শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

ধন্যা

তিনি সারাদিন দুইয়ের,চারের নামতার উপর বিশেষ  গবেষণা চালান। গবেষণা করতে করতে একসময় তিনি নামতাজীবী হলেন। পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। তাই সরকার নামতাজীবীর পরিশ্রমের  সম্মানস্বরূপ বিশেষ স্বীকৃতি দেন। এ স্বীকৃতি আমাদের সমাজে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। নামতাজীবী বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পর অনেকটা বাংলা সিনেমার নায়ক হয়ে যান-- রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দশজোড়া-বিশজোড়া মাইয়াচোখ তার দিকে তাকাইয়া থাকে। গ্রামের মোড়ল আদর কইড়্যা চায়ের দোকানে এক কাপ চা খাওয়ায়,আর কই

বাপধন আমার,ঘরে কি নতুন একটা ধন্যা কিন্না  আনবা না?

নামতাজীবী তখন লজ্জায় মরি মরি, কয়েক দিনের মধ্যেই নামতাজীবী ঘরটা নতুন  কইরা সাজায় , ঘরে নতুন আসবাব কিনে আনে, কিনে আনে আসবাবের উপরে গন্ধহীন ফুল।

নামতাজীবী তখন আগের চেয়ে দামী দামী কাপড় কিনে,কাপড়ে বিদেশি পারফিউম মাহে,  সকল প্রস্তুতি শেষ করে নামতাজীবী ধন্যার বাজারে যায়। ধন্যার বাজার থেইক্কা একসময় একটা প্রিস্টিজিয়াস ধন্যা কিন্না আনে।

ধন্যা ত ঘরে থাকার বস্তু বাইরে যাইবে ক্যান?

ধন্যা যদি বাইরে যায় নামতাজীবীর সমস্ত কুকর্ম যে দেইখ্যা ফেলাইব,  বুইঝা লাইব প্রতারনার খতিয়ান, বুইঝা লাইব প্রতারনার চূড়ান্ত হিসাব।

তাই ধন্যা কিন্না  আনার কয়েক দিনের মধ্যেই ধন্যার ভেতর থেইক্কা বাইর কইরা আনতে চায় আরেকটা ধন্যা।

তাতে নামাতাজীবীর ফায়দা কী?

ফায়দা আছে মিয়া ভাই, ফায়দা আছে ....

তহন ধন্যা ধন্যা ব্যস্ত  হইয়া যাইব আর নামতাজীবী ব্যস্ত  হইয়া থাকব বাইজিদের কামলীলায়।

বাইজিরা নৃত্য করব,মদ খাওয়াইব আর কইব

আমরা তোমারে চায়

 ধন্যা তখন ধন্যার কান্দন থামানোর কাজে ব্যস্ত হইয়া পড়ব। নামতাজীবী মাইদ্যে মাইদ্যে বাড়িতে যাইব, আসবাব আর ধন্যার লগে একটু সময় কাটাইব। নামতাজীবীর হিসাব বড়ই কড়া--

দশ এক এ দশ
 দশ দু গুনে বিশ
ঘরের বউ ঘরে থাকলে শান্তি অহর্নিশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন