রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

আজও

মানুষের দুটি কান, দুটি চোখ, একটি মুখ। না, আমি গরুর রচনা লিখতে বসি নাই। গরুর রচনার মতো একটি হিসাব করতেই চাই। হিসাবটা অবশ্যই প্রাকৃতিক। দুটি কান এবং দুটি চোখের কাজ গ্রহণ করা, একটি মুখের কাজ প্রকাশ করা। গ্রহণ করার কাজটি মানুষের, ব্যক্ত করার কাজটি ব্যক্তির। কিন্তু চোখের এবং কানের কাজটি মানুষ কিংবা ব্যক্তি মুখ দিয়েই করে থাকে। মুখের কাজ তখন থাকে কথার সাথে ফেনা অথবা থুথু বের করা। ফলে প্রচুর আজাইরা কথার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন।

কথা প্রসঙ্গে একদিন এক হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার পীরের ( গুরু) নাম কী?

হুজুর উত্তর দিলেন--
পীরে কামেল, পীরে তাহাজ্জুদ হযরত মাওলানা শাহ সূফী .... (নাম)  ....

নামের আগে ও পরে বিশেষণের অভাব নেই।

আমি তখন তাকে  বললাম ভাই সব বিশেষণের মানে বুঝলাম কিন্তু পীরের তাহাজ্জুদ মানে কী?

হুজুর তখন আমাকে বললেন, আরে ভাই পীরে তাহাজ্জুদ মানে আমার পীর কেবলা  নিয়মিত তাহাজ্জত  নামায পড়েন

আমি তখন তাকে বললাম  আপনার পীর কেবলা তো না ঘুমিয়ে থাকেন না হয়তো?

হুজুর বললেন না ঘুমিয়ে থাকবেন কেন (জ্ঞানীর সারা রাত ঘুম আর মূর্খের সারারাত ইবাদত সমান সমান)?

তাহলে 'পীরে ঘুম' আপনার পীর কেবলার নামের আগে সংযুক্ত করে ফেলেন  যেহেতু ঘুমও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং তা আপনার পীর কেবলা নিয়মিতই করে  ....

তারপর হুজুরও চুপ আমিও চুপ -- তখনই আমাদের কান এবং চোখ সততার সাথে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে লাগলো 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন