একদিন জীবনানন্দ দাশ কইলেন পৃথিবীর নাকি গভীর অসুখ। কথাটা শুনে অনেকক্ষণ আমার মন বিষন্ন ছিল। ইন্টারমিডিয়েটে যখন কাজল স্যারের অর্থনীতির ক্লাস করতাম তখন তিনি আমাদের বিশ্বাস করাতে বাধ্য করতেন বাংলাদেশের চেয়ে গরীব রাষ্ট্র আর হতে পারে না-- কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। স্যারের ক্লাস করার পর আমার আর কোনো ক্লাস করার ইচ্ছা থাকতো না। সাইকেলের তালা খুলে সোজা বাড়ি চলে যেতাম। বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে এক ঘুম। ঘুম থেকে ওঠে সান্ধ্যকালীন হাওয়া মাথায় ঢুকার পর স্যারের ক্লাস নির্দ্বিধায় ভুলে যেতাম।
কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশ অনেক ধনী রাষ্ট্র। ডেসটিনি হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়-- বাংলাদেশের মানুষের কিচ্ছু হয় না।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিও হাজার কোটি টাকার হিসাব-- তাও বাংলাদেশের মানুষের এক কেজি ইলিশ চার হাজার টাকা দিয়ে খেতে সমস্যা হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে যায় -- তাও বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেকটা সদ্গায়ে জারিয়া।
প্রাইমারি স্কুল পাস করা একজন ছেলের কাছেও এখন উন্নত মানের এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট যার নূন্যতম মূল্য দশ হাজার টাকা, এই সেটের তেল খরচ বাবদ ছেলেটিকে গুনতে হয় প্রতিমাসে নূন্যতম এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশে নাকি ইয়াবা, ফেনসিডিলের আরত বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে জমে উঠেছে, গ্রাম এলাকায়ও এই ব্যবসা বেশ স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে -- এই নেশাকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি নেশাবান যুবককে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকার একটি চেক হাজির রাখতে হয়। একমাত্র ঢাকা শহরে মিনিমাম পনেরো হাজার পরিবার আছে যারা ডিনার বাবদ প্রতি রাতে মিনিমাম পনেরো হাজার টাকা খরচ করে। আর ইদ যখন আসে বিশেষ করে কোরবানির ইদকে সামনে রেখে বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকার ব্যয় খরচ বেড়ে যায়। তারপরও কিন্তু বাংলাদেশ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র চুক্তি সম্পাদন করে।
ও আরেকটি কথা -- জনাব মিডিয়ার অবদানে যে সকল নতুন নতুন উৎসব আমদানি হইছে তাতেও কিন্তু ভালো একটি লেনদেনের হিসাব আছে। প্রেমিকের মানিব্যাগ এখন বেশ স্বাস্থ্যবান হতে হয় নতুবা সম্পর্ক গেচাং।
কেন, কেন?
আরে ভাই উৎসবের আগের রাতে হাজার টাকার একটি শাড়ি কিনে দিতে হয়, উৎসবের সকাল থেকে তাকে নিয়ে এখানে যাও-সেখানে যাও, সমস্ত তেল খরচ কিন্তু ছেলেটির। আবার Happy birth day to you নামকও কিন্তু একটি অর্থনৈতিক খাত আছে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার একটি মনিহারি খরচ মাথায় রাখতে হয় বাংলাদেশকে।
গান- কনসার্ট, মিলাদ মাহফিল,পূজা অর্চনা, ওয়াজ মাহফিল বাবদ যে টাকা খরচ হয় তার হিসাব না হয় অন্য কেউ করবে।
কাজল স্যার, আপনার হিসাবে একটু ভুল ছিল-- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশ স্বাবলম্বী। এখানে একজন রিক্সাচালকও মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করে। তারপরও আপনি শাহ আবদুল করীমের মতো বলতেই পারেন আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। আমিও বলতে পারি সাপ যখন রাগান্বিত হয়ে ফনা তুলে তখন সে সামনে দেখে না, পেছনে দেখে। পেছনদেখা অভ্যাসটাও থাকা প্রয়োজন। হুমায়ূন আজাদ অবশ্যই সামনে দেখেন। তাইতো তিনি কইছিন সব কিছু নাকি নষ্টদের অধিকারে যাবে, তিনি আবার হাতির মতো পেছনে দেখেন না, দেখলেই অবশ্যই চর্যা গীতিকারদের কথাও তিনি মাথায় রাখতেন যারা বলেছিল আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা / তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা
কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশ অনেক ধনী রাষ্ট্র। ডেসটিনি হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়-- বাংলাদেশের মানুষের কিচ্ছু হয় না।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিও হাজার কোটি টাকার হিসাব-- তাও বাংলাদেশের মানুষের এক কেজি ইলিশ চার হাজার টাকা দিয়ে খেতে সমস্যা হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে যায় -- তাও বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেকটা সদ্গায়ে জারিয়া।
প্রাইমারি স্কুল পাস করা একজন ছেলের কাছেও এখন উন্নত মানের এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট যার নূন্যতম মূল্য দশ হাজার টাকা, এই সেটের তেল খরচ বাবদ ছেলেটিকে গুনতে হয় প্রতিমাসে নূন্যতম এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশে নাকি ইয়াবা, ফেনসিডিলের আরত বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে জমে উঠেছে, গ্রাম এলাকায়ও এই ব্যবসা বেশ স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে -- এই নেশাকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি নেশাবান যুবককে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকার একটি চেক হাজির রাখতে হয়। একমাত্র ঢাকা শহরে মিনিমাম পনেরো হাজার পরিবার আছে যারা ডিনার বাবদ প্রতি রাতে মিনিমাম পনেরো হাজার টাকা খরচ করে। আর ইদ যখন আসে বিশেষ করে কোরবানির ইদকে সামনে রেখে বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকার ব্যয় খরচ বেড়ে যায়। তারপরও কিন্তু বাংলাদেশ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র চুক্তি সম্পাদন করে।
ও আরেকটি কথা -- জনাব মিডিয়ার অবদানে যে সকল নতুন নতুন উৎসব আমদানি হইছে তাতেও কিন্তু ভালো একটি লেনদেনের হিসাব আছে। প্রেমিকের মানিব্যাগ এখন বেশ স্বাস্থ্যবান হতে হয় নতুবা সম্পর্ক গেচাং।
কেন, কেন?
আরে ভাই উৎসবের আগের রাতে হাজার টাকার একটি শাড়ি কিনে দিতে হয়, উৎসবের সকাল থেকে তাকে নিয়ে এখানে যাও-সেখানে যাও, সমস্ত তেল খরচ কিন্তু ছেলেটির। আবার Happy birth day to you নামকও কিন্তু একটি অর্থনৈতিক খাত আছে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার একটি মনিহারি খরচ মাথায় রাখতে হয় বাংলাদেশকে।
গান- কনসার্ট, মিলাদ মাহফিল,পূজা অর্চনা, ওয়াজ মাহফিল বাবদ যে টাকা খরচ হয় তার হিসাব না হয় অন্য কেউ করবে।
কাজল স্যার, আপনার হিসাবে একটু ভুল ছিল-- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশ স্বাবলম্বী। এখানে একজন রিক্সাচালকও মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করে। তারপরও আপনি শাহ আবদুল করীমের মতো বলতেই পারেন আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। আমিও বলতে পারি সাপ যখন রাগান্বিত হয়ে ফনা তুলে তখন সে সামনে দেখে না, পেছনে দেখে। পেছনদেখা অভ্যাসটাও থাকা প্রয়োজন। হুমায়ূন আজাদ অবশ্যই সামনে দেখেন। তাইতো তিনি কইছিন সব কিছু নাকি নষ্টদের অধিকারে যাবে, তিনি আবার হাতির মতো পেছনে দেখেন না, দেখলেই অবশ্যই চর্যা গীতিকারদের কথাও তিনি মাথায় রাখতেন যারা বলেছিল আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা / তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন