শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬

!....

সমস্যা একমাত্র হতে পারে, সমাধানের পথ বহুবিধ 

ম......

রুমের বারান্দায় বসে আছি। লাইট অফ। আলো বলতে মোবাইল মনিটরের আলোটুকু। অন্ধকারের গতর বেয়ে টিক টিক দক্ষিনা বাতাস আমার কালো কালো মাজা মাজা শরীরখানার সাথে গড়ে তুলেছে আত্মীয়তা।

অন্ধকারে বাতাস যত স্বাধীন, আলোতে ততটা না। অন্ধকারের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড সম্পর্ক। জনাব অন্ধকার গভীর জলের মাছ। আমি ভাসমান ফানুস। তারপরও প্রিয়তম অন্ধকার আমার দিকেই ছুটে আসে, আমি তাকে এড়াতে পারি না কোনোমতে। সরল আকুতির কাছে শক্ত পাথরও তো অনেকটা বরফ গলা নদী, আর আমি তো মাংসগড়া হৃদয়।

আমার বারান্দার আকাশে অনেক অনেক বাতাস, বাতাসকে পালকি করে উড়ে যাচ্ছে সাদা রঙ্গের মেঘবউ। মেঘবউ বাসর করে আকাশে আকাশে। মেঘবউ মারা গেলে নেমে আসে পৃথিবীতে, পৃথিবী তাদের নিরাপদ কবর, নিরাপদ নিয়তি।

এখুনি ঘুমিয়ে যাবো, বাতাস আসতে থাকবে, সফেদ মেঘবউ চলে যাবে অন্য কোনো মহাদেশে। ঘুমিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমার স্বপ্নের পৃথিবীর দেখা পাবো যেখানে এই পৃথিবীর মতো চাঁদ, সূর্য, আলো, বাতাস, সিংহাসন সবই আছে -- মাঝে মাঝে সাপ কুকুরও কামড় দিতে আসে। 

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬

ঘুমের মামার বাড়ি মৃত্যু

প্রতি রাতে ঘুম আমার মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়

ঘুম ফিরে আসে নিজ বাড়ি, দেহ পায় জীবন 

দ.....

আইস যখন ক্রিম হতে চায় তখন আইস এবং ক্রিমের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক থাকতে হয়। সম্পর্ক অবশ্যই দুইমুখী হওয়া চায়। একমুখী সম্পর্ক কখনোই সম্পর্ক না। দুইমুখ যখন একদিকে আসে সম্পর্কে তখনই বোঝাপড়া বিষয়টি দেখা দেই।

বোঝাপড়া যখন চমৎকার থাকে তখন সম্পর্কের স্রোত গতিময় হতে বাধ্য। বোঝাপড়ায় ঝামেলা থাকলে বিল্ডিং যতই রমরমা কিংবা উঁচুতে থাকুক না কেন বিল্ডিং সামান্য ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়তে বাধ্য।

রেদওয়ান রনির আইসক্রিম মুভিটি সাম্প্রতিক রিলেশন অর্ফে প্রেমের  সম্পর্কের একটি দিক তুলে ধরেছে। মুভিতে ফাইটিং দৃশ্য নেই, তেমন নাচ গানের নৃত্যময় হলুদ নীল রুমও নেই কিন্তু যা আছে তাহলো জীবন।

দৃশ্য চলছে, ঘটনা কাহিনিময় হয়ে ওঠছে, দর্শক হৃদয়ে ফাইটিং চলছে, চলছে নীল আর লাল বেদনার দোকানদারি যার ক্রেতা বিক্রেতা দর্শক নিজেই, রেদওয়ান রনি এখানে একজন আয়োজক মাত্র।

প্রত্যেক কিছু তার নিজ নিজ কক্ষপথে ব্যস্ত। মিথ্যাচারেরও কক্ষপথ আছে যা সুন্দর সম্পর্কের একদম বিপরীতে অবস্থান করে। মিথ্যা কখনো ছোট বড় হতে পারে না, মিথ্যা ইস মিথ্যা। একটি মিথ্যা কেমন করে একটি সুন্দর সম্পর্ককে মিথ্যা বানাতে পারে আইসক্রিম বইটি তা আমাদের কাছে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করেছে।

বই বললাম কেন?

কারন তা বইয়ের মতো জীবনের মানে শিক্ষা দেয়, অবশ্যই স্বর-ব্যঞ্জনবর্ন শেখানো শিক্ষকের মতো না, প্রকৃতির মতো জীবনবোধের শিক্ষক। 

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

লখা ও চণ্ডী ঝগড়া লাগে। তাও খাবার নিয়া। কুবের নির্লিপ্ত। তাদের ঝগড়া সমাধান করতে আসে না। কারন কুবের মনে করে কাড়াকাড়ি করে জীবনে নিজের অবস্থান সক্রিয় রাখতে হয়।

গণেশ চায় সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কুবেরও চায়। কিন্তু কুবের খুব করে চায় তার সন্তান যেন সমস্যা সমাধানের চর্চার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে।

কুবের মনে করে একদিনের সমস্যা সমাধান করে দিলাম মানে এক বেলার খাবারের জন্য একটি মাছ দিলাম, আর সমস্যা সমাধানের জন্য যদি তারা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারে তাহলে তারা বড়শি পেয়ে গেলো।

আমাদের কুবের নেই বললেই চলে। গণেশদের সংখ্যাই বেশি যাদের হৃদয়ে হুজুগে দয়া, ভালোবাসার ঘাটতি নেই। ফলে দেখা যায় অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর সন্তান পড়ে কঠিন বিপাকে। কারন উত্তর দক্ষিন  কিচ্ছু চিনে না। আর যতটুকু চিনে তাও অভিভাবকের চোখ দিয়ে চেনা বা মুখ থেকে শুনা। নিজের মুখ ও চোখ আবিষ্কার করতে পারে না। তখন সন্তান আবিষ্কারের তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে আর অনেকেই তখন খ্যাতিমান আবিষ্কারক। 

বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

স .....

তার চোখ ফিগার মাপে
তার আঙ্গুল ট্রিগারে রাখে 

স্ব

যারা স্বপ্ন দেখতে জানে তারা দুঃস্বপ্নকে হত্যা করে না। কারন যে ফুল থেকে বিষ পাওয়া যায় সেই ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করা হয়। আকর এক, আকর থেকে আস্বাদনবোধ, আস্বাদন উপাদান ভিন্ন। 

স!

সব কিছু বদলে যায়-- দৃশ্যপট পাল্টায়-- সবুজ পাতা হলুদ শাড়ি পড়ে-- অলস বেড়াল সময়ের হিসাবরক্ষক-- কৃষ্ণচূড়া লালে লাল সবুজ পাতায়-- অম্বরের নিচে বিশাল আকাশ-- সব কিছু লালে লাল-- অনেক কিছু বদলায় -- শোকের চিহ্ন জমা থাকে হৃদয়ের কোনায়-- হৃদয় এক অনাবাদি জমি চাষে চাষে বদলায়-- অনেক কিছু গতি হারায়-- সব কিছু বদলায়-- হৃদয়ের রানী প্রজার মতো বেতনধারী আনন্দ চায় -- নিজের মতো করে যুক্তি সাজায়-- মরুময় মাঠে জলের প্লাবন বন্যার মতো দেখায়-- দেখানো কাকা বাবু অদেখা ডাকাত-- তারা বদলে যায়-- সত্যকে বদলের মতো দেখায় 

সেও

প্রিন্সেপ ঘাটের মাঝি কাহা যখন উচ্ছ্বাল হাসি দিয়া মাতিয়ে রাহে অন্ধকারমাখা জলের মুখ,হুগলি নদী তখন আনন্দে আটখানা, বিদ্যাসাগর সেতু তার খুলে দেয় আনত দুটি চোখ-- তখন তুমি জলের মতো খুঁজে পাও অনুকরনপ্রিয় সুখ-- নৌকো এক এক করে নদীর ভেতর যায়, নদী যায় জলের ভেতর-- নন্দিনী কী জানে তাহার দায় কোথায়-- মিমির মতো ষোলো আনা তোমার চাই-ই চাই-- বৈঠার ছলাৎছলাৎ-- কালো চুলের উদাস মাঠে বয়ে চলে বাতাসের অন্তিম নাগর-- ও নাগর, বাতাসকে রেখে তুমি কোথায় যাও -- প্রিন্সেপ ঘাটও মেঘনা নদীর লাহান পৃথিবীর মায়ায় পড়েছে-- করে চলেছে তারা চাতক অনশন-- একবার দেখা হবে মেঘনা আর প্রিন্সেপ ঘাটের খুব ভোরে-- রাত ততদিনই তাহে যতদিন সূর্য তাহে অভিমানের ঘরে 

!

আহারে চিল, সুনা রঙের চিল এ বিজা মেগের দুফুরে
তুই আর কান্দিস না তো উইরা উইরা ধানসিঁড়ি নদীডার লগে
তর কান্দন হুনে বেতের ফলের লাহান তাইর মলিন মুক মনে আহে
তামান রানি গো লাহান তাইযে চইল্যা গ্যাছে ডক লইয়া দুরে
আরেকবার তাইরে ক্যান ডাইককা আনো? কেডা চায় হাল কাইটটা কুমির আনতে!
আহারে চিল, সুনা রঙের চিল এ বিজা মেগের দুফুরে
তুই আর উইরা উইরা কান্দিস না তো ধানসিঁড়ি নদীডার লগে  

জ.

দয়াল আমাকে দেখার সুযোগ দিয়েছেন
দেখানোর সুযোগ দেন নাই আর
তাই দেখে যাই বোবা কোনো মিমির মতো চুপচাপ
অপার হৃদয়ের কাছে থেকেও আমি হৃদয়হীনা শোকে হতাহত
সন্ধ্যায় সময় নেমে আসে, সন্ধ্যায় ক্লান্তি নেমে আসে
হাজার বছরের ক্লান্তি গো আমার তোমার দেহ কভু কালিমা লাগে না
দূরে গেলেও কাছে থেকে যাও-- কাছ থেকে আরও কাছে
মহাজাগতিক ছারপোকা পিছু ছাড়ে না আমার
পাতানো ম্যাচের মতো জেগে ওঠি বারবার -- ছক্কা মারি, চিৎকার করি, পাতানো কান্নায় মরি মরি  

সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

"

তোর আকাশে ইচ্ছে মতো বৃষ্টি নামে রোজ
আমার আকাশে ঘাম ঝরে জ্বালাময়ী রোদ
ভোরের ফুলে
সকাল খুলে
অসুর শুনায় সময় করে শান্তিবাদী সুর 

✔✔

আবুল বাশার নামে আমাদের একজন কাহা ছিলেন। এলাকার কাহা। তাকে চোখে দেখিনি। তার অনেক গল্প শুনেছি। খুবই ভালো মানুষ ও স্পষ্টভাষী। পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তেন, কারো কাঁচা লাইলে ভুল করেও পা দিতেন না। ইদগার পাশেই তার বাড়ি। ইদ্গা ছিল আমাদের খেলার প্রিয়তম মাঠ।

বিছানায় শুয়ে শুয়ে সারাদিন খেলার কথা ভাবতাম-- কোন বলটা কীভাবে খেলার দরকার ছিল অথচ কীভাবে খেলেছি, কোন শর্টটি খুবই চমৎকার ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

সকালে বিছানা থেকে ওঠে যে প্রিয়তমা মুখটি চোখের সামনে ভেসে ওঠতো সেটিই ইদ্গার মাঠ। রোদ কিন্তু এখানে ক্ষমতা দেখাতে আসতে পারতো না। কারন সুপ্রাচীন কড়ই গাছ ছিল ছায়া দেয়ার ভূমিকায়।

আমাদের ক্রিকেট বল যখন নুরু ভাইয়ের বাড়ি কাছে যেতো তখন আমরা ভয়ে আঁতকে ওঠতাম। নুরু ভাইয়ের বাড়ির পশ্চিম দক্ষিন কোনাটি ছিল আমাদের ভয়ের কারন। কারন এখানে আবুল বাশার কাহার লাশ পাওয়া যায়!

তার লাশটি অর্ধেক কাদার নিচে, অর্ধেক কাদার উপরে ছিল। লাশের গলায় অনেক আঁচড় পাওয়া যায়, শরীরের বিভিন্ন অংশে নখের হামছা ছিল। সবাই বিশ্বাস করে কাহার হত্যার জন্য দায়ী জ্বিন। এখনো সবাই জানে আবুল বাশার কাহাকে জ্বিনই  হত্যা করেছিল। তাই বাশার কাহার লাশ পাওয়া জায়গাটিকে আমরা জ্বিনের বিশেষ এলাকা মনে করতাম। তাই বিশেষ ভয়ের কারনও ছিল।

তখন কিন্তু জ্বিনভূত প্রায় মানুষ মেরে ফেলতো। তখন বলতে কিন্তু দশ পনেরো বছর আগের কথা। দেখা যেতো কোনো বিলে, কোনো নির্জন চরে, কোনো নদীতে মানুষের লাশ পড়ে আছে।

কে মেরেছে কে মেরেছে?

জ্বিনভূত মেরেছে। জ্বি ভূত আর যাইহোক বেয়াদবী পছন্দ করে না, হয়তো মৃত লোকটি জ্বিনভূতের সাথে বেয়াদবী করেছে। কিন্তু সমাজে তখন অনেক নামিদামী বেয়াদব ছিল,  জ্বিনভূত তাদের মারবে তো দূরের কথা  কোনো ভয়ও   দেখায়নি।

এখন জ্বিনভূত আর মানুষকে মারে না। জ্বিনভূত কী তাহলে পৃথিবী থেকে দূরে চলে গেলো, নাকি তারা ভদ্র সৌম্য আচরনে মানুষের সাথেই বসবাস করে! 

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

একটি চোখ দেখে না আরেকটি চোখকে
প্রান কখনো খুঁজে পাই না প্রিয়তম অক্সিজেনকে
কতটুকু কাছে এলে প্রিয়তম আমার দিনের মতো লুকাবো আমরা রাতের ঘরে 

সি সি

আল্লা ফেরেশতা বানাইলেন।ফেরেশতার ভালো কাজ ব্যতীত অন্য কোনো  প্রকার  কাজ করার ক্ষমতা নেই।

আল্লার সামনে শয়তান নিজের অবস্থান শক্তিশালী করে। শয়তানেরও খারাপ কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজ করার ক্ষমতা নেই।

আল্লা মানুষ বানাইলেন যারা সবকিছু করতে পারে-- ভালো কিংবা মন্দ অথবা মন্দ ভালো। তাইতো আদম-হাওয়া পরাধীন জীবন পছন্দ করে না,পছন্দ করে না সি সি ক্যামেরা। বেহেশতে সি সি ক্যামেরা আছে-- যাকে সবকিছু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে কী নিষেধ মানে! হাওয়া-আদম গভীর প্রেমে ব্যস্ত-- তার পাখনায় তার পালক,তার পালকে তার রক্তের স্পন্দন। সি সি ক্যামেরায় তাদের দেহজ প্রেমবাক্য রেকর্ড হয়। আল্লা তাদের ডাকলেন এবং স্বাধীন ভূমি পৃথীবিতে পাঠাইলেন।

আদম স্বাধীন মনে কান্দে কেউ তাকে সান্ত্বনা দিতে আসে না, হাওয়া চোখের জলে বুক ভাসায়-- কেউ টিসু প্যাপার নিয়ে হাজির হয় না।

পৃথিবী আদম একজন মানুষকেই চিনে -- হাওয়া,
হাওয়া একজন মানুষকেই চিনে-- আদম।

চেনা মানে তো চোখের ও মনের অভ্যাস। আদম- হাওয়া ততদিনে  দেহরমন আস্বাদন স্বাদ লাভ করিয়াছে--

অভ্যাসের অমৃত স্বাদ ছাড়িয়া তারা বনে বনে ঘুরে
পূজা পেলে আল্লাতালা দেয় মিলন  দুজনে

দুজন পৃথিবীময় জীবনযাপন করতে থাকে- যা মন চায় তাই করে কারনে অকারনে।এক এক করে তাদের জীবনে আসে অসংখ্য জীবন- হাত,মুখ,চোখ,বাম পাজর সমেত প্রাণী।

আজকের পৃথিবী আদম- হাওয়াময়। আজকের পৃথিবীতে আদম বানাইছে সিসি ক্যামেরা আদমকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য।

এইভাবে পৃথিবী ধীরে ধীরে জান্নাতের মতো দেখাবে  যেখানে সবকিছু সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করবে মালিকপক্ষ যারা থাকবে সমস্ত নিয়ন্ত্রনের বাইরে 

আসে

মুয়াজ্জিমের আযান শুনে জেগে ওঠে মুসলিম
আসসালাতু হাইরোম মিনান নাউ
চোখের পাতা খুলে বান্দা হাঁটছে মসজিদ টু মসজিদ
প্রাণে তার তখনো রাতের বাগান
অন্ধকারের ফুল ফোটে বারংবার
নাকে তার নিকষ কালো ঘ্রান
রাতের কাছে তারা একটি দিন চেয়েছিল
দিনের কাছে রাত-- একটু বদল
একটু বদল নাকি চোরকে  বানায় আউলিয়া
পিতাগনকে বলতে শুনেছি চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী
বুকপকেটে ধর্মের ছবি, প্রানে প্রানে ভন্ডামি 

শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬

চ.

বাঙালিদের কাছে চাঁদ দুইটা কাজই ভালো পারে-- টিপ দেয়া আর চুমু দেয়া 

ম...

তোমার অসম্ভব সুন্দর আচরনের নাম ঝগড়া
তোমার অসম্ভব সুন্দর প্রেমের নাম ঝগড়া
তোমার অসম্ভব সুন্দর বাগ্মীতার নাম ঝগড়া
তোমার অসম্ভব সুন্দর স্মৃতির নাম ঝগড়া
তোমার অসম্ভব সুন্দর নীরবতার নাম ঝগড়া
ঝগড়া তোমার অসম্ভব সুন্দর নাম ঝগড়া 

স.

এখন বিয়েতে মেয়েরা আর কাঁদতে পারে না। কারন কাঁদলেই মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। হাজার হাজার টাকা দিয়ে করা মেকআপ সামান্য চোখের জলে নষ্ট হয়ে যাবে! তা হতে পারে না। যদি মেকআপ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ভাড়া করে যে প্রফেশনাল ফটোকিলার আনা হয়েছে সেও তো বেকার চলে যাবে |। মায়ের জাতেরা আর যাই হোক অপচয় করতে পারে না ....

আসছে

অন্ধকার ঘরে শুয়ে শুয়ে
একলা পাখি থাকে গভীর ঘুমে
ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখে
আসছে সে আসছে।।

সে যে ছিল মনে মনে
চোখে মুখে ঠোঁটের কোনে
ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখে
আসছে সে আসছে।।

পুব আকাশে সূর্য ওঠে
জানালা বেয়ে রোদ আসে
চোখের কোনে জল হাসে
হাসছে জল হাসছে।। 

শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৬

একটি নদী ভরাট হয়ে গেলে একটি নৌকা জাদুঘরের অলঙ্কার 

কেউ কী জানে কোন নদী হারায় গতি অকালে? কোনো পাহাড় অহমিকায় ভেঙে পড়ে আজকাল? কোনো সাগর লেখার রক্তের মতো স্বাধীন?
প্রশ্নরা শিশুর মতো এক্টিভ, উত্তর শুধু অনুবাদ-- বিতিকিচ্ছির জীবন আমার চলছে ভালো চলছে তোমার 

রাক্ষস

শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫,১৯৭৫)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তিনি নাকি পেয়েছেন চোরের খনি।
কারনে অকারনে চোরি করা বাংলাদেশের অভ্যাসে সুঅভ্যাস। ফলে এখানে একটি শ্রেনি নামমাত্র পরিশ্রমে কোটি কোটি টাকার মালিক, আরেকটি শ্রেনি রাত দিন  পরিশ্রম করে কিন্তু বৃষ্টির জল  টিনের ফোটা দিয়ে খাবারের পাত্রে জায়গা করে নেয়, গান্দা হয়ে যায় রান্না করা তরকারি-- না খেয়েই কাজে নামে সোনার মানুষ ফলায় সোনার ফসল,   এইভাবে উপোস থাকা চর্চা করে শ্রমজীবী।

শ্রমজীবী যুগে যুগে বঞ্চিত। ইংরেজ সরকার আমলে মনিরা বঞ্চিত। পাকিস্তান শাষনামলে কামলারা বঞ্চিত। কামলারা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড অর্জন করে। অর্জিত ভূখন্ডেও মনিদের রক্ত চুষে খায় মনিব। মনিদের জন্যই যত আইন, সাবদের জন্য কোনো  আইন নেই। আইন থাকলেও কী, টাকা আছে না, সব হালাস!

আমার কথাগুলো বক্তৃতার  মতো শুনাচ্ছে, তাই না?

সত্য কথা বক্তৃতার মতোই শুনায় তবে হাততালির মতো জনপ্রিয়তা আশা করে না, আর মিথ্যা কথা দেখতে ডালিম ফুলের মতো কাম কম আকর্ষন বেশি।

এই যে চোর শ্রেনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তাতে কিন্তু পুঁজিবাজার তার আদর্শ হারিয়েছে। কারন পুঁজিবাজার শেকড় ও শিখরের মধ্যে একটি আন্তরিক মধ্যবর্তী সত্তা। কিন্তু চোর শ্রেনির মধ্যে আন্তরিকতা শব্দটি নেই -- সহজলভ্য প্রাপ্তি মানুষের আবেগের, বিবেকের কোমলতম জায়গাটি স্পর্শ করতে পারে না। ফলে ভাসমান অর্থনীতি আস্ফালন করে দিনরাত।

এই ভাসমান অর্থনীতি আবার মানুষকে বিভিন্ন ধরনের কেরেকটার সার্টিফিকেট দেয়। যেমন আপনার প্রচুর টাকা আছে,আপনার নেতা হতে কোনো বাধা নেই। টাকা নেই তো আপনি ভালো মানের চ্যালাও হতে পারবেন না। কারন চ্যালা হতে গেলেও নেতা ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি, ভাইয়ের বউয়ে জন্য শাড়ি, বাচ্চাদের জন্য খেলার সামগ্রী কিনতেই হবে। নতুবা আপনি ধইঞ্চা।

আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন শ্রমজীবী মানুষের পোলারা। আর এখন শ্রমজীবীর পোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে (নাউযুবিল্লাহ)! শিক্ষক যাকে করা হবে আগে থেকেই তার মেধার মূল্যায়ন হতে থাকে গ্রাম শহর ব্যাংক ব্যালেন্স প্রভৃতি সনাক্তকরন আইকভারকে সামনে রেখে।

আবার নিয়োগের আগে কোনো কোনো দেবতা চান বেহুলার নাচ, কোনো দেবী চান পূজা, অনেকে বেহুলার নাচ ও চান্দোর পূজা একসঙ্গে চায়। পূজা আর নৃত্যের রহমতে তারা যখন নিয়োগ প্রসাদ লাভ করে -- তাদের চাহিদা বলয়ও এইভাবেই তৈরি হতে থাকে।

তাই নবীন  রাজনীতিবিদদের মাথা সারাদিন ঘুরতে থাকে বড় ভাইয়ের আগাপাছাকে ধরে, আর শিক্ষকের মাথা ঘোরাঘুরি করে দেবী লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে কেন্দ্রবিন্দু করে। বিপাকে থাকে গ্রাম থেকে আসা শ্রমজীবীর পোলা। আর বিসিএস ক্যাডাররা তো ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করতে করতে সময় চলে যায়। কারন ক্যাডারদের উপরেও স্যার আছে, স্যারদের উপরের আছে মন্ত্রী, মন্ত্রী এমপিদের উপরে আছে বঙ্গবন্ধুর সেই বানী -- সবাই পায় সোনার খনি/আমি পেয়েছি চোরের খনি 

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

রেজা ভাই

ও রেজা ভাই, দিনক্ষন কেমন যাচ্ছে?

তোমারে ধরা যায় না ক্যান?

অহন তুমি গুড্ডির লাহান উড়ো, আবার তহন চুপচাপ বইয়্যা তাহো আলগা ঘরের লাহান-- একবার তোমারে হুদাই আলাবালা মনে অই-- না না, একটু পরেই দেখি তুমি একটা আস্ত মেঘের পিন্ড-- হাটতে হাটতে ঝমঝম কইরা পড়ো-- তোমারে কত ডাহি, ফোন করি গোয়াল ঘরে বইস্যা এক কাপ তরিকতের চা খাওয়ার জন্য-- তোমার সময়ই নাই--আবার দেখি হুদাই হুদাই বইয়্যা আছো ঘন্টার পর ঘন্টা-- ও রেজা ভাই, তুমি হালি হালি কার কতা ভাবো?  কৃষ্ণ রাধা আলেকজান্ডার না প্যারিসের কতা, না তুমি কী ভাববা এইডা নিয়া ভাবতেছো রেজা ভাই?
ভাবনার শেষ নাই, শুরু না-- ভাবনাই সাই আমার হেলা করে-- উত্তর দহিনে ভানুমতীর হেল দেখায়-- তুমিও ভানুমতীর হেলে পড়ছো রেজা ভাই-- তোমার কোনো নিস্তার নাই, কোনো নিস্তার নাই-- একদিন বেনলাইতে চোখ মিললাই দেহুম তুমি আর মানুষ নাই-- হয় পাখি নয় সাগরের জল অইয়্যা গেছো -- আমি তখন পালক নতুবা পরমানু হইয়্যা তোমার লগে মিইশ্যা তাহুম-- তুমি যতই আমারে দুরে লাহ আমি তোমারে ছাড়ছি না রেজা ভাই, ছাড়ছি না 

নারীর মন জয় করা শত্রুর মন জয় করার চেয়ে কঠিন 

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

আহা

তোমার সাথে কোথায় যেন গভীর এক মিল
তোমার সাথে কোথায় যেন গভীর এক অমিল
মিল অমিলে তুমি আমি দূরতম সামদ্রিক দ্বীপ
আমাদের আকাশে উড়ে হায়চিল সোনালি ডানার চিল 

কোথায়

কত পরিবর্তন হয়ে গেছি আমি
ঘাসের উপর শুয়ে থেকেও সবুজ না মাখি
ভুলের জঙ্গলে ছিলো আমার সিংহের গর্জন
অযথা এলাকায় জীবনের ব্যয়-- একটু বদলের আশা
বদলায়নি কিচ্ছু
বদলে গেছি আমি, আমার সবপাশ

পাহাড়ের উপত্যকায় ঝড়ের রাত, ধমকা হাওয়ার মতো একাকী আকাশ অন্য কোন গ্যালাক্সির মতো আমিও এক গোপন নীরব স্রোতের তালিকায়,
বদলে যাওয়ার আশায় আবারো যদি বদলে যাই, দেখা হবে আমাদের বেপোরোয়া সময়ের বেয়াদপ চাওয়ায়, বামচোখে আবারও পড়বে শতাব্দীরর আশীর্বাদ, গুনাতীক গুনগুন আলীশান আলপিনে রাখবো আবারো একঝাঁক  আবদার

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

নেতা

প্রত্যেক মানুষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে সম্পর্ক তৈরি করে। প্রয়োজন আত্মিক ও বৈষয়িক দুই-ই হতে পারে। আত্মিক সম্পর্ক এখন আর তেমন দেখা যায় না, বৈষয়িক সম্পর্কের ছড়াছড়ি। ফলে সালাম, নমস্কারও বৈষয়িক প্রয়োজন বাজারের দ্রব্য।

বৈষয়িক চাহিদা আপনাকে নেতা বানাবে আবার বৈষয়িক চাহিদাকে সামনে রেখে আপনাকে বানানো হবে ডাস্টবিনের তেনা। বৈষয়িক প্রয়োজন ভয়ংকর-- চোরাবালির মতো সম্পর্কখেকো। 

মা,

ভালোবাসা' শব্দটি প্রথম সাহসের সাথে উচ্চারন করেছিলাম প্রাইমারি স্কুলের মাঠে লাল-সবুজ পতাকার নিচে-- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

বাংলা মানে তখন কেবল আমার পরিচিত কয়েকটি গ্রাম। বয়স বাড়ে -- বাংলার আয়তনও বাড়তে থাকে। একসময় বাংলার আয়তন মানে ব্রাক্ষনবাড়িয়া ও ঢাহা। এখন যখন লোকে বলে আমি বড় হইছি (বয়সে) তখন বাংলার ধারনাও আমার কাছে কেবল বাংলাদেশ নয়-- বাংলা মানে বাংলা ভাষার প্রতি প্রীতিবোধ আন্তরিকভাবে ধারন করে এমন জনগোষ্ঠী।

এখন দেখি ছোট কালে যে 'ভালোবাসি' শব্দটি সাহসের সাথে উচ্চারন করেছিলাম সেখানে সাহস ছিল না, ছিল অজ্ঞতা, ভন্ডামি, ভয়ভীতি। কারন আমি যে জেনে গেছি সন্তান কখনো মাকে ভাগ করতে পারে না -- আর  ভাষা তো আমাদের মায়েরও মা ....

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

হে

ঘুম থেকে ওঠলেও ঘুমের মতো একটি দেশ হের আছে যেখানে হে হারাদিন ঘুমায় -- একদিন একদিন কইরা হাজার বছর অতিক্রম করে-- পৃথিবীর কলাপাতায় যে সকল মাস্তান হালি ডর দেখায় হে সকল মাস্তানের লগে হে হেনে টকশোর আইটেম তৈরি করে-- হের পৃথিবী তাই নদীর লাহান-- হের পৃথিবী তাই ঘুমের লাহান-- হের পৃথিবী তাই এক ফালি মেঘের লাহান-- হেরে আমি বুঝাইতে পারুম না তাই তো বুঝাইতে যায় না-- হেরে কতবার কইছি নেমে আসতে, একবারও আসে নাই -- হের ক্লান্তি শেষ হয় নাই, হবেও না --হে ক্লান্তির বিততে অলসতা চাষ করে, কল্পনার বিততে ডুইববা তাহে, আইসক্রিমের লাহান গইল্লা গইল্লা পড়ে-- গইল্লা পড়ায় যে শান্তি হে জানে আর জানে হের অন্তবিহীন ঘুম-- ঘুম থেকে জেগে ওঠা আসলেই এক বিস্ময় পাহাড়ি পাতার লাহান এক জীবন সবুজের হামার -- দুইটি ফুলের মালা এখনো হে স্বপ্নে কিননা রাহে -- মালাফুল শুকিয়ে যায়, স্বপ্ন শুকায় না, স্বপ্ন শুকায় না 

আজও

মানুষের দুটি কান, দুটি চোখ, একটি মুখ। না, আমি গরুর রচনা লিখতে বসি নাই। গরুর রচনার মতো একটি হিসাব করতেই চাই। হিসাবটা অবশ্যই প্রাকৃতিক। দুটি কান এবং দুটি চোখের কাজ গ্রহণ করা, একটি মুখের কাজ প্রকাশ করা। গ্রহণ করার কাজটি মানুষের, ব্যক্ত করার কাজটি ব্যক্তির। কিন্তু চোখের এবং কানের কাজটি মানুষ কিংবা ব্যক্তি মুখ দিয়েই করে থাকে। মুখের কাজ তখন থাকে কথার সাথে ফেনা অথবা থুথু বের করা। ফলে প্রচুর আজাইরা কথার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন।

কথা প্রসঙ্গে একদিন এক হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার পীরের ( গুরু) নাম কী?

হুজুর উত্তর দিলেন--
পীরে কামেল, পীরে তাহাজ্জুদ হযরত মাওলানা শাহ সূফী .... (নাম)  ....

নামের আগে ও পরে বিশেষণের অভাব নেই।

আমি তখন তাকে  বললাম ভাই সব বিশেষণের মানে বুঝলাম কিন্তু পীরের তাহাজ্জুদ মানে কী?

হুজুর তখন আমাকে বললেন, আরে ভাই পীরে তাহাজ্জুদ মানে আমার পীর কেবলা  নিয়মিত তাহাজ্জত  নামায পড়েন

আমি তখন তাকে বললাম  আপনার পীর কেবলা তো না ঘুমিয়ে থাকেন না হয়তো?

হুজুর বললেন না ঘুমিয়ে থাকবেন কেন (জ্ঞানীর সারা রাত ঘুম আর মূর্খের সারারাত ইবাদত সমান সমান)?

তাহলে 'পীরে ঘুম' আপনার পীর কেবলার নামের আগে সংযুক্ত করে ফেলেন  যেহেতু ঘুমও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং তা আপনার পীর কেবলা নিয়মিতই করে  ....

তারপর হুজুরও চুপ আমিও চুপ -- তখনই আমাদের কান এবং চোখ সততার সাথে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে লাগলো 

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৬

টাকা

একদিন জীবনানন্দ দাশ কইলেন পৃথিবীর নাকি গভীর অসুখ। কথাটা শুনে অনেকক্ষণ আমার মন বিষন্ন ছিল। ইন্টারমিডিয়েটে যখন কাজল স্যারের অর্থনীতির ক্লাস করতাম তখন তিনি আমাদের বিশ্বাস করাতে বাধ্য করতেন বাংলাদেশের চেয়ে গরীব রাষ্ট্র আর হতে পারে না-- কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। স্যারের ক্লাস করার পর আমার আর কোনো ক্লাস করার ইচ্ছা থাকতো না। সাইকেলের তালা খুলে সোজা বাড়ি চলে যেতাম। বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে এক ঘুম। ঘুম থেকে ওঠে সান্ধ্যকালীন হাওয়া মাথায় ঢুকার পর স্যারের ক্লাস নির্দ্বিধায় ভুলে যেতাম।

কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশ অনেক ধনী রাষ্ট্র। ডেসটিনি হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়-- বাংলাদেশের মানুষের কিচ্ছু হয় না।

হলমার্ক কেলেঙ্কারিও হাজার কোটি টাকার হিসাব-- তাও বাংলাদেশের মানুষের এক কেজি ইলিশ চার হাজার টাকা দিয়ে খেতে সমস্যা হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে যায় -- তাও বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেকটা  সদ্গায়ে জারিয়া।

প্রাইমারি স্কুল পাস করা একজন ছেলের কাছেও এখন উন্নত মানের এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট যার নূন্যতম মূল্য দশ হাজার টাকা, এই সেটের তেল খরচ বাবদ ছেলেটিকে গুনতে হয় প্রতিমাসে নূন্যতম এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশে নাকি ইয়াবা, ফেনসিডিলের আরত বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে জমে উঠেছে, গ্রাম এলাকায়ও এই ব্যবসা বেশ স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে -- এই নেশাকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি নেশাবান যুবককে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকার একটি চেক হাজির রাখতে হয়। একমাত্র ঢাকা শহরে মিনিমাম পনেরো হাজার পরিবার  আছে যারা ডিনার বাবদ প্রতি রাতে মিনিমাম পনেরো হাজার টাকা খরচ করে। আর ইদ যখন আসে বিশেষ করে কোরবানির ইদকে সামনে রেখে বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকার ব্যয় খরচ বেড়ে যায়। তারপরও কিন্তু বাংলাদেশ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র চুক্তি সম্পাদন করে।

ও আরেকটি কথা -- জনাব মিডিয়ার অবদানে যে সকল নতুন নতুন উৎসব আমদানি হইছে তাতেও কিন্তু ভালো একটি লেনদেনের হিসাব আছে। প্রেমিকের মানিব্যাগ এখন বেশ স্বাস্থ্যবান হতে হয় নতুবা সম্পর্ক গেচাং।

কেন, কেন?

আরে ভাই উৎসবের আগের রাতে হাজার টাকার একটি শাড়ি কিনে দিতে হয়, উৎসবের সকাল থেকে তাকে নিয়ে এখানে যাও-সেখানে যাও, সমস্ত তেল খরচ কিন্তু ছেলেটির। আবার Happy birth day to you নামকও কিন্তু একটি অর্থনৈতিক খাত আছে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার একটি মনিহারি খরচ মাথায় রাখতে হয় বাংলাদেশকে।
গান- কনসার্ট, মিলাদ মাহফিল,পূজা অর্চনা, ওয়াজ মাহফিল বাবদ যে টাকা খরচ হয় তার হিসাব না হয় অন্য কেউ করবে।

কাজল স্যার,  আপনার হিসাবে একটু ভুল ছিল-- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশ স্বাবলম্বী। এখানে একজন রিক্সাচালকও মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করে। তারপরও আপনি শাহ আবদুল করীমের মতো বলতেই পারেন আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। আমিও বলতে পারি সাপ যখন রাগান্বিত হয়ে ফনা তুলে তখন সে সামনে দেখে না, পেছনে দেখে। পেছনদেখা অভ্যাসটাও থাকা প্রয়োজন। হুমায়ূন আজাদ অবশ্যই সামনে দেখেন। তাইতো তিনি কইছিন সব কিছু নাকি নষ্টদের অধিকারে যাবে, তিনি আবার হাতির মতো পেছনে দেখেন না, দেখলেই অবশ্যই চর্যা গীতিকারদের কথাও তিনি  মাথায় রাখতেন যারা বলেছিল আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা / তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা 

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৬

তারা

সকাল হলেও তারা ঘুমিয়ে থাকে-- তারা মনে করে ঘুমই সুখ (চুপ থাকা নিরাপদ)। তারা তর্কে বিশ্বাসী-- তারা ইগোর মহিমা কীর্তন করে জেনে কিংবা না জেনে-- তারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খুব গোপনে কেউ যেন না দেখে-- দেখাতেই তাদের ভয়। লোকলজ্জার ভয়-- তারা ভালোবাসা শব্দটি বলতে ভয় পায় -- তারা ঘৃণা করি শব্দটি উচ্চারণ করতে কুন্ঠাবোধ করে-- তারা শুধু জানে বিড়াল কিংবা ট্রেনের মতো একই শব্দের অনুকারধ্বনি-- অবশেষে তারা বেলফুলের গন্ধহীন ছায়ায় কিছুকাল থাকে-- ভরা জোছনা রাত যাপন শেষে বলে বন্ধু শুভরাত্রি তোমায়-- বন্ধু তখন নিদ্রাহীন চোখে কালো রাত্রির ঢেউভরা জলে যাপন করে বেদনা মানিকের কোন্দাল সুখ-- আকাশ থেকে নেমে আসে আনন্দিত কসমেটিকস মুখ-- মুখভর্তি সবুজ, সবুজ ভরা কালবৈশাখী ঝড়-- সকাল হলে বন্ধু ডাকবো কী তোমায় উচাটন বাড়ির ছনের ঘরে?  চোখ মেলে দেখো তারার ঘরে -- কালাচাঁন বসে আছে বৃন্দাবনে পাছে যদি প্রেম জাগে রাধার ব্যবসায়িক মনে-- সকাল হলে জাগিয়ে দিও বন্ধু আমিও তখন গভীর ঘুমে  

পথে

দুঃখভরা রাতের কাছেও স্বপ্নে খুঁজি সুখ
পথে দেখা রাজকন্যা পথেই দিল দুঃখ
পথে থাকা চিল জানে না ব্যথার আকাশ নীল
ব্যথার জলে শাপলা সকল হাসে খিলখিল
তবুও তারা
এবং আমরা
কিন্তু আমি
পথেই থাকি পথেই আঁকি রংধনু স্বপ্নীল 

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

রেজা বন্ধু

রেজা বন্ধু কই গেলা তুমি?
তোমারে আমি হারিকেন লাগাইয়া হুজি-- দোহানে হুজি, বাজারে হুজি, বোলপুর ইস্টিশনের প্লাটফর্মে হুজি, ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পুব পারে হুজি-- তোমার দেখা নাই তো নাই-- আমারে তুমি এমন কইরা বুইল্যা যাইতে পারলা, পারলা রেজা বন্ধু!
মানু কেমনে পারে মানুরে টুসটাস বুইল্যা যাইতে! আমি তো তোমারে বুলি নাই-- আবার রবীন্দ্রনাথের মতো কইও না নয়নের সামনে তুমি নাই বিধায় নয়নের মাইদদে নিছ ঠাই-- হুদা জানি তর লাইগগা হৃদয় আমার ফালদা ফালদা ওডে-- আয়নায় চাইলে হালি গুলা গুলা লাগে -- চোখের বিততে একটা আস্তা ডাহাইত দেখি-- এই ডাহাইত কী জানে বন্ধু আমার কই আছে? বন্ধুরে দেহার মনে লই, আদুর কইরা হের লগে যদি কতা কইতে পারতাম-- বন্ধু তোমারে যেদিন হারাইছি হেদিন থেইক্কা আমি বুলি গেছি মান আরাফা নাফসাহু ফাগাদ আরাফা রাব্বাহুর কথা, বুইল্যা গেছি হাঁসের চুইচুই ডাহের কতা-- আমার বকবক আর কেউ শুনে না-- সবাই হালি আমারে বিচার করে-- আমারে জ্ঞান দে-- আমি তাদের দেয়া জ্ঞান লইয়্যা বোয়া থেইক্কা ওঠতে পারি না-- তখন তোমারে হুব মিস করি-- তুমি যেখানেই তাহ তারাতারি চলে আসো, চলে আসো আমার মেঘনার পাড়ে-- তোমারে নিয়া নৌকা চালাইমু রেজা বন্ধু-- তুমি গান গাইবে আর আমি তোমার সাথে হাম্মিং দিমু-- মাঝ নদীতে গিয়া বইডা ফালাই দিমু-- তখন তুমি ভরা গাঙ আর আমি অমু জিয়ল বইডা

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

ছারপোকা

বইয়া থাকলে ছারপোকা-- হারাইয়া থাকলে ছারপোকা-- ঘুমাইলে মাথার ভেতর ছারপোকা-- স্বপ্নেও পুরির লাহান কানামাছি বৌচি খেলে ছারপোকা-- নাভির ঘ্রাণে তুলতুলে ছারপোকা-- ছারপোকা রক্ত খাবেই হোক মানবিক কিংবা অমানবিক রক্তল হৃদয়-- ছারপোকার বেঁচে থাকার প্রয়োজন-- আমি বেঁচে আছি বলে বেঁচে আছে আমার সঙসখা ছারপোকা 

রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬

:!::

অভিনেতা অভিনয় করে পর্দায়, রাজনীতিবিদ অভিনয় করে কথায় 

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬

উচাটন

হায়রে আমার উচাটন কামদেহ
বর্ষণে গর্জনে কত নদী তোমার
আলাবালা না, যা চাও তাই পাও
তবুও তুমি কার বগলে ঘুমাতে চাও
কার কাছে শান্তি চাও রেজা বন্ধু
কারে তুমি তালাস করো দিনের পর দিন
আসমান জমিন যুগল পথে কেন এতো  ছটফটানি
শুয়ে থাকা চোখের মতো নিথর নীরব
হৃদয়ের গঙ্গা কী আর জলে পূর্ণ হয়?
জলাতিক মর্মভূমি প্রেমের জলে নুয়ে পড়া অসুখ
মন চায় মনের কাছাকাছি কোনো এক সুখ 

নি

ও ভেই যেই বেক্কুনে মিলি জুম কাবা যেই
সকলের ঘরে খাবার আছে আমাদের ঘরে নেই
সকলের ঘরে মানুষ থাকে পাহাড়ি আমরা পশু
আমাদের শরীরে ঘামের গন্ধ তারা ভদ্র মিশু
পূব ছড়া থুমত বর রিজেভ’ টুগুনোত
এখন সময় এখনই সময় ভেদাভেদ ভাঙিতে
পাহাড়ি আমরা মানুষ রক্তে চলবো স্বাধীন পথে
পুরান রাঙ্গা ভূঁইয়ানি এবার বলি উত্যে হোই চেগার
স্বাধীনতা চাই স্বাধীনতা চাই
স্বাধীনতা কোনো ভেদাভেদ নয়
স্বাধীনতা কোনো তন্ত্র নয়
নয় কোনো মন্ত্র
একই ঘরে সকল মানুষ
মানুষ নয় পশু কিংবা যন্ত্র 

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

:?:

স্কুলের উঠোনে পতাকের নিচে প্রথম শপথ বাক্য আমার
প্রিয়তম ঘোর
নকল করা শৈশবের মতো তুমি আজীবন পলাতক
পাগলা ঘণ্টা বাজলেও তুমি পালাতে শিখুনি 

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

তোমাকে একটি বার বলেছিলাম
`থামো', তুমি আমাকে থামিয়ে দিয়ে চলে গেলে আমাজন বনে, সিংহ আর বাঘের সাথে শুরু করলে বসবাস,একবার যদি বলতে আমি যাচ্ছি, বহুবার আমি তোমার পথ আটকে ধরতাম, সারা শরীরের রক্ত মেলে ধরতাম তোমার ভ্রমণপথে ,নিশ্চিত আমার রক্ত তোমার বর্ডার হয়ে থামিয়ে দিতো গতিপথ,একবার থেমে গেলে গতি দেখতে কচ্ছপশপথ-- অপেক্ষমান লালায়িত হাজারো মানুষের মধ্যে একজনই তোমার আপন, আপন ছেড়ে কালে কালে তুমি হয়ে গেলে পর, হরিণ তুমি বাঘের সাথে শুরু করো সংসার জীবন,
দুঃখ হয়, কষ্ট হয় তোমার যেমন
আমিও আছি বন্ধু তেমনি তেমন 

বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৬

সবখানে কোথায় যেন বেশি বেশি দেখি
সবখানে কোথায় যেন অন্ধকারটা খুঁজি
সবখানে যেন যেন শিকারি এক পাখি
ঘরের ভেতর জান্তব লাশ
লজ্জা কোথায় রাখি 

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

স্ব

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে;
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।

আসলেই সুখ, স্বর্গ সুখ এপারে কিংবা ওপাড়ে থাকে না-- এটিই নিতান্ত নিজের ভেতর থাকে, নিজের মধ্যে থাকে(Beauty is not in things but in us)।

ধরেন আপনি অসুস্থ, আপনার জিব্বাটি যে খাবার হাইতে সবচেয়ে বেশি লালায়িত তাহে, যে হাবার খাইয়া আপনি সবচেয়ে বেশি স্বাদ অনুভব করেন সেই খাবারও আপনার কাছে স্বাদহীন মনে হবে। তাইলে আপনি বলতে পারেন না খাবারের স্বাদ নেই, আপনি বলতে পারেন আফনার স্বাদ আস্বাদন ক্ষমতার ঘাটতি অইছে। তবে এ কথা সত্যি, মাইদদে মাইদদে খাবারও অসুস্থ হয়। 

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

আফা

পেছনের বেঞ্চে বসি। ইদানিং পেছনের বেঞ্চও দখল হয়ে যায়। বিজ্ঞানী আবুল কালাম আজাদের প্রতি রাগ হইলো। সে যখন থেইক্কা কইলো মেধাবীদের পাওয়া যাবে পেছনের বেঞ্চে তখন থেইক্কা পেছনের বেঞ্চে বইসা মেধাবী সাজবার হিড়িক লাইগগা গেছে।

মজার ব্যাপার হইলো মেধাবীরা ইন্দুর-বিড়াল প্রতিযোগিতা এ্যাভুয়েড কইরা পেছনের বেঞ্চে বইতো, আর বর্তমানের তারা মেধাবী সাজবার লাইগগা ইন্দুর- বিড়াল প্রতিযোগিতাকে সামনে রাইহা পেছনের বেঞ্চে বসা নিয়া রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু করে।

তাইলে আমি কই বমু?

 ইচ্ছা হইতেছিল ক্লাস থেইক্কা বার হইয়া যাইতে, আতকা মুখোশপরা এক সহপাঠীর পাশে বসার মতো একটি জায়গা খুঁজে পাইলাম। সহপাঠী তো বসে আছে তার পাশে তার থলেটিও বসা।

থলে বসার জায়গা থাকে কিন্তু ছাত্র বসার জায়গা আমার সহপাঠীরা কাছে নেই ....

আফা, একটু যদি জায়গা দেন আমি বইতে পারুম, আফা দিবেন?

আফা কাচুমাচু করতে লাগছে। তারপরও আফার দয়া অইলো, আমারে বইতো দিলেন, দয়াময়ী আফা ....

আফা কিন্তু তার ব্যাগটি আমাদের মাইদদে রাইহা দিলেন, তৈরি হইলো ব্যাগদেয়াল।

আফা কেন ব্যাগদেয়াল বানাইলেন? আমার গতর আফার আতরমাখা গতরের লগে লাগলে আফার গতরখানা অপবিত্র হইয়া যাইবো?

আইচ্ছা, পবিত্র যদি অন্য কিছুর স্পর্শে অপবিত্র হইয়া যায় তাইলে কে বেশি শক্তিশালী পবিত্র , না অন্য কিছু....?

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

গ্রাম

জাঙালিয়া নামে এক গ্রামে গেলাম। গ্রামটি যেন মমতা দিয়ে ঘেরা, গ্রামের সারা শরীরে সবুজের লোম। হাড়িধোয়া নামে হ্রদের মতো একটি নদী গ্রামীণ পরিবেশে জলভেজা আবেদনকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। ধানের সবুজ অবুঝ মনটিকে সান্ত্বনার চকলেট দিয়ে নাচিয়ে রাখে সারাক্ষণ। নাম নাজানা কিছু পাখির অচেনা সুর হৃদয়ের কোন অচেনা গলিপথে যেন হামাগুড়ি দিয়ে জায়গা করে নেয়।

এখানকার মানুষেরা মানুষের মতো সহজ, সরল, সাবলীল। হোমিও ডাক্তার কাসেম চাচ্চু, কবিরাজ লিটনদা জীবনকে উপলব্ধি করে বিশ্বাসে। প্রশ্ন করা তারা এখনো শেখেনি।

তাতে কী?

শান্তিপূর্ণ জীবনই তো সকল প্রশ্নের উত্তর বাড়ি।

সমস্যা নেই। তারা শান্তিতেই আছে।

চায়ের স্টলগুলো যেন আত্মীয়বাড়ির আলগা ঘর -- আড্ডার আত্মার নিকটতম জায়গা। কাহারা সারা দিনের জমানো ব্যথা, অভিমান, চাপা ক্ষোভ, ঘৃণা এই চায়ের দোকানে রেখে যায়, চায়ের দোকান তাদের হাজারো কথা বুকে ধারন করে মূর্তিমান, নির্বাক অথচ সজীব। কলার হলুদ আবেদন খাবারের রুচিবোধকে শিল্পসম্মত করে তোলে।

চাস্টলে ঢুকলাম।

চার কাপ দুধ দাও ভাই

যেহেতু সরাসরি গরুর দুধ সেহেতু হাতছাড়া করার মানে হয় না। ছেলেটি দুধ দিলো। আমরা দুধ পান করছি।

কিছু মনে নিওন না

কেন রে ভাই

দুদডা একটু বাহি

জানতে পারি দুধ আগের দিন সকালের। রেগে যাওয়ার কথা কিন্তু শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এলো, ছেলেটির সততার কাছে মাথা নত করতে হলো। জায়েদা সরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়ে প্রানপ্রিয় স্বামী ইমাম হাসানকে  হত্যা করে ফেলে,
আর এই ছেলেটি বাহি দুধ আমাদেরকে খাওয়ানোর আগে অনুমতি প্রার্থনা করছে .....শহরের মানুষ টিস্যু পেপার সিদ্ধ করে দুধের ফ্লেবার মিশিয়ে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিচ্ছে,
আর এই ছেলেটি বাহি দুধ খাওয়ানোর আগে অপরাধবোধ তাকে অতুলপ্রসাদ করে তুলছে....

সত্যিই সততা চকচকে কালার, বার্নিশ করা ফার্নিচার  আর ভদ্রপল্লীতে খুঁজিয়া পাওয়া বিরল, সততা থাকে এখানে-- সহজ সরল মানুষের কাছে, রাস্টটিক টাইপের মানুষের কাছে....

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

ধন্যা

তিনি সারাদিন দুইয়ের,চারের নামতার উপর বিশেষ  গবেষণা চালান। গবেষণা করতে করতে একসময় তিনি নামতাজীবী হলেন। পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। তাই সরকার নামতাজীবীর পরিশ্রমের  সম্মানস্বরূপ বিশেষ স্বীকৃতি দেন। এ স্বীকৃতি আমাদের সমাজে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। নামতাজীবী বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পর অনেকটা বাংলা সিনেমার নায়ক হয়ে যান-- রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দশজোড়া-বিশজোড়া মাইয়াচোখ তার দিকে তাকাইয়া থাকে। গ্রামের মোড়ল আদর কইড়্যা চায়ের দোকানে এক কাপ চা খাওয়ায়,আর কই

বাপধন আমার,ঘরে কি নতুন একটা ধন্যা কিন্না  আনবা না?

নামতাজীবী তখন লজ্জায় মরি মরি, কয়েক দিনের মধ্যেই নামতাজীবী ঘরটা নতুন  কইরা সাজায় , ঘরে নতুন আসবাব কিনে আনে, কিনে আনে আসবাবের উপরে গন্ধহীন ফুল।

নামতাজীবী তখন আগের চেয়ে দামী দামী কাপড় কিনে,কাপড়ে বিদেশি পারফিউম মাহে,  সকল প্রস্তুতি শেষ করে নামতাজীবী ধন্যার বাজারে যায়। ধন্যার বাজার থেইক্কা একসময় একটা প্রিস্টিজিয়াস ধন্যা কিন্না আনে।

ধন্যা ত ঘরে থাকার বস্তু বাইরে যাইবে ক্যান?

ধন্যা যদি বাইরে যায় নামতাজীবীর সমস্ত কুকর্ম যে দেইখ্যা ফেলাইব,  বুইঝা লাইব প্রতারনার খতিয়ান, বুইঝা লাইব প্রতারনার চূড়ান্ত হিসাব।

তাই ধন্যা কিন্না  আনার কয়েক দিনের মধ্যেই ধন্যার ভেতর থেইক্কা বাইর কইরা আনতে চায় আরেকটা ধন্যা।

তাতে নামাতাজীবীর ফায়দা কী?

ফায়দা আছে মিয়া ভাই, ফায়দা আছে ....

তহন ধন্যা ধন্যা ব্যস্ত  হইয়া যাইব আর নামতাজীবী ব্যস্ত  হইয়া থাকব বাইজিদের কামলীলায়।

বাইজিরা নৃত্য করব,মদ খাওয়াইব আর কইব

আমরা তোমারে চায়

 ধন্যা তখন ধন্যার কান্দন থামানোর কাজে ব্যস্ত হইয়া পড়ব। নামতাজীবী মাইদ্যে মাইদ্যে বাড়িতে যাইব, আসবাব আর ধন্যার লগে একটু সময় কাটাইব। নামতাজীবীর হিসাব বড়ই কড়া--

দশ এক এ দশ
 দশ দু গুনে বিশ
ঘরের বউ ঘরে থাকলে শান্তি অহর্নিশ।

ভিখারী হয়েছি অনেক আগে
সত্যিকারের নয়, অভিনয় করে
তাবুর পাশে জ্বলছে আগুন
ভিখারী হওয়ার এই তো ফাগুন