মোবাইল সভ্যতা পুরুষকে করেছে নারীর কাছাকাছি।
নারীকে করেছে পুরুষের অধিবাসী।।
দৃশ্য এক :
হ্যালো, ভুলক্রমে আপনার মোবাইল একাউন্টে কিছু টাকা চলে গেছে । আসলে এমন ভুলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আশা করি আপনি আমাকে সহযোগিতা করবেন (কোমল মিহি আবৃত্তির কণ্ঠে)।
কোন সহযোগিতা চেয়েছে মোবাইল পুরুষ, তা নারীর বুঝবার কথা নয়। কারণ রক্তের ঘ্রাণে যে ছারপোকা চলে তার কৌশলগত অবস্থান বহুবিধ -- বিনয়ের শাষণে চলে শোষণ!
মেয়ে : ঠিক আছে ।আপনার টাকা আপনার মোবাইলে একাউন্টে চলে যাবে। তবে একটু সময় লাগবে।
-সমস্যা তো তৈরি হয় জীবন থেকে কিছু মুহূর্তে কেড়ে নেয়ার জন্যে। সমস্যা নেই। আপনার প্রাসঙ্গিক সময় আমার সাথে আধটুকু জুতসই হলেই হলো
তৃতীয় দিন :
আবারও আপনাকে বিরক্ত করার জন্য দুংখিত। আপনার হয়তো মনে নেই .....
মেয়ে : ও, দুংখ প্রকাশ করার কথা আমার! আজকে যে করে হোক পাঠাবোই।
- আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। কী আর করবো বলুন। গরীব দেশের মানুষ! নুন আর পান্তার সাথে উঠা -বসা।
মেয়ে : আপনি তো খুব সুন্দর করে কথা বলেন।
- সুন্দর করে কথা বললে কী হয়? সুন্দরের মূল্য কারো কাছে আছে! এখনকার মানুষ লক্ষী আর সীতাকে এক সাথে চায়। তাই আমি অভাগা ভাগ্যহতই রয়ে গেলাম।
মেয়েটির উর্বর মন ছেলেটির রসালো ভাষার আবেদনে মুগ্ধ। মেয়েটি টাকা ফেরত পাঠায়। শুধু কী টাকাই পাঠায়? নিজের অজান্তে মনের কিছু অংশও পাঠিয়ে দেয়।
টাকা পাওয়ার পর :
কুলি যুগে আপনি এত ভালো কেন বলেন তো? আমি নিশ্চিত আপনি কোনো অভিজাত পরিবারের সন্তান। ভুলের দেবতাকে ধন্যবাদ। তিনি হয়তো ইচ্ছে করেই আমাকে দিয়ে ভুল করিয়েছেন আপনার মতো ভালো মানুষের সন্ধান পাওয়ার জন্যে।
নারী :আপনার তাই মনে হলো? আমি কিন্তু মোটেও ভালো মানুষ না।
- আপনি কতটুকু ভালো তা জানতে চায় না। তবে যতটুকু ভালো হলে সংসার চলে ততটুকুই মহত্ব আপনি ধারন করেন।
নারী :বাপরে! আপনি কী মানুষ?
- পশুর রক্ত ধারণ করে আছি। তবে মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। তাছাড়া মানুষের খোঁজ যেহেতু পেয়েছি, মানুষ হতে আর সময় লাগবে না।
নারী :আমার ভাবনাটি ঠিক আপনার উল্টো। আজকাল ভুল করেও কিছু শুদ্ধ কাজ হয়ে যায়, তাই না?
- তাইতো দেখতে পাচ্ছি। জানেন আপনাকে রবীন্দ্রনাথের গানের মতো মনে হয়!
নারী : হা হা হা, কোন গানের মতো।
- আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হবে সেদিন বলবো। একেবারে কম্পাস দিয়ে দিকসহ বুঝিয়ে দেব।
ডেটিং :
লাল কাপড়, কপালে কালো দ্বীপ আরো উপজীব্য সাজে মেয়েটি ছেলেটির হাত স্পর্শ করে বসে আছে। ছেলেটি এখন মেয়েটির মনের রাখাল। মেয়েটিও অনুগত প্রাণি, ছেলেটির সমস্ত ইচ্ছা পূরনের যন্ত্র।
শেষ দৃশ্য :
তোমাকে এত ফোন দেয়। মোবাইল তোল না কেন?
ছেলে :জানি না ; আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।
কী করে ভালো লাগবে । ছেলেটির যে আরেকটি মোবাইলে টাকা পাঠানোর সময় হয়ে গেছে!
নারীকে করেছে পুরুষের অধিবাসী।।
দৃশ্য এক :
হ্যালো, ভুলক্রমে আপনার মোবাইল একাউন্টে কিছু টাকা চলে গেছে । আসলে এমন ভুলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আশা করি আপনি আমাকে সহযোগিতা করবেন (কোমল মিহি আবৃত্তির কণ্ঠে)।
কোন সহযোগিতা চেয়েছে মোবাইল পুরুষ, তা নারীর বুঝবার কথা নয়। কারণ রক্তের ঘ্রাণে যে ছারপোকা চলে তার কৌশলগত অবস্থান বহুবিধ -- বিনয়ের শাষণে চলে শোষণ!
মেয়ে : ঠিক আছে ।আপনার টাকা আপনার মোবাইলে একাউন্টে চলে যাবে। তবে একটু সময় লাগবে।
-সমস্যা তো তৈরি হয় জীবন থেকে কিছু মুহূর্তে কেড়ে নেয়ার জন্যে। সমস্যা নেই। আপনার প্রাসঙ্গিক সময় আমার সাথে আধটুকু জুতসই হলেই হলো
তৃতীয় দিন :
আবারও আপনাকে বিরক্ত করার জন্য দুংখিত। আপনার হয়তো মনে নেই .....
মেয়ে : ও, দুংখ প্রকাশ করার কথা আমার! আজকে যে করে হোক পাঠাবোই।
- আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। কী আর করবো বলুন। গরীব দেশের মানুষ! নুন আর পান্তার সাথে উঠা -বসা।
মেয়ে : আপনি তো খুব সুন্দর করে কথা বলেন।
- সুন্দর করে কথা বললে কী হয়? সুন্দরের মূল্য কারো কাছে আছে! এখনকার মানুষ লক্ষী আর সীতাকে এক সাথে চায়। তাই আমি অভাগা ভাগ্যহতই রয়ে গেলাম।
মেয়েটির উর্বর মন ছেলেটির রসালো ভাষার আবেদনে মুগ্ধ। মেয়েটি টাকা ফেরত পাঠায়। শুধু কী টাকাই পাঠায়? নিজের অজান্তে মনের কিছু অংশও পাঠিয়ে দেয়।
টাকা পাওয়ার পর :
কুলি যুগে আপনি এত ভালো কেন বলেন তো? আমি নিশ্চিত আপনি কোনো অভিজাত পরিবারের সন্তান। ভুলের দেবতাকে ধন্যবাদ। তিনি হয়তো ইচ্ছে করেই আমাকে দিয়ে ভুল করিয়েছেন আপনার মতো ভালো মানুষের সন্ধান পাওয়ার জন্যে।
নারী :আপনার তাই মনে হলো? আমি কিন্তু মোটেও ভালো মানুষ না।
- আপনি কতটুকু ভালো তা জানতে চায় না। তবে যতটুকু ভালো হলে সংসার চলে ততটুকুই মহত্ব আপনি ধারন করেন।
নারী :বাপরে! আপনি কী মানুষ?
- পশুর রক্ত ধারণ করে আছি। তবে মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। তাছাড়া মানুষের খোঁজ যেহেতু পেয়েছি, মানুষ হতে আর সময় লাগবে না।
নারী :আমার ভাবনাটি ঠিক আপনার উল্টো। আজকাল ভুল করেও কিছু শুদ্ধ কাজ হয়ে যায়, তাই না?
- তাইতো দেখতে পাচ্ছি। জানেন আপনাকে রবীন্দ্রনাথের গানের মতো মনে হয়!
নারী : হা হা হা, কোন গানের মতো।
- আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হবে সেদিন বলবো। একেবারে কম্পাস দিয়ে দিকসহ বুঝিয়ে দেব।
ডেটিং :
লাল কাপড়, কপালে কালো দ্বীপ আরো উপজীব্য সাজে মেয়েটি ছেলেটির হাত স্পর্শ করে বসে আছে। ছেলেটি এখন মেয়েটির মনের রাখাল। মেয়েটিও অনুগত প্রাণি, ছেলেটির সমস্ত ইচ্ছা পূরনের যন্ত্র।
শেষ দৃশ্য :
তোমাকে এত ফোন দেয়। মোবাইল তোল না কেন?
ছেলে :জানি না ; আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।
কী করে ভালো লাগবে । ছেলেটির যে আরেকটি মোবাইলে টাকা পাঠানোর সময় হয়ে গেছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন