রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

তিনি ক্লাসে

তিনি ক্লাসে। তার মুখভর্তি কালো চুল। তার ঠোঁটের দিকে দৃষ্টি ফেলে শান্তি পাই। তার ঠোঁট ওঠা-নামা করে, আমার চোখ তা অনুসরণ করে। তার ঠোঁটের আলপথে যে ভাষা বের হয়ে আসে তা কোনো প্রকারেই হৃদয়বাহী হয়ে ওঠে না।

মন আমার পড়ে থাকে জানালার মাংস ভেদ করে যে বটবৃক্ষ আকাশমুখী তার দিকে।
গাছের প্রাণ মাটি হলেও বটবৃক্ষের প্রাণ আধার। বটবৃক্ষের আনন্দ বিস্তার থেকে বিস্তারে, ডাল থেকে ডালে।
অসাধারণ পাখি সব করে রব বটগাছের ডালে, বটগাছের পালে। পাখি হয়তো জানে না বটগাছ শেকড়মুখী না, আকাশমুখী। বটগাছ আকাশমুখী বলেই তার দেহ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে অনাগত ছায়া, তার ছায়ার নিচে রচিত হয় পূজামণ্ডপের ইতিহাস।

পূজা, তুমি আমাদের মতো এতো ভাসমান কেন?

হয়তো ভাসমান হলেই বেঁচেবর্তে থাকে মানুষ অন্ধকার থেকে অন্ধকারে ঝিলাম নদীর জলে। পাগলা থেকে টেমসের মোহনা এক উদভ্রান্ত সারদাপথিক।

পথিকের ডানা কখনো ক্লাসের দেয়ালে আটকে থাকে না, উড়তে থাকে আকাশমুখী বটবৃক্ষের সাথে।
  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন