বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

লখা ও চণ্ডী ঝগড়া লাগে। তাও খাবার নিয়া। কুবের নির্লিপ্ত। তাদের ঝগড়া সমাধান করতে আসে না। কারন কুবের মনে করে কাড়াকাড়ি করে জীবনে নিজের অবস্থান সক্রিয় রাখতে হয়।

গণেশ চায় সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কুবেরও চায়। কিন্তু কুবের খুব করে চায় তার সন্তান যেন সমস্যা সমাধানের চর্চার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে।

কুবের মনে করে একদিনের সমস্যা সমাধান করে দিলাম মানে এক বেলার খাবারের জন্য একটি মাছ দিলাম, আর সমস্যা সমাধানের জন্য যদি তারা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারে তাহলে তারা বড়শি পেয়ে গেলো।

আমাদের কুবের নেই বললেই চলে। গণেশদের সংখ্যাই বেশি যাদের হৃদয়ে হুজুগে দয়া, ভালোবাসার ঘাটতি নেই। ফলে দেখা যায় অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর সন্তান পড়ে কঠিন বিপাকে। কারন উত্তর দক্ষিন  কিচ্ছু চিনে না। আর যতটুকু চিনে তাও অভিভাবকের চোখ দিয়ে চেনা বা মুখ থেকে শুনা। নিজের মুখ ও চোখ আবিষ্কার করতে পারে না। তখন সন্তান আবিষ্কারের তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে আর অনেকেই তখন খ্যাতিমান আবিষ্কারক। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন