বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশ দিয়ে অনেকবার আসা যাওয়া করেছি। কখনো ভেতরে যাওয়া হয়নি। শুধু চেয়ে দেখতাম আকাশের মতো ওচা এক বিল্ডিং। আকাশে পাখি উড়ে, আর পাখির মতো যে সব মানুষের ছোট-বড় পাখা আছে তারাই হয়তো বাংলদেশ ব্যাংকের আকাশে উড়াউড়ি করে। আমার তো আর পাখা নেই!
কী করে থাকবে?
আমি তো কৃষকের পুলা!
কৃষকের পুলাদের পাখা থাকতে নেই, থাকলেও কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
একদিন গেলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকে গেলাম। গেলাম বললে ভুলই হবে, যেতে হলো। ভেতরে ঢুকেই ভালো লাগলো বেশ। পরিবেশ প্রশংসা করার মতো।
কেন যেতে হলো?
সৈকত বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির আবেদন করেছে। সৈকত আমার শৈশবের বন্ধু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সে। পাসওয়ার্ড হারানো সংক্রান্ত ঝামেলা, আর এই ঝামেলা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া।
ওরে বাপ! কথা বলার জন্য পাশ নিতে হবে। আরেক মহরম ঝামেলা। ইনি বলে তিনির কাছে যাওয়ার জন্য, তিনি বলে ইনির কাছে যাওয়ার জন্য। ভেতরে ভেতরে আমার রাগ জমা হচ্ছে। সৈকত টের পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদ নিয়ে আলোচনা করে আমাকে ব্যস্ত রাখতে চাইছে। কিন্তু আমি তো জানি কাজটি অতি অল্প সময়ের যদি তারা আমাদেরকে সেবা দিতে চায়, যদি তারা নিজেদেরকে সেবক মনে করে।
আইটি সেক্টরে যাবো, পাশ দেন
দেয়া যাবে না ( মুখ গম্ভীর করে)
চাইলেই দিতে পারেন ( গম্ভীরভাবে)
লাঞ্চের পরে আসেন, এখন সবাই লাঞ্চ করতে গেছে ( হাসি দিয়ে)
ভাবলাম হাসি দিয়ে যেহেতু কথা বলেছে সেহেতু অপেক্ষা করতে পারি। লাঞ্চসময়ও প্রায় শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু লাইনে দাঁড়াতে হবে কিছুক্ষণ। আমি তো লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত নয়। ভাবছি তাহলে কী হবে ....
ব্যাংকের ক্যাম্পাসে হাঁটাচলা করছি। এমন সময় তিন ভাইয়ের সাথে দেখা। তাঁরা সৈকতের ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাই। তাঁরা সমস্যার কথা জানলেন এবং সাথে সাথে পাশের ব্যবস্থা করে দিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য যার সাথে দেখা করতে হবে তার নাম এবং ফ্লোর নাম্বার বলে দিলেন।
আমরা তার কাছে গেলাম। সেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমাদের সাথে পারিবারিক কিছু গল্প করলেন, চা খাওয়ালেন। চমৎকার চায়ের ফ্লেবার। এমন চায়ের ফ্লেবার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্যারদের রুমেই পাওয়া যায়, ইমাম মামার টিস্টল, অরশ্রী মার্কেটে পাওয়া যায় না। কারন স্যারেরা এমন সাধারণ মানের টিস্টলে আসেন না। চা আর গল্পের কোন ফাঁকে কাজ হয়ে গেছে টেরই পাইনি।
বাংলাদেশ ব্যাংককে পেছনে ফেলে জনতার রাস্তার দিকে হাঁটছি। রাস্তার পাশে একটি লোক ফাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লোকটির মুখে চায়ের কাপ, আমরা ঢুকার আগেও দেখেছিলাম লোকটি দাঁড়িয়ে ছিল তখন তার হাতে ছিল একটি জলন্ত সিগারেট। লোকটির হয়তো বড় কোনো পরিচিত ভাই নেই এই বাংলাদেশ ব্যাংকে, তাই হয়তো তার পাশ মেলেনি, বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকার পাশ....
কী করে থাকবে?
আমি তো কৃষকের পুলা!
কৃষকের পুলাদের পাখা থাকতে নেই, থাকলেও কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
একদিন গেলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকে গেলাম। গেলাম বললে ভুলই হবে, যেতে হলো। ভেতরে ঢুকেই ভালো লাগলো বেশ। পরিবেশ প্রশংসা করার মতো।
কেন যেতে হলো?
সৈকত বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির আবেদন করেছে। সৈকত আমার শৈশবের বন্ধু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সে। পাসওয়ার্ড হারানো সংক্রান্ত ঝামেলা, আর এই ঝামেলা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া।
ওরে বাপ! কথা বলার জন্য পাশ নিতে হবে। আরেক মহরম ঝামেলা। ইনি বলে তিনির কাছে যাওয়ার জন্য, তিনি বলে ইনির কাছে যাওয়ার জন্য। ভেতরে ভেতরে আমার রাগ জমা হচ্ছে। সৈকত টের পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদ নিয়ে আলোচনা করে আমাকে ব্যস্ত রাখতে চাইছে। কিন্তু আমি তো জানি কাজটি অতি অল্প সময়ের যদি তারা আমাদেরকে সেবা দিতে চায়, যদি তারা নিজেদেরকে সেবক মনে করে।
আইটি সেক্টরে যাবো, পাশ দেন
দেয়া যাবে না ( মুখ গম্ভীর করে)
চাইলেই দিতে পারেন ( গম্ভীরভাবে)
লাঞ্চের পরে আসেন, এখন সবাই লাঞ্চ করতে গেছে ( হাসি দিয়ে)
ভাবলাম হাসি দিয়ে যেহেতু কথা বলেছে সেহেতু অপেক্ষা করতে পারি। লাঞ্চসময়ও প্রায় শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু লাইনে দাঁড়াতে হবে কিছুক্ষণ। আমি তো লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত নয়। ভাবছি তাহলে কী হবে ....
ব্যাংকের ক্যাম্পাসে হাঁটাচলা করছি। এমন সময় তিন ভাইয়ের সাথে দেখা। তাঁরা সৈকতের ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাই। তাঁরা সমস্যার কথা জানলেন এবং সাথে সাথে পাশের ব্যবস্থা করে দিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য যার সাথে দেখা করতে হবে তার নাম এবং ফ্লোর নাম্বার বলে দিলেন।
আমরা তার কাছে গেলাম। সেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমাদের সাথে পারিবারিক কিছু গল্প করলেন, চা খাওয়ালেন। চমৎকার চায়ের ফ্লেবার। এমন চায়ের ফ্লেবার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্যারদের রুমেই পাওয়া যায়, ইমাম মামার টিস্টল, অরশ্রী মার্কেটে পাওয়া যায় না। কারন স্যারেরা এমন সাধারণ মানের টিস্টলে আসেন না। চা আর গল্পের কোন ফাঁকে কাজ হয়ে গেছে টেরই পাইনি।
বাংলাদেশ ব্যাংককে পেছনে ফেলে জনতার রাস্তার দিকে হাঁটছি। রাস্তার পাশে একটি লোক ফাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লোকটির মুখে চায়ের কাপ, আমরা ঢুকার আগেও দেখেছিলাম লোকটি দাঁড়িয়ে ছিল তখন তার হাতে ছিল একটি জলন্ত সিগারেট। লোকটির হয়তো বড় কোনো পরিচিত ভাই নেই এই বাংলাদেশ ব্যাংকে, তাই হয়তো তার পাশ মেলেনি, বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকার পাশ....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন