বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

মা দিবস

কথাযুদ্ধের কাছে অনেকেই অসামান্য,অথচ হৃদয়ের কাছে তারা সামান্য কেরানি মাত্র। আম্মা তোমাকে ধন্যবাদ। অবশ্যই সম্পর্কের কাছে ধন্যবাদ কখনো জীবন রচনা করতে পারে না, ধন্যবাদ সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করতে পারে মাত্র। আম্মা তুমি একটি পৃথিবী দিয়েছো, শিখিয়েছো পৃথিবীর সংবিধান। পৃথিবী, সংবিধান আর তোমার সামনে আমি সম্পূর্ণ নতুন এক অস্তিত্ব। আমার এই অস্তিত্বের নাম নাকি মানুষ।

আমার জন্ম তোমাকে মা বানালেও আমাকে সন্তান বানাতে পারেনি। কয়েকশতবার মা মা বলে ডাকলেই সন্তান হওয়া যায় না, সন্তান হতে গেলে মায়ের মতো হতে হয়, সৃজনশীল। সৃজনশীলতার সাথে যখন তেমন কোনো চরম ত্যাগ এসে জড়িত হয় তখন মা রচিত হয়ে থাকে, তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে তেমন কোনো প্রিয় ডাক 'আম্মা'।

আম্মা, আজ মা দিবস। আজ তোমার এবং আমার বিদায় দিবস। আজই তোমাকে ছেড়ে আমি এই পৃথিবীতে নেমে আসি। আজ পৃথিবীর মানুষ বলেছিল আমি নাকি তোমাদের প্রতিনিধি। আম্মা তোমার পৃথিবী আমাকে রাখতে পারেনি। তাই মানুষের পৃথিবীতে এসে আমি তীব্র কণ্ঠে চিৎকার দিয়েছিলাম ওঁয়া ওঁয়াও ওঁয়া। মানুষ আমার ভাষা বোঝেনি। তাইতো আমি যখন আপন পৃথিবী হারানো ব্যথায় কাতরাচ্ছি মানুষ তখন আল্লাহকে মহান করার কাজে ব্যস্ত।
হায়রে পৃথিবী! হায়রে পৃথিবীর মানুষ!! কে বুঝে কার দুঃখ, কে বুঝবে চোখের জলে কেন শ্যাওলা পড়ে না!!!
আজ আমার জন্মদিন,
আজ তোমার জন্মদিন,
আজ আমার এবং তোমার জন্মদিন। আমি ডেকেছিলাম মা, আর তুমি পেয়েছিলে সন্তান।
আজ আম্মার আর আমার  অপূর্ব ঐকতান। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন