তার হাত দুইটা থাকার কথা ছিল অথচ একটি তার বাম হাত
রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬
শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬
ডিসিপ্লিন
আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রকে প্রাজ্ঞতা অর্জন করতে শেখায় না-- ছাত্রকে ডিসিপ্লিন শেখায়, কৃষক যেমন করে দলছুট পশুকে রাতে বাড়ি ফিরতে শেখায়, গৃহিনী যেমন করে তার পাখিকে খোয়াড়ে বন্দী করতে শেখায় তেমন ডিসিপ্লিন
সুনীল
সুন্দরী মেয়েরা রান্না করলে লবন বেশি হবে, যাদের হাতের লেখা অসুন্দর তারা সাহসী অথবা সৃজনশীল। যে সব সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর তারা হয় সাহসী নয় ট্রমাটাইজ, তারা হয় পুরুষ পালন করবে নয় বেড়াল লালন করবে
ফল.
রাত শেষ হয়ে এলো, ঘুমের এখনো সাজঘর দেখা হয়নি, প্রতি রাতে পাখিটা বাসায় ফিরে অন্ধকারে বিশ্রাম নিবে বলে, অন্ধকার প্রতি রাতে পাখির কাছে ফিরে ফিরে আসে বিশ্রাম নিতে, দুজনই যখন বিশ্রামহীন মেটার, তাহলে কে বাজাবে ঘুমের গিটার? আবার সে বসে আছে নাক ফুলিয়ে সময়ের ঘাটে, অলস মাঝি নৌকাটানে কইবে কথা তার সনে, পৃথিবীতে কেউ একজন তো আছে আমার যে আমার একান্ত আপন মনে মনে
রক্ত ...
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি হওয়ার পর রক্তগ্রুপ পরীক্ষা করালাম। রক্ত গ্রুপ ও পজেটিভ। সব জায়গায় দিব্যি লিখতে লাগলাম আমি এমরানুর রেজা, আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ।
বছর দুয়েক পরে মনে হলো রক্তের গ্রুপ আবার টেস্ট করে নেয়া যেতে পারে। ও মা! রক্তের গ্রুপ আসে এবি পজেটিভ। পাসপোর্ট ভিসা ইমেগ্রেসন সব জায়গায় লিখতে লাগলাম আমার রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ। আমি যদিও সংশয়বাদী, আমার রক্তের গ্রুপ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই। দ্বিতীয় বার আমি, নবী ভাই, ফোরকান ভাই এক সাথে রক্তগ্রুপ পরীক্ষা করেছিলাম। আমাদের তিন জনেরই রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের জন্য আনন্দদায়ক ছিল, রক্তের গ্রুপ এক বলে কথা।
আজকে নবী ভাই রক্ত দিতে যাবে। আমিও যাচ্ছি নবী ভাইয়ের সাথে। আমি, নবী ভাই, মৃদুল জমজম জেনারেল হাসপাতালে গেলাম। নবী ভাইয়ের ওজন এক কেজি কম পঞ্চাশ কেজি। তারপরও নবী ভাই রক্ত দিবে। রক্ত দিলে নাকি স্বাস্থ্য ভালো হয় এমন গোপন লোভও নবী ভাইয়ের মনে কাজ করছে। রক্ত দেয়ার আগে তার রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া হলো। ও মাই গড! নবী ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ।
তাহলে আমার রক্তের গ্রুপ?
এখন আমার রক্তগ্রুপ পরীক্ষায় মিশনে নামলাম। পরীক্ষা চলছে তো চলছে। এখন ফলাফলের পালা। আমার রক্তগ্রুপ আসে বি পজেটিভ!
দয়াল, তিন মাস পর পর জানি রক্ত দেয়া যায়, আমার কী তাহলে তিন মাস পর পর রক্তগ্রুপ পরিবর্তন হয় ....
বছর দুয়েক পরে মনে হলো রক্তের গ্রুপ আবার টেস্ট করে নেয়া যেতে পারে। ও মা! রক্তের গ্রুপ আসে এবি পজেটিভ। পাসপোর্ট ভিসা ইমেগ্রেসন সব জায়গায় লিখতে লাগলাম আমার রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ। আমি যদিও সংশয়বাদী, আমার রক্তের গ্রুপ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই। দ্বিতীয় বার আমি, নবী ভাই, ফোরকান ভাই এক সাথে রক্তগ্রুপ পরীক্ষা করেছিলাম। আমাদের তিন জনেরই রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের জন্য আনন্দদায়ক ছিল, রক্তের গ্রুপ এক বলে কথা।
আজকে নবী ভাই রক্ত দিতে যাবে। আমিও যাচ্ছি নবী ভাইয়ের সাথে। আমি, নবী ভাই, মৃদুল জমজম জেনারেল হাসপাতালে গেলাম। নবী ভাইয়ের ওজন এক কেজি কম পঞ্চাশ কেজি। তারপরও নবী ভাই রক্ত দিবে। রক্ত দিলে নাকি স্বাস্থ্য ভালো হয় এমন গোপন লোভও নবী ভাইয়ের মনে কাজ করছে। রক্ত দেয়ার আগে তার রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া হলো। ও মাই গড! নবী ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ।
তাহলে আমার রক্তের গ্রুপ?
এখন আমার রক্তগ্রুপ পরীক্ষায় মিশনে নামলাম। পরীক্ষা চলছে তো চলছে। এখন ফলাফলের পালা। আমার রক্তগ্রুপ আসে বি পজেটিভ!
দয়াল, তিন মাস পর পর জানি রক্ত দেয়া যায়, আমার কী তাহলে তিন মাস পর পর রক্তগ্রুপ পরিবর্তন হয় ....
শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬
ঘ.
ঘুড়ি নাটাই সবই আছে,
আকাশটা ঠিক আগের মতো নাই যেখানে ঘুড়ির মতো মনডারে উড়ানো যায়
আকাশটা ঠিক আগের মতো নাই যেখানে ঘুড়ির মতো মনডারে উড়ানো যায়
বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬
অ
এই সমাজে প্রত্যেক প্রেমিক একজন দেবদাস আর প্রত্যেক প্রেমিকা পারুর চরিত্রে ভালো অভিনয় করে। দেবদাস গ্রামীন রোদে শুকানো ভাজা ভাজা কাঠ যেখানে পারু প্রেমআগুন ধরায়। আগুনে আগুনে জ্বলছে যুবক সম্প্রদায়-- সুখ নাই সুখ নাই।
মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬
রাজা
এক দেশে এক রাজা ছিল। এখনো পৃথিবীতে দেশ আছে এবং রাজা আছে।
রাজার হাজার হাজার পোষা বিড়াল ছিল। বিড়ালের প্রিয় খাবার ইঁদুর। ইন্দুর বিড়ালের কাছে শুধু প্রিয় না, অনেক প্রিয়।
হঠাৎ করে রাজ্যে ইন্দুরের অত্যাচার বেড়ে গেলো। রাজা করলেন কী বিষ প্রয়োগ করে সমস্ত ইন্দুর মেরে ফেরলেন! একটা ইন্দুরও প্রান নিয়ে বাঁচতে পারলো না।
তারপর বিড়াল আর ইন্দুর পাই না,
তারপর থেকে বিড়াল কৃষকের মোরগ মোরগী খায়
রাজার হাজার হাজার পোষা বিড়াল ছিল। বিড়ালের প্রিয় খাবার ইঁদুর। ইন্দুর বিড়ালের কাছে শুধু প্রিয় না, অনেক প্রিয়।
হঠাৎ করে রাজ্যে ইন্দুরের অত্যাচার বেড়ে গেলো। রাজা করলেন কী বিষ প্রয়োগ করে সমস্ত ইন্দুর মেরে ফেরলেন! একটা ইন্দুরও প্রান নিয়ে বাঁচতে পারলো না।
তারপর বিড়াল আর ইন্দুর পাই না,
তারপর থেকে বিড়াল কৃষকের মোরগ মোরগী খায়
সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬
Loveable
Only love can make the world loveable arena, dark does not try to remove the flock same as it is even the light for, it is a must a mutual step of the dark and light, so called love will be a standard approach, so called and regular hatred will be a slippery cell aroma, love is alive, alive for long time and time to time
জিবি
পদ্ধতির মতো শতাব্দির ডাক আসে, মাছের মতো যার পাখনা, কোথাও কেউ আছে বলে তারা থেমে যায়নি, তাদেরকে থামানোর মন্ত্র শোনানো হয়েছিল বহু বছর আগে একবার, এখান থেকে দশ মাইল পর আবারো পাখির ডাকে ভোর হবে আগামি কামনার, আগামি দবদবা আকাশের, বানান শুদ্ধতার নিয়মের জালে আটকা পড়ে আছে ফান্দে পড়া কান্দা বগা পাখি, বোকা পাখি বোকা পাখি, জলের গবিরে এখনো অনেকটা জিবন বাকি
কসম..
রাধা যখন ঘর ছেড়ে বৃন্দাবনে যায়
যমুনা নদীতে বাঁধ দেয় কৃষ্ণ কানাই
ঢাকা শহর কান্দে তখন হায়রে হায়
সাপের মাথায় মিনার দেখে কান্দে রেজা ভাই।।
ঘর ভর্তি মানুষ তবু শুন্যতার বাজার
বৃন্দাবনের হাওয়া লাগলো গতরে তাহার
তাবিজ টুনা কাকে বলে তা তো জানি না
চর্মে মর্মে জ্বলে রেজা রাধাই বুঝে না।।
বুঝে না বুঝে না কেউ বুঝাইতে চায়
দিবে না দিবে না কেউ নেবার আশায়
যদি তাকে একবার সরল পথে পাই
কসম খোদার রেজা তারে রাখবে মাথায়।।
যমুনা নদীতে বাঁধ দেয় কৃষ্ণ কানাই
ঢাকা শহর কান্দে তখন হায়রে হায়
সাপের মাথায় মিনার দেখে কান্দে রেজা ভাই।।
ঘর ভর্তি মানুষ তবু শুন্যতার বাজার
বৃন্দাবনের হাওয়া লাগলো গতরে তাহার
তাবিজ টুনা কাকে বলে তা তো জানি না
চর্মে মর্মে জ্বলে রেজা রাধাই বুঝে না।।
বুঝে না বুঝে না কেউ বুঝাইতে চায়
দিবে না দিবে না কেউ নেবার আশায়
যদি তাকে একবার সরল পথে পাই
কসম খোদার রেজা তারে রাখবে মাথায়।।
র...
রমনের সুখ বীর্যপাতের পর থেমে যায়, ভ্রমনের সুখ দিনে দিনে বেড়ে যায়
শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬
শান্তি
অনেক রাত হলেই অনেক সকালের দেখা পাই, তাই সকালের আশায় রাতের ঘুম হারাম করতে রাজি না,
প্রিয়তমা ঘুম আমার নেমে আসো চোখের আঙ্গিনায়, তোমাকে নিয়ে নৌকা চালাবো টাংগর মেঘনার ভরা পূর্নিমায়
প্রিয়তমা ঘুম আমার নেমে আসো চোখের আঙ্গিনায়, তোমাকে নিয়ে নৌকা চালাবো টাংগর মেঘনার ভরা পূর্নিমায়
শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬
লবণ
পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের মানুষের মতো গীবতচর্চা করতে পারে না। কারন গীবতচর্চা করার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা তাদের নেই। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সময়-- দুই হাত পরিশ্রম করে দশ হাত বসে থাকে।
অন্যের চেহারার ম্যাকাপ দেখতে দেখতে নিজের চেহারার লবনহীনতার কথা মনেই আসে না।
এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলে। আড্ডায় প্রত্যেকে এক একজন সমাজ বিজ্ঞানী। প্রত্যেক সমাজ বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন নিন্দাপাঠের এক একটি নতুন অধ্যায় অথচ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রত্যয়ী পদক্ষেপ নাই।
আরে ভাই রাতের অন্ধকার সবাই দেখে, কিন্তু বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন টমাস আলভা এডিসনের মতো কয়েকজন বিজ্ঞানী।
অন্যের চেহারার ম্যাকাপ দেখতে দেখতে নিজের চেহারার লবনহীনতার কথা মনেই আসে না।
এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলে। আড্ডায় প্রত্যেকে এক একজন সমাজ বিজ্ঞানী। প্রত্যেক সমাজ বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন নিন্দাপাঠের এক একটি নতুন অধ্যায় অথচ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রত্যয়ী পদক্ষেপ নাই।
আরে ভাই রাতের অন্ধকার সবাই দেখে, কিন্তু বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন টমাস আলভা এডিসনের মতো কয়েকজন বিজ্ঞানী।
বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬
একান্ত
আমার সিট নাম্বার প্রথম চেয়ার জ দশ। আমার সিটে সে বসা। আমার সিটটি জানালার পাশে। আমার সিট আমাকে দিতে তার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে, তারপরও যে দিয়েছে। তার মন থেকে সিট ছাড়ার কষ্টঘ্রান আমার নাকে আসতেছে। ভাবলাম কথা বলি তাহলে হয়তো তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে।
শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই।
সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন?
এক কথায় ড্রিমল্যান্ড!
কেন ভাই কেন?
এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই।
ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন?
এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন পিতাও পাওয়া যায় যে নিজের বিলটা দিয়েই রেস্টুরেন্টে থেকে বিদায় নেই, সন্তানেরও তাতে কোনো ভ্রক্ষেপ নেই, সন্তান সন্তানের বিল খুশিমতো দিচ্ছে। মেয়ে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় ঢুকছে, বাবা জিজ্ঞেসও করছে না ছেলেটি কে?
আমাদের কথা চলছে এবং চলছে। টিটি টিকেট চাইলেন। আমি বললাম আপনার এতো সুন্দর চেহারা তারপরও আপনি টিকেট দেখতে চাইবেন। টিটি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমার পাশে বসা সুইজারল্যান্ড ভাইও প্রানখোলা হাসি দিলো। বুঝলাম তার মনে আর সিট ছাড়ার কষ্ট নেই।
ট্রেন গন্তব্যে চলে আসে। দুজনে হাসি মনে বিদায় নিলাম। আর তাকে বললাম ভাই দেখা হবে সুইজারল্যান্ডে, বলেই রিক্সায় ওঠি।
রিক্সা দৈনিক বাংলার মোড়ে আসে। জ্যামে। আমার রিক্সার নিকট দূরে ডাস্টবিন যেখানে সাঈদ খোকনের নাম লেখা, তিনি ঢাকার মেয়র। ভালো, অনেকে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে আর সাঈদ খোকনের নাম চোখস্থ করে ফেলবে, আবার অনেকে ভাইভা বোর্ডে প্রশ্নও করতে পারেন কোন দেশে মেয়রের নাম ডাস্টবিনে লেখা থাকে।
ডাস্টবিনে কী আদৌ ময়লা আছে ভাবছি। এমন সময় আমার সামনের রিক্সা থেকে চমৎকার মিস্টি এক মেয়ে নেমে আসে।
না না আমার দিকে না, ডাস্টবিনের দিকে। সে ডাস্টবিনে কিছু রাখে। কিন্তু রাখতে গিয়ে বিস্কুটের একটি কাভার রাস্তায় পড়ে যায়, পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি রিক্সার দিকে তাকায়। রিক্সায় বসা ছেলেটি হয়তো চোখভাষায় বলেছে চলে আসো। মেয়েটি সোজা রিক্সায় ওঠে যায়, আর আমি সোজা রিক্সা থেকে নেমে বিস্কুটের কাভারটি রাস্তা থেকে ডাস্টবিনে রাখি। জ্যাম শেষ।
রিক্সা চলছে। তারা দুজন আমার সামনে। সামনে থেকে তারা আমাকে দেখার চেষ্টা করছে। এক সময় আমার রিক্সা তাদের সমানে সমান চলে আসে। আমাকে দেখার সাথে সাথে দুজনে এক সাথে বলে থ্যাঙ্কু ভাইয়া, আমিও মৃদু একটি হাসি দেই যার অর্থ অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ঠিক আছে ঠিক আছে।
আমরা কেউ কাউকে চিনি না, কিন্তু থ্যাঙ্কু জানানোর মনোভাবের জায়গায় আমরা সেইদিন একাকার হয়েছিলাম।
শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই।
সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন?
এক কথায় ড্রিমল্যান্ড!
কেন ভাই কেন?
এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই।
ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন?
এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন পিতাও পাওয়া যায় যে নিজের বিলটা দিয়েই রেস্টুরেন্টে থেকে বিদায় নেই, সন্তানেরও তাতে কোনো ভ্রক্ষেপ নেই, সন্তান সন্তানের বিল খুশিমতো দিচ্ছে। মেয়ে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় ঢুকছে, বাবা জিজ্ঞেসও করছে না ছেলেটি কে?
আমাদের কথা চলছে এবং চলছে। টিটি টিকেট চাইলেন। আমি বললাম আপনার এতো সুন্দর চেহারা তারপরও আপনি টিকেট দেখতে চাইবেন। টিটি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমার পাশে বসা সুইজারল্যান্ড ভাইও প্রানখোলা হাসি দিলো। বুঝলাম তার মনে আর সিট ছাড়ার কষ্ট নেই।
ট্রেন গন্তব্যে চলে আসে। দুজনে হাসি মনে বিদায় নিলাম। আর তাকে বললাম ভাই দেখা হবে সুইজারল্যান্ডে, বলেই রিক্সায় ওঠি।
রিক্সা দৈনিক বাংলার মোড়ে আসে। জ্যামে। আমার রিক্সার নিকট দূরে ডাস্টবিন যেখানে সাঈদ খোকনের নাম লেখা, তিনি ঢাকার মেয়র। ভালো, অনেকে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে আর সাঈদ খোকনের নাম চোখস্থ করে ফেলবে, আবার অনেকে ভাইভা বোর্ডে প্রশ্নও করতে পারেন কোন দেশে মেয়রের নাম ডাস্টবিনে লেখা থাকে।
ডাস্টবিনে কী আদৌ ময়লা আছে ভাবছি। এমন সময় আমার সামনের রিক্সা থেকে চমৎকার মিস্টি এক মেয়ে নেমে আসে।
না না আমার দিকে না, ডাস্টবিনের দিকে। সে ডাস্টবিনে কিছু রাখে। কিন্তু রাখতে গিয়ে বিস্কুটের একটি কাভার রাস্তায় পড়ে যায়, পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি রিক্সার দিকে তাকায়। রিক্সায় বসা ছেলেটি হয়তো চোখভাষায় বলেছে চলে আসো। মেয়েটি সোজা রিক্সায় ওঠে যায়, আর আমি সোজা রিক্সা থেকে নেমে বিস্কুটের কাভারটি রাস্তা থেকে ডাস্টবিনে রাখি। জ্যাম শেষ।
রিক্সা চলছে। তারা দুজন আমার সামনে। সামনে থেকে তারা আমাকে দেখার চেষ্টা করছে। এক সময় আমার রিক্সা তাদের সমানে সমান চলে আসে। আমাকে দেখার সাথে সাথে দুজনে এক সাথে বলে থ্যাঙ্কু ভাইয়া, আমিও মৃদু একটি হাসি দেই যার অর্থ অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ঠিক আছে ঠিক আছে।
আমরা কেউ কাউকে চিনি না, কিন্তু থ্যাঙ্কু জানানোর মনোভাবের জায়গায় আমরা সেইদিন একাকার হয়েছিলাম।
বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬
:
পৃথিবীতে নাকি মানুষ বেঁচে আছে, অথচ মানুষের বেঁচে থাকার কথা
সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬
উহারা
অহংকারী মানুষের সব চেয়ে বড় পরাজয়টা ঘটে নিজের কাছে, অহংকার একটি দেয়ালের নাম যেখানে ব্যক্তি চিড়িয়াখানার প্রানীর মতো বন্দী অথবা অহংকার মানুষকে অন্ধ হতে সহায়তা করে।
অহংকারী মানুষের প্রথম কথা তার কথাই শেষ কথা, তার কথার উপরে আর কারো কথা থাকতে পারে না। ফলে ছাত্র হওয়ার অমৃত সাধনা থেকে অহংকারীরা নিজেকে বঞ্চিত করে।
তারা প্রতিনিয়ত অভিনয় করে, কারন নত হতে শিখেনি, অথচ প্রকৃতি প্রত্যেক মানুষকে প্রত্যেক মানুষের কাছে নত করেছে।
অন্ধকারকে নত হতে হয় আলোর কাছে, আলোকে নত হতে হয় অন্ধকারের কাছে, ঔষুধকে যেতে হয় কৃষকের কাছে, কৃষককে যেতে হয় ঔষধের কাছে।
পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস স্বীকার করার ইতিহাস,
স্বীকৃতি দেয়ার ইতিহাস,
শ্রদ্ধা করার ইতিহাস,
স্নেহ দেয়ার ইতিহাস,
সরি বলতে পারার ইতিহাস,
সবাই মিলে আনন্দ করার ইতিহাস।
অহংকারী মানুষের প্রথম কথা তার কথাই শেষ কথা, তার কথার উপরে আর কারো কথা থাকতে পারে না। ফলে ছাত্র হওয়ার অমৃত সাধনা থেকে অহংকারীরা নিজেকে বঞ্চিত করে।
তারা প্রতিনিয়ত অভিনয় করে, কারন নত হতে শিখেনি, অথচ প্রকৃতি প্রত্যেক মানুষকে প্রত্যেক মানুষের কাছে নত করেছে।
অন্ধকারকে নত হতে হয় আলোর কাছে, আলোকে নত হতে হয় অন্ধকারের কাছে, ঔষুধকে যেতে হয় কৃষকের কাছে, কৃষককে যেতে হয় ঔষধের কাছে।
পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস স্বীকার করার ইতিহাস,
স্বীকৃতি দেয়ার ইতিহাস,
শ্রদ্ধা করার ইতিহাস,
স্নেহ দেয়ার ইতিহাস,
সরি বলতে পারার ইতিহাস,
সবাই মিলে আনন্দ করার ইতিহাস।
ফ
দুটি পাখি উড়বে উড়বে, উড়িবে উড়িবে, আবার কী যেন এক টানে টানে নীড়ে ফিরবে ফিরিবে, এই টানের কোনো আকিকা নাম নেই, এই টানের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, এই টান গভীর এক চেতনার নাম যে চেতনার কোনো গন্তব্য ভাষার পৃথিবীতে খোঁজে পাওয়া যায় না, এ যেন শুধুই ভ্রমন
রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬
হ..
জাহাজ যখন মোহনা অতিক্রম করে তখন তার সারা শরীরে একটি ঝাঁকুনি আসে, ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারলে জাহাজ কোনো দ্বীপের খোঁজে আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে নতুবা জাহাজকে রচনা করতে হয় সলিলসমাধি।
পৃথিবী এখন সময়ের মোহনায় পড়েছে, তাই তার শরীরে নেমে এসেছে ঝাঁকুনি, এই ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারলে পৃথিবী সামনের দিকে এগিয়ে যাবে নতুবা পৃথিবীকে আরো পেছনে যেতে হবে।
পৃথিবী এখন সময়ের মোহনায় পড়েছে, তাই তার শরীরে নেমে এসেছে ঝাঁকুনি, এই ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারলে পৃথিবী সামনের দিকে এগিয়ে যাবে নতুবা পৃথিবীকে আরো পেছনে যেতে হবে।
শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬
গ✔
সব দরজা বন্ধ হয় না........
সব দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও তোমার দরজা খোলা থাকে
তুমি আমি এক ঘরে একাকার
তুমি জানো আমি তোমার
আমি জানি তুমি আমার
তবুও যেন বলে না লোকে
তুমি ওপাড় আর আমি নাকি এপাড়
সব দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও তোমার দরজা খোলা থাকে
তুমি আমি এক ঘরে একাকার
তুমি জানো আমি তোমার
আমি জানি তুমি আমার
তবুও যেন বলে না লোকে
তুমি ওপাড় আর আমি নাকি এপাড়
বহুতি
সূর্য বিদায় নেয়ার সাথে সাথে আমার মনের প্রশান্তির দরজা খুলে যায়। যতই রাত হতে থাকে ততই আমার মনের আনন্দ বাড়তে থাকে। আনন্দমনে ঘুমাতে যাই।
ঘুম থেকে উঠেই দেখি সেই সূর্য যাকে পেঁচা সহ্য করতে পারে না ``পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোন ছুতা, জান না আমার সঙ্গে সূর্যের শত্রুতা "। পেঁচার সাথে আমার অনেক অমিল তারপরও একটি মিল অনেক অমিলকে পরাজিত করে দেয়।
ছোট্ট কালে খুব রাতে ঘুম ভেঙে যেতো, তখন রাত আমার কাছে কোনো প্রিয়তা ফুল নয় যার গন্ধে নিজেকে সুখ দিতে পারতাম, তখন পেঁচাডাকে কেমন যেন ভয় জাগানিয়া সুর। আম্মাকে তখন আরো আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম। তখন থেকেই আম্মার বুক আমার জন্য নিরাপদ আশ্রয়। সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, আম্মার মুখ তখন আগের চেয়েও শক্তিশালীভাবে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার উপস্থিতির সামনে চলে আসে।
আম্মা বলতেন পেঁচাটির নাম হুতুম পেঁচা, ডাহুক পেঁচা ডাকতেই ভালো লাগতো আমার। ভালোলাগার যে কত অদল বদল হলো আমার, আরো কত যে হবে....
সূর্যসকালে গাডায় গিয়ে দেখি ভয় জাগানিয়া পেঁচা ভয়ঙ্কর গম্ভীর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম, আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতো সূর্য। তখন সূর্য আমার প্রিয় বন্ধু। কারন সূর্য ওঠা মানে আর ঘরের ভেতর থাকতে হবে না, আমরা সবাই যারা রাজা আছি ব্যাটবল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম আমাদের রাজত্বে।
সূর্যের পুরোটা সময় আমরা খেলা নিয়ে মেতে থাকতাম, তাম্বু লাল হয়ে আসা মানে আরেকটি রাত, আরেকটি পেঁচার ডাক, ভয়ার্ত মনে আম্মাকে খুব করে জড়িয়ে ধরা।
আম্মা থাকে গ্রামের বাড়ি, আমি ঢাকা শহরে, মাঝে মাঝে আম্মার দেখা পাই কিন্তু ডাহুক পেঁচার দেখা আর মিলে না।
কয়েকদিন আগে বালু নদীর খাল থেকে পূর্ব বাড্ডা কবরস্থানের দিকে যাচ্ছি, এমন সময় দেখি আমার সেই ছোট্ট কালের ডাহুক পেঁচা আর তাকে ঘিরে আছে কাকের কা কা, দুইশত ষাট ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে সে ঘাড় এদিক ওদিক করছে, কিন্তু কাকের কা কা যথেষ্ট নাছোড়, কাকের কাছে অবশেষে জীবন দিতে হলো আমার শৈশবের ভয় জাগানিয়া একমাত্র পেঁচাটিকে, তাও আবার কবরস্থানের মানুষগ্রাসী মাটির উপরে ....
ঘুম থেকে উঠেই দেখি সেই সূর্য যাকে পেঁচা সহ্য করতে পারে না ``পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোন ছুতা, জান না আমার সঙ্গে সূর্যের শত্রুতা "। পেঁচার সাথে আমার অনেক অমিল তারপরও একটি মিল অনেক অমিলকে পরাজিত করে দেয়।
ছোট্ট কালে খুব রাতে ঘুম ভেঙে যেতো, তখন রাত আমার কাছে কোনো প্রিয়তা ফুল নয় যার গন্ধে নিজেকে সুখ দিতে পারতাম, তখন পেঁচাডাকে কেমন যেন ভয় জাগানিয়া সুর। আম্মাকে তখন আরো আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম। তখন থেকেই আম্মার বুক আমার জন্য নিরাপদ আশ্রয়। সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, আম্মার মুখ তখন আগের চেয়েও শক্তিশালীভাবে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার উপস্থিতির সামনে চলে আসে।
আম্মা বলতেন পেঁচাটির নাম হুতুম পেঁচা, ডাহুক পেঁচা ডাকতেই ভালো লাগতো আমার। ভালোলাগার যে কত অদল বদল হলো আমার, আরো কত যে হবে....
সূর্যসকালে গাডায় গিয়ে দেখি ভয় জাগানিয়া পেঁচা ভয়ঙ্কর গম্ভীর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম, আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতো সূর্য। তখন সূর্য আমার প্রিয় বন্ধু। কারন সূর্য ওঠা মানে আর ঘরের ভেতর থাকতে হবে না, আমরা সবাই যারা রাজা আছি ব্যাটবল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম আমাদের রাজত্বে।
সূর্যের পুরোটা সময় আমরা খেলা নিয়ে মেতে থাকতাম, তাম্বু লাল হয়ে আসা মানে আরেকটি রাত, আরেকটি পেঁচার ডাক, ভয়ার্ত মনে আম্মাকে খুব করে জড়িয়ে ধরা।
আম্মা থাকে গ্রামের বাড়ি, আমি ঢাকা শহরে, মাঝে মাঝে আম্মার দেখা পাই কিন্তু ডাহুক পেঁচার দেখা আর মিলে না।
কয়েকদিন আগে বালু নদীর খাল থেকে পূর্ব বাড্ডা কবরস্থানের দিকে যাচ্ছি, এমন সময় দেখি আমার সেই ছোট্ট কালের ডাহুক পেঁচা আর তাকে ঘিরে আছে কাকের কা কা, দুইশত ষাট ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে সে ঘাড় এদিক ওদিক করছে, কিন্তু কাকের কা কা যথেষ্ট নাছোড়, কাকের কাছে অবশেষে জীবন দিতে হলো আমার শৈশবের ভয় জাগানিয়া একমাত্র পেঁচাটিকে, তাও আবার কবরস্থানের মানুষগ্রাসী মাটির উপরে ....
শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬
ঘ
ঘুমন্ত মানুষের কাছে আমি কখনো জেগে থাকার ঔষধ কামনা করি না, যারা জেগে আছে তাদেরকে মাঝে মাঝে জিগাই ভাই ঘুম কই আছে, আজকাল ডাক্তার আর বক্তার অভাব অভাবনীয়ভাবে কমেছে
প্রেমে
এই শহরের মেয়েরা প্রেমিককে তো আর ভাঙতে পারে না, তাই মোবাইল ভাঙে, আমাদের নারীদের শক্তিপ্রয়োগ মোবাইল পর্যন্ত
ট্য
ভালোবাসা শব্দটি একটি ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট যারা সেবন করে তারা ইউফোরিয়া আনন্দে আক্রান্ত হয়ে যায়, তাদের মধ্যে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, তাদের আচরন অনেকটা বানরের মতো দেখায়।
বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬
গলে যায়
মোমের মতো যারা গলে যায় তাদেরকে আমি সেবা বলি, আমরা প্রতিদিন মানুষ চাই, মানুষের পৃথিবী প্রতিদিন অন্ধকারের পর ভোর, ভোর হলেই আয়নার মতো তারা নিজেকে দেখে, অন্ধকারের মতো তারাও আলো, ভুলে যায় তারা আলোতে কালোতে লেগে থাকা বিবেদ, মানুষ মানুষ হৃদয়বাহী নেই কোনো প্রকার প্রাকার প্রভেদ
অভ্যাস
নিজেকে বাঁচানোর জন্য কত জন কত কিছু করে
তুমি না হয় আমাকেই বেছে নিলে
আমিও বেছে নিলাম মৃত্যু
মৃত্যুর সাথে বসবাস আমার হাজার বছরের অভ্যাস
অভ্যাসে অভ্যাসে লেখা থাকে মানুষের ইতিহাস
তুমি না হয় আমাকেই বেছে নিলে
আমিও বেছে নিলাম মৃত্যু
মৃত্যুর সাথে বসবাস আমার হাজার বছরের অভ্যাস
অভ্যাসে অভ্যাসে লেখা থাকে মানুষের ইতিহাস
আগুন
একজনের কাছে আগুন অন্যজনের কাছে গ্যাস
পৃথিবী একক যৌথ খামার মিলেমিশে থাকার দেশ
পৃথিবী একক যৌথ খামার মিলেমিশে থাকার দেশ
বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬
অবশ্যই
কোরানের একটি আয়াত আমার কাছে খুব ভালো লাগে যেখানে ফজরের সালাত শেষ করে জমিনে ছড়িয়ে পড়ার কথা আছে, যেখানে ফজরের সালাতের পর আবার ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।
অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য ইসলাম কাজকে হালাল করেছে আর আলস্যকে করেছে নিন্দনীয়।
কওমি মাদ্রাসার ছাত্র যারা পড়াশোনা শেষ করে জমিনে ছড়িয়ে পড়বে জমিন তো তাদের সাথে ভালো আচরন করবে না। কারন তারা কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞ, ইংরেজি ভাষায় তারা অজ্ঞ, বাংলা ভাষাও তাদের চর্চায় নেই, ব্যাংকিং কিংবা স্রোতের সাথে সম্মানজনক কোনো কাজে তাদের যোগ্যতা নেই।
তাহলে তারা করবে কী?
পরিবেশকে সুন্দর করার জন্য রেললাইনের পাশে কলাগাছ রোপন করবে? তাতেও তো নার্সারিশিক্ষা আবশ্যক।
মসজিদ কিংবা মাদ্রাসার ইমাম, হুজুর, মাওলানা হয়ে অর্থ উপার্জন করবে; আর সেই অর্থ দিয়ে সংসার চলবে? কিন্তু কোরানের বিশটা আয়াত দিয়ে প্রমানিত যে ইসলামের কথা ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন সাফ হারাম।
আমাদের সাহাবা কেরাম ব্যবসা করতেন, ব্যবসার টাকা ইসলামের খেদমতে ব্যবহার করতেন। যারা ইসলাম নাম ব্যবহার করে, আল্লাহ্ নবীর মহিমাকীর্তন করে অর্থ উপার্জনের কাজে ব্যস্ত তারা কতটুকু বৈধ পথে আছে প্রশ্ন তো উথ্থাপন করাই যায়।
কোরানে আছে তোমরা আমার কাজে ঢুকে যাও, আমি তোমাদের জান্নাত দিবো। আল্লাহর কাজ এমন এক কাজ যার দ্বারা মানুষের কোনো প্রকার ক্ষতি হয় না অথচ ব্যক্তি নিজের এবং তার পারিপার্শ্বিকতার কল্যান হয়ে থাকে এমন। বিজ্ঞানের উন্নতি, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে অনেকে টেলিভিশনে বক্তৃতা দিয়ে মহামান্য উপাধি লাভ করছে। তাহলে বিজ্ঞান প্রযুক্তির নতুন নতুন জগৎ আবিষ্কারে আপনাদের অবদান থাকবে না কেন? অন্যের পুকুরে আর কত গোসল করবেন, এবার নিজের পুকুর খনন করার চেষ্টা করুন।
ইসলামকে মনে করা হয় এক জীবন ব্যবস্থার নাম যেখানে কায়িক পরিশ্রমের ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয় অথচ আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে মোটা মোটা ডিগ্রি অর্জন করছে কিন্তু কোনো প্রকার মাঠপর্যায়ে পরিশ্রম নেই, আমাদের নবী মাঠে মাঠে মেষ চড়ানোর কাজ করেছেন, দেশে দেশে ব্যবসা করেছেন অর্থাৎ শ্রমজীবী জীবন ছিল তাঁর। আর আমাদের মাওলানা মুফতি ভায়েরা যেন বিশাল আকারের সাব, টিউবওয়েলের পানিও অর্ডার দিয়ে আনান....
অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য ইসলাম কাজকে হালাল করেছে আর আলস্যকে করেছে নিন্দনীয়।
কওমি মাদ্রাসার ছাত্র যারা পড়াশোনা শেষ করে জমিনে ছড়িয়ে পড়বে জমিন তো তাদের সাথে ভালো আচরন করবে না। কারন তারা কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞ, ইংরেজি ভাষায় তারা অজ্ঞ, বাংলা ভাষাও তাদের চর্চায় নেই, ব্যাংকিং কিংবা স্রোতের সাথে সম্মানজনক কোনো কাজে তাদের যোগ্যতা নেই।
তাহলে তারা করবে কী?
পরিবেশকে সুন্দর করার জন্য রেললাইনের পাশে কলাগাছ রোপন করবে? তাতেও তো নার্সারিশিক্ষা আবশ্যক।
মসজিদ কিংবা মাদ্রাসার ইমাম, হুজুর, মাওলানা হয়ে অর্থ উপার্জন করবে; আর সেই অর্থ দিয়ে সংসার চলবে? কিন্তু কোরানের বিশটা আয়াত দিয়ে প্রমানিত যে ইসলামের কথা ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন সাফ হারাম।
আমাদের সাহাবা কেরাম ব্যবসা করতেন, ব্যবসার টাকা ইসলামের খেদমতে ব্যবহার করতেন। যারা ইসলাম নাম ব্যবহার করে, আল্লাহ্ নবীর মহিমাকীর্তন করে অর্থ উপার্জনের কাজে ব্যস্ত তারা কতটুকু বৈধ পথে আছে প্রশ্ন তো উথ্থাপন করাই যায়।
কোরানে আছে তোমরা আমার কাজে ঢুকে যাও, আমি তোমাদের জান্নাত দিবো। আল্লাহর কাজ এমন এক কাজ যার দ্বারা মানুষের কোনো প্রকার ক্ষতি হয় না অথচ ব্যক্তি নিজের এবং তার পারিপার্শ্বিকতার কল্যান হয়ে থাকে এমন। বিজ্ঞানের উন্নতি, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে অনেকে টেলিভিশনে বক্তৃতা দিয়ে মহামান্য উপাধি লাভ করছে। তাহলে বিজ্ঞান প্রযুক্তির নতুন নতুন জগৎ আবিষ্কারে আপনাদের অবদান থাকবে না কেন? অন্যের পুকুরে আর কত গোসল করবেন, এবার নিজের পুকুর খনন করার চেষ্টা করুন।
ইসলামকে মনে করা হয় এক জীবন ব্যবস্থার নাম যেখানে কায়িক পরিশ্রমের ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয় অথচ আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে মোটা মোটা ডিগ্রি অর্জন করছে কিন্তু কোনো প্রকার মাঠপর্যায়ে পরিশ্রম নেই, আমাদের নবী মাঠে মাঠে মেষ চড়ানোর কাজ করেছেন, দেশে দেশে ব্যবসা করেছেন অর্থাৎ শ্রমজীবী জীবন ছিল তাঁর। আর আমাদের মাওলানা মুফতি ভায়েরা যেন বিশাল আকারের সাব, টিউবওয়েলের পানিও অর্ডার দিয়ে আনান....
রাধা....
রাধা পারে ফুল ফিরিয়ে দিতে
রাধাই পারে চোখের জলে যমুনা ভাসাতে
ও আমার রাধা গো আর কতকাল থাকবে দূরদেশে
আমার পদ্মা মেঘনা গতর জ্বলে যাচ্ছে বৃন্দাবনতাপে
রাধাই পারে চোখের জলে যমুনা ভাসাতে
ও আমার রাধা গো আর কতকাল থাকবে দূরদেশে
আমার পদ্মা মেঘনা গতর জ্বলে যাচ্ছে বৃন্দাবনতাপে
মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬
চলে
বাতাসের মতো কান কোথায় যেন হাহাকার করে, চালচলন জল নদীর মতো কথা বলে, একদিন একাকার হয়ে আসে অভিশাপের কালসাপ, মনসা যেন পালাবে না পালাবে না, বাজারে বাজারে আমার তরুনেরা ঘুমায় ট্যাবলেট স্বাদে, মনসা মা আমার যুগে যুগে আসে, বেহুলা তবে পালাবে কোথায়, এমন করে যাবে যাবে গো দিন সোনার খাঁচায়, মানুষ তোমায় পশু নাচায়
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬
চলার
চলার পথে একবার পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়েছিলাম, ব্যথা লাগে তবে রক্ত আসেনি। পাথরটাকে মনে রাখতে চায়, ব্যথাকে না। কারন চলার পথে এমন অনেক পাথর আসবে যাদের জন্ম ব্যথা দেয়ার জন্য।
ওস্তাদ
মুসলমানরা এই সহজিয়া মাটিতে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে ওস্তাদ শব্দটি সেইভাবেই জায়গা করে নিয়েছে । ওস্তাদ শব্দটি ফারসি শব্দ। 'ওস্তাদ' যখন বিশেষ্য তখন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গুরু, শিক্ষক, প্রভু।
দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ-- কারন মাছেরা সম্মোহিত -- সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম,আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর-- কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না --
"ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে
পড়ে না মনে,
দূরে থেকে কবে ফিরে গিয়েছিলে
নাই স্মরণে।"
আজ যখন সমস্ত স্মৃতিভ্রম বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে মনকম্পিউটারের সাথে স্মরনপ্যানড্রাইভ সংযোগ করলাম তখন নতুন এক পৃথিবী আমার চোখের সামনে,মনের সামনে আস্তে আস্তে লোডিং হচ্ছে --
"বুঝেছি আমার নিশার স্বপন
হয়েছে ভোর।
মালা ছিল, তার ফুলগুলি গেছে,
রয়েছে ডোর।"
প্রথমবার সম্মোহিত হয়েছিলাম জনাব প্রকৃতির উপর। জনাব প্রকৃতি যদ্যপি আমার গুরু,যদ্যপি আমার প্রেরনা। শৈশব-তারন্যে সাঁতার কাটার মতো তেমন কোন পাত্র ছিল না-- প্রকৃতি ছাড়া। প্রকৃতির বিশাল আয়োজনে আমার তারন্য নগন্যই ছিল। সবুজ শ্যামলিমা প্রকৃতি আমার প্রেমিকা, আমার মা,আমার নিভৃতচারী পিতা-- আবার আমার আন্তরিক বন্ধু।
আমার এখনকার বন্ধুটি মহসিন হলে থাকে। আমি থাকি জিয়া হলে।রাত বারোটার পর আড্ডা শুরু হয়। আমাদের আড্ডায় তৃতীয়পক্ষ নট অ্যালাউড।কত কথা বলি আমরা,কত জীবন করি রচনা, কত দীর্ঘশ্বাস উড়াই ঢাকা শহরের জান্তব কোলাহলে-- অন্ধকারের তথাকথিত ভার্জিন মোহনায়। একসময় মসজিদ থেকে আযান আসে-- তখনই মনে হয় রুমে যাওয়া প্রয়োজন, প্রয়োজন চোখের বিশ্রাম। শুরু হয় এগিয়ে দেয়ার পালা-- আমাকে এগিয়ে দেয় জিয়া হলের গেইট পর্যন্ত,আমি তখন ভাবি বন্ধুটা একা একা যাবে-- আমিও এগিয়ে দিয়ে আসি। তখন আমি তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি মহসিন হলের গেইট পর্যন্ত। তখন সে আবার ভাবে আমি কি করে একা একা যাবো-- সে আবার এগিয়ে দিতে আসে জিয়া হলের গেইট পর্যন্ত। এগিয়ে দেয়া-নেয়া চলতে চলতে সকাল হয়ে যায়-- সূর্য এসে চোখের কোনায় শুভসকাল বলে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন মলচত্বরের প্রকৃতির সজীবসন্তান চিরযৌবনা গাছগুলো মিটিমিটি তারার মতো হাসতে থাকে-- আমরা লজ্জা পেয়ে যাই-- তখন হয় দুজনে দ্রুত দুই হলে চলে যাই নয় একরুমে একসাথে ঘুমাই।
আমাদের এই আন্তরিকতা কিন্তু আমাদের না-- যদ্যপি আমার গুরু প্রকৃতির কাছ থেকে আংশিক ধার নেয়া। এই প্রকৃতি আমার শৈশবের মেঘনা নদী।
মেঘনা মানুষকে জীবন দেয়,মেঘনা জীবন পালন করে,এই মেঘনা আবার জীবন থেকে জীবন তুলে নেয়।এক মেঘনা অথচ কত বিচিত্র তার চরিত্র।নদীর তীরের মানুষগুলো সহজে হাসতে পারে,সহজে কানতে পারে,সহজে ভালোবাসতে পারে,আবার সহজে হত্যা করতে পারে তরুনপ্রান জীবন--
আমার গ্রামের ছেলে সাইফুল। চমৎকার সৌখিন ছেলে। বাড়িতে তার কবুতর খামার,নানা প্রকারের কবুতর।মুখে তার মোলায়েম হাসি-- হৃদয়ভরা ভালোবাসা।তবে নাগরিক ভালোবাসা। গ্রাম্য আবেগে,বংশীয় স্বার্থপীঠে সাইফুলের বুকের বাম পাশে বসিয়ে দেয়া হয় নারকীয় ছুড়ি।তরুন সাইফুল আজ মৃত-- তরুন সাইফুল আর হাসে না কবুতরের বাকবাকুম বাকবাকুম ডাহের সাথে। আমার প্রভু প্রকৃতির লালিত নদী কিন্তু ঠিকই হাসে আগের মতো, চিক চিক করে সূর্যের সাথে,চান্দেন ভরা জোছনার লগে। আর সাইফুল মাটির মতো ঘুমিয়ে আছে মাটির বিছানায়। নদীর কোন দুঃখ নেই, মেঘনা নদীর কোন আবেগ-বিবেক নেই। যত আবেগ আর বিবেকের খেলা আমাদের-- আমাদের এই সামাজিক মানুষের।
হরিনের পাল থেকে যখন থাবা দিয়ে একটি হরিনকে দলছুট করে ফেলে শিকারি বাঘ-- বাকি হরিনগুলো পালাও পালাও রবে রবাহত -- শোকাহত হৃদয় হরিনের নেয়-- শোকাহত হৃদয় মানুষের আছে-- নদীর কোন শোকাহত হৃদয় নেই-- নদী তো আমার শৈশবের হিরো শাহ্ শওকত আলী।
শাহ্ শওকত আলী মারফতি মানুষ। পীর সাহেব।তাঁর অনেক ভক্ত- মুরীদ।আমি তাঁর মুরীদ ছিলাম না-- ভক্ত ছিলাম। মনের ভেতর থেকে তাঁর জন্য মনের দরজাটা খোলা ছিল- তাঁর কাছ থেকে সুফিতত্ত্বের শিক্ষা লাভ করি সেই ছোট্ট কালে-- কাউকে ভালোবাসলে তাঁর বলার ভঙ্গি কত ভালো লাগে তা আমি জানি-- তাঁর বলার ভঙ্গি-- তাঁর বাক্য থেকে বাক্যের নিরাপদ দূরত্ব-- তাঁর চোখের অব্যক্ত কথা আজোও হৃদয়ের সেই অরক্ষিতঘরে জায়গা করে আছে। তিনি বলতেন এবং বলতেন--
বাদশা রাজদরবারে রাজকীয় আমেজে ঘুমাচ্ছেন। চারপাশে পরিমিত প্রদীপ-আলো-- যা ঘুমে নিয়ে আসে রাজকীয় আনন্দ।তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল।ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার কারন আছে। ছাদে জোড়ে জোড়ে পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বাদশা ছাদে গেলেন।গিয়ে দেখেন পাগড়ি পড়া সাদা পোশাকধারী এক লোক হাঁটছেন। বাদশা প্রথমে অবাক হলেন।কারন সৈন্য-সামন্ত-প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে দরবেশের মতো এই লোক আসলো কি করে! তারপরও বাদশা বাদশার মতো ভয় ভেতরে চাপা দিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন
'আপনি কে,কি চায়?'
লোকটি বলল
'আমি কে আমি যেমন জানি না,তুমি কে তাও তুমি জান না;
আর এই ছাদে এসেছি ঘোড়া খোঁজতে,আমার ঘোড়াটা হারিয়ে গেছে তো তাই।'
বাদশা হাসি দিয়ে বললেন 'ঘোড়াকে কি ছাদে পাওয়া যাবে? তারপর লোকটি আস্তে করে বাদশার চোখের দিকে তাকালেন।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন 'ছাদে যেমন ঘোড়া পাওয়া যায় না তেমনি রাজকীয় আরাম আয়েশে থেকেও আল্লাকে পাওয়া যায় না।কথাটি শোনার সাথে সাথে বাদশার মনে ঝড় শুরু হয়ে যায়,বাদশা পাগলের মতো এদিক-ওদিক ছুঁটতে থাকে।রাজ্য ছেড়ে দেয়-- যেখানে গেলে মাশুকের খোঁজ পাওয়া যাবে সেখানে ছুঁটতে থাকে-- বাদশা খোঁজছে তো খোঁজছে-- মাশুকের খোঁজ আর পায় না।আর আমি শাহ শওকত আলীর চোখে মাশুকের খোঁজ পাই,তাঁর কথা বলার ভঙ্গির মধ্যে মাশুকের খোঁজ পাই -- তাঁর কথা বলার ভঙ্গির মধ্যে যদ্যপি আমার প্রেরনা মেঘনা নদীর খোঁজ পাই-- যে নদী ভাঙতে জানে, চর তৈয়ারি করতে জানে,সে নদী।
নদী কেন পারাপার করে গতিশীল ঢেউ। ঢেউয়ের লগে চান্দের হাতির, ঢেউয়ের লগে সাগর-মহাসাগরের হাতির। ঢেউ এক হাতিরের নাম। যে নদীতে ঢেউ থাহে না সে নদী দ্রুত মারা যায়।নদী মারা গেলে ডোবা, জলাশয়, পুকুর তার নাম-- মানুষ তাদেরকে কত অত্যাচার করে-- মৃত কিছুর উপর ওস্তাদগিরি দেখানো মানুষের কারবার।
'ওস্তাদ' শব্দটি যখন বিশেষন হয় তখন এর অর্থ দাঁড়ায় 'দক্ষ','যোগ্য', 'ন্যায়শীল' ; নেগেটিভ অর্থে 'কপট'।
এই জীবনে দক্ষতার কোনো সীমানা পাইনি।এই জীবনে দক্ষতার কোনো ডাকনাম পাইনি।তবে দক্ষতার এক সুনিপুন কারিগর দেখেছি আমার জীবনযাপনের সামনে,আমার বেড়ে উঠার সামনে। সে কারিগরের নাম আমার মা,আমার আম্মা,আমার মম।
ছয় বোন,আমি,আমার আব্বাকে নিয়ে আমাদের পরিবার। নিঃসন্দেহে আমি অনেক আদরের এবং আরাদ্ধ।কিন্তু কোনো দিন তাঁর আচরনে আমি আদরের একমাত্র বোধটুকু জেগে উঠতে দেখিনা-- না খাবার টেবিলে,না বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে,না মার্কেট করার ব্যাপারে।
আব্বা কৃষক,নিতান্ত সহজিয়া মানুষ-- আমাকে কোনোদিন কোনো উপদেশ দেননি। বাবা হয়ে উপদেশ দেয়ার লোভ সামলাতে পাড়লেন কীভাবে আমি আজ অবাক হই।হয়তো তিনি আমার ওস্তাদ হতে চাননি,নাকি ওস্তাদ না হওয়ার নির্মোহ আচরনই তাকে আমার কাছে জীবনবাদী ওস্তাদ করে তুলেছে।
দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ-- কারন মাছেরা সম্মোহিত -- সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম,আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর-- কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না --
"ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে
পড়ে না মনে,
দূরে থেকে কবে ফিরে গিয়েছিলে
নাই স্মরণে।"
আজ যখন সমস্ত স্মৃতিভ্রম বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে মনকম্পিউটারের সাথে স্মরনপ্যানড্রাইভ সংযোগ করলাম তখন নতুন এক পৃথিবী আমার চোখের সামনে,মনের সামনে আস্তে আস্তে লোডিং হচ্ছে --
"বুঝেছি আমার নিশার স্বপন
হয়েছে ভোর।
মালা ছিল, তার ফুলগুলি গেছে,
রয়েছে ডোর।"
প্রথমবার সম্মোহিত হয়েছিলাম জনাব প্রকৃতির উপর। জনাব প্রকৃতি যদ্যপি আমার গুরু,যদ্যপি আমার প্রেরনা। শৈশব-তারন্যে সাঁতার কাটার মতো তেমন কোন পাত্র ছিল না-- প্রকৃতি ছাড়া। প্রকৃতির বিশাল আয়োজনে আমার তারন্য নগন্যই ছিল। সবুজ শ্যামলিমা প্রকৃতি আমার প্রেমিকা, আমার মা,আমার নিভৃতচারী পিতা-- আবার আমার আন্তরিক বন্ধু।
আমার এখনকার বন্ধুটি মহসিন হলে থাকে। আমি থাকি জিয়া হলে।রাত বারোটার পর আড্ডা শুরু হয়। আমাদের আড্ডায় তৃতীয়পক্ষ নট অ্যালাউড।কত কথা বলি আমরা,কত জীবন করি রচনা, কত দীর্ঘশ্বাস উড়াই ঢাকা শহরের জান্তব কোলাহলে-- অন্ধকারের তথাকথিত ভার্জিন মোহনায়। একসময় মসজিদ থেকে আযান আসে-- তখনই মনে হয় রুমে যাওয়া প্রয়োজন, প্রয়োজন চোখের বিশ্রাম। শুরু হয় এগিয়ে দেয়ার পালা-- আমাকে এগিয়ে দেয় জিয়া হলের গেইট পর্যন্ত,আমি তখন ভাবি বন্ধুটা একা একা যাবে-- আমিও এগিয়ে দিয়ে আসি। তখন আমি তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি মহসিন হলের গেইট পর্যন্ত। তখন সে আবার ভাবে আমি কি করে একা একা যাবো-- সে আবার এগিয়ে দিতে আসে জিয়া হলের গেইট পর্যন্ত। এগিয়ে দেয়া-নেয়া চলতে চলতে সকাল হয়ে যায়-- সূর্য এসে চোখের কোনায় শুভসকাল বলে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। তখন মলচত্বরের প্রকৃতির সজীবসন্তান চিরযৌবনা গাছগুলো মিটিমিটি তারার মতো হাসতে থাকে-- আমরা লজ্জা পেয়ে যাই-- তখন হয় দুজনে দ্রুত দুই হলে চলে যাই নয় একরুমে একসাথে ঘুমাই।
আমাদের এই আন্তরিকতা কিন্তু আমাদের না-- যদ্যপি আমার গুরু প্রকৃতির কাছ থেকে আংশিক ধার নেয়া। এই প্রকৃতি আমার শৈশবের মেঘনা নদী।
মেঘনা মানুষকে জীবন দেয়,মেঘনা জীবন পালন করে,এই মেঘনা আবার জীবন থেকে জীবন তুলে নেয়।এক মেঘনা অথচ কত বিচিত্র তার চরিত্র।নদীর তীরের মানুষগুলো সহজে হাসতে পারে,সহজে কানতে পারে,সহজে ভালোবাসতে পারে,আবার সহজে হত্যা করতে পারে তরুনপ্রান জীবন--
আমার গ্রামের ছেলে সাইফুল। চমৎকার সৌখিন ছেলে। বাড়িতে তার কবুতর খামার,নানা প্রকারের কবুতর।মুখে তার মোলায়েম হাসি-- হৃদয়ভরা ভালোবাসা।তবে নাগরিক ভালোবাসা। গ্রাম্য আবেগে,বংশীয় স্বার্থপীঠে সাইফুলের বুকের বাম পাশে বসিয়ে দেয়া হয় নারকীয় ছুড়ি।তরুন সাইফুল আজ মৃত-- তরুন সাইফুল আর হাসে না কবুতরের বাকবাকুম বাকবাকুম ডাহের সাথে। আমার প্রভু প্রকৃতির লালিত নদী কিন্তু ঠিকই হাসে আগের মতো, চিক চিক করে সূর্যের সাথে,চান্দেন ভরা জোছনার লগে। আর সাইফুল মাটির মতো ঘুমিয়ে আছে মাটির বিছানায়। নদীর কোন দুঃখ নেই, মেঘনা নদীর কোন আবেগ-বিবেক নেই। যত আবেগ আর বিবেকের খেলা আমাদের-- আমাদের এই সামাজিক মানুষের।
হরিনের পাল থেকে যখন থাবা দিয়ে একটি হরিনকে দলছুট করে ফেলে শিকারি বাঘ-- বাকি হরিনগুলো পালাও পালাও রবে রবাহত -- শোকাহত হৃদয় হরিনের নেয়-- শোকাহত হৃদয় মানুষের আছে-- নদীর কোন শোকাহত হৃদয় নেই-- নদী তো আমার শৈশবের হিরো শাহ্ শওকত আলী।
শাহ্ শওকত আলী মারফতি মানুষ। পীর সাহেব।তাঁর অনেক ভক্ত- মুরীদ।আমি তাঁর মুরীদ ছিলাম না-- ভক্ত ছিলাম। মনের ভেতর থেকে তাঁর জন্য মনের দরজাটা খোলা ছিল- তাঁর কাছ থেকে সুফিতত্ত্বের শিক্ষা লাভ করি সেই ছোট্ট কালে-- কাউকে ভালোবাসলে তাঁর বলার ভঙ্গি কত ভালো লাগে তা আমি জানি-- তাঁর বলার ভঙ্গি-- তাঁর বাক্য থেকে বাক্যের নিরাপদ দূরত্ব-- তাঁর চোখের অব্যক্ত কথা আজোও হৃদয়ের সেই অরক্ষিতঘরে জায়গা করে আছে। তিনি বলতেন এবং বলতেন--
বাদশা রাজদরবারে রাজকীয় আমেজে ঘুমাচ্ছেন। চারপাশে পরিমিত প্রদীপ-আলো-- যা ঘুমে নিয়ে আসে রাজকীয় আনন্দ।তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল।ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার কারন আছে। ছাদে জোড়ে জোড়ে পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বাদশা ছাদে গেলেন।গিয়ে দেখেন পাগড়ি পড়া সাদা পোশাকধারী এক লোক হাঁটছেন। বাদশা প্রথমে অবাক হলেন।কারন সৈন্য-সামন্ত-প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে দরবেশের মতো এই লোক আসলো কি করে! তারপরও বাদশা বাদশার মতো ভয় ভেতরে চাপা দিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন
'আপনি কে,কি চায়?'
লোকটি বলল
'আমি কে আমি যেমন জানি না,তুমি কে তাও তুমি জান না;
আর এই ছাদে এসেছি ঘোড়া খোঁজতে,আমার ঘোড়াটা হারিয়ে গেছে তো তাই।'
বাদশা হাসি দিয়ে বললেন 'ঘোড়াকে কি ছাদে পাওয়া যাবে? তারপর লোকটি আস্তে করে বাদশার চোখের দিকে তাকালেন।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন 'ছাদে যেমন ঘোড়া পাওয়া যায় না তেমনি রাজকীয় আরাম আয়েশে থেকেও আল্লাকে পাওয়া যায় না।কথাটি শোনার সাথে সাথে বাদশার মনে ঝড় শুরু হয়ে যায়,বাদশা পাগলের মতো এদিক-ওদিক ছুঁটতে থাকে।রাজ্য ছেড়ে দেয়-- যেখানে গেলে মাশুকের খোঁজ পাওয়া যাবে সেখানে ছুঁটতে থাকে-- বাদশা খোঁজছে তো খোঁজছে-- মাশুকের খোঁজ আর পায় না।আর আমি শাহ শওকত আলীর চোখে মাশুকের খোঁজ পাই,তাঁর কথা বলার ভঙ্গির মধ্যে মাশুকের খোঁজ পাই -- তাঁর কথা বলার ভঙ্গির মধ্যে যদ্যপি আমার প্রেরনা মেঘনা নদীর খোঁজ পাই-- যে নদী ভাঙতে জানে, চর তৈয়ারি করতে জানে,সে নদী।
নদী কেন পারাপার করে গতিশীল ঢেউ। ঢেউয়ের লগে চান্দের হাতির, ঢেউয়ের লগে সাগর-মহাসাগরের হাতির। ঢেউ এক হাতিরের নাম। যে নদীতে ঢেউ থাহে না সে নদী দ্রুত মারা যায়।নদী মারা গেলে ডোবা, জলাশয়, পুকুর তার নাম-- মানুষ তাদেরকে কত অত্যাচার করে-- মৃত কিছুর উপর ওস্তাদগিরি দেখানো মানুষের কারবার।
'ওস্তাদ' শব্দটি যখন বিশেষন হয় তখন এর অর্থ দাঁড়ায় 'দক্ষ','যোগ্য', 'ন্যায়শীল' ; নেগেটিভ অর্থে 'কপট'।
এই জীবনে দক্ষতার কোনো সীমানা পাইনি।এই জীবনে দক্ষতার কোনো ডাকনাম পাইনি।তবে দক্ষতার এক সুনিপুন কারিগর দেখেছি আমার জীবনযাপনের সামনে,আমার বেড়ে উঠার সামনে। সে কারিগরের নাম আমার মা,আমার আম্মা,আমার মম।
ছয় বোন,আমি,আমার আব্বাকে নিয়ে আমাদের পরিবার। নিঃসন্দেহে আমি অনেক আদরের এবং আরাদ্ধ।কিন্তু কোনো দিন তাঁর আচরনে আমি আদরের একমাত্র বোধটুকু জেগে উঠতে দেখিনা-- না খাবার টেবিলে,না বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে,না মার্কেট করার ব্যাপারে।
আব্বা কৃষক,নিতান্ত সহজিয়া মানুষ-- আমাকে কোনোদিন কোনো উপদেশ দেননি। বাবা হয়ে উপদেশ দেয়ার লোভ সামলাতে পাড়লেন কীভাবে আমি আজ অবাক হই।হয়তো তিনি আমার ওস্তাদ হতে চাননি,নাকি ওস্তাদ না হওয়ার নির্মোহ আচরনই তাকে আমার কাছে জীবনবাদী ওস্তাদ করে তুলেছে।
রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬
বক্ররেখা
নদীর তীরে কোনো মানুষ ছিল না। আমার হাতেও কোনো টর্চ নেই। একটু আগে যখন বৃষ্টি নামে তখন পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় অবস্থান করি। চারদিকে নীরবতার মিছিল। মাঝে মাঝে আকাশের ডাক। বাতাসও কেমন ভয় জাগানিয়া শব্দ করে। বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছে। একলা আমি। নবী রাসুলের নাম স্মরন করছি। আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। প্রকৃতি ধীরে ধীরে আমার কাছে চলে আসতেছে, আমার সারা শরীরে অদৃশ্য কম্পন শুরু হয়ে গ্যাছে।
লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন " বার বার আবৃত্তি করছি কিন্তু তাতে আমার জিব্বার পানি শুন্যতা কেবল দেখা দিচ্ছে। গাছের মরা ডালকেও মনে হচ্ছে বিষধর আক্রমনাত্মক সাপ। গড়িয়ে যাওয়া রাস্তার জল যা নদীর অভিমুখে যেন মানুষের তাজা রক্ত।
ঝড় থেমে গেলো। ঝড় থামবে বলে মনে হচ্ছিল না। ঝড়ও থেমে গেলো। চমৎকার অন্ধকার নেমে আসছে রাস্তায়। সাধারনত বড় ঝড়ের পড় রাতকে হালকা আলোময় দেখায়। আজকে তা মনে হচ্ছে না।
আশেপাশে কোনো মানুষের ঘ্রান নেই। যা হবার হবে তা হবে, অন্ধকার কেটেই বাড়ি যাবো!
পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বের হলাম। ডান দিকে চোখ পড়তেই আলোর ঝিলিক। একজন লোক। হাতে তার টর্চ। লোকটির পায়ের দিকে তাকালাম। পা স্বাভাবিক। শুধু পায়ে কোনো বৃষ্টির ছাপ নেই, কোনো জ্বিনভূতের চিহ্নও নেই।
লোকটি আমাকে দেখে মৃদু হাসি দিলো। মৃদু হাসির ফলাফল গোয়েন্দা উপন্যাসের মতো রহস্যময়। আমিও চলছি, লোকটিও। কারো মুখে কোনো কথা নেই।
বাড়িতে এসে গেলাম, লোকটিকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য পাশ ফিরে তাকালাম, দেখি লোকটি নেই, একটি জোনাক পোকা আমার এপাশ থেকে ওপাশ, ওপাশ থেকে এপাশ করছে
লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন " বার বার আবৃত্তি করছি কিন্তু তাতে আমার জিব্বার পানি শুন্যতা কেবল দেখা দিচ্ছে। গাছের মরা ডালকেও মনে হচ্ছে বিষধর আক্রমনাত্মক সাপ। গড়িয়ে যাওয়া রাস্তার জল যা নদীর অভিমুখে যেন মানুষের তাজা রক্ত।
ঝড় থেমে গেলো। ঝড় থামবে বলে মনে হচ্ছিল না। ঝড়ও থেমে গেলো। চমৎকার অন্ধকার নেমে আসছে রাস্তায়। সাধারনত বড় ঝড়ের পড় রাতকে হালকা আলোময় দেখায়। আজকে তা মনে হচ্ছে না।
আশেপাশে কোনো মানুষের ঘ্রান নেই। যা হবার হবে তা হবে, অন্ধকার কেটেই বাড়ি যাবো!
পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বের হলাম। ডান দিকে চোখ পড়তেই আলোর ঝিলিক। একজন লোক। হাতে তার টর্চ। লোকটির পায়ের দিকে তাকালাম। পা স্বাভাবিক। শুধু পায়ে কোনো বৃষ্টির ছাপ নেই, কোনো জ্বিনভূতের চিহ্নও নেই।
লোকটি আমাকে দেখে মৃদু হাসি দিলো। মৃদু হাসির ফলাফল গোয়েন্দা উপন্যাসের মতো রহস্যময়। আমিও চলছি, লোকটিও। কারো মুখে কোনো কথা নেই।
বাড়িতে এসে গেলাম, লোকটিকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য পাশ ফিরে তাকালাম, দেখি লোকটি নেই, একটি জোনাক পোকা আমার এপাশ থেকে ওপাশ, ওপাশ থেকে এপাশ করছে
পা....
আয়নার উপর বসে আছে পাখি
মানুষ আয়নাও দেখে পাখিও দেখে
পাখি ক্ষনে ক্ষনে রং বদলায়
আয়নায় কেবল মানুষের রং
একজন লাল পাখিই জানে আয়নার বেদনা
বেদনা কখনো পুরান হয় না
আনন্দের শত শত পুরাতন নিউজ কানে মাখি
কানাকানি, মাখামাখি রবে পাখির জীবন
আয়না সে তো পরিসেবাস্মরন
মানুষ আয়নাও দেখে পাখিও দেখে
পাখি ক্ষনে ক্ষনে রং বদলায়
আয়নায় কেবল মানুষের রং
একজন লাল পাখিই জানে আয়নার বেদনা
বেদনা কখনো পুরান হয় না
আনন্দের শত শত পুরাতন নিউজ কানে মাখি
কানাকানি, মাখামাখি রবে পাখির জীবন
আয়না সে তো পরিসেবাস্মরন
শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০১৬
মন রে..
খুব গভীর করে ভাবতে ভালো লাগে, হৃদয়ের গভীরে কোনো এক জায়গায় যেন টান লাগে, কথা শেষ হয়ে আসলে শুরু হয় শরীরের কাব্য, মনের মতো করে ভাবতে গিয়ে দেখি মন আমার কাহা মিয়া লাল মিয়া বারী, মনের কোনো ঘর নেই, মনের কোনো জাতীয় সংবিধান নেই, মনের কোনো পোষা প্রেমিকা নেই, মনরে পাগলা ঘোড়ার মতো খুঁজে বেড়াই কিচেন টু টিচিং, কোথাও কোনো আদেশ নেমে আসলে অকেজো ভেবে ফেলে দিতে পারি না, কোথাও কোনো অন্যায় দেখলে ন্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি না, নাবাচক শব্দটিও হ্যাঁবাচকের মতো শক্তিশালী আচরনে অক্ষম, অক্ষম কৃষ্ণভিটা রাধিকাবাতাসে জলে আসে ঢেউ, পাড় ভাঙ্গে, মন ভাসে জলে জলে, দেখে না কেউ, দেখে না কেউ
বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০১৬
ম. .....
মন চায়লে ফোন দিও। এখনো তোমার ফোন ছাড়া অন্য কারো ফোনের প্রত্যাশা করিনা। তোমার সাথে আমার অতীতের কিছু সময় খুবই লজ্জাজনকভাবে বাজে ছিল! সেজন্য অবশ্যই আমি দায়ী। তোমার ক্ষমাপ্রবনতার প্রতি আমার আস্থা আছে। তুমি তো সুন্দর। সুন্দরের সব কিছুই সুন্দর।
তোমাকে ফোন দেয়ার মতো মানসিক শক্তি আমি রাখি না। অপরাধীকে চুপ থাকলেই সুন্দর দেখায়। যতদিন বেঁচে থাকবো সৌন্দর্যের চাষ করে যাবো।
আমাদের অসাধারন কিছু সুন্দর মুহুর্ত ছিল, আমাদের মতো করে সময়কে ক্ষ্যাপার মতো যাপন করা মানুষজন চোখে এখনো দেখিনি।
মনে আছে তোমার সৃজনী শিল্পগ্রামের সেই বাউলের কথা? মনে আছে সেই বাউল আমাকে কী নামে ডাকতো?
ক্ষ্যাপা! ক্ষ্যাপা নামে ডাকতো সে আমাকে।
ক্ষ্যাপা আমাকে ক্ষ্যাপা নামে ডাকে -- আমার মনমনে হাসি কে দেখে! আমাদের বাড়িতেও এক পাগল আসতো। হাছান শাহ'র ভক্ত। হাছান শাহ'র জন্য পাগল তার জীবন বিসর্জন দিয়েছে -- সারাদিন হাছান হাছান জপ করে পাগলের সময় কাটতো-- সে পাগলও আমাকে পাগল বলে সম্ভোধন করতো-- আমার ভালোই লাগতো, এখনো কানে বাজে পাগল আর ক্ষ্যাপা ডাকটি। দুঃখের কথা পাগল গত ছয় মাস আগে মারা গ্যাছে আর বাউলের দেখা নাই। দেখা থাকবে কী করে, বাউল যে তোমার এলাকার লোক-- একটি বর্ডার অতিক্রম করার ব্যাপার।
খুব যতন করে তুমি আস্তে আস্তে নিজেকে ঘুটাইলে নিজের ভেতর বাস্তবতার দায় দিয়ে। তোমার মতো প্রাজ্ঞ, শান্ত, সমাহিত আমি নই। তারপরও বলি কী যারা অনেক বাস্তব বাস্তব করে তারা আসলেও বাস্তবতার মানেই জানেনা-- অবাস্তব সম্ভাবনার মাঝে সঠিক বাস্তবতা খেলা করে।
আকাশে পাখির সাথে বিমান উড়ে কেন জানো? কিছু লোক অবাস্তব চিন্তা করেছিল বলে।
আমরা যদি অবাস্তব চিন্তা করতে পারি তবে সুন্দর সুন্দর বাস্তব চিন্তা তৈরি হবে।
তুমি যদি চাও আমি তোমার মতো হয়ে তোমার কাছে আসি তাও আমার পক্ষে সম্ভব। চিন্তার সামনে কোনো কিছুই আমার পক্ষে অসম্ভব নেই। কিন্তু তাতে যে আমির মৃত্যু হবে তার শবদেহ তোমাকেই বহন করতে হবে। জীবিত ফুলই তো ঘ্রান বিলায়, যদিও ফুল আমার মতো না।
আসলে কী বলো তো ব্যবসার জায়গায় আমার মতো তোমার মতো শব্দ খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রানের জায়গায় আমাদের শব্দটি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। প্রানের জায়গায় যারা সংবিধান নিয়ে বসে তারা মাছ বাজারের লোক, প্রানের লোক প্রানপাঠে মগ্ন থাকে। আমরা হয়তো প্রানের সেই মন্দিরে ঘন্টা বাজাতে পারি নি। তাই আমাদের সম্পর্কের আবেদন দেবীর আশিস লাভ করেনি, আমরা এখন ভিন্ন গ্রহের দুটি প্রানী। অথচ একসময় কী চমৎকার মুহূর্তে ছিলাম আমাদের-- সময়জ্ঞান ভুলে হৃদয়জ্ঞানে চলতো আমাদের গন্তব্যহীন জীবনগাড়ি।
ব্যর্থ মানুষের অতীত খুব সুন্দর হয়, আমাদের অতীত তাই খুব সুন্দর। তারপরও আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে ঝড়ের রাত শেষ হয়ে যাবে, আবার শরীরে রোদ মেখে প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে আড্ডা দেবো ঘন্টার পর ঘন্টা ....
তোমাকে ফোন দেয়ার মতো মানসিক শক্তি আমি রাখি না। অপরাধীকে চুপ থাকলেই সুন্দর দেখায়। যতদিন বেঁচে থাকবো সৌন্দর্যের চাষ করে যাবো।
আমাদের অসাধারন কিছু সুন্দর মুহুর্ত ছিল, আমাদের মতো করে সময়কে ক্ষ্যাপার মতো যাপন করা মানুষজন চোখে এখনো দেখিনি।
মনে আছে তোমার সৃজনী শিল্পগ্রামের সেই বাউলের কথা? মনে আছে সেই বাউল আমাকে কী নামে ডাকতো?
ক্ষ্যাপা! ক্ষ্যাপা নামে ডাকতো সে আমাকে।
ক্ষ্যাপা আমাকে ক্ষ্যাপা নামে ডাকে -- আমার মনমনে হাসি কে দেখে! আমাদের বাড়িতেও এক পাগল আসতো। হাছান শাহ'র ভক্ত। হাছান শাহ'র জন্য পাগল তার জীবন বিসর্জন দিয়েছে -- সারাদিন হাছান হাছান জপ করে পাগলের সময় কাটতো-- সে পাগলও আমাকে পাগল বলে সম্ভোধন করতো-- আমার ভালোই লাগতো, এখনো কানে বাজে পাগল আর ক্ষ্যাপা ডাকটি। দুঃখের কথা পাগল গত ছয় মাস আগে মারা গ্যাছে আর বাউলের দেখা নাই। দেখা থাকবে কী করে, বাউল যে তোমার এলাকার লোক-- একটি বর্ডার অতিক্রম করার ব্যাপার।
খুব যতন করে তুমি আস্তে আস্তে নিজেকে ঘুটাইলে নিজের ভেতর বাস্তবতার দায় দিয়ে। তোমার মতো প্রাজ্ঞ, শান্ত, সমাহিত আমি নই। তারপরও বলি কী যারা অনেক বাস্তব বাস্তব করে তারা আসলেও বাস্তবতার মানেই জানেনা-- অবাস্তব সম্ভাবনার মাঝে সঠিক বাস্তবতা খেলা করে।
আকাশে পাখির সাথে বিমান উড়ে কেন জানো? কিছু লোক অবাস্তব চিন্তা করেছিল বলে।
আমরা যদি অবাস্তব চিন্তা করতে পারি তবে সুন্দর সুন্দর বাস্তব চিন্তা তৈরি হবে।
তুমি যদি চাও আমি তোমার মতো হয়ে তোমার কাছে আসি তাও আমার পক্ষে সম্ভব। চিন্তার সামনে কোনো কিছুই আমার পক্ষে অসম্ভব নেই। কিন্তু তাতে যে আমির মৃত্যু হবে তার শবদেহ তোমাকেই বহন করতে হবে। জীবিত ফুলই তো ঘ্রান বিলায়, যদিও ফুল আমার মতো না।
আসলে কী বলো তো ব্যবসার জায়গায় আমার মতো তোমার মতো শব্দ খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রানের জায়গায় আমাদের শব্দটি খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। প্রানের জায়গায় যারা সংবিধান নিয়ে বসে তারা মাছ বাজারের লোক, প্রানের লোক প্রানপাঠে মগ্ন থাকে। আমরা হয়তো প্রানের সেই মন্দিরে ঘন্টা বাজাতে পারি নি। তাই আমাদের সম্পর্কের আবেদন দেবীর আশিস লাভ করেনি, আমরা এখন ভিন্ন গ্রহের দুটি প্রানী। অথচ একসময় কী চমৎকার মুহূর্তে ছিলাম আমাদের-- সময়জ্ঞান ভুলে হৃদয়জ্ঞানে চলতো আমাদের গন্তব্যহীন জীবনগাড়ি।
ব্যর্থ মানুষের অতীত খুব সুন্দর হয়, আমাদের অতীত তাই খুব সুন্দর। তারপরও আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে ঝড়ের রাত শেষ হয়ে যাবে, আবার শরীরে রোদ মেখে প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে আড্ডা দেবো ঘন্টার পর ঘন্টা ....
বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১৬
ন
বৃষ্টি আর সৃষ্টি দুই জন। একজন পতনমুখী আরেকজন আকাশমুখী। আমার দেখা হয়েছিল পতনমুখীর সাথে। তাই আমি এখন আকাশমুখী।
হ
হয়তো গ্রাম দেখো
নয়তো কোনো পাহাড় ভেজা ঘাম
কিংবা মিটিমিটি রাতের মতো ছোট্ট কোনো প্রান
হয়তো নয়তো কিংবা বর্তমানের প্রেমিকের গান
নয়তো কোনো পাহাড় ভেজা ঘাম
কিংবা মিটিমিটি রাতের মতো ছোট্ট কোনো প্রান
হয়তো নয়তো কিংবা বর্তমানের প্রেমিকের গান
মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬
ভালো
জলে কী পরিমানে পলি জমা হলে চর হয় তা আমি জানি না, জানি একদিন চর জমবে আমার আঙিনায়, ফুলের বাগান হবে সময়ের জানালায়, এই মাটিতে সোনা ফেলবে বিশ্বাসী বাতাস, মানুষ জঙ্গল নামক পৃথিবী থেকে বের হয়ে আসবে, নদী খুঁজে পাবে তার নিয়তি তার স্বাভাবিক গতিপথ, মাছের মিছিলে নেমে আসবে ঘ্রানের উৎসব,
এই ভূমি আমার জন্মকর্মের স্বাক্ষী, এই ভূমি জানে রসের ইতিহাস, এই ভূমি সুখের উদ্যানরক্ষক হাকিম ভাই, এই ভূমি জানে সোনালি মাছের রূপালি হাসি, পাটের ঘ্রানের মাতামাতি গ্রাম,
বার বার দেখা পাই পদ্মগন্ধা সহজিয়ার ঠোঁট আমার হাজার বছরের গতিরোধক প্রেরনা, কেউ কথা রাখেনির দেশে একজন বোকা সর্দার তার কথা রাখবে, মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে
এই ভূমি আমার জন্মকর্মের স্বাক্ষী, এই ভূমি জানে রসের ইতিহাস, এই ভূমি সুখের উদ্যানরক্ষক হাকিম ভাই, এই ভূমি জানে সোনালি মাছের রূপালি হাসি, পাটের ঘ্রানের মাতামাতি গ্রাম,
বার বার দেখা পাই পদ্মগন্ধা সহজিয়ার ঠোঁট আমার হাজার বছরের গতিরোধক প্রেরনা, কেউ কথা রাখেনির দেশে একজন বোকা সর্দার তার কথা রাখবে, মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে
বেহুঁশ
মুখোশের উপরে চলছে মুখোশ
মানুষ এখন চরম বেহুঁশ
ঘরের ইন্দুর কাটে বেড়া
ধানের মতো তারা আকাড়া
কৃষক আমার সোনালি ফুল
ধানের খেতে বাতাসি দোল
তারাও মানুষ তারাও মানুষ
জন্মদিনের সাজানো ফানুস
মুখটা এখন শুধুই মুখোশ
মানুষ এখন চরম বেহুঁশ
ঘরের ইন্দুর কাটে বেড়া
ধানের মতো তারা আকাড়া
কৃষক আমার সোনালি ফুল
ধানের খেতে বাতাসি দোল
তারাও মানুষ তারাও মানুষ
জন্মদিনের সাজানো ফানুস
মুখটা এখন শুধুই মুখোশ
রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬
গ.
অতীতের নায়ক হতে পারি না
পারি না আগামী সময়ের কোনো আলপিন হতে
বর্তমানের দূর্বাঘাস হয়ে ঘুরে বেড়াই মাঠে মাঠে
তোমাকে ভুলে যেতে কম কষ্ট হয়নি আমার
তাকে ভুলতেও রক্তের আগুনে কত সবুজাভ লালচে লাল করলাম
এখন বসে থাকি নদীর তীরে কোনো এক মাঝির আশায়
কিংবা মাঝি হয়ে নদী পাড়ি দিবো বলে
পারি না আগামী সময়ের কোনো আলপিন হতে
বর্তমানের দূর্বাঘাস হয়ে ঘুরে বেড়াই মাঠে মাঠে
তোমাকে ভুলে যেতে কম কষ্ট হয়নি আমার
তাকে ভুলতেও রক্তের আগুনে কত সবুজাভ লালচে লাল করলাম
এখন বসে থাকি নদীর তীরে কোনো এক মাঝির আশায়
কিংবা মাঝি হয়ে নদী পাড়ি দিবো বলে
শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬
র
কুকুর যে আনন্দে লেজ নাড়ে আমরা কিন্তু জানি
শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬
স্নেহ
বহুদিন হলো বাংলা সিনেমা দেখিনা। বহুদিন বলতে এক মাস। রমজান মাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলাকা সিনেমা হল তাদের কর্মকান্ড বন্ধ রেখেছে। আমার সিনেমা দেখাও বন্ধ। বাংলাদেশী সিনেমা নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের কথা থাকতে পারে, আমারও আছে। তবে আমার কথাটি বাংলা সিনেমা দেখার পক্ষে।
বাংলাদেশী সিনেমায় যা দেখানো হয় তা বর্ননানুসারে দৃশ্যায়ন করা। মানছি তাতে ব্যাখ্যা নেই, বিশ্লেষন নেই, অভিনয়ের অভিনন্দনযোগ্য কোনো হাততালি নেই, রঙের আন্তর্জাতিক কোনো দ্যোতক নেই, নেই দৃশ্য আর সংলাপের ভারসাম্য সিকিউরিটি।
আমাদের চলমান সমাজকে ধারন করেই তো চলতি চলচিত্র। সমাজ আর সিনেমা হমান হমান।
আপনি সমাজে থাকবেন আর বাংলাদেশী সিনেমা দেখবেন না তা কী করে হয়?
সমাজে যে সিনেমা চলে, হলে একই সিনেমা চলে, তবে হলে একটু বাড়তি সুবিধা আছে-- কোনো কোনো চরিত্র আপনার সাথে মিলে যাবে, কোনো দৃশ্য আপনার কাছেপিঠে মনে হবে। মজার ঘটনা হলো কোথাও আপনি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, ফলে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কিংবা আহত হওয়ার সম্ভাবনা আপনার নেই, আপনার অনেক দামে কেনা গাড়িটাও অক্ষত থাকবে।
একসময় দেখবেন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা সব কিছু ভুলে যাবো, আমরা আবার মাছের বাজারে যাবো-- বাংলা সিনেমায় আমরা তা দেখেই অভ্যস্ত।
বাংলাদেশী সিনেমায় যা দেখানো হয় তা বর্ননানুসারে দৃশ্যায়ন করা। মানছি তাতে ব্যাখ্যা নেই, বিশ্লেষন নেই, অভিনয়ের অভিনন্দনযোগ্য কোনো হাততালি নেই, রঙের আন্তর্জাতিক কোনো দ্যোতক নেই, নেই দৃশ্য আর সংলাপের ভারসাম্য সিকিউরিটি।
আমাদের চলমান সমাজকে ধারন করেই তো চলতি চলচিত্র। সমাজ আর সিনেমা হমান হমান।
আপনি সমাজে থাকবেন আর বাংলাদেশী সিনেমা দেখবেন না তা কী করে হয়?
সমাজে যে সিনেমা চলে, হলে একই সিনেমা চলে, তবে হলে একটু বাড়তি সুবিধা আছে-- কোনো কোনো চরিত্র আপনার সাথে মিলে যাবে, কোনো দৃশ্য আপনার কাছেপিঠে মনে হবে। মজার ঘটনা হলো কোথাও আপনি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, ফলে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কিংবা আহত হওয়ার সম্ভাবনা আপনার নেই, আপনার অনেক দামে কেনা গাড়িটাও অক্ষত থাকবে।
একসময় দেখবেন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা সব কিছু ভুলে যাবো, আমরা আবার মাছের বাজারে যাবো-- বাংলা সিনেমায় আমরা তা দেখেই অভ্যস্ত।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)