শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে গ্রামের যে সরল ধূলিকণা শরীরের লেপ্টে ছিল তা একেবারে পরিষ্কার করে ফেলি। এখন কসমিক স্নো মাখি, সেটওয়েট পারফিউম ব্যবহার করি। আমার কাকফর্সা শরীরখানা একেবারে দলা হয়ে গেছে। আমারে একেবারে ইংরেজদের লাহান লাগে। আয়নায় যখন নিজেরে দেখি তখন নিজেরে দলা চেহারা দেখে লেহালুয়া লেহালুয়াবোধ করি। তারউপর আবার রাজনীতি করি, ফোল টাইম রাজনীতি। আমি ডাক দিলে মিনিমাম একশ পোলাপান হাজির। ওদের যা কমু, বাংলা সিনেমার বিলিনদের লাহান তাই করব। অপারেশন শেষ কইরা কইবো,
 `ভাই ,সব হালাস'।

মতি মিয়া চান্দা পাঠায়নি, হে সকালে ঘুম থ্যাইকা উঠে দেহে হের দোহান হেলার মাঠ হয়ে গেছে।

আমি যা কই তাই সত্য, তাই নীতি, আমার উপরে কারো কথা নাই। আমারে আঙ্গুল তুইল্লা আক্কাস আলী কইছিন,

``ভাই, ইডা ঠিক না, দশটা টেন্ডারের মাইদ্যে আটটায় আপনার।"

 শালা আমারে ঠিক- বেঠিক বোঝায়, হের জন্মের আগে আমি নীতিবাক্যের ওয়াজ করতাম। তাই হেরে জান্নাতে পাঠাইদিছি, হের আঙ্গুল হুর গেলমান লুইট্যা পুইট্যা খায়তাছে।

কত জনের জীবন আমি একেবারে উজালা বানাইদিছি। এই তো, কয়েক দিন আগের কথা, চুমকি আইয়্যা কইল,
``ভাই রাজনীতি করুম"।
আমি হের সারা শরীরের তারার সংখ্যা হিসাব করলাম, এরপর কইলাম,
``আজ্জা রাইতে আমার রুম খালি আছে, আইও।"

সারারাত চুমকির সাথে ফুটবল খেললাম। তারে চিনাইদিছি মিডফিল্ড, কর্নার, ডিফেন্ড, সেন্ট্রাল ডিফেন্ড কাকে বলে। এখন সে রাজনীতির প্রত্যেক খেলায় মেন অব দি ম্যাচ।

রাস্তায় বাইর অইলে চিনি না এমন দূর্বাঘাসও আমারে সালাম দে। কোনো শালা সালাম না দিলে তার কপালে শনি। প্রত্যেক জায়গায় আমারে কদর করতেই অইবো।

হালা, আমারে যে আজ চিনবা না, কাইল চিনবা, যে আমারে কাইল চিনবা না, পুরসু চিনবা, আমারে চিনতেই অইবো, নাম আমার রাজনীতিবাবা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন