শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম। চিন্তার সাথে চিন্তার, চিন্তার সাথে বস্তু জগতের সম্পর্ক ( কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল)। ইন্দ্রিয় প্রতিনিয়ত শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণকে ইন্দ্রিয় ধরে রাখতে পারে না। যে শিকার অনূভুতি ব্যক্তির চেতনাঘরে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে তাই মূলত শিক্ষা। ব্যক্তি তো একটি কাভার যা চিন্তার গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণভাবে চালিত। তাই তরুণ চিন্তাসমষ্টি অর্ফে শিক্ষা প্রাণিকে পরিবর্তন করে আলতো আলোয়, সবুজ সরোবরে। শিক্ষা সাগরের জলের মতো প্রতি মুহূর্তে আধুনিক। সদস্য অতীত আর অতিথি বর্তমানকে নিয়ে সে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে, বনসাই বুনন। শিক্ষার বড় যোগ্যতা হলো সে নেতা হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ সেই প্রভাবিত করে চেতনে -অবচেতনে। দারুণ নিদারুন প্রভাবক। অন্যভাবে বললে শিক্ষা হলো একটি সাবান; যে ধৌত করে, ধৌত হয়। একসময় ব্যক্তিকে সতেজ করে এবং পরিপূর্ণ পূর্ণ করে পাশাপাশি পূর্ণ হয় টুইটুই যৌবনে ( In fashioning myself I fashion the man)।
তাহলে শিক্ষার নৈতিকতা কোথায়?
নিয়ম -নীতির শান্তিময় এলাকার নাম নৈতিকতা। আর নিয়ম-নীতি শিক্ষার বীজতলায় লালিত -পালিত হয়। তাইতো শিক্ষার নৈতিকতার প্রয়োজন পড়ে না। তবে নৈতিকতা শিক্ষার কাছে ঋণী। নৈতিকতার সীমান্তে শিক্ষা বসন্তের গান গায়। নৈতিকতা স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন হতে হতে একসময় শূন্যতায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষার শুরু কিংবা শেষ, আকার কিংবা প্রকার নেই। সর্বোত্তম বহু নয়, অধিকগামী। তার শক্তিসৌন্দর্য মহাকালকে তোয়াক্কা করে না (A thing of beauty is joy for ever)।
শিক্ষাপৃথিবীর নাম?
হ্যাঁ ; শিক্ষার পৃথিবীর নাম ত্রিভুবন -- বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ। শিক্ষা, অতীতকে বর্তমানে দাওয়াত করে। একসময় তারা মেহমান- মেজবান। এই মেহমান -মেজবান একসাথে ভবিষ্যতের উদ্দেশ্য যাত্রা করে।তাতে তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা দুই থাকে। তবে ত্রিকালদর্শী যে শিক্ষা তাই পূর্ণাঙ্গ। আর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পূর্ণ করার ক্ষমতা রাখে ত্রিকালব্যাপিয়া (True education is such as will give you the capacity to keep on learning from all your experience )। তিন কালের নির্যাস যে শিক্ষা ধারণ করে সেই শিক্ষা স্বং একটি কাল। তাঁর এলাকা তখন ধারণ করার এলাকা, প্রকাশ করার নয়।
শিক্ষার জন্মস্থান?
শিক্ষা জন্মগ্রহণ করে না। সে সকল জন্মের উৎস নিয়ে কথা বলে। সীমিত অনুভূতি অসীম শিক্ষার দ্বারস্থ হয়, নিকটস্থ করে তোলে তার জ্ঞানের সীমা। ফলে একসময় শিক্ষা হয় সাম্প্রদায়িক। এবং আমরা অপ্রকাশ্যে বলি 'নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই '।প্রকৃতপ্রস্তাবে শিক্ষার কোনো জাত, পাত, বর্ণ, গোত্র বলে কিছু ছিল না এবং নেই। তাইতো বলি অসীমকে সসীম বলে চালিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের প্রবল (ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক)।
শিক্ষার আত্মীয়-স্বজন!
শিক্ষার দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের নাম মানুষ। মানুষ শব্দটি সাম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ছাকনি থাকে। ছেকে তাই তোলে আনে যা তার জন্য সময়গত প্রয়োজন। প্রয়োজনের বাইরে কখনো তারা চিন্তা করতে পারে না। ফলে মানুষের কাছে শিক্ষা এসে খুব অসহায় হয়ে পড়ে। গভীর জলের মাছ জলহীন হলে যেমন অসহায় হয়। সৃষ্টির প্রতিটি শাখার - প্রশাখায় শিক্ষা অত্যন্ত সজীব, প্রাণবন্ত। তবে মানুষ যদি শিক্ষার প্রকৃত আত্মার সন্ধান পেতে চায় তাহলে পরমশূন্য তাপমাত্রায় নিজেকে, সত্তার সাম্প্রদায়িক চিন্তাকে ওয়াশ করে আনতে হবে। তবেই মানুষপৃথিবী নতুন পৃথিবীর খোঁজ পাবে (আগার কুচ মোরতোবা চাহো /আপনা হাস্থিকো মেটাদে)
শিক্ষা কিন্তু ধারণা নয়, ধারণা হলো শিক্ষার দৃশ্যমান রূপ। শিক্ষিত জাতি মানে ধারণার জাতি। মূলত শিক্ষাকে যারা ধারন করে তারাই জ্ঞানী, প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাময় নয়, সত্যের আড়ালে সত্য যেখানে সত্য বলতে কিছু নেই।
তাহলে শিক্ষার নৈতিকতা কোথায়?
নিয়ম -নীতির শান্তিময় এলাকার নাম নৈতিকতা। আর নিয়ম-নীতি শিক্ষার বীজতলায় লালিত -পালিত হয়। তাইতো শিক্ষার নৈতিকতার প্রয়োজন পড়ে না। তবে নৈতিকতা শিক্ষার কাছে ঋণী। নৈতিকতার সীমান্তে শিক্ষা বসন্তের গান গায়। নৈতিকতা স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন হতে হতে একসময় শূন্যতায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষার শুরু কিংবা শেষ, আকার কিংবা প্রকার নেই। সর্বোত্তম বহু নয়, অধিকগামী। তার শক্তিসৌন্দর্য মহাকালকে তোয়াক্কা করে না (A thing of beauty is joy for ever)।
শিক্ষাপৃথিবীর নাম?
হ্যাঁ ; শিক্ষার পৃথিবীর নাম ত্রিভুবন -- বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ। শিক্ষা, অতীতকে বর্তমানে দাওয়াত করে। একসময় তারা মেহমান- মেজবান। এই মেহমান -মেজবান একসাথে ভবিষ্যতের উদ্দেশ্য যাত্রা করে।তাতে তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা দুই থাকে। তবে ত্রিকালদর্শী যে শিক্ষা তাই পূর্ণাঙ্গ। আর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পূর্ণ করার ক্ষমতা রাখে ত্রিকালব্যাপিয়া (True education is such as will give you the capacity to keep on learning from all your experience )। তিন কালের নির্যাস যে শিক্ষা ধারণ করে সেই শিক্ষা স্বং একটি কাল। তাঁর এলাকা তখন ধারণ করার এলাকা, প্রকাশ করার নয়।
শিক্ষার জন্মস্থান?
শিক্ষা জন্মগ্রহণ করে না। সে সকল জন্মের উৎস নিয়ে কথা বলে। সীমিত অনুভূতি অসীম শিক্ষার দ্বারস্থ হয়, নিকটস্থ করে তোলে তার জ্ঞানের সীমা। ফলে একসময় শিক্ষা হয় সাম্প্রদায়িক। এবং আমরা অপ্রকাশ্যে বলি 'নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই '।প্রকৃতপ্রস্তাবে শিক্ষার কোনো জাত, পাত, বর্ণ, গোত্র বলে কিছু ছিল না এবং নেই। তাইতো বলি অসীমকে সসীম বলে চালিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের প্রবল (ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক)।
শিক্ষার আত্মীয়-স্বজন!
শিক্ষার দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের নাম মানুষ। মানুষ শব্দটি সাম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ছাকনি থাকে। ছেকে তাই তোলে আনে যা তার জন্য সময়গত প্রয়োজন। প্রয়োজনের বাইরে কখনো তারা চিন্তা করতে পারে না। ফলে মানুষের কাছে শিক্ষা এসে খুব অসহায় হয়ে পড়ে। গভীর জলের মাছ জলহীন হলে যেমন অসহায় হয়। সৃষ্টির প্রতিটি শাখার - প্রশাখায় শিক্ষা অত্যন্ত সজীব, প্রাণবন্ত। তবে মানুষ যদি শিক্ষার প্রকৃত আত্মার সন্ধান পেতে চায় তাহলে পরমশূন্য তাপমাত্রায় নিজেকে, সত্তার সাম্প্রদায়িক চিন্তাকে ওয়াশ করে আনতে হবে। তবেই মানুষপৃথিবী নতুন পৃথিবীর খোঁজ পাবে (আগার কুচ মোরতোবা চাহো /আপনা হাস্থিকো মেটাদে)
শিক্ষা কিন্তু ধারণা নয়, ধারণা হলো শিক্ষার দৃশ্যমান রূপ। শিক্ষিত জাতি মানে ধারণার জাতি। মূলত শিক্ষাকে যারা ধারন করে তারাই জ্ঞানী, প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাময় নয়, সত্যের আড়ালে সত্য যেখানে সত্য বলতে কিছু নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন