বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

বেড়াল

আমাদের বাড়িতে একটি বেড়াল আছে। বিড়ালটির দুটি চোখ, একটি নাক, একটি মুখ, দুটি পা আছে।

বিড়ালটির প্রিয় খাবার তাজা ইন্দুর। অনেক পাহাড়ি মেয়েরা তাজা ইন্দুর রান্না করে খায়। অনেকে শখ করে বিড়াল পোষে। কারন বেড়াল আদুরে প্রাণি-- সুড়সুড়ি দিতে ও নিতে পছন্দ করে।

বেড়াল দেখতে বাঘের মতো কিন্তু বাঘ না। আমার একজন প্রিয় মানুষ বেড়াল কাছে রাখে কারন সে চায় বাঘের অপভ্রংশ অন্তত কাছে থাকুক-- বাঘ নাই তো তাতে কী!

যে বিড়ালটি আমার প্রিয় সেটি শিকারি। তাজা ইন্দুর আর তাজা টিকটিকি শিকার করে। শিকারি বেড়াল ম্যাথ ভালো জানে। তাইতো স্বামী না থাকলেও বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে তার সংসার ভালোই চলে।

এক জন সাহাবীর নাম ছিল বেড়ালের বাপ বা বেড়ালের অভিভাবক। বাড়ি গেলে বিড়ালটি দৌড় দিয়ে আমার পায়ের কাছে আসে বাজার থেকে বাবা বাড়িতে গেলে তার নাতি-নাতনি যেমন দৌড়ে কাছে আসে। আমিও একটি বেড়ালপরিবারের অভিভাবক। বেড়ালের অভিভাবক হয়ে দেখেছি তারা কেবল প্রেমের কাঙাল।

নূহ নবীর নৌকায় বাঘ উঠেছে। বাঘের ঠাণ্ডা-জ্বর। বাঘ হাছি দিলো। বাঘের হাছির সাথে বের হয়ে আসলো বেড়াল। হাছি আসে জান্নাত থেকে। তাই বেড়াল সরাসরি জান্নাত থেকে আমদানীকৃত।জান্নাতে আদম-হাওয়ার জায়গা হয়নি। বিড়ালকেও তাই চলে আসতে হলো । বেড়াল মানুষের আত্মীয় হতে হতে প্রমাণিত হলো প্রত্যেক শক্তি  একমুখী।

আমাদের বিড়ালটি চুরি করতে জানে না, ডাকাতি করে। তাই তার আসামি আসামি মনোভাব নেই। আমাদের বেড়ালটি রোমান্টিক ডাকাত। অনেক প্রথিতযশা পৃথিবীর ইতিহাসে তেমন এক নায়ক কারন তারা রোমান্টিক ডাকাত।

আমাদের বেড়ালের দুটি চোখ ও একটি মুখ আছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন