও কারা যেন অন্ধকারের চাষ করে। রবিবাবুর অমলের মতো বসে আছি জানালার পাশে। অনেক পথের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক পথ। কোনো পথ সোজা, কোনো পথ অদ্বয়, কোনো পথ পাড়াত আবার কোনো পথে নেমে আসে ধান সবুজ। কোনো পথই মানুষের মনের মতো এতো লোভাতুর নয়। প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে। আর মানুষ চিনে সীমানা।

চোখের সীমানা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে ভারতীয় স্তন-- মোটরবাইকে  বসা তিন যুবক চলছে কোনো এক সীমানার দিগন্তে। মানুষ সহজে সীমানা পেয়ে যায় যন্ত্রের মতো। অথচ মানুষ কোনো সীমান্তের বাজার নহে। সীমান্ত বাজারে দ্রব্যমূল্যের ডাকাতি, দ্রব্যমূল্যের চিৎকার। বিনিময় মূল্যজ্ঞান থেমে গেলে মানুষ হবে এক কল্যানের নাম, এক সুন্দরের নাম।

কানপুর স্টেশন অনেক আগেই অতিক্রম করেছি আমরা। স্লিপার ক্লাসে আজ শুধু ঘুম। অনেক ঘুমের পর মানুষ কথা বলতে শিখে। কিন্তু এখানে কেউ কথা বলে না। কথা বলতে গেলে প্রয়োজন ধারনা থাকা চায়। এখানে প্রয়োজন বাজার করতে আসে না। তাই সবাই যার যার নীরবতায় ব্যস্ত। এমন নীরবতা অনেকের কাছে গনকবর নয়-- সভ্যতা।

আহারে পৃথিবীর সভ্যতা! কবিরাজ মশাই সত্যের পথে যাত্রা করেছিলেন। হঠাৎ তার তেল শেষ হয়ে যায় , তখন তিনি তেল কেনার জন্য সভ্যতা নামে এক হিজিমনির আয়োজন করে। কবিরাজি কথার ফাঁকে পরে আমরা ভুলে গেছি ঘুমানোর আগে অনেক কাজ আমাদের করে যেতে হবে থরেবিথরে।

একটু পরে রাত হয়ে যাবে। ট্রেন তখনো চলবে। সিমলা যাবো বলেই তো ট্রেন নামক নিয়মে গতর রাখলাম। জীবন তো আর সিনেমার সরাসরি দৃশ্য নহে কিংবা আগরতলা টিভি স্টেশনের কোনো নদীর ফেনায়িত দৃশ্য। তাই গতকাল বলে এক কুড়ি সময় আমদানি করেছি। মানুষ আমদানিতে যতখানি বাঁচে তার চেয়ে বেশি বাঁচে সৃষ্টিতে-- বাঙালি বাঁচে আজাইরা দ্বন্দ্বে।

আমার উপরে সিটে তারিক আজিজ, সে সালাত  কায়েম করে আবার পাদও দেয়। তার পবিত্র কিংবা অপবিত্র আয়াতের সাক্ষী আমি। সাক্ষী নিরপেক্ষ হলে চলার পথে থাকে একরঙা শৈশব। শৈশবের সুন্দর আচরন কেউ না নিতে পারে। সবাই কেমন যেন বৃদ্ধ হতে চায়-- চুপচাপ টুপটাপ।

ফিরোজাবাদ ভারতীয় চুড়ির বেহতার আস্তানা। চুড়ির কাজ শুধু আওয়াজ তুলা নয় মাংসের হাতিরে, চুড়ি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে থাকে-- অনেক রোগ নিয়ে আজ তারা পথিক