তাকে রক্ষা করবে তার আল্লা। বিষয়টা খুব মজার। কিন্তু সে জানে না আল্লা রক্ষা করা ধবংস করার দায়িত্বে নাই। দুনিয়া এক সিস্টেমের নাম। সিস্টেমে আছো তো এমনিতেই সব রক্ষা পাবে। আমি তাকে ভয় দেখাতে চাই নি। সে ভয় পেয়েছে। তার ভয় পাওয়ার কারনও সিস্টেম।
চাচা, এই রুমটাকে কী নামে ডাকে?
সে ইশারা দিল লেখাটির দিকে।
একটি লেখা যেখানে বুলেট করে লেখা Guard।
আপনিই এই ট্রেন চালান?
হুম।
কীভাবে?
এই প্রশিক্ষন নিয়েই আমি এখানে বসেছি। সরকার তো আর এমনিতেই আমাকে পচাঁত্তুর হাজার টাকা মাস শেষে দিয়ে দেয় না।
আমিও বললাম 'হুম'।
তারপর সে ওযু করতে গেল। সালাত কায়েম করবে। খুব আস্তে আস্তে সালাত কায়েম করতে থাকে সে। সালাত শেষ। এখন প্রভুর কাছে হাত তুলে সে। এই হাত তুলল, এই হাত নামাল। খুব অল্প সময়ের ব্যাপার।
ভৈরব স্টেশন থেকে আমি দাঁড়িয়ে আছি। পকেটে টিকেট আছে। তবে সিট নেই। একটু নীরবতার জন্য এই পরিচালকের কামড়াটি বেছে নেয়া। এই কামড়ায় আরও কয়েকজন আছে। তারা পরিচালককে একশ টাকা করে দিয়েছে। আমিও একশত টাকার একটি পুরাতন নোট দিয়েছি। পুরাতন টাকার নোট জাল হবার সম্ভাবনা কম থাকে সে বলে। জ্বি চাচা, পুরাতন টাকার নোট জাল হবার সম্ভাবনা একেবারেই নাই তবে একটু আকটু ফুটো হয়ে থাকে। সে ত্রিশ টাকা রেখে আমাকে বাকি টাকা ফেরত দেয়।
ট্রেন চলছে।
আমার পা মেয়েটির বোরখার লেজের উপরে পড়ে। অনেকক্ষন কেউ আমরা টের পাইনি। হঠাৎ মেয়েটি এক্সকিউজমি বলে গলার শব্দ তারায় নিয়ে যায়। মনে মনে ভাবলাম সাপের লেজে পা দিলাম না তো!
ছোট্ট কালে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের লেজে একবার পা দিয়েছিলাম। সাপ ছুতকরে আমার পায়ে তার দাঁত বসিয়ে দেয়। ভয়ঙ্কর ভয় পাই। আবার সচেতনও হয়ে উঠি। কামড়ের উপরে শার্ট খুলে বেঁধে ফেলি। তারপর সাপের দিকে তাকাই। ওমা! সাপ ছটফট ছটফট করছে। আমি চেয়ে আছি। কী করবো বুঝতে পারছি না। সাপটা ছটফট করতে করতে মারা যায়। অথচ মরে যাওয়ার কথা আমার, আমি এখনো বেঁচে আছি।
আপনি গান করেন?
না, কেন?
আপনার এক্সকিউজমি শব্দে জানালার কাঁচ ফেটে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছিল তো তাই। আপনি কিন্তু গান করলে ভালো করবেন, আপনার কন্ঠের বেইজ ভালো।
অপমানিত হয়েছে না সম্মানিত হয়েছে মেয়েটি বুঝতে পারেনি। তার মুখে নেমে আসে লাজুক হাসি।
আম্মু চেয়েছিলেন আমি সং করি, কিন্তু আব্বু তা লাইক করতেন না।
অ তাই। তারপর আমি কানে হেডফোন দিলাম।
ট্রেন চলছে।
চাচা আমার জন্য একটি দোয়া করবেন?
অবশ্যই।
কী দোয়া জানেন তো ....
কী?
পচাঁত্তুর হাজার টাকা বেতন পাওয়ার পরও যেন আমাকে ত্রিশ টাকা, একশ টাকা ভিক্ষা না করতে হয়।
চাচা এবার ক্ষেপে গেলেন। অল্পশিক্ষিত অহংকারী মানুষ ক্ষেপে গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করে। সে অনর্গল ইংরেজিতে লেকচার দিয়েই চলেছে।
চাচা, আমি ইংরেজি ভাষা বুঝি না, এখনো আমিও বাঙ্গাল। তবে একটি কুরানের আয়াত মুখস্থ করেছিলাম-- ইন্না সালাতা তানহা আনিল ফাকসাইর ওয়াল মুনকার।
অর্থাৎ সালাত মানুষকে বেহায়া, মিথ্যা, লজ্জাকর, ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখে।
চাচা, এই রুমটাকে কী নামে ডাকে?
সে ইশারা দিল লেখাটির দিকে।
একটি লেখা যেখানে বুলেট করে লেখা Guard।
আপনিই এই ট্রেন চালান?
হুম।
কীভাবে?
এই প্রশিক্ষন নিয়েই আমি এখানে বসেছি। সরকার তো আর এমনিতেই আমাকে পচাঁত্তুর হাজার টাকা মাস শেষে দিয়ে দেয় না।
আমিও বললাম 'হুম'।
তারপর সে ওযু করতে গেল। সালাত কায়েম করবে। খুব আস্তে আস্তে সালাত কায়েম করতে থাকে সে। সালাত শেষ। এখন প্রভুর কাছে হাত তুলে সে। এই হাত তুলল, এই হাত নামাল। খুব অল্প সময়ের ব্যাপার।
ভৈরব স্টেশন থেকে আমি দাঁড়িয়ে আছি। পকেটে টিকেট আছে। তবে সিট নেই। একটু নীরবতার জন্য এই পরিচালকের কামড়াটি বেছে নেয়া। এই কামড়ায় আরও কয়েকজন আছে। তারা পরিচালককে একশ টাকা করে দিয়েছে। আমিও একশত টাকার একটি পুরাতন নোট দিয়েছি। পুরাতন টাকার নোট জাল হবার সম্ভাবনা কম থাকে সে বলে। জ্বি চাচা, পুরাতন টাকার নোট জাল হবার সম্ভাবনা একেবারেই নাই তবে একটু আকটু ফুটো হয়ে থাকে। সে ত্রিশ টাকা রেখে আমাকে বাকি টাকা ফেরত দেয়।
ট্রেন চলছে।
আমার পা মেয়েটির বোরখার লেজের উপরে পড়ে। অনেকক্ষন কেউ আমরা টের পাইনি। হঠাৎ মেয়েটি এক্সকিউজমি বলে গলার শব্দ তারায় নিয়ে যায়। মনে মনে ভাবলাম সাপের লেজে পা দিলাম না তো!
ছোট্ট কালে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের লেজে একবার পা দিয়েছিলাম। সাপ ছুতকরে আমার পায়ে তার দাঁত বসিয়ে দেয়। ভয়ঙ্কর ভয় পাই। আবার সচেতনও হয়ে উঠি। কামড়ের উপরে শার্ট খুলে বেঁধে ফেলি। তারপর সাপের দিকে তাকাই। ওমা! সাপ ছটফট ছটফট করছে। আমি চেয়ে আছি। কী করবো বুঝতে পারছি না। সাপটা ছটফট করতে করতে মারা যায়। অথচ মরে যাওয়ার কথা আমার, আমি এখনো বেঁচে আছি।
আপনি গান করেন?
না, কেন?
আপনার এক্সকিউজমি শব্দে জানালার কাঁচ ফেটে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছিল তো তাই। আপনি কিন্তু গান করলে ভালো করবেন, আপনার কন্ঠের বেইজ ভালো।
অপমানিত হয়েছে না সম্মানিত হয়েছে মেয়েটি বুঝতে পারেনি। তার মুখে নেমে আসে লাজুক হাসি।
আম্মু চেয়েছিলেন আমি সং করি, কিন্তু আব্বু তা লাইক করতেন না।
অ তাই। তারপর আমি কানে হেডফোন দিলাম।
ট্রেন চলছে।
চাচা আমার জন্য একটি দোয়া করবেন?
অবশ্যই।
কী দোয়া জানেন তো ....
কী?
পচাঁত্তুর হাজার টাকা বেতন পাওয়ার পরও যেন আমাকে ত্রিশ টাকা, একশ টাকা ভিক্ষা না করতে হয়।
চাচা এবার ক্ষেপে গেলেন। অল্পশিক্ষিত অহংকারী মানুষ ক্ষেপে গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করে। সে অনর্গল ইংরেজিতে লেকচার দিয়েই চলেছে।
চাচা, আমি ইংরেজি ভাষা বুঝি না, এখনো আমিও বাঙ্গাল। তবে একটি কুরানের আয়াত মুখস্থ করেছিলাম-- ইন্না সালাতা তানহা আনিল ফাকসাইর ওয়াল মুনকার।
অর্থাৎ সালাত মানুষকে বেহায়া, মিথ্যা, লজ্জাকর, ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন