আমাদের প্রথম পরিচয় কোনো এক সন্ধ্যায়। কোনো এক সন্ধ্যায় আম্রকুঞ্জের সুব্রত পাতার সঠিক নিচে। সোডিয়াম আলো মদনমোহন বেদনায় ডায়েরি লেখায় ব্যস্ত। আমাদের পেছনে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। আমাদের সাথে ঝিঁঝিপোকার গ্রাম্য ডাকাডাকিও মাত্রাগত বায়না ধরে। তোমার চোখে সোনালি তাপ। আমার চোখে এক নদী বরফ। রবীন্দ্রনাথকে সাক্ষি রেখে তোমার চোখকে আমার চোখের বন্ধু করেছি।
তুমি বন্ধু চিকন কালা আমার নাইয়্যা ঢেউ
নৌকা চলে জলের তালে তুমি নৌকার ছেও
আম্রকুঞ্জের অসংখ্য নীরবতার মাঝে সরব কেবল দুটি প্রাণ। প্রাণে প্রাণে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের গান।
তোমার চোখের কাছে যেতে না যেতেই আরেকটি চোখ জাস্ট একটি দৃশ্য হয়ে আমার চোখের সামনে। সেই চোখটি নিথর কোমল। চোখটিতে সাইক্লোন, টর্নেডো নেই, কোনো এক অচেনা বসন্তকাল বিরাজ করে বারোমাস।
চোখটির সাথে পরিচয় আমার দুই বছর আগে। চোখওয়ালা মানুষটি চা-বিক্রেতা। সাধারণত দিনে এক-দুই কাপ চা খাই। তার কাছে গেলেই কাপের পর কাপ চা খেতে থাকি। চা খাওয়ার ছুঁতোয় তার চোখ দেখি। তার চোখে হেলেনকে দেখি, তার চোখে আমি লায়লিকে দেখি,
তার চোখে বনলতাকে দেখতাম।
একদিন চোখটি বিক্রি হয়ে যায়। দোকানে যাই তবে এক কাপ চা খাই। অনেক বার চোখটি খুঁজতাম, প্রত্যাশা আশা হিসাবেই থেকে যেতো, প্রাপ্তি কেবল শুন্যতায়।
ঠিক একদিন চোখটি আবার ফিরে আসে। আমিও আবার চা খেতে যাই সকাল-সন্ধ্যা। সেই চোখ আর এই চোখ এক না। আমার আর তার চোখের মাঝে একটি কিন্তুর দেয়াল গড়ে ওঠেছে খুব শক্ত করে। জানি কাছে থাকার জন্য ভুল কখনো দেয়াল হয়ে থাকতে পারে না বরং দূরত্ব রচনা করার জন্য দেয়াল প্রতিষ্ঠা করা লাগে। তারপরও এই সমাজ, এই মূল্যবোধ ক্যানসারের মতো রক্তের, চিন্তার পরতে পরতে বিস্তার করে আছে।
এখন আমি চাইলেই চোখটিকে দেখতে পারি, চোরাদৃষ্টি বিনিয়োগ করতে হয় না, আজ কিন্তু চোখটি আমাকে একের অধিক কাপ চা খেতে বাধ্য করতে পারে না।
তারপর যখন পুরাতন দৃশ্যকে সনাতন করে তোমার চোখের দিকে তাকালাম তখন তোমার পোষা সাইকেলের সামনের চাকার কথা মনে পড়লো, নিশ্চিত হলাম সামনের চাকাটি পেছনের চাকার বন্ধু -- একজনের ইচ্ছা ছাড়া আরেকজনের ইচ্ছা পরিপূর্ণ পঙ্গু। তোমার চোখের কাছে গেলাম, চোখে চোখ রেখে শপথ নিলাম এই জীবন তোমার আমার, এই জীবন আমার তোমার।
তুমি বন্ধু চিকন কালা আমার নাইয়্যা ঢেউ
নৌকা চলে জলের তালে তুমি নৌকার ছেও
আম্রকুঞ্জের অসংখ্য নীরবতার মাঝে সরব কেবল দুটি প্রাণ। প্রাণে প্রাণে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের গান।
তোমার চোখের কাছে যেতে না যেতেই আরেকটি চোখ জাস্ট একটি দৃশ্য হয়ে আমার চোখের সামনে। সেই চোখটি নিথর কোমল। চোখটিতে সাইক্লোন, টর্নেডো নেই, কোনো এক অচেনা বসন্তকাল বিরাজ করে বারোমাস।
চোখটির সাথে পরিচয় আমার দুই বছর আগে। চোখওয়ালা মানুষটি চা-বিক্রেতা। সাধারণত দিনে এক-দুই কাপ চা খাই। তার কাছে গেলেই কাপের পর কাপ চা খেতে থাকি। চা খাওয়ার ছুঁতোয় তার চোখ দেখি। তার চোখে হেলেনকে দেখি, তার চোখে আমি লায়লিকে দেখি,
তার চোখে বনলতাকে দেখতাম।
একদিন চোখটি বিক্রি হয়ে যায়। দোকানে যাই তবে এক কাপ চা খাই। অনেক বার চোখটি খুঁজতাম, প্রত্যাশা আশা হিসাবেই থেকে যেতো, প্রাপ্তি কেবল শুন্যতায়।
ঠিক একদিন চোখটি আবার ফিরে আসে। আমিও আবার চা খেতে যাই সকাল-সন্ধ্যা। সেই চোখ আর এই চোখ এক না। আমার আর তার চোখের মাঝে একটি কিন্তুর দেয়াল গড়ে ওঠেছে খুব শক্ত করে। জানি কাছে থাকার জন্য ভুল কখনো দেয়াল হয়ে থাকতে পারে না বরং দূরত্ব রচনা করার জন্য দেয়াল প্রতিষ্ঠা করা লাগে। তারপরও এই সমাজ, এই মূল্যবোধ ক্যানসারের মতো রক্তের, চিন্তার পরতে পরতে বিস্তার করে আছে।
এখন আমি চাইলেই চোখটিকে দেখতে পারি, চোরাদৃষ্টি বিনিয়োগ করতে হয় না, আজ কিন্তু চোখটি আমাকে একের অধিক কাপ চা খেতে বাধ্য করতে পারে না।
তারপর যখন পুরাতন দৃশ্যকে সনাতন করে তোমার চোখের দিকে তাকালাম তখন তোমার পোষা সাইকেলের সামনের চাকার কথা মনে পড়লো, নিশ্চিত হলাম সামনের চাকাটি পেছনের চাকার বন্ধু -- একজনের ইচ্ছা ছাড়া আরেকজনের ইচ্ছা পরিপূর্ণ পঙ্গু। তোমার চোখের কাছে গেলাম, চোখে চোখ রেখে শপথ নিলাম এই জীবন তোমার আমার, এই জীবন আমার তোমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন