তোমার কণ্ঠ নদীর স্রোতের মতো কল্লোলপ্রবণ। গানের কণ্ঠের কথা বলিনি। বলেছি কথা বলার কণ্ঠ। কখনো কান বিরক্ত হয় না। পৃথিবীর সব আয়োজন যখন আমাকে ক্লান্ত করে তোলে তখন আমি শান্ত হওয়ার আশায় আস্তে করে তোমাকে ফোন দেই। তোমার কণ্ঠের তরঙ্গ আমার মস্তিষ্কে আশ্রয় নিতেই আমি শীতের রাতের গভীর নদীর মতো শান্ত হয়ে যাই। তারপর থেকে তোমার কণ্ঠকে সান্ত্বনার মেডিসিন হিসেবে জানি।
পৃথিবী মানুষের জন্য, চারদিকে মাংস আর মাংস। তবুও মানুষ কেন মানুষের মাংস খায়। কারন তারা আজ পর্যন্ত তোমার কণ্ঠ শোনেনি। শোনেনি বিষয়টি হুবহু এমন না, শুনতে চেষ্টা করেনি। চেষ্টা করলে কত কিছু হয়, চেষ্টা করে হ্যাঁ এর ভেতরও একটি না ইমপোর্ট করে দেয়া যায়, দেয়া যায় নেগেটিভের ভেতরে পজেটিভ। আরেকটি কথা, আজ যারা শয়তানের পূজা করে আমি নিশ্চিত তারা তোমার কণ্ঠ শোনেনি।
পাপড়ি থেকে যেমন আস্তে আস্তে ফুল বের হয়ে আসে তেমনি তোমার অনুভূতি থেকে আস্তে আস্তে শ্রুতি লাভ করে তোমার ভাষা। তোমার ভাষায় কণ্ঠ এমনভাবে লেপ্টে থাকে যেমনভাবে লেপ্টে থাকে কিরণচন্দ্র সূর্যের সাথে। আমি তাই তোমার কণ্ঠকে সেই আবিষ্কৃত পারফিউম মনে করি যার অপার মহিমায় পৃথিবী গেয়ে চলে সাম্যের গান।
পৃথিবীতে যেদিন সাম্যের মিছিল হবে, আমার হাতে থাকবে শাদা আর কালো রঙের এক জীবন্ত মশাল। মশালের এক প্রান্তে ছোট্ট করে লেখা থাকবে তোমার নাম, মধু মাসের দিকে চলতে থাকবে আমাদের স্লোগান। মধুমাসের শেষে আমাদের কণ্ঠে থাকবে আমাদের অর্থাৎ মানুষের গান, ততদিনে তোমার কণ্ঠের সমস্ত রঙ, সমস্ত সুর ব্লেন্ডারিং করে, করে নিবো আমার। কারণ আমি তোমার প্রেমিক,
প্রেমিকেরা প্রেমিকের মতো হয়ে জন্মাবে বার বার, এক হাজার বছর পর আরো এক বার।
মাঝে মাঝে তোমার কণ্ঠে শীত আসে আমার হৃদয়ে তখন বর্ষসেরা বর্ষাকাল। প্রেমিক হয়েছি বলেই ঘর থেকে বার বার, বার থেকে ঘর ঘর করতে থাকি। গরীব মানুষ তো বর্ষাযাপন হয়ে ওঠে না। ইচ্ছা করলেই কণ্ঠে তোমার থাকবে চিরকাল বসন্ত। সময়কে হাতে নিয়ে খেলার ক্ষমতা তো তোমারই আছে, তাই না? শীতের কুয়াশা কুয়াশা আবহাওয়া থাকুক না অন্য কোনো এক জীবনের জন্য।
এই জীবনটা আমাদের মতো করে হোক চিলের ডানার সুখ, এক আকাশের মতো স্বপ্নীল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন