মন চায়লে ফোন দিও। এখনো তোমার ফোন ছাড়া অন্য কারো ফোনের প্রত্যাশা করিনা। তোমার সাথে আমার অতীতের কিছু সময় খুবই লজ্জাজনকভাবে বাজে ছিল! সেজন্য অবশ্যই আমি দায়ী। তোমার ক্ষমাপ্রবনতার প্রতি আমার আস্থা আছে। তুমি তো সুন্দর। সুন্দরের সব কিছুই সুন্দর।
তোমাকে ফোন দেয়ার মতো মানসিক শক্তি আমি রাখি না। অপরাধীকে চুপ থাকলেই সুন্দর দেখায়। যতদিন বেঁচে থাকবো সৌন্দর্যের চাষ করে যাবো।
আমাদের অসাধারন কিছু সুন্দর মুহুর্ত ছিল, আমাদের মতো করে সময়কে ক্ষ্যাপার মতো যাপন করা মানুষজন চোখে এখনো দেখিনি।
মনে আছে তোমার সৃজনী শিল্পগ্রামের সেই বাউলের কথা? মনে আছে সেই বাউল আমাকে কী নামে ডাকতো?
ক্ষ্যাপা! ক্ষ্যাপা নামে ডাকতো সে আমাকে।
ক্ষ্যাপা আমাকে ক্ষ্যাপা নামে ডাকে -- আমার মনমনে হাসি কে দেখে! আমাদের বাড়িতেও এক পাগল আসতো। হাছান শাহ'র ভক্ত। হাছান শাহ'র জন্য পাগল তার জীবন বিসর্জন দিয়েছে -- সারাদিন হাছান হাছান জপ করে পাগলের সময় কাটতো-- সে পাগলও আমাকে পাগল বলে সম্ভোধন করতো-- আমার ভালোই লাগতো, এখনো কানে বাজে পাগল আর ক্ষ্যাপা ডাকটি। দুঃখের কথা পাগল গত ছয় মাস আগে মারা গ্যাছে আর বাউলের দেখা নাই। দেখা থাকবে কী করে, বাউল যে তোমার এলাকার লোক-- একটি বর্ডার অতিক্রম করার ব্যাপার।
খুব যতন করে তুমি আস্তে আস্তে নিজেকে ঘুটাইলে নিজের ভেতর বাস্তবতার দায় দিয়ে। তোমার মতো প্রাজ্ঞ, শান্ত, সমাহিত আমি নই। তারপরও বলি কী যারা অনেক বাস্তব বাস্তব করে তারা আসলেও বাস্তবতার মানেই জানেনা-- অবাস্তব সম্ভাবনার মাঝে সঠিক বাস্তবতা খেলা করে।
আকাশে পাখির সাথে বিমান উড়ে কেন জানো? কিছু লোক অবাস্তব চিন্তা করেছিল বলে।
আমরা যদি অবাস্তব চিন্তা করতে পারি তবে সুন্দর সুন্দর বাস্তব চিন্তা তৈরি হবে।
তুমি যদি চাও আমি তোমার মতো হয়ে তোমার কাছে আসি তাও আমার পক্ষে সম্ভব। চিন্তার সামনে কোনো কিছুই আমার পক্ষে অসম্ভব নেই। কিন্তু তাতে যে আমির মৃত্যু হবে তার শবদেহ তোমাকেই বহন করতে হবে। জীবিত ফুলই তো ঘ্রান বিলায়, যদিও ফুল আমার মতো না।
আসলে কী বলো তো ব্যবসার জায়গায় আমার মতো তোমার মতো শব্দ খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রানের জায়গায় আমাদের শব্দটি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। প্রানের জায়গায় যারা সংবিধান নিয়ে বসে তারা মাছ বাজারের লোক, প্রানের লোক প্রানপাঠে মগ্ন থাকে। আমরা হয়তো প্রানের সেই মন্দিরে ঘন্টা বাজাতে পারি নি। তাই আমাদের সম্পর্কের আবেদন দেবীর আশিস লাভ করেনি, আমরা এখন ভিন্ন গ্রহের দুটি প্রানী। অথচ একসময় কী চমৎকার মুহূর্তে ছিলাম আমাদের-- সময়জ্ঞান ভুলে হৃদয়জ্ঞানে চলতো আমাদের গন্তব্যহীন জীবনগাড়ি।
ব্যর্থ মানুষের অতীত খুব সুন্দর হয়, আমাদের অতীত তাই খুব সুন্দর। তারপরও আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে ঝড়ের রাত শেষ হয়ে যাবে, আবার শরীরে রোদ মেখে প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে আড্ডা দেবো ঘন্টার পর ঘন্টা ....
তোমাকে ফোন দেয়ার মতো মানসিক শক্তি আমি রাখি না। অপরাধীকে চুপ থাকলেই সুন্দর দেখায়। যতদিন বেঁচে থাকবো সৌন্দর্যের চাষ করে যাবো।
আমাদের অসাধারন কিছু সুন্দর মুহুর্ত ছিল, আমাদের মতো করে সময়কে ক্ষ্যাপার মতো যাপন করা মানুষজন চোখে এখনো দেখিনি।
মনে আছে তোমার সৃজনী শিল্পগ্রামের সেই বাউলের কথা? মনে আছে সেই বাউল আমাকে কী নামে ডাকতো?
ক্ষ্যাপা! ক্ষ্যাপা নামে ডাকতো সে আমাকে।
ক্ষ্যাপা আমাকে ক্ষ্যাপা নামে ডাকে -- আমার মনমনে হাসি কে দেখে! আমাদের বাড়িতেও এক পাগল আসতো। হাছান শাহ'র ভক্ত। হাছান শাহ'র জন্য পাগল তার জীবন বিসর্জন দিয়েছে -- সারাদিন হাছান হাছান জপ করে পাগলের সময় কাটতো-- সে পাগলও আমাকে পাগল বলে সম্ভোধন করতো-- আমার ভালোই লাগতো, এখনো কানে বাজে পাগল আর ক্ষ্যাপা ডাকটি। দুঃখের কথা পাগল গত ছয় মাস আগে মারা গ্যাছে আর বাউলের দেখা নাই। দেখা থাকবে কী করে, বাউল যে তোমার এলাকার লোক-- একটি বর্ডার অতিক্রম করার ব্যাপার।
খুব যতন করে তুমি আস্তে আস্তে নিজেকে ঘুটাইলে নিজের ভেতর বাস্তবতার দায় দিয়ে। তোমার মতো প্রাজ্ঞ, শান্ত, সমাহিত আমি নই। তারপরও বলি কী যারা অনেক বাস্তব বাস্তব করে তারা আসলেও বাস্তবতার মানেই জানেনা-- অবাস্তব সম্ভাবনার মাঝে সঠিক বাস্তবতা খেলা করে।
আকাশে পাখির সাথে বিমান উড়ে কেন জানো? কিছু লোক অবাস্তব চিন্তা করেছিল বলে।
আমরা যদি অবাস্তব চিন্তা করতে পারি তবে সুন্দর সুন্দর বাস্তব চিন্তা তৈরি হবে।
তুমি যদি চাও আমি তোমার মতো হয়ে তোমার কাছে আসি তাও আমার পক্ষে সম্ভব। চিন্তার সামনে কোনো কিছুই আমার পক্ষে অসম্ভব নেই। কিন্তু তাতে যে আমির মৃত্যু হবে তার শবদেহ তোমাকেই বহন করতে হবে। জীবিত ফুলই তো ঘ্রান বিলায়, যদিও ফুল আমার মতো না।
আসলে কী বলো তো ব্যবসার জায়গায় আমার মতো তোমার মতো শব্দ খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রানের জায়গায় আমাদের শব্দটি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। প্রানের জায়গায় যারা সংবিধান নিয়ে বসে তারা মাছ বাজারের লোক, প্রানের লোক প্রানপাঠে মগ্ন থাকে। আমরা হয়তো প্রানের সেই মন্দিরে ঘন্টা বাজাতে পারি নি। তাই আমাদের সম্পর্কের আবেদন দেবীর আশিস লাভ করেনি, আমরা এখন ভিন্ন গ্রহের দুটি প্রানী। অথচ একসময় কী চমৎকার মুহূর্তে ছিলাম আমাদের-- সময়জ্ঞান ভুলে হৃদয়জ্ঞানে চলতো আমাদের গন্তব্যহীন জীবনগাড়ি।
ব্যর্থ মানুষের অতীত খুব সুন্দর হয়, আমাদের অতীত তাই খুব সুন্দর। তারপরও আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে ঝড়ের রাত শেষ হয়ে যাবে, আবার শরীরে রোদ মেখে প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে আড্ডা দেবো ঘন্টার পর ঘন্টা ....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন