আমার সিট নাম্বার প্রথম চেয়ার জ দশ। আমার সিটে সে বসা। আমার সিটটি জানালার পাশে। আমার সিট আমাকে দিতে তার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে, তারপরও যে দিয়েছে। তার মন থেকে সিট ছাড়ার কষ্টঘ্রান আমার নাকে আসতেছে। ভাবলাম কথা বলি তাহলে হয়তো তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে।
শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই।
সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন?
এক কথায় ড্রিমল্যান্ড!
কেন ভাই কেন?
এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই।
ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন?
এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন পিতাও পাওয়া যায় যে নিজের বিলটা দিয়েই রেস্টুরেন্টে থেকে বিদায় নেই, সন্তানেরও তাতে কোনো ভ্রক্ষেপ নেই, সন্তান সন্তানের বিল খুশিমতো দিচ্ছে। মেয়ে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় ঢুকছে, বাবা জিজ্ঞেসও করছে না ছেলেটি কে?
আমাদের কথা চলছে এবং চলছে। টিটি টিকেট চাইলেন। আমি বললাম আপনার এতো সুন্দর চেহারা তারপরও আপনি টিকেট দেখতে চাইবেন। টিটি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমার পাশে বসা সুইজারল্যান্ড ভাইও প্রানখোলা হাসি দিলো। বুঝলাম তার মনে আর সিট ছাড়ার কষ্ট নেই।
ট্রেন গন্তব্যে চলে আসে। দুজনে হাসি মনে বিদায় নিলাম। আর তাকে বললাম ভাই দেখা হবে সুইজারল্যান্ডে, বলেই রিক্সায় ওঠি।
রিক্সা দৈনিক বাংলার মোড়ে আসে। জ্যামে। আমার রিক্সার নিকট দূরে ডাস্টবিন যেখানে সাঈদ খোকনের নাম লেখা, তিনি ঢাকার মেয়র। ভালো, অনেকে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে আর সাঈদ খোকনের নাম চোখস্থ করে ফেলবে, আবার অনেকে ভাইভা বোর্ডে প্রশ্নও করতে পারেন কোন দেশে মেয়রের নাম ডাস্টবিনে লেখা থাকে।
ডাস্টবিনে কী আদৌ ময়লা আছে ভাবছি। এমন সময় আমার সামনের রিক্সা থেকে চমৎকার মিস্টি এক মেয়ে নেমে আসে।
না না আমার দিকে না, ডাস্টবিনের দিকে। সে ডাস্টবিনে কিছু রাখে। কিন্তু রাখতে গিয়ে বিস্কুটের একটি কাভার রাস্তায় পড়ে যায়, পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি রিক্সার দিকে তাকায়। রিক্সায় বসা ছেলেটি হয়তো চোখভাষায় বলেছে চলে আসো। মেয়েটি সোজা রিক্সায় ওঠে যায়, আর আমি সোজা রিক্সা থেকে নেমে বিস্কুটের কাভারটি রাস্তা থেকে ডাস্টবিনে রাখি। জ্যাম শেষ।
রিক্সা চলছে। তারা দুজন আমার সামনে। সামনে থেকে তারা আমাকে দেখার চেষ্টা করছে। এক সময় আমার রিক্সা তাদের সমানে সমান চলে আসে। আমাকে দেখার সাথে সাথে দুজনে এক সাথে বলে থ্যাঙ্কু ভাইয়া, আমিও মৃদু একটি হাসি দেই যার অর্থ অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ঠিক আছে ঠিক আছে।
আমরা কেউ কাউকে চিনি না, কিন্তু থ্যাঙ্কু জানানোর মনোভাবের জায়গায় আমরা সেইদিন একাকার হয়েছিলাম।
শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই।
সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন?
এক কথায় ড্রিমল্যান্ড!
কেন ভাই কেন?
এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই।
ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন?
এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন পিতাও পাওয়া যায় যে নিজের বিলটা দিয়েই রেস্টুরেন্টে থেকে বিদায় নেই, সন্তানেরও তাতে কোনো ভ্রক্ষেপ নেই, সন্তান সন্তানের বিল খুশিমতো দিচ্ছে। মেয়ে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় ঢুকছে, বাবা জিজ্ঞেসও করছে না ছেলেটি কে?
আমাদের কথা চলছে এবং চলছে। টিটি টিকেট চাইলেন। আমি বললাম আপনার এতো সুন্দর চেহারা তারপরও আপনি টিকেট দেখতে চাইবেন। টিটি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমার পাশে বসা সুইজারল্যান্ড ভাইও প্রানখোলা হাসি দিলো। বুঝলাম তার মনে আর সিট ছাড়ার কষ্ট নেই।
ট্রেন গন্তব্যে চলে আসে। দুজনে হাসি মনে বিদায় নিলাম। আর তাকে বললাম ভাই দেখা হবে সুইজারল্যান্ডে, বলেই রিক্সায় ওঠি।
রিক্সা দৈনিক বাংলার মোড়ে আসে। জ্যামে। আমার রিক্সার নিকট দূরে ডাস্টবিন যেখানে সাঈদ খোকনের নাম লেখা, তিনি ঢাকার মেয়র। ভালো, অনেকে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে আর সাঈদ খোকনের নাম চোখস্থ করে ফেলবে, আবার অনেকে ভাইভা বোর্ডে প্রশ্নও করতে পারেন কোন দেশে মেয়রের নাম ডাস্টবিনে লেখা থাকে।
ডাস্টবিনে কী আদৌ ময়লা আছে ভাবছি। এমন সময় আমার সামনের রিক্সা থেকে চমৎকার মিস্টি এক মেয়ে নেমে আসে।
না না আমার দিকে না, ডাস্টবিনের দিকে। সে ডাস্টবিনে কিছু রাখে। কিন্তু রাখতে গিয়ে বিস্কুটের একটি কাভার রাস্তায় পড়ে যায়, পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি রিক্সার দিকে তাকায়। রিক্সায় বসা ছেলেটি হয়তো চোখভাষায় বলেছে চলে আসো। মেয়েটি সোজা রিক্সায় ওঠে যায়, আর আমি সোজা রিক্সা থেকে নেমে বিস্কুটের কাভারটি রাস্তা থেকে ডাস্টবিনে রাখি। জ্যাম শেষ।
রিক্সা চলছে। তারা দুজন আমার সামনে। সামনে থেকে তারা আমাকে দেখার চেষ্টা করছে। এক সময় আমার রিক্সা তাদের সমানে সমান চলে আসে। আমাকে দেখার সাথে সাথে দুজনে এক সাথে বলে থ্যাঙ্কু ভাইয়া, আমিও মৃদু একটি হাসি দেই যার অর্থ অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ঠিক আছে ঠিক আছে।
আমরা কেউ কাউকে চিনি না, কিন্তু থ্যাঙ্কু জানানোর মনোভাবের জায়গায় আমরা সেইদিন একাকার হয়েছিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন