রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

লিখলে তবে

মেঘদূতের কথা আবারো স্মরণে আসলো। কালের চাহিদায় মেঘদূতের ভিবিন্ন ভার্সন আমরা পেয়েছি, আরও পেয়ে থাকবো। কিছুদিন নাকি পিরিতি গোপন রাখতে হয়। আমার কিছুদিন" শেষ হয় না। আমার মনে লালিত উপলব্ধি খুব ভাসমানভাবে অনেকেই বলে চলে, আমার ঈর্ষা হয় না।
তবে মাঝে মাঝে অসীম হৃদয়ের কথা ভাবি, যদি থাকত। একটি হৃদয় কেবল একটি ফুলের সবপাশে ঘুরপাক খায়, একটি ফুল হয়ে উঠে জীবন, পৃথিবী, প্রজাপতি। জীবনের একনিষ্ঠ অনুভূতিতে আমরা কত্ত সসীম!
সীমাবদ্ধতা অপরাধ নয়, অপরাধ তো তাই যা সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। সমাজ সীমাবদ্ধতা তৈরির মেশিন।
তবুও আমাকে চুপ থাকতে হয়, আমি নিজ থেকেই চুপ থাকি। 

শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫

দূরে, বহুদূরে

আজ তুমি দূরে, অনেক দূরে, যতটুকু দূরে গেলে দিগন্তেরও একটা অর্থ দাঁড়ায়। আজ তুমি অনেক দূরে যতটুকু দূরে গেলে আমার কান্নাও কাব্যতে মানায়।সোনালু ফুলের মতো আমি হয়ত মাকাল,হয়ত রজনীগন্ধা চোখের ভেতর, মনের ভেতর, আড়ালের ভেতর আড়াল। তোমাদের চেনা পৃথিবী ডাকে না আমাকে। তারপরও পৃথিবীতে জন্ম আমার। ঝিনুকের খোলসের মতো আমি প্রতিদিন খুলে খুলে পড়ি তোমাদের চিরচেনা গন্ধ অনিন্দ্য নিন্দা।
কেমন আছে তোমাদের পৃথিবী যেখানে আমার সামাজিক হওয়ার কথা?
অসামাজিক অভ্যাসে আজ তুমি দূরে বহুদূরে যেখানে মেঘ আবেগ হয়ে ঝরে।
আমি ছোট হতে হতে ছোট্ট হয়ে যাই, হয়ে যাই দুর্বাঘাসের সবুজ যেখানে তুমি নগ্ন পায়ে হাঁটো। আরও কত ছোট হলে মাননীয়া তোমার মন নগ্ন ফুল হয়ে উঠবে আমার ঘ্রাণের কাছে, প্রাণের কাছে? আঁধার থেকে আধারের দূরত্ব জেনেও মানুষ হতে চাই, মানুষের কানাকড়ি আবেগ যদি বিবেকের কাজে লাগে তাহলে তুমি পথে এসো প্রাণ, পথে থেকো প্রাণ, আমার সুর পৌঁছে যাবে যেখানেই থাকো, যেভাবেই থাকো, যতদূর দীর্ঘ হোক তোমার ভ্রমণ-হাঁটার পথ। 

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

বাবাজী

সবাই বলে বাবাজী অল্প খায়। আমিও তাই দেখি। কিন্তু বাবাজী না খেয়ে স্বাস্থ্য এতো ভালো রাখেন কীভাবে?  সারা শরীরে শুধু মাংস আর মাংস। টুল মাংস মিনিমাম আশি কেজি তো হবেই। অনেক ভক্তপ্রাণ মুরিদও বলে বাবাজীর খেতে হয় না। বেশি খেলে আত্মা মারা যায় এমন ওয়াজ বাবাজীও করেন। ধরেই নিয়েছি জান্নাতের সাথে বাবাজীর সরাসরি যোগাযোগ আছে। জান্নাতী খাবার অল্প হলেও হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ। আল্লার ফেরেশতা নিশ্চয় খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন মেশায় না।

আমারও ফরমালিনমুক্ত খাবার খেতে তীব্র ইচ্ছা। তাই বাবাজীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলাম। তাঁর সাথে সাতদিন ছিলাম। আমার শরীরের মাংস দুই কেজি বেড়েছে।

তাহলে কী বাবাজী আমার জন্যও জান্নাতের রেস্টুরেন্টে খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন?

অবশ্য, কেন নয়!

দয়াল বাবা কেবলা কাবা!

তবে দয়াল বাবার জান্নাতের নাম সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। দয়াল বাবা সরল মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে শরীরের মাংস বাড়ায়, বাড়ি- ঘরের জৌলুস বৃদ্ধি করে।
বাবাজী প্রতিদিন একটি গ্রাম সফর করেন। একটি গ্রামে বাবাজীর ভক্ত কম হলেও দুইশত। গ্রামের যে গরীব মানুষটি তিন বেলা ভালো করে খেতে পারে না, সেই মানুষটিও বাবাজীকে খালি হাতে ফেরত দেয় না। হাদিয়া হিসাবে নুন্যতম একশ টাকা হলেও বাবাজীর এ্যাকাউন্টে জমা রাখে। বাবাজী লাগবোনা লাগবোনা করে অন্য ভক্তদের কান খাড়া করে। কোনো কোনো ভক্ত বাবাজীকে দেখামাত্র গরুর সরাসরি দুধ উষ্ণ গরম করে বাবাজীর সামনে হাজির করে, আবার কোনো ভক্ত কচি মোরগকের রুস্ট  প্রস্তুত করে। বাবাজী তখন মৃদু হাসে আর বলে,

``পাগল, এই পাগলরা জাহান্নামে গেলে আগুন নিইব্যা যাইবো।"

 বাবাজী ভক্তের বাড়ি থেকে দোয়া না করে চলে আসতে পারেন কিন্তু কারো হাদিয়া, খাবার গ্রহণ না করে আসতে পারেন  না। কারণ ভক্তদের বোঝানো হয়েছে
বাবাজী খুশি থাকলে নবীজী খুশি, আর নবীজী খুশি থাকলে আল্লা খুশি।
বাবার এই আধ্যাত্মিক কর্ম দেখার পর আমি আর খুশিচক্রে নিজেকে আবর্তিত রাখতে পারিনি। তাতে হয়তো আমার জন্য জাহান্নামে একটি আগুনের রুমও বরাদ্দ হয়ে গেছে। আমারে দিয়া জাহান্নামের ফেরেশতারা বারবিকিউ বানাবে আর বাবাজী হয়তো আমার জন্য প্রার্থনা করবেন না। কারণ আমি তো তার জন্য হাদিয়া কিংবা খাবার মজুদ রাখতে পারি নি।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫

হাসান

হাসান।
জিয়াহল বন্ধন মেসের ওয়েটার। তার মাসিক বেতন তিন হাজার টাকা। তিন হাজার টাকার মধ্যে দেড় হাজার টাকা সে মোবাইল ফোনে বিনিয়োগ করে। রাত এগারটার পর পর তার সহকর্মীরা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু হাসানের চোখে ঘুম নেই। হাসানের কান গরম হয়ে যায়।  তবুও মন মোবাইল ছাড়তে চায় না। সারা রাত ফিস ফিস। কত কথা! মাথার নিচে বালিশ আছে কিনা, থাকলে বালিশের তুলা নরম কিনা -- এমন আরো, আরো গভীর গভীর কথা!

অকারণে ঝগড়া।
তখন হাসানের মন ভালো থাকে না। মন খারাপের সময়  ওয়েটার কিংবা মানুষ হাসানকে খুঁজে পাওয়া যায় না। হাসান তখন একেবারে অন্য রকম, বিদ্যুৎহীন বাল্বের মতন।

হঠাৎ হাসানের মুখে হাসি, হাসি দেখলেই বোঝা যায় আবহাওয়া স্বাভাবিক।

গত বৃহস্পতিবার ছিল সাত নাম্বার বিপদ সংকেত। প্রিয়ার গায়েহলুদঝড় হাজার মাইল বেগে হাসানের ভার্চুয়াল পৃথিবীর দিকে তেড়ে আসে। ঝড়ের আক্রমণে হাসান বিধ্বস্ত, মৃতপ্রায়।
শুক্রবারে হাসানের প্রিয়ার বিয়ে হয়। হাসান কাঁদে আর কাঁদে, তার চোখের নিচে জলের নালা, মনে প্রিয়হারা বেদনার কান্নার সুর। যে শরীর হাসানের অর্থভূমি সেই শরীরে প্রাণ নেই।

প্রাণহীন হাসান কতকাল সজীব জল ফেলবে?

হাসানও একদিন জেনে যাবে অনুরাগবিচ্ছেদে চোখের জল বিয়োগ করার চেয়ে ক্রিকেট খেলে ঘাম ঝরানো অনেক ভালো!

অভিশাপ

হৃদয়ের গভীরে একটি কুয়া আছে, গভীর এক কুয়া। কুয়াটি জলে পরিপূর্ণ। জলের মাঝে চাওয়া- পাওয়ার কুমির। কুমির হাত নাড়ে, পা নাড়ে। শরীরে দেখা দেয় জলের তুফান। চোখের নালা দিয়ে কিছু জল পৃথিবীতে পা ফেলে। জল পৃথিবীতে এসে নিরুপায়। সে জেনে যায় পৃথিবী ডোমদের বাস -- শুধু কাটে, কেবল কাটে আর তৈরি জরে ব্যবচ্ছেদ থিয়েটার। হৃদয়ের গভীরে একটি গভীর গিরিখাত। ভিসুভিয়াস লাভা পৃথিবীতে এসে জ্বালায়, পোড়ায়, পৃথিবী নতজানু, মেনে নিয়েছে তার অভিশাপ।

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

শহর

ইট- পাথরের এই শহরে প্রকৃতি অসহায়
রাজত্ব করে চলে এসিবক্স
ছাদের খাঁচায় বন্দী একঝাঁক কাঠালিচাঁপা
উড়ো উড়ো তার মন সাইনবোর্ডের মতো নিথর একা
ইঞ্জিনকে দাস করে মাইক্রো ছুটে চলে
আর রিকসাচালক আনার এখনো এই শহরের দাস
আদিম সভ্য সমাজ তোমাকে জিন্দাবাদ
শহরের বিকালে কিছু কাক কানামাছি খেলে
চোখকে টেনে নিয়ে যায় গ্রামের সূর্যান্ধ বাঁশঝাড়ে
কেবল কাকের খেলায় গ্রাম দেখে মুগ্ধ চোরা মাঠের শিশু
ডাবের জলে নিরাপদবোধ করে মরুপ্রাণ মানুষ
তবুও মানুষ শহর বানায়
শহর আর মানুষ, মানুষ আর মৃত্যু ভাই ভাই
কানে- মুখে চলে তারা, তারা শুধু ধবংস সাজায় 

ধূলামলিন

পথধূলার মানুষ আমি ধূলাগায়ে হাঁটি
জংলার কিছু লতা পাইয়্যা ঘর বানাইয়া থাকি
সরিষাফুলের স্বপ্ন আমার আন্দার রাইতে জাগে
স্বপ্নগুলো রঙ্গিন লাতা বেনলাইতে ডাকে
আমার মনের স্বপ্নখোকা সকালে চেয়ে দেখে
ধূলাগায়ের মানুষ সকল স্বপ্নখোকা আঁকে 

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

দূরের মহাকাব্য

খুব কাছে এসে শেখালে দূরের মহাকাব্য
ভালো থেকো এইভেবে এখনো সকাল হলে পাখি ডাকে
সুরঞ্জনা বলে না কথা ঐ যুবকের সাথে
মনিয়ার ঘরে যদিও রাত, শীত আর শিশিরের জল
এন্টিবায়োটিক মৃত্যুর কাছে সবই আপন, সবই পর
কোলাহলে গমন রমণপাপ যেমন তেমন
উপহার দিয়েছ জীবন
এখন শেখাচ্ছ মৃত্যু কেমন 

সোমবার, ২৫ মে, ২০১৫

চাঁদ মামা

শিশুর কাছে চাঁদ সুন্দর মামা, জলপরিবারে চাঁদ রক্ষাকর্তা বিষ্ণু। চাঁদ সম্পর্কে শিশুদের বোঝানো হয় আর জলপরিবার কার্যকরণে উপলব্ধি করে। 

রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫

ভাষা

কইতা রিনা আমি = বলতে পারি না আমি
মতলব = ইচ্ছা, অভিলাস
কনদা নামবা = কোন দিক দিয়ে নামবে
সুন্দর অইবো = সুন্দর হবে

থিরি= তৃতীয়
কমু আমি = আমি বলবো
যাই ত = হুম, যাই
আইফুরমু = আসবো

ছক্কা খেলা = লুডু খেলা
নিচে যা = নিচে যাও
চারহি = চাকরি
চিললান = চিৎকার

লেম্বু = লেবু
কিএললাইগ্যা = কী কারণে
লেং দেয়া = কৌশলে পা দিয়ে পায়ে আঘাত
বেততমিজ = বেয়াদব

ছাইরা দে = ছেড়ে দাও ( তীব্র রাগ এবং আকুতি প্রকাশ)
আইচ্ছা = ঠিক আছে
পাকনা= পরিপূর্ণ পাকা, অকাল পক্ক
পাকনামী = অতিরিক্ত পাণ্ডিত্য প্রদর্শন

গাডা= আঙ্গিনা ~ বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায়না = কোনোজন নিকটজনকে গুনীজন হিসাবে মূল্যায়ন করে না। 

এক

আকাশ যখন বুকপকেটে চাঁদের হিসাব চাই না আর

শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫

ভালো থাকবে পৃথিবী

মাই টিভির সামনে সমির চা-স্টল। চা-স্টল হলেও সকালে নাস্তা তৈরি করা হয়। বাংলামোটর দিয়ে যাচ্ছি, চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে বেশ।  চা খেতে আমি সমির চা-স্টলে। চা দিতে যথেষ্ট লেইট করছে।

 মামা, চা খেতে মক্কা যাওয়ার সময় লাগবো নাকি?

বহেন, লেইট অইবো।

তাড়াতাড়ি দাও।

সইয়া-রইয়া খাইতে চাইলে বহেন নতুবা চলে যান।

আমার উপরে এমন কথা!  ওর সাহস দেখে অবাক হলাম। আবার ভাবলাম মূর্খ মানুষ অধিক সাহসী হয়( হাতি ঘোড়া গেল তল /ভেড়া বলে কত জল)। আমার ডান পকেটে  Ak47, বাম পকেটে যে বাংলাদেশ ব্যাংক থাকে এই খবর হয়তো সমিরের নেই। উঠে চলে আসছি এমন সময় একটি শব্দ কানে আসে--

যতসব বেহুদা মানুষ।

মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারলাম না। সমিরের মাথাটা হাসপাতালে পোস্টটিং করে দিলাম। তার ফাটা মাথা এখন হয়তো চিন্তা করতে পারবে বেহুদা মানুষ কাকে বলে।


বৃহস্পতিবার। রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে গেলাম। উদ্দেশ্য হারিয়ে যাওয়া মার্কশিট উত্তোলন। মুহিত দাকে বললাম,

``ভাই, আজকেই আমার মার্কশিট লাগবে, রোববারে পিএসসিতে আমার সমস্ত কাগজ-পত্র জমা দিতে হবে।"

মুহিত দা মুখস্থ হাসি দিয়ে আমার পক্ষে সম্মতি জানাল।
কিন্তু মুহিত দা আমার মার্কশিটের কাজ সমাপ্ত করেনি। পিএসসিতে আমার কাগজ জমা দেয়া হলো না।  রাগ করলেও আমার শরীরের রক্ত স্বাভাবিকভাবেই প্রবাহিত হয়। একটু গভীরে গিয়ে ঘটনাটা জানার চেষ্টা করলাম।

মুহিত দার বাসা মাই টিভির সামনে। সে প্রত্যেক দিন সকালে সমিরের দোকানে নাস্তা করে। বৃহস্পতিবার সকালেও সে নাস্তা করতে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখে দোকান বন্ধ। সে অন্য কোথাও নাস্তা না করে সরাসরি ডিউটিতে চলে আসে। বিজ্ঞান বলে হাংগার মোড থাকলে মানুষ স্বাভাবিক মেজাজে কাজ করতে পারে না, অনেকের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। মুহিত দা যেহেতু হাংগার মোডে ছিল তাই সে আমার কাজটি সমাপ্ত করতে পারে নি, করে নি। আমারও বিসিএস দেয়া হলো না।

এখন আমি ভাবি, আমি কী সমিরের মাথা ফাটিয়ে ছিলাম, না আমার! 

শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে গ্রামের যে সরল ধূলিকণা শরীরের লেপ্টে ছিল তা একেবারে পরিষ্কার করে ফেলি। এখন কসমিক স্নো মাখি, সেটওয়েট পারফিউম ব্যবহার করি। আমার কাকফর্সা শরীরখানা একেবারে দলা হয়ে গেছে। আমারে একেবারে ইংরেজদের লাহান লাগে। আয়নায় যখন নিজেরে দেখি তখন নিজেরে দলা চেহারা দেখে লেহালুয়া লেহালুয়াবোধ করি। তারউপর আবার রাজনীতি করি, ফোল টাইম রাজনীতি। আমি ডাক দিলে মিনিমাম একশ পোলাপান হাজির। ওদের যা কমু, বাংলা সিনেমার বিলিনদের লাহান তাই করব। অপারেশন শেষ কইরা কইবো,
 `ভাই ,সব হালাস'।

মতি মিয়া চান্দা পাঠায়নি, হে সকালে ঘুম থ্যাইকা উঠে দেহে হের দোহান হেলার মাঠ হয়ে গেছে।

আমি যা কই তাই সত্য, তাই নীতি, আমার উপরে কারো কথা নাই। আমারে আঙ্গুল তুইল্লা আক্কাস আলী কইছিন,

``ভাই, ইডা ঠিক না, দশটা টেন্ডারের মাইদ্যে আটটায় আপনার।"

 শালা আমারে ঠিক- বেঠিক বোঝায়, হের জন্মের আগে আমি নীতিবাক্যের ওয়াজ করতাম। তাই হেরে জান্নাতে পাঠাইদিছি, হের আঙ্গুল হুর গেলমান লুইট্যা পুইট্যা খায়তাছে।

কত জনের জীবন আমি একেবারে উজালা বানাইদিছি। এই তো, কয়েক দিন আগের কথা, চুমকি আইয়্যা কইল,
``ভাই রাজনীতি করুম"।
আমি হের সারা শরীরের তারার সংখ্যা হিসাব করলাম, এরপর কইলাম,
``আজ্জা রাইতে আমার রুম খালি আছে, আইও।"

সারারাত চুমকির সাথে ফুটবল খেললাম। তারে চিনাইদিছি মিডফিল্ড, কর্নার, ডিফেন্ড, সেন্ট্রাল ডিফেন্ড কাকে বলে। এখন সে রাজনীতির প্রত্যেক খেলায় মেন অব দি ম্যাচ।

রাস্তায় বাইর অইলে চিনি না এমন দূর্বাঘাসও আমারে সালাম দে। কোনো শালা সালাম না দিলে তার কপালে শনি। প্রত্যেক জায়গায় আমারে কদর করতেই অইবো।

হালা, আমারে যে আজ চিনবা না, কাইল চিনবা, যে আমারে কাইল চিনবা না, পুরসু চিনবা, আমারে চিনতেই অইবো, নাম আমার রাজনীতিবাবা।

বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

ইঁদুর

ইঁদুর বিড়ালের খেলনা নয়, খাবার। বিড়ালের জীবনের প্রয়োজনে ইঁদুরের জীবন প্রয়োজন। জীবন খেয়ে জীবন বাঁচে জীবনচক্রটিই এমন।


Mouse is not tiny toy of the cat. Mouse is food for cat. For the existence of the cat the life of mouse is essential. Life protects life being biological reverse.  

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

বউ

কিছু প্রিয়জন ভয় পায়, বউ পায় না। তাইতো ভয় আছে মনে, বউ গেছে বনে। 

সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

শান্তিনিকেতন

প্রিয় শান্তিনিকেতন,
কেমন আছো? ভালো আছো জানি।তোমাকেই তো ভালো থাকতে হবে, তুমি ভালো থাকলে যে পৃথিবী ভালো থাকে। প্রকৃতির মাদকতা আর প্রজ্ঞার প্রভা নিয়ে তুমি ঘুমাতে যাও, ঘুম থেকে ওঠে দেখো নিশ্চুপ সকাল, আনমনে সূর্য, রবীন্দ্রনাথের ভক্তিপ্রাণ গানের নিকুঞ্জ।প্রত্যেকের একটি অদৃশ্য হৃদয় আছে, হৃদয়ে হৃদয়ে অদৃশ্য যোগাযোগ অব্যাহত থাকে নিত্যনিয়ত। তাই বিশ্বাস করি তুমি- আমি এক প্রাণ, প্রাণের পরমা। প্রাণের সেই মোলায়েম জায়গা থেকে তুমি আমার প্রাণের বন্ধু।

বন্ধু, একটি গোপন কথা ছিল বলবার, সময় হবে কী তোমার?

প্রদেশ কাকু। বাড়ি ময়মনসিংহ। পুলিশের চাকরি করেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে তাঁর সাথে দেখা। মৈত্রী এক্সপ্রেসে উঠবো, কাকু ক্যান্টনমেন্টে কর্তব্যরত। ট্রেন প্লাটফর্ম ছেড়ে যাবে আটটা দশ মিনিটে। এখনো এক ঘন্টা হাতে আছে। আশেপাশে চেনামানুষ কেউ নেই। সব মানুষ যখন অচেনা তখন প্রদেশ কাকুর চোখটি খুব চেনা মনে হল। প্রত্যেকের চোখ একটি মহাসাগর। চোখের কোনো দেশ- কাল নেই, চোখের কোনো বর্ডার নেই, চোখের কাছেই কেবল নিরাপদবোধ করি। কাকুর আর আমার চোখাচোখি। কেমেস্ট্রি মিলে গেল। বেস, শুরু হল কথা। সামাজিক সম্পর্কের বাইরে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে কেবলই প্রাণের জায়গা থেকে। প্রাণের কথা প্রাণকে স্পর্শ করে। প্রাণে প্রাণে স্পর্শখেলায় বয়ে গেল একটি ঘন্টা। কাকু আমাকে সিট পর্যন্ত রেখে গেলেন  এবং বাবার মতো ছোট একটি বাক্য আমার মনে রেখে দিলেন --

``তোমরা বাংলাদেশের সম্পদ, ভালোভাবে দেশে ফিরে এসো।

বড় ধরনে ধাক্কা খেলাম। দেশে ফিরে এসো " কথাটি সাধকটাইপের কথা মনে হলো। অন্তর যাঁরা পড়তে পারেন তারাই এমন কথা বলতে পারেন।
অন টাইম বলতে যা বুঝায় সেই টাইমে ট্রেন  যাত্রা শুরু করে। আমার পাশের সিটে যিনি বসে আছেন এক বাক্যে বললে very fine young man। আস্তে আস্তে কথা বলেন কিন্তু আমাকে ব্যস্ত হয়ে শুনতে হয়--

This is Bangladesh, that is India, it is an egotist problem, not more than. whatever আমরা যদি বর্ডার না মানি!

ত্রিশ- পঁয়ত্রিশ বয়সের এই ভদ্র লোকটি পৃথিবীর অনেক দেশে ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু চমৎকার শামুকটাইপের মানুষ। তার কাছ থেকে অভিযান চালিয়ে কথা উদ্ধার করতে হয়। গেদা চেক পোস্টে তার কাছ থেকে জানতে পারি, ভারতীয়রা বিস্কুট পছন্দ করে। দশ রুপি দিয়ে বিস্কুট কিনলাম। দারুণ টেস্ট।

ট্রেনের n1 কামড়াটি আমাদের,  আলোচনার সভাকক্ষে পরিনত হলো। আলোচনার বিষয় প্রশাখামাতৃক। বাংলাদেশীরা কারনে -অকারনে অনেক কথা বলতে পারে। এক একজন মানুষ কথা বলার এক একটি ননস্টপ মেশিন। কুসুম কুমারী দাশের কথা খুব মনে পড়ল ( কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হও)।

ট্রেনে হুজুর আঙ্কেল নাস্তা খাচ্ছেন। আমিও কিছু একটা খাচ্ছি। আঙ্কেল আমার সাথে কলা শেয়ার করলেন। আমি কলাটি সংরক্ষণে রাখি। চিতপুর স্টেশনে ল্যান্ড করবো, পৌঁছাতে মিনিট দশেক লাগবে। হুজুর আঙ্কেলকে কলাটি ফেরত দিলাম। আঙ্কেল যা বোঝার বুঝে গেলেন, আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তিনি হয়তো তা বুঝতে পারেন নি।

চিতপুর স্টেশন থেকে বাসে করে হাওড়া স্টেশনে । সব চোখ অচেনা। আমার একটি চোখও আরেকটি চোখকে দেখে না। হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছে গোপীনাথ। আমি তাকে আদুরে ডাকি `ছোট'। হাওড়া স্টেশনে  পৌঁছানোর পর নতুন দৃশ্য চোখে আসে। জলের মতো জনতার স্রোত। মাছিকুঞ্জবনে যেন হাঁটছি।
ছোট আমাকে আগে দেখেনি, আমিও। তারপরও আমি তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। অবশ্যই মোবাইলমিডিয়ার অবদান স্বীকার্য। ট্রেনে করে আমরা চলে গেলাম চাতরা, শ্রীরামপুর। জীবনে প্রথম কোনো ট্রেনে যাত্রা করলাম যে ট্রেনের কামড়ায় কোনো ক্লাস নেই। সিট খালি থাকা সাপেক্ষে বসানীতি।
মাসি আমাদের জন্য খাবার নিয়ে বসে আছেন। তখন শীতলাপূজা চলছে। তাই ঝাল- ভাত হবে না। আমরা লুচি খেলাম। বন্ধু, সুপ্রিয় বারবার খোঁজ নিচ্ছে।
সুপ্রিয়ের বাসায় দুদিন থাকলাম। স্নেহের সঠিক অর্থ মাসীর কাছ থেকে জানতে পারি। নদীর মতো করে পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আমার পরিসেবায় ব্যস্ত। আমিও অবশ্যই বার বার বলেছি, ``গেস্ট হতে আমার ভালো লাগে না, মেম্বার হয়ে থাকতে চাই, যে কটা দিনই থাকি।"

সুপ্রিয়  হাওড়াফুলী স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করে ট্রেনে তুলে দিল আমাকে। বীরভূম যাচ্ছি। রাজা বীর সিং বেঁচে থাকলে ভালো হতো। সুপার ফাস্ট ট্রেন। বসার সিট খালি নেই। দাঁড়িয়ে আছি। দাঁড়িয়ে থাকাও একধরনের বসে থাকা। কিন্তু আমার চোখ কোথাও ঠাঁই খুঁজে পাচ্ছে না। কোনো চোখে প্রেম নেই। কেবল যন্ত্রের হাহু শব্দ। একজন বেশধারী সাধকের দিকে দৃষ্টি পড়ে। ভেবেছি তার চোখে প্রেম থাকবে। ও মা! তার চোখে প্রেম নেই। প্রেমহীন আমি যে জলহীন মাছের মতো। প্রেমই আমার কাছে বেঁচে থাকার অক্সিজেন।

বীরভূম রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকসা নিলাম। বাংলা মদের কাঁচা গন্ধ। মাতাল হয়েও রিকসা চালানো যায়! কথা বলার চেষ্টা করলাম। অবাক বেবাক কথা শুনি। তাই কথা বলা আগ্রহ চাপা দিলাম।

রিকসা চলে আসে International boys hostel এর সামনে।
তখনও বুঝতে পারেনি আমি তোমার কাছে চলে এসেছি, তোমার কাছে।
স্নান করে ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে ওঠে নতুন জীবন পেলাম, প্রথমবার তোমার চোখে সত্যিকারের প্রেম পেলাম। বাই গড তোমার চোখে আমার প্রেম খুঁজতে হয়নি। বরং প্রেমের মাঝে যেন সমর্পিত হয়েছি কোনো এক মেঘবলাকার সরল টানে। তোমার প্রতিটি দৃষ্টি উপলব্ধি করেছি আমার সমস্ত অনুভূতি নিয়োগ করে। তোমার প্রতিনিধি বিনয় ভবনের দেবদারু বৃক্ষের নিচস্থানটি অকহতব্য অনুভূতির জন্মস্থান। সৃজনী শিল্পগ্রাম হৃদয়স্মৃতির সহজিয়া গান। তোমার দেহের ভাঁজে ভাঁজে যে সুর তা যেন বাংলা মদের লাহান, ভুলেভালে একবার খেলে আর ভুলা যায় না। মনকানা শুধু গাছের শুন্যতায়  রূপালি চাঁদ খুঁজে যেখানে তোমার লাবণ্য ফাদ পেতে রাখে। লাল মাটির তুমি যেন স্বলাজ কুমারী, তুমি যেন স্বপ্নের হাসি।
সাগরের ঢেউও সৈকতে কিছু বালি দিয়ে যায়,
কিছু নিয়ে যায়, আমার স্মৃতিঢেউ কেবল তোমার সৈকতে ভাসে, কিছুই তোমাকে দিতে পারে না, আমি এমনই অক্ষম,
বলো, অক্ষম হওয়া কী অপরাধ?
তুমি সক্ষম বলেই আমার অক্ষমতা সামাজিক। আজও লেপ্টে আছি পূর্বপল্লী, অরশ্রী মার্কেট, রতন পল্লী, ফাস্ট গেইটের কানায় কোনায়।
ভুলে যেও না প্রিয়,
প্রিয়তার ভুল শুদ্ধতার সর্বনাম।

শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫

পচা

সব পচা গন্ধ ছড়ায় না,
হৃদয়ের পচা ক্ষতে মাছিও বসে না

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

না এবং না

বাড়ির পাশে মেঘনা নদী। সাঁতার শেখার আগে নদীর কিনারায় বসে বসে ঢেউ হয়ে যাই। ঢেউ হয়ে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হই। আস্ত বিকাল চুপি চুপি ঢেউয়ের সাথে, জলের সাথে কেটে যায়। কাটা নয়, বয়ে যায়।

সাঁতার শেখার পর জলমগ্ন আমার মন। সুযোগ পেলেই নদী হয়ে উঠে আমার শৈশবের বন্ধু- বান্ধবী। কিছুদিনের মধ্যেই রেড এলার্ট জারি করেন অভিভাবক মহল। সব দিকে যাওয়া যাবে কেবল নদীর দিকে নয়। নদীতেই নাকি আমার দিদির সলিলসমাধি হয়েছিল, আমিও যদি।

তারপর থেকে নদী আমার চোখের,
আমার মনের মিউজিয়াম।

শেষ বল কিন্তু রান প্রয়োজন ছয়। আকরাম খান তাঁর বুড়ির সমস্ত শক্তি হাতে এনে তুললেন ব্যাট, গোল বল চলে গেল সরাসরি সীমানার বাইরে। বাংলাদেশের শিরা- উপশিরায় আনন্দের মাতম। আমিও আনন্দিত হয়েছি বেশ। চোখ দিয়ে ক্রিকেট খেলা সরাসরি আমার মগজে চলে গেল। মন্ত্রপাঠের মতো মগ্ন হয়ে ক্রিকেট খেলি। এলাকার বড় টিমের সাথে একমাত্র ছোট খেলোয়াড় আমি। সবাই আমাকে জন্ডিরোজ বলে সম্বোধন করে। আমিও আনন্দে চিপসের প্যাকেট হয়ে যাই। একদিন ঠাকুরমা বললেন,

``প্রেমিক আমার, বড়দের সাথে ছোটদের খেলতে নেই।"

তখন থেকে আমি আর খেলতে যাইনি, সকাল- সন্ধ্যা শুনি ধর্মের কাহিনি।

প্রত্যেক রোববার, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হলেই চলে যাই মিলাদ মাহফিলে। ঘরে ফিরি কখনো রাত একটায়, কখনো দুইটায়। প্যান্টের পকেটে থাকে তাসবীহ, সারাক্ষণ চলে আল্লা জাল্লা শাহনুহুর জিকির ও তাঁর পেয়ারা হাবিব, আকারে মওলা তাজদারে মদিনা হযরত মোহাম্মদ সাল্লেহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরুদ। কোনো নারীর দিকে তাকায় না আমার তের- চৌদ্দ বয়সের চোখ, পাছে পাপ হয়। প্রতি বছর বাবার চাচাদের সাথে মসজিদে ইতেকাফে বসি। আমার কাছে লোক আসতে শুরু করে পানিপড়া নিতে। আমি লজ্জায় মরি মরি। ধর্মগুরু এক রাতে আমাদের বাড়িতে আসেন। আমাকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে তিনি বলেন,

``এতো ছোট্ট বয়সে ধর্মের এতো গভীরে যেতে নেই, তোমার কাজ পড়াশোনা করা, এখন শুধু পড়াশোনা কর।"

তারপর থেকে আমি ছাত্র। ছাত্র নং অধ্যয়ন তপ। সারাদিন বই পড়ি। রাস্তায় বের হলেও হাতে থাকে চিরকুট। ঘুমেও পড়তে থাকি। এলাকায় প্রচার হয়ে গেল আমি নাকি মেধাবী ছাত্র। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে যায়, আমি তখন ঘুম থেকে উঠি। আমার সাথে জেগে থাকে কেবল বাবার বাড়ির পোষা কুকুরটি। এলাকায় একটি ডাহের বাফের কথা আছে,

``বেশি বেশি কিছুই ভালো না"।

গভীর রাতে আমি টেবিলে বসে পড়ছি। মা আমার আস্তে করে পাশে বসলেন, মাথায় হাত রেখে বললেন,

``বাবা, তুমি আমার বংশের চেরাগ, তোমাকে এতো পড়তে হবে না।"

তারপর থেকে আমি আর বই পড়ি না। মানুষকে পাঠ করার চেষ্টা করি, সাংবাদিকতা করি, দুই একটা রিপোর্ট লিখি। শত্রুর সংখ্যা বাড়তে থাকে । আমি হয়ে উঠলাম তথায়কথিত সাংবাদিক।আইরনি করে অনেকেই আমাকে ডাকতে শুরু করে গাংবাদিক। স্বাস্থ্য ক্লিনিকের রোজি আপা আর আমার সাথে হাসি দিয়ে কথা বলে না, ডাক্তার কুয়াশা ভাই আমার প্রিয়জনের কাছে আমার বিরুদ্ধে  অভিযোগ দাখিল করে।
তখনই প্রথমবারের মতো বাবার নিষেধাজ্ঞা আমার ইচ্ছার উপরে নাযিল হয়। আমার আর সাংবাদিক হয়ে উঠা হলো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম বিশ্বমানের মানুষ হওয়ার জন্য। হলে আমার জন্য কোনো সিট নেই। সিট নিয়ে থাকতে গেলে রাজনীতি করা লাগবে। অথচ গ্রামের বড়জন আদেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যেন রাজনীতি না করি। রাজনীতি শব্দটি আমার কাছে সুন্দর বনের বাঘ হয়ে দাঁড়াল, আমি হয়ে গেলাম ভীতু হরিণ। সাহিত্যের ছাত্র হয়েও আমার মতো করে কিছু লিখতে গেলে মানা, পরীক্ষার খাতায় খেলতে হয় মেথ মেথ খেলা। প্রাণের জ্ঞানীজন  বলেন,

``পরীক্ষা একটি সিস্টেম, সৃজনশীলতা প্রকাশের জায়গা না।"

 আমি এখন শুধু ভাবি, কেবলই ভাবি,
এতো ``না" এর মাঝে  `` হ্যাঁ" কোথায়?
এতো `` না " এর মাঝে  আমি কোথায়?

বুধবার, ১৩ মে, ২০১৫

চিম্বুক থেকে

একটি ছবি আঁকবো বলে
অনেক ছবি আঁকছি
একটি লেখা লেখার জন্য
মাকড়শাজাল বুনছি
একজন মানুষ পাবো বলে
মানুষের ভীড়ে হাঁটছি
চিম্বুক থেকে ঘ্যাংটক
সূর্যমাথায় ঘুরছি
একটি স্বপ্ন জন্ম নিলে
আবার আলো জ্বলবে
মানুষগুলো অস্ত্র ছেড়ে
প্রেমের গান গায়বে 

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০১৫

শ্যামের পিরিত

শ্যামের পিরিত গোপন থাকলে মন করে উতলা

কালো মেঘের উড়াল তখন বাড়ায় মনের জ্বালা

মেঘবেলা মৃত্যু হয়ে আসে আমার কালা

ভ্রমরমিলন কামঘরের খুলে দিল তালা 

সোমবার, ১১ মে, ২০১৫

অনন্ত

এখন গভীর রাত, যতটুকু গভীর হলে রাতের একটি অর্থ দাঁড়ায় ততটুকু গভীর।
রাত এতো ভালো লাগে কেন?
জন্মঘর থেকে পৃথিবীতে লেন্ড করেই সূর্যস্নানে মেতেছিল আমার চিৎকার। সূর্যআলো আমার প্রথম পৃথিবীবন্ধু , আজো আমার শিরদাঁড়া সূর্যআলোর অভীক সন্তান। তারপরও আলোর বিপরীতে আমার পছন্দের অবস্থান।
পছন্দ, তুমি এতো অকৃতজ্ঞ কেন?
অন্ধকারের মিছিলে ঝাঁক ঝাঁক নৈশব্দিক বার্তা পৃথিবীতে নেমে আসে। অনুভূতিকে ধৌত করার তখনই প্রাকৃতিক সময়। প্রাকৃতিক সময় এক উদ্ভুত আঁধার যার কোনো ইন্দ্রিয় নেই অথচ ইন্দ্রিয় তৈরি করে ভোগের কালিঘাটে।
সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় অন্ধকার, বদলে যায় জীবনের কামিনী স্রোত। শেষ পর্যন্ত আলোরা স্বপ্ন, অন্ধকার সেই স্বপ্নের প্রাচীন সুর। 

শনিবার, ৯ মে, ২০১৫

সেলিম আল দীন

সেলিম আল দীন,
বন্ধু আমার,
কেমন আছো?
নিশ্চয় ভালো আছো। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমার তো আর ভালো থাকতে পয়সা লাগে না। আমাদের ভালো থাকা অবশ্যই পয়সা দিয়েও হয় না। এখন চলে টাকার হিসাব। আজিজের এক কাপ চা পনেরো টাকা, হাকিমের লেবু মিশ্রিত এক কাপ গরম পানিও পাঁচ টাকা।

তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমাকে তো আর বাংলা বিভাগে পড়তে হয় না, যেখানে চলে ঠোঁট টু কলমস্থ বিদ্যার বাহার, সৃষ্টিশীল উত্তর লেখা যেখানে নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ।

বন্ধু জানো,
তোমার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে বাংলা বিভাগ। বাংলা বিভাগের সিলেবাসে এখন দেখা মিলে  রুস্তম, ইদল হক, লাউয়া কন্যাদের সমাহার। রঙ্গমঞ্চে দেখতে পাই তোমার বেদনার অভিসার।এসো একবার বাংলা বিভাগের করিডোরে, দেখবে বনশ্রী মালা, ডালিমনের চমৎকার প্রামাণিক হালচাল।  

বনশ্রী বালা,
অনেক বছর পর তোমার দেখা পেলাম, তোমার মনে যে আয়াত নাযিল হয় তা তো রবি দা কিংবা ছায়ার বুঝবার কথা নয়। বিষ তোমাকে খেতেই হবে। মরণই তোমার মুক্তি। পরপারে তোমার নায়েবের দেখা পাবে। নায়েবই জানে তোমার হাসির বিমূঢ় খেলার নিগূঢ় রহস্য।

বনশ্রী বালা,
মালকারা শুধু বেঁচে থাকতেই জানে, মরতে জানে না।
আরে মালকা,
মরলেই জীবনের মানে জানা যায়, ছয় তলা জানে পাঁচ তলার সরল ইতিহাস।

বন্ধু,
সেলিম আল দীন,
বনশ্রী বালা কী তোমার নারী সত্তা!
জানি, তুমি উত্তরের পৃথিবীতে যাও না,
তুমি তো ভালোবাসার মতোই নিয়ত একা।
বল না, বনশ্রী বালা কী তোমার নারী সত্তা? 

শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫

কাব্য মাতাল

আমি কিন্তু তোমার কথা ভাবি
তোমার চোখে আকাশ, পাহাড়, নদী
মাঝি হয়ে চালাই যখন তরী
তুমি তখন কাব্য মাতাল ছবি
চোখ ভরা নীরবতায় তোমার ছবি আঁকি
বুকপকেটে প্রতিজ্ঞাফুল গন্ধ নিয়ে বাঁচি
একের ঘরে দুইয়ের খেলা তবুও আমি হাসি
চোখের জলে মন ভাসে না, মনের জলে ভাসি 

অভিনয়

অভি মানে সত্য, নয় মানে অনুপস্থিত। অভিনয় মানে সত্যের অনুপস্থিত। মিথ্যাকে সত্যের মতো করে উপস্থাপন করাই অভিনয়। ঘোড়ারক্ষক শেক্সপিয়ার মানুষকে রঙমঞ্চের অভিনেতা বলেছেন। আসলেই সামাজিক জীবনে আমরা  ভালো অভিনেতা। ফলে আবৃত থাকে স্বাভাবিকতার অমৃত সৌন্দর্য।
কৃত্রিম আহবান কানে পৌঁছে, প্রাণে পৌঁছে না, কৃত্রিম দৃশ্য চোখে প্রবেশ করে, মর্মে প্রবেশ করে না। 

ধৈর্য

আজকের পৃথিবী ধৈর্যের,
আগামীকালের পৃথিবী মানুষের

This day for patience
The morrow is for humanity 

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫

বুধবার, ৬ মে, ২০১৫

আন্ধারে

সুখী হতে চায় যারা সুখী হবে
আমি না হয় চাপা পড়ে যাবো কোনো এক গভীর আন্ধারে
আন্ধারফুল গন্ধ ছড়ায় অমলিন
বিদীর্ণ হাহাকারে যদি কোনো রাত নামে
বিধ্বস্ত পথিক রাস্তাপাশে পাবে আমার দেখা
আমি তখন আন্ধারফুল গন্ধ ছড়াই ছোপ ছোপ বিমল ক্লান্তি রেখায় 

সোমবার, ৪ মে, ২০১৫

প্রজাপতি ...

পৌরাণিকসত্য অবচেতন এলাকার কথা বলে। আজকের আমরা আগামীকালের পৌরাণিক প্রাণি হয়ে উঠি চিন্তা থেকে চেতনায়।  পৌরাণিকসত্য বলে তুমি ছিলে আমারই অংশ, আমিও তোমার।
জিউসের খুব ঈর্ষা হচ্ছিল। দেবতার ক্ষমতার কাছে  আমরা নগন্য। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল আমাদের। জ্ঞান ফিরে দেখি আমারই আরেকটি অংশ আমার সাথে নেই। তারপর থেকে তোমাকে খুঁজতে শুরু করি।  নিউজিল্যান্ড থেকে নরওয়ে, নরওয়ে থেকে আরশে আজিম, কোথাও তোমার দেখা নেই। আশাহীন, ভাষাহীন চলতে থাকি একা একা কালের পর কাল, ছায়ার পর ছায়া। তুমিও বসা পৃথিবীর এক কোণায় আমারই প্রতীক্ষায়। কতবার তোমার ছায়াকে দেখেছে আমার প্রতীক্ষার চোখ। তোমার কায়াতে যেদিন প্রথম বারের মতো চোখ পড়ল সেইদিন প্রথম বারের মতো পরিপূর্ণ অনুভব করলাম প্রাণের শিহরণ। আমার অন্তরআল্লা নাযিল করল প্রথম আয়াত--

এতো দিন কোথায় ছিলে?
কোথায় ছিলে প্রজাপতি !

প্রান্তিক রেলওয়ে স্টশনের শুন্যতায় তখন তুমি আর আমি। আমরা আর শুন্যতা মিলে এক চাঁদের কথা ভাবলাম, অনেক রকম জোছনাস্বপ্ন জন্মে নিয়েছিল আমাদের ভাবনায় । আমাদের চারটি চোখ তখন পৃথিবীর গভীর গিরিখাত, আমরা ছিলাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলর গ্রাউন্ড ফ্লোরে। পুরাতন অনুভূতি চমৎকারভাবে ইন্সটল হলো দেহের প্রত্যেক ভাঁজে।
আজকে আমি পূর্ণাঙ্গ মানুষ, তুমিও।
অর্ধেক মানবী তুমি নও,
অর্ধেক ছিলে এক কালে।

রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

সম্পর্ক

সম্পর্ক ভেঙে গেলে থেমে যায়, থেমে যায় কাঁচুমাচু কৌতূহল, থেমে যায় নীলঘরের শপথ, দয়িতাদহন।
আকাশ ভেঙে গেলে আরেকটি আকাশ,
নদী ভেঙে গেলে আরেকটি নদী।
আকাশ আর নদীর মাঝখানে সহজিয়া গদি। 

ধূপছায়া

ভালোবেসে হোক, ঘৃণা করে হোক, এখনো কেউ আমার কথা ভাবে জেনে গেলে ভালো লাগে।  বুদ্ধির শেকড়ে ওঠে ঘাসফড়িঙের নাচ। এক বচ্ছর থেকে এক হাজার বচ্ছর ঘৃণা কিংবা তৃণ হয়ে থাকলেও পা জানে না মনের খবর।
ফ্যালফ্যাল করে দৃষ্টি ফেলি তারাদের উপর।
ক্রমানুসারে বেড়ে চলে দূরত্বের নাচন।
আমাদের চির অচেনা পৃথিবীতে ভুল যার নাম ভালো থাকুক তারা,
ফুল যার নাম ভালো থাকুক তারা
কালো কার্পেট পদলেহনে ব্যস্ত থাকুক
ব্যস্ত থাকুক ঘৃণার ধূপছায়া, লাল আর নীলের শহর যেখানে জমা থাকে ছদ্মবেশের উঠা- নামা।
আর আমি?
জেলির মতো নরম কোষপ্রাণ হয়ে বসে আছি আদমের দেহের আঙিনায়।

বাইলসা

বাইলসা = বালতি
হাবান = সাবান
কৈরকা = মুরগি
আহেক = আসো, এসো

ওটি = ঐখানে। এটি = এখানে

মাইদেনি= সকাল বেলার খাবার
বাইডেক = আঙিনা
ইলেদ্যা= ইচ্ছা

দোহান = দোকান। দোহানদার = দোকানদার

হরকা = সরকার
হইন্ধা = সন্ধ্যা
চই = হাঁস
ছপ= ঝোপ
আরা = বাঁশবাগান
যাহেক = যাও, যাওয়া
মাইদেন = সকাল
পাগাল= ধারালো দা
কেদ = কাদা
কান্দন = কাঁদা

ছেরা = নাতির প্রতি সম্বোধন
ছেরি = নাতনির প্রতি সম্বোধন

পুনাই = বাচ্চা
পুনা = প্রাণির বাচ্চা
হিয়্যাল = শিয়াল
ঠাহুর = ঠাকুর
বরাক = মুষলধারে বৃষ্টি

নামিল্যা/ নাম্নি = পেটের অসুখ, লুজ মোশন

পানঠি = লাঠি
বিআইততা = বিবাহিত
আবিআইততা = অবিবাহিত
হয়োর = শ্বশুর
হোয়রি = শ্বাশুড়ী

আন্নে  আইসকেন = আপনি আসবেন

সুবারি = সুপারি
কাডল= কাঁঠাল 

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

ধর্ম

শুদ্ধতার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই। শুদ্ধতা এক ভ্রমণের নাম। শুদ্ধতার পথে প্রত্যেক মানুষ পথিক মাত্র। শুদ্ধতার পথে প্রামাণিক কোনো স্টেশন আজো আবিষ্কৃত হয়নি। তারপরও ধর্ম শুদ্ধতার স্টেশন বা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনপ্রিয়।

ধর্ম এবং উগ্রতা আলাদা ধারণা। ধর্ম হল একটি বিশ্বাস যা মানুষ ধারণ করে। ধার্মিক বিশ্বাস করে শান্তিময় পৃথিবীর। ধার্মিক জানে কীভাবে শান্তিতে থাকতে হয় এবং অন্যকে রাখতে হয়।
উগ্রতা ব্যক্তিগত। অজ্ঞতা উগ্রতার জন্মস্থান।

আবু জাহেলের নাম মূলত আবুল হেকাম। হেকাম অর্থ জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ। আবু জাহেল যখন হযরত মোহাম্মদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি তখনই তার নামের গুরুত্ব কমে যায়। আবু জাহেলের বাড়িতে আজ টয়লেট যেখানে প্রস্রাব করলে পুণ্য হয়। হযরত মোহাম্মদ আবু জাহেলের বাড়িতে প্রত্যেক দিন কয়েকবার করে যেতেন।  আয়াত নাযিল হলো তার বাড়িতে গিয়ে ফায়দা নেই। কারণ আল্লাহ তার দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন, শ্রবণযন্ত্র হ্রাস করে দিয়েছেন। আবু জাহেলও নিজের সবোর্চ্চ প্রয়াস দিয়ে হযরত মোহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীদের আক্রমণ, অত্যাচার করার চেষ্টা করেছে, অত্যাচার করেছে। কিন্তু হযরত মোহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীরা গ্রহণ করেছেন অহিংস নীতি। ইসলাম মনে করে, ইসলাম তরবারি দিয়ে জয়লাভ করেনি। ইসলাম জয়লাভ করেছে প্রেমে, ইসলাম জয়লাভ করেছে তার মানবিক নীতিমালা দিয়ে।

মুসলমানদের সংবিধানের নাম কুরান। কুরানের প্রথম সুরা `বাকারা' যার অর্থ গাভী, পশু। কুরানের সর্বশেষ সুরা `নিসা' যার অর্থ মানুষ। ইসলাম মনে করে, কুরান পাঠের মধ্য দিয়ে পশু মানুষে পরিণত হবে। অর্থাৎ পাশবিক চরিত্র মানবিক হয়ে উঠবে। কাউকে পেছন থেকে আক্রমণ করার শিক্ষা ইসলাম দেয় না। ইসলাম আক্রমণ প্রতিহত করে প্রেমে, আক্রমণ প্রতিহত করে যুক্তিতে।

হযরত মোহাম্মাদের নবুওয়াতী সময়েও ব্লগার ছিল যাদেরকে কুরানি কায়দায় বলা হত আ'শুরা। ইসলাম সেইসব আ'শুরাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জন্যও ইসলামের তরবারি সচল ছিল । তবে তরবারি তাদের কেল্লা কাটেনি, কেটেছে তাদের মন।

প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক জাতিতে ধর্ম লোকাচার হয়ে প্রবেশ করে এবং চর্চিত হয়ে থাকে। ফলে ব্যক্তিচিন্তা ধর্মের ইঞ্জিন চালনা করে। তাতে ফলাফল একটি হয়,
ফলাফলটির নাম দূর্ঘটনা।

হযরত মোহাম্মদ রোজা ভঙ্গের কথা বলেছেন খেজুর দিয়ে। কারণ খেজুর মরুভূমিতে সহজলভ্য। বাংলাদেশে খেজুর সহজলভ্য নয়। তাই বাংলাদেশে ইফতার করা উত্তম পানি দিয়ে। কারণ পানি বাংলাদেশে সহজলভ্য। দূর্ঘটনা ঘটে যখন বাংলাদেশও খেজুর দিয়ে ইফতার করার অতি উত্তম স্লোগান দেয়া হয়।

আরে ভাই, কেন ভুলে যায় মানুষের প্রয়োজনে কুরান, ইসলাম, ধর্ম। সেই মানুষের ক্ষতি করে কোনো ধর্মের গান সমাজে শান্তি দিতে পারে না, পারবে না।

ইয়াসরিব যার আভিধানিক অর্থ ভূতের রাজ্য। সেই ভূতের রাজ্যে হযরত মোহাম্মদ মনে করলেন প্রেমের গান শোনানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন থেকে হিজরত। হিজরত করে তিনি প্রচার করলেন প্রেমগানের উদারা, মুদারা, তারা। ইয়াসরিবে দেখা দিল সাম্যের মিছিল। ইয়াসরিব হয়ে গেল মদিনা।
ভূতকে মানুষ করার জন্যই তো ধর্ম, ভূতকে ধবংস করার জন্য এটম বোমা তৈরি হতে পারে কিন্তু ধর্ম না। তারপরও আমার মনে একটি জিজ্ঞাসা থেকে যায় --
ওম শান্তি ওম
সবাই যদি শান্তি চায়, বানায় কেন বোম

বিবাহ

বিবাহ দাম্পত্য যৌনতার স্বীকৃতি, প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। যেখানে যৌনতাও ব্যক্তিগত থাকে না সেখানে `ব্যক্তিগত' কথাটি খুবই হাস্যকর। বিবাহের দিন তাই যৌনতার জন্মদিন।