শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

সাইনবোর্ড

তোমার চোখ যেদিন গাছ হয়ে গেলো সেইদিন অনেকবার আমি গাছের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

এই শহরে গাছ কোথায় পাই বলো?

একখান আধখান গাছের যখন দেখা পাই তখন সেই গাছ আবার তোমার স্পর্শজাত সন্তান পৃথিবীর পরগনায়।

তোমার ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক বড় বেশি আনকোরা লাগে-- লিপস্টিক তো ঠোঁটের সাইনবোর্ড, তাই না? তোমার ঠোঁট এমনই ললিত নীল যেমন তেমন হাজার টাইপের সাইনবোর্ডকে ম্লান করে দেয় সহসা।

তোমার ঠোঁট যেন মধ্য রাতের সমুদ্রের গর্জন। আর আমি সেই একলোটন পথস্থির মানুষ যে গর্জনে বার বার নিজেকে ফানা করে দিতে চায়-- হয়ে ওঠে না, কিচ্ছু হয়ে ওঠেনি। গর্জন আর আমার মাঝখানে দেয়াল তুলে সমাজ, সমাজ এতো বেশি নিয়মের কথা কই ক্যান, ক্যান জনাব সমাজ মিয়া বুঝে না অনিয়মেরও একটু সুস্থ সাবলীল নিয়ম রয়েছে?

মাঝে মাঝে তুমিও সমুদ্রের গর্জন শোনো, আমি টের পাই, তুমি তখনই আমার কাছে একলাফে চলে আসো,
সমুদ্রের গর্জন শুনে তুমি যখন আমার বুকে আলতো কোমল স্পর্শ রাখো তখন আমি যুবা জলের মতো সাগরমুখী হতে থাকি, সাগর থেকে মহাসাগরের দিকে ছুটে চলি।

লিলিথ, আমার বন্ধু , কেমন আছো তুমি?

কেমন আছো' জিজ্ঞাসাটি  ভালো করেই বলতে পারি, ভালো রাখার পথ আমি একটুও ভালো জানি না।

কেমন করে ভালো রাখি বলো?

ভালো থাকা কিংবা ভালো রাখা শব্দটি যে আমার শৈশবের বন্ধু যে কথায় কথায় গুসসা করে, আমার লগে অভিমান করে নিজেও কষ্ট পায়, আমারেও কষ্টে রাখে ....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন