শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫,১৯৭৫)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তিনি নাকি পেয়েছেন চোরের খনি।
কারনে অকারনে চোরি করা বাংলাদেশের অভ্যাসে সুঅভ্যাস। ফলে এখানে একটি শ্রেনি নামমাত্র পরিশ্রমে কোটি কোটি টাকার মালিক, আরেকটি শ্রেনি রাত দিন পরিশ্রম করে কিন্তু বৃষ্টির জল টিনের ফোটা দিয়ে খাবারের পাত্রে জায়গা করে নেয়, গান্দা হয়ে যায় রান্না করা তরকারি-- না খেয়েই কাজে নামে সোনার মানুষ ফলায় সোনার ফসল, এইভাবে উপোস থাকা চর্চা করে শ্রমজীবী।
শ্রমজীবী যুগে যুগে বঞ্চিত। ইংরেজ সরকার আমলে মনিরা বঞ্চিত। পাকিস্তান শাষনামলে কামলারা বঞ্চিত। কামলারা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড অর্জন করে। অর্জিত ভূখন্ডেও মনিদের রক্ত চুষে খায় মনিব। মনিদের জন্যই যত আইন, সাবদের জন্য কোনো আইন নেই। আইন থাকলেও কী, টাকা আছে না, সব হালাস!
আমার কথাগুলো বক্তৃতার মতো শুনাচ্ছে, তাই না?
সত্য কথা বক্তৃতার মতোই শুনায় তবে হাততালির মতো জনপ্রিয়তা আশা করে না, আর মিথ্যা কথা দেখতে ডালিম ফুলের মতো কাম কম আকর্ষন বেশি।
এই যে চোর শ্রেনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তাতে কিন্তু পুঁজিবাজার তার আদর্শ হারিয়েছে। কারন পুঁজিবাজার শেকড় ও শিখরের মধ্যে একটি আন্তরিক মধ্যবর্তী সত্তা। কিন্তু চোর শ্রেনির মধ্যে আন্তরিকতা শব্দটি নেই -- সহজলভ্য প্রাপ্তি মানুষের আবেগের, বিবেকের কোমলতম জায়গাটি স্পর্শ করতে পারে না। ফলে ভাসমান অর্থনীতি আস্ফালন করে দিনরাত।
এই ভাসমান অর্থনীতি আবার মানুষকে বিভিন্ন ধরনের কেরেকটার সার্টিফিকেট দেয়। যেমন আপনার প্রচুর টাকা আছে,আপনার নেতা হতে কোনো বাধা নেই। টাকা নেই তো আপনি ভালো মানের চ্যালাও হতে পারবেন না। কারন চ্যালা হতে গেলেও নেতা ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি, ভাইয়ের বউয়ে জন্য শাড়ি, বাচ্চাদের জন্য খেলার সামগ্রী কিনতেই হবে। নতুবা আপনি ধইঞ্চা।
আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন শ্রমজীবী মানুষের পোলারা। আর এখন শ্রমজীবীর পোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে (নাউযুবিল্লাহ)! শিক্ষক যাকে করা হবে আগে থেকেই তার মেধার মূল্যায়ন হতে থাকে গ্রাম শহর ব্যাংক ব্যালেন্স প্রভৃতি সনাক্তকরন আইকভারকে সামনে রেখে।
আবার নিয়োগের আগে কোনো কোনো দেবতা চান বেহুলার নাচ, কোনো দেবী চান পূজা, অনেকে বেহুলার নাচ ও চান্দোর পূজা একসঙ্গে চায়। পূজা আর নৃত্যের রহমতে তারা যখন নিয়োগ প্রসাদ লাভ করে -- তাদের চাহিদা বলয়ও এইভাবেই তৈরি হতে থাকে।
তাই নবীন রাজনীতিবিদদের মাথা সারাদিন ঘুরতে থাকে বড় ভাইয়ের আগাপাছাকে ধরে, আর শিক্ষকের মাথা ঘোরাঘুরি করে দেবী লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে কেন্দ্রবিন্দু করে। বিপাকে থাকে গ্রাম থেকে আসা শ্রমজীবীর পোলা। আর বিসিএস ক্যাডাররা তো ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করতে করতে সময় চলে যায়। কারন ক্যাডারদের উপরেও স্যার আছে, স্যারদের উপরের আছে মন্ত্রী, মন্ত্রী এমপিদের উপরে আছে বঙ্গবন্ধুর সেই বানী -- সবাই পায় সোনার খনি/আমি পেয়েছি চোরের খনি
কারনে অকারনে চোরি করা বাংলাদেশের অভ্যাসে সুঅভ্যাস। ফলে এখানে একটি শ্রেনি নামমাত্র পরিশ্রমে কোটি কোটি টাকার মালিক, আরেকটি শ্রেনি রাত দিন পরিশ্রম করে কিন্তু বৃষ্টির জল টিনের ফোটা দিয়ে খাবারের পাত্রে জায়গা করে নেয়, গান্দা হয়ে যায় রান্না করা তরকারি-- না খেয়েই কাজে নামে সোনার মানুষ ফলায় সোনার ফসল, এইভাবে উপোস থাকা চর্চা করে শ্রমজীবী।
শ্রমজীবী যুগে যুগে বঞ্চিত। ইংরেজ সরকার আমলে মনিরা বঞ্চিত। পাকিস্তান শাষনামলে কামলারা বঞ্চিত। কামলারা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড অর্জন করে। অর্জিত ভূখন্ডেও মনিদের রক্ত চুষে খায় মনিব। মনিদের জন্যই যত আইন, সাবদের জন্য কোনো আইন নেই। আইন থাকলেও কী, টাকা আছে না, সব হালাস!
আমার কথাগুলো বক্তৃতার মতো শুনাচ্ছে, তাই না?
সত্য কথা বক্তৃতার মতোই শুনায় তবে হাততালির মতো জনপ্রিয়তা আশা করে না, আর মিথ্যা কথা দেখতে ডালিম ফুলের মতো কাম কম আকর্ষন বেশি।
এই যে চোর শ্রেনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তাতে কিন্তু পুঁজিবাজার তার আদর্শ হারিয়েছে। কারন পুঁজিবাজার শেকড় ও শিখরের মধ্যে একটি আন্তরিক মধ্যবর্তী সত্তা। কিন্তু চোর শ্রেনির মধ্যে আন্তরিকতা শব্দটি নেই -- সহজলভ্য প্রাপ্তি মানুষের আবেগের, বিবেকের কোমলতম জায়গাটি স্পর্শ করতে পারে না। ফলে ভাসমান অর্থনীতি আস্ফালন করে দিনরাত।
এই ভাসমান অর্থনীতি আবার মানুষকে বিভিন্ন ধরনের কেরেকটার সার্টিফিকেট দেয়। যেমন আপনার প্রচুর টাকা আছে,আপনার নেতা হতে কোনো বাধা নেই। টাকা নেই তো আপনি ভালো মানের চ্যালাও হতে পারবেন না। কারন চ্যালা হতে গেলেও নেতা ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি, ভাইয়ের বউয়ে জন্য শাড়ি, বাচ্চাদের জন্য খেলার সামগ্রী কিনতেই হবে। নতুবা আপনি ধইঞ্চা।
আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন শ্রমজীবী মানুষের পোলারা। আর এখন শ্রমজীবীর পোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে (নাউযুবিল্লাহ)! শিক্ষক যাকে করা হবে আগে থেকেই তার মেধার মূল্যায়ন হতে থাকে গ্রাম শহর ব্যাংক ব্যালেন্স প্রভৃতি সনাক্তকরন আইকভারকে সামনে রেখে।
আবার নিয়োগের আগে কোনো কোনো দেবতা চান বেহুলার নাচ, কোনো দেবী চান পূজা, অনেকে বেহুলার নাচ ও চান্দোর পূজা একসঙ্গে চায়। পূজা আর নৃত্যের রহমতে তারা যখন নিয়োগ প্রসাদ লাভ করে -- তাদের চাহিদা বলয়ও এইভাবেই তৈরি হতে থাকে।
তাই নবীন রাজনীতিবিদদের মাথা সারাদিন ঘুরতে থাকে বড় ভাইয়ের আগাপাছাকে ধরে, আর শিক্ষকের মাথা ঘোরাঘুরি করে দেবী লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে কেন্দ্রবিন্দু করে। বিপাকে থাকে গ্রাম থেকে আসা শ্রমজীবীর পোলা। আর বিসিএস ক্যাডাররা তো ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করতে করতে সময় চলে যায়। কারন ক্যাডারদের উপরেও স্যার আছে, স্যারদের উপরের আছে মন্ত্রী, মন্ত্রী এমপিদের উপরে আছে বঙ্গবন্ধুর সেই বানী -- সবাই পায় সোনার খনি/আমি পেয়েছি চোরের খনি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন