শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

ধর্ম

শুদ্ধতার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই। শুদ্ধতা এক ভ্রমণের নাম। শুদ্ধতার পথে প্রত্যেক মানুষ পথিক মাত্র। শুদ্ধতার পথে প্রামাণিক কোনো স্টেশন আজো আবিষ্কৃত হয়নি। তারপরও ধর্ম শুদ্ধতার স্টেশন বা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনপ্রিয়।

ধর্ম এবং উগ্রতা আলাদা ধারণা। ধর্ম হল একটি বিশ্বাস যা মানুষ ধারণ করে। ধার্মিক বিশ্বাস করে শান্তিময় পৃথিবীর। ধার্মিক জানে কীভাবে শান্তিতে থাকতে হয় এবং অন্যকে রাখতে হয়।
উগ্রতা ব্যক্তিগত। অজ্ঞতা উগ্রতার জন্মস্থান।

আবু জাহেলের নাম মূলত আবুল হেকাম। হেকাম অর্থ জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ। আবু জাহেল যখন হযরত মোহাম্মদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি তখনই তার নামের গুরুত্ব কমে যায়। আবু জাহেলের বাড়িতে আজ টয়লেট যেখানে প্রস্রাব করলে পুণ্য হয়। হযরত মোহাম্মদ আবু জাহেলের বাড়িতে প্রত্যেক দিন কয়েকবার করে যেতেন।  আয়াত নাযিল হলো তার বাড়িতে গিয়ে ফায়দা নেই। কারণ আল্লাহ তার দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন, শ্রবণযন্ত্র হ্রাস করে দিয়েছেন। আবু জাহেলও নিজের সবোর্চ্চ প্রয়াস দিয়ে হযরত মোহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীদের আক্রমণ, অত্যাচার করার চেষ্টা করেছে, অত্যাচার করেছে। কিন্তু হযরত মোহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীরা গ্রহণ করেছেন অহিংস নীতি। ইসলাম মনে করে, ইসলাম তরবারি দিয়ে জয়লাভ করেনি। ইসলাম জয়লাভ করেছে প্রেমে, ইসলাম জয়লাভ করেছে তার মানবিক নীতিমালা দিয়ে।

মুসলমানদের সংবিধানের নাম কুরান। কুরানের প্রথম সুরা `বাকারা' যার অর্থ গাভী, পশু। কুরানের সর্বশেষ সুরা `নিসা' যার অর্থ মানুষ। ইসলাম মনে করে, কুরান পাঠের মধ্য দিয়ে পশু মানুষে পরিণত হবে। অর্থাৎ পাশবিক চরিত্র মানবিক হয়ে উঠবে। কাউকে পেছন থেকে আক্রমণ করার শিক্ষা ইসলাম দেয় না। ইসলাম আক্রমণ প্রতিহত করে প্রেমে, আক্রমণ প্রতিহত করে যুক্তিতে।

হযরত মোহাম্মাদের নবুওয়াতী সময়েও ব্লগার ছিল যাদেরকে কুরানি কায়দায় বলা হত আ'শুরা। ইসলাম সেইসব আ'শুরাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জন্যও ইসলামের তরবারি সচল ছিল । তবে তরবারি তাদের কেল্লা কাটেনি, কেটেছে তাদের মন।

প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক জাতিতে ধর্ম লোকাচার হয়ে প্রবেশ করে এবং চর্চিত হয়ে থাকে। ফলে ব্যক্তিচিন্তা ধর্মের ইঞ্জিন চালনা করে। তাতে ফলাফল একটি হয়,
ফলাফলটির নাম দূর্ঘটনা।

হযরত মোহাম্মদ রোজা ভঙ্গের কথা বলেছেন খেজুর দিয়ে। কারণ খেজুর মরুভূমিতে সহজলভ্য। বাংলাদেশে খেজুর সহজলভ্য নয়। তাই বাংলাদেশে ইফতার করা উত্তম পানি দিয়ে। কারণ পানি বাংলাদেশে সহজলভ্য। দূর্ঘটনা ঘটে যখন বাংলাদেশও খেজুর দিয়ে ইফতার করার অতি উত্তম স্লোগান দেয়া হয়।

আরে ভাই, কেন ভুলে যায় মানুষের প্রয়োজনে কুরান, ইসলাম, ধর্ম। সেই মানুষের ক্ষতি করে কোনো ধর্মের গান সমাজে শান্তি দিতে পারে না, পারবে না।

ইয়াসরিব যার আভিধানিক অর্থ ভূতের রাজ্য। সেই ভূতের রাজ্যে হযরত মোহাম্মদ মনে করলেন প্রেমের গান শোনানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন থেকে হিজরত। হিজরত করে তিনি প্রচার করলেন প্রেমগানের উদারা, মুদারা, তারা। ইয়াসরিবে দেখা দিল সাম্যের মিছিল। ইয়াসরিব হয়ে গেল মদিনা।
ভূতকে মানুষ করার জন্যই তো ধর্ম, ভূতকে ধবংস করার জন্য এটম বোমা তৈরি হতে পারে কিন্তু ধর্ম না। তারপরও আমার মনে একটি জিজ্ঞাসা থেকে যায় --
ওম শান্তি ওম
সবাই যদি শান্তি চায়, বানায় কেন বোম

২টি মন্তব্য: