সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

আফা

পেছনের বেঞ্চে বসি। ইদানিং পেছনের বেঞ্চও দখল হয়ে যায়। বিজ্ঞানী আবুল কালাম আজাদের প্রতি রাগ হইলো। সে যখন থেইক্কা কইলো মেধাবীদের পাওয়া যাবে পেছনের বেঞ্চে তখন থেইক্কা পেছনের বেঞ্চে বইসা মেধাবী সাজবার হিড়িক লাইগগা গেছে।

মজার ব্যাপার হইলো মেধাবীরা ইন্দুর-বিড়াল প্রতিযোগিতা এ্যাভুয়েড কইরা পেছনের বেঞ্চে বইতো, আর বর্তমানের তারা মেধাবী সাজবার লাইগগা ইন্দুর- বিড়াল প্রতিযোগিতাকে সামনে রাইহা পেছনের বেঞ্চে বসা নিয়া রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু করে।

তাইলে আমি কই বমু?

 ইচ্ছা হইতেছিল ক্লাস থেইক্কা বার হইয়া যাইতে, আতকা মুখোশপরা এক সহপাঠীর পাশে বসার মতো একটি জায়গা খুঁজে পাইলাম। সহপাঠী তো বসে আছে তার পাশে তার থলেটিও বসা।

থলে বসার জায়গা থাকে কিন্তু ছাত্র বসার জায়গা আমার সহপাঠীরা কাছে নেই ....

আফা, একটু যদি জায়গা দেন আমি বইতে পারুম, আফা দিবেন?

আফা কাচুমাচু করতে লাগছে। তারপরও আফার দয়া অইলো, আমারে বইতো দিলেন, দয়াময়ী আফা ....

আফা কিন্তু তার ব্যাগটি আমাদের মাইদদে রাইহা দিলেন, তৈরি হইলো ব্যাগদেয়াল।

আফা কেন ব্যাগদেয়াল বানাইলেন? আমার গতর আফার আতরমাখা গতরের লগে লাগলে আফার গতরখানা অপবিত্র হইয়া যাইবো?

আইচ্ছা, পবিত্র যদি অন্য কিছুর স্পর্শে অপবিত্র হইয়া যায় তাইলে কে বেশি শক্তিশালী পবিত্র , না অন্য কিছু....?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন