শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪

মহাপ্লাবনে

মহাপ্লাবন শুরু হবে। প্লাবনে ভেসে যাবে সব কিছু। প্লাবনে ভাসমান থাকবে কেবলই একটি কিস্তি। মহা আয়োজনে চলছে কিস্তি বানানোর কাজ। এই কিস্তি জাগতিক মানুষের হাসির কারণ। জাগতিক সভার অধিকাংশ  হাসে আর আড়ালে আয়েশ করে মল ত্যাগ করে কিস্তিতে।
একদিন সত্যিই শুরু হলো মহাপ্লাবন। যারা কিস্তিতে উঠতে পারলো তারাই কেবল রক্ষা পেল।
সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় তোলা হলো কিস্তিতে। বিড়াল তখনো পৃথিবীতে আসেনি। তাই সেই কেবল কিস্তিতে রাব্বাইক বলতে পারেনি।
ইন্দুরও কিন্তু নৌকার অধিবাসী। প্রাণিরা নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে খুবই সচেতন। ইন্দুরও নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছে। ইন্দুরের পালিত দায়িত্ব মানুষের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াল। ভাসমান মানুষ দূরদর্শী নেতার( হযরত নূহ্) কাছে সমস্যার ইতিউতি জানালেন। নেতা Supreme energy কাছে প্রার্থনা করলেন। Supreme energy সাথে নেতার গভীর বন্ধুত্ব। Supreme energy নেতার প্রার্থনা কবুল করলেন। Supreme energy কোনো কিছুই প্রত্যক্ষভাবে  করেন না, পরোক্ষভাবে করান।
একদিন বাঘের হাড়কাঁপানো জ্বর হলো। ঠাণ্ডা জ্বর। কোল্ড এলার্জির পারিবারিক আক্রমণও বলা যায়। মাঘ হাচ্ছি দিল ( হাচ্ছি আসে জান্নাত থেকে, আইম আসে জাহান্নাম থেকে)। হাচ্ছির সাথে বেরিয়ে আসে বিড়াল। আজো বিড়ালকে দেখতে বাঘের মতো মনে হয়।
জান্নাতি বেড়ালকে দেখে ইন্দুর ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিকূলতা স্বকীয় ঐক্যের পক্ষে হিতকরী। ইন্দুর  এক সাথে মিটিং করে, মিছিল করে নীরবে নীরবে। বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার জোড়ালো আলাপ চলে, নীতি নির্ধারিত হয়, মাননীয় বিড়ালসভাপতির স্বাক্ষর সম্বলিত আইন পাশ হয় কিন্তু বাস্তবে ইন্দুর আইন্দার ঘরে কান্দে।
আজো বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা হলো না....কোনোদিন হবে না ...ইঁদুর যে মরতে জানে না ...মরণ যে ভাইরাস, মরিবার সাহস মরনের এ্যান্টিভাইরাস ...
সাহসের ইতিহাসে বিড়ালের ছাও এক, ইন্দুরের ছাও অনেক সমানে হমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন