বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

তর্ক

সাধারণত কারো সাথে তর্ক করি না। তর্ক করা জ্ঞানীদের কাজ মনে করি। আমি জ্ঞানী লোক নই।
অথবা তর্ক করা একটি খেলা। ছোটোকাল থেকেই তর্কখেলায় আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না। আকর্ষণ না থাকার অবশ্যই কারণ আছে। কারণ বন্ধু ছিল হয় আমার চেয়ে বয়সে ছোট নয় বয়সে আমার চেয়ে বড়। ছোটদের সাথে অনর্গল কথা বলে যেতাম আর তারা শুনতো, আর বড়রা অনর্গল বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতো আর আমি শুনতাম। মনোযোগী শ্রোতা ও আন্তরিক বক্তা হয়ে আমার বেড়ে ওঠা।

জানালার পাশে বসতে চাইলাম। কিন্তু মহিলা আমাকে বসতে দিলেন না। আইনগতভাবে আমিই বসার অধিকারী। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে জয়ী হতে কথা বলা লাগবে, তাই কথা বললাম। কিন্তু কথা বলাতেও হলো না। তর্ক করা লাগবে। কিন্তু আমি তো তর্ক করবো না। তাই মহিলা জানালার পাশেই বসলেন।

সূর্য টকটকে লাল রং ধারণ করেছে। অন্ধকার আসবে আসবে করছে। কুয়াশা আস্তে আস্তে অন্ধকারের উপর আধিপত্য স্থাপনের অভিযানে ব্যস্ত। সবুজ কালারের গাছগুলো অন্ধকারের গুনে গুণান্বিত হচ্ছে।

ট্রেন আড়িখোলা স্টেশনে। ট্রেনের ভেতর ভীড় এবং ভীড়। কিছু যুবক জানালা বেয়ে ট্রেনের ছাঁদে জায়গা করে নিলো। ট্রেন চলছে এবং চলছে। মহিলা ঘুমিয়ে আছেন। গভীর ঘুম। মুখের দরজা খোলা রেখেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন। হয়তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সান্ধ্যকালীন নাস্তা শেষ করছেন। নাস্তা শেষ করার পর হয়তো তার জলের তৃষ্ণা পেয়েছে। তাই তিনি হয়তো জল কামনা করছেন। আল্লা বান্দাদের ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেন না। ছাঁদ থেকে লবণাক্ত পানির একটি ধারা মহিলার মুখের ওপেন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে লাগলো।

মহিলা কডা কডা বলে চিৎকার করে চোখের দরজা ওপেন করলেন এবং মুখের দরজা ক্লোজ করলেন 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন