শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

লিভিংরুম

প্রথমে একটি গেইট। তারপর একটি রুম। আরেকটি দরজা। তারপর লিভিংরুম। লিভিংরুমে  ডিম্বাণুর বসবাস। গোল গোল ডিম্বাণু। গেইট, দরজা অতিক্রম করে অনেক অনেক শুক্রাণু ডিম্বাণুর রুমে প্রবেশ করে। প্রবেশ করা মাত্র শুক্রাণু ডিম্বাণুর ভেতরে ঢুকে যাওয়ার তীব্র চেষ্টা চালায়। যখনই একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুর ভেতরে ঢুকে যেতে পারে তখনই ঢুকাঢুকির খেলা অফ।

গর্ভবতী ডিম্বাণু চুপচাপ, নিরব, নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সে আর সামাজিক থাকে না। আস্তে করে সে লিভিংরুমের দেয়ালের সাথে লেপ্টে যায়, দেয়াল থেকে ধীরে ধীরে খাবার সংগ্রহ করতে থাকে। জল আর মলে বড় হতে থাকে তার দেহ।

গর্ভাশয় মানুষের নার্সারি। নার্সারির মানুষটি পৃথিবীতে ক্রিয়ারত মানুষের চেয়ে বয়সে বড়। কারন বীজকে ধারণ করেই ফল।

মায়ের ছাদ ছেড়ে সন্তান একসময় পৃথিবী নামক ছাদের নিচে আশ্রয় নেয়। পৃথিবীও মানুষের নার্সারি। কারন পৃথিবী শিক্ষা দিতে থাকে কেমন করে আরেক পৃথিবীর যোগ্য বাসিন্দা হতে হয়।

কিন্তু খুব জানতে ইচ্ছে করে মায়ের পৃথিবীতে যখন ছিলাম তখনও কী আমরা বাজারে যেতাম, প্রিয় অনুরাগে চোখে জল আনতাম কিংবা তার জন্য পূর্বপল্লীর গেস্ট হাউজে অপেক্ষা করতাম!? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন