বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে একজন ছাত্র বিশ্বমানের একাকিত্ব বোধ করে। কাউকে চিনতে পারে না, চিনতে পারলেও বুঝতে পারে না। আর বুঝতে না পারা চিনতে না পারার মতোই।
ছাত্র খুব স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা উপস্থিত থাকতে পারে না তারা অতীত নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। তাইতো ছাত্রের অতীত জোনাকি পোকার মতো মনে এসে মিটমিট করে।
মায়ের হাতের রান্না, বাড়ির পাশের কাশবন, নদীর স্রোতে ভেসে থাকা, বোনের সাথে খুনসুটির স্মৃতিপ্রিয়তা তখন কয়েক ফোঁটা চোখের জল বিসর্জনের কারণ হয়। তখন এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয় মনের ঠিক মাঝখানে। তখন বন্ধুত্বের ছোঁয়া খাবারের মতো জৈবিক চাহিদা।
শূন্যতা আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি পরিপূর্ণভাবে পূর্ণ হতে চায়। পরিপূর্ণভাবে পূর্ণ হওয়ার তীব্র ইচ্ছা থেকে ছেলেটি নারীর সান্নিধ্য কামনা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মেয়েরা হয়ে ওঠে আরো বাস্তববাদী। এখানে তার কেউ নেই, এখানে তার কিছু হলে লজ্জা আর লজ্জা। খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে। কারণ পায়ের নিচে বিশ্বমানের কাঁটা। তারপরও একজন ছেলের প্রয়োজন বোধ করে একজন ছাত্রী। কারণ হ্যান্ডনোট লাগবে, বাজার করা লাগবে, ফ্যান কিনা লাগবে, গভীর রাতে মাঝে মাঝে ফ্লেক্সিলোড করা লাগবে, ডাক্তারের কাছ থেকে কখনো ঔষধ আনা লাগবে। যে ছেলেটি পরিপূর্ণ সেবাদাস হতে পারে তাকেই বাস্তবতার বাইরে এসে একটু এক্সট্রা সময় দেয় মেয়েটি। মেয়েটি প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে হিসাব করা হাসি বিক্রি করে, আর ছেলেটি পূর্ণ হতে চায়। এইভাবে চলতে থাকে মাছের বাজারনীতি আর মনের প্রেমরীতি।
তারপরও কিছু ছেলেমেয়ের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া তৈরি হয়। বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি বাস্তববাদী হয়ে ওঠে। সময় করে লাইব্রেরি ওয়ার্ক শুরু করে। নারীর সেবাদাস থেকে জনগণের চাকর হওয়ার কাঠামোবাদী ধারণা মনের আনাচে কানাচে জন্ম নেয়।
কিছু ছাত্র আছে যারা নারীর সান্নিধ্য পায় না। ফলে সে মানসিকভাবে খুব একা হয়ে পড়ে। খুব একা। বড় একা একা লাগে। প্রথমে সে সঙ্গী হিসাবে বেছে নেয় সিগারেট, পরে এ্যালকোহল, তারপর ইয়াবা জাতীয় মরণব্যাধি।
আরেকটি মজার ঘটনা ঘটে। যে নারীটি দেখতে সুন্দর তার পেছনে পিঁপশঙ্কের লাইন। প্রথমে বন্ধু হিসেবে নারীর ফোন নাম্বারে ফোন দেয়ার অনুমতি লাভ করে। তারপর ম্যাসেজ আদান-প্রদান। ফেইসবুকে নারী যদি একটি লাড্ডু মার্কা পিক আপলোড করে ছেলে তখন চকলেট মার্কা কমেন্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তখন প্রশংসা স্নো মেখে ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে ওঠে, সকালে ফাস্টিং ব্রেক করে মোবাইলে স্কিনে ভাসা কোনো এক যুবকের ম্যাসেজ কিংবা আস্তাবল ফোনে।
নারী তখন রাণী। রাণী তখন রাজাকে খুঁজে। আর ছেলেটি মেয়েটির জন্মতারিখ মুখস্থ করে, জন্মতারিখে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা করে। মনে মনে ভাবে আর নয় পোষে রাখা, এবার সব বলে দিবো -- কপালে যা আছে লেখা, মনে যদি পাইও ব্যথা, দেখে নিবো আমি তার শেষ, মিথ্যে অভিনয় আর নয় আর নয় ....।
জন্মদিনে ছেলেটি চমৎকার এক গিফট মেয়েটির মনের দরজায় রাখে। এই গিফট কেনার জন্য যে পরিমাণ ঘাম ছেলেটির ঝরেছে সেই পরিমাণ সন্তুষ্ট মেয়েটি হয় না। জন্মদিন আসলেই মেয়েটি ভাবে এই বুঝি বয়স বেড়ে গেল। মেয়েটির স্বপ্নের রাজা তখন একজন বিসিএস ক্যাডার, একজন বিজনেস ম্যাগনেট। একজন রেডিমেড বর তার চাই-ই চাই।
একদিন স্বপ্নের রাজার সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়।
তারপর ছেলেটি শূন্যতার গর্ভে লীন, বিলীন হয়ে যায়। সঙ্গী হিসেবে প্রথমে সিগারেট তারপর এ্যালকোহল, তারপর ইয়াবা। অনেকে আবার প্রথমেই গাঁজা-এ্যালকোহল থেকে নেশার জগতে প্রবেশ করে।
বিয়ের বয়স পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মেয়েটি একধরনের শূন্যতা বোধ করে। গভীর শূন্যতা। কারণ তার মোবাইলে আর ম্যাসেজ আসে না, তার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেউ অপেক্ষা করে না, তার হাসি নিয়ে আর কেউ গবেষণা করে না। সে কেবল কাঠপেন্সিল জীবন বহন করতে থাকে, জাস্ট কাঠপেন্সিল জীবন।
অনেক মেয়ে কিছু ছেলের মাঝে চমৎকার সম্ভাবনা দেখতে পায়। ফলে কোনো এক মেয়ে কোনো এক সম্ভাবনাময় ছেলের সাথে প্রেম করে। প্রেমের প্রথম দৃশ্যে হৃদয় উজাড় করা আকুতি। একজনের কাঁধে আরেকজনের মাথা, একজনের মনে আরেকজনের প্রেম। যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় সেই প্রেম। মেয়েটি ছেলেটির কাছে অভিভাবকের ভূমিকায়। ফোন করে তিন বেলা খাওয়ানো, নিয়মিত পড়াশোনা করানো, গোসলের আগে মাথায় যেন শ্যাম্পু করে সেই দিকে সর্তক করে দেয়া কিংবা সন্ধ্যায় বের হওয়ার আগে ব্রাশ করে যেন বের হয় সেইদিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করানো প্রভৃতি পরিসেবায় মগ্ন থাকে নারী। ছেলেটি তখন নারীটির কাছে শিশু হয়ে যায়।
একসময় ছেলেটিকে আদ্যোপান্ত মুখস্থ করে ফেলে মেয়েটি। তারপর আর তাকে ভালো লাগে না। ধীরে ধীরে তাকে এ্যাবুয়েড করতে থাকে। ছেলেটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটি অভিভাবকের দায় দিয়ে ছেলেটির কাছ থেকে পলায়ন করে। কোনো এক হাতির সাথে তার বিয়ে হয় এবং শুরু করে নামাতা নামাতা জীবন।
আর ছেলেটি কিছু দিন হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে, মান্না দের গান শোনে, শোকে মুহ্যমান হয়ে থাকে। এক সময় সেও নারীপৃথিবীর নিয়ম বুঝে যায়। বুঝার সাথে সাথে শোককে শক্তিতে পরিণত করে। হাতের কাছের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি এখন ভালোবাসি শুধু আমাকে এই জাতীয় গান শুনে, গান গায়। আর যে ছেলেটি শোককে শক্তিতে পরিণত করতে ব্যর্থ হয় সে দেবদাস হয়ে দাড়িগোঁফ এক করে ফেলে।
এই হলো বিশ্ববিদ্যালয়,
এই হলো দেবতা হয়ে ওঠার, দেবতা থেকে দেবদাস হয়ে উঠার স্ক্রিনশট।
ছাত্র খুব স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা উপস্থিত থাকতে পারে না তারা অতীত নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। তাইতো ছাত্রের অতীত জোনাকি পোকার মতো মনে এসে মিটমিট করে।
মায়ের হাতের রান্না, বাড়ির পাশের কাশবন, নদীর স্রোতে ভেসে থাকা, বোনের সাথে খুনসুটির স্মৃতিপ্রিয়তা তখন কয়েক ফোঁটা চোখের জল বিসর্জনের কারণ হয়। তখন এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয় মনের ঠিক মাঝখানে। তখন বন্ধুত্বের ছোঁয়া খাবারের মতো জৈবিক চাহিদা।
শূন্যতা আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি পরিপূর্ণভাবে পূর্ণ হতে চায়। পরিপূর্ণভাবে পূর্ণ হওয়ার তীব্র ইচ্ছা থেকে ছেলেটি নারীর সান্নিধ্য কামনা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মেয়েরা হয়ে ওঠে আরো বাস্তববাদী। এখানে তার কেউ নেই, এখানে তার কিছু হলে লজ্জা আর লজ্জা। খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে। কারণ পায়ের নিচে বিশ্বমানের কাঁটা। তারপরও একজন ছেলের প্রয়োজন বোধ করে একজন ছাত্রী। কারণ হ্যান্ডনোট লাগবে, বাজার করা লাগবে, ফ্যান কিনা লাগবে, গভীর রাতে মাঝে মাঝে ফ্লেক্সিলোড করা লাগবে, ডাক্তারের কাছ থেকে কখনো ঔষধ আনা লাগবে। যে ছেলেটি পরিপূর্ণ সেবাদাস হতে পারে তাকেই বাস্তবতার বাইরে এসে একটু এক্সট্রা সময় দেয় মেয়েটি। মেয়েটি প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে হিসাব করা হাসি বিক্রি করে, আর ছেলেটি পূর্ণ হতে চায়। এইভাবে চলতে থাকে মাছের বাজারনীতি আর মনের প্রেমরীতি।
তারপরও কিছু ছেলেমেয়ের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া তৈরি হয়। বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি বাস্তববাদী হয়ে ওঠে। সময় করে লাইব্রেরি ওয়ার্ক শুরু করে। নারীর সেবাদাস থেকে জনগণের চাকর হওয়ার কাঠামোবাদী ধারণা মনের আনাচে কানাচে জন্ম নেয়।
কিছু ছাত্র আছে যারা নারীর সান্নিধ্য পায় না। ফলে সে মানসিকভাবে খুব একা হয়ে পড়ে। খুব একা। বড় একা একা লাগে। প্রথমে সে সঙ্গী হিসাবে বেছে নেয় সিগারেট, পরে এ্যালকোহল, তারপর ইয়াবা জাতীয় মরণব্যাধি।
আরেকটি মজার ঘটনা ঘটে। যে নারীটি দেখতে সুন্দর তার পেছনে পিঁপশঙ্কের লাইন। প্রথমে বন্ধু হিসেবে নারীর ফোন নাম্বারে ফোন দেয়ার অনুমতি লাভ করে। তারপর ম্যাসেজ আদান-প্রদান। ফেইসবুকে নারী যদি একটি লাড্ডু মার্কা পিক আপলোড করে ছেলে তখন চকলেট মার্কা কমেন্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তখন প্রশংসা স্নো মেখে ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে ওঠে, সকালে ফাস্টিং ব্রেক করে মোবাইলে স্কিনে ভাসা কোনো এক যুবকের ম্যাসেজ কিংবা আস্তাবল ফোনে।
নারী তখন রাণী। রাণী তখন রাজাকে খুঁজে। আর ছেলেটি মেয়েটির জন্মতারিখ মুখস্থ করে, জন্মতারিখে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা করে। মনে মনে ভাবে আর নয় পোষে রাখা, এবার সব বলে দিবো -- কপালে যা আছে লেখা, মনে যদি পাইও ব্যথা, দেখে নিবো আমি তার শেষ, মিথ্যে অভিনয় আর নয় আর নয় ....।
জন্মদিনে ছেলেটি চমৎকার এক গিফট মেয়েটির মনের দরজায় রাখে। এই গিফট কেনার জন্য যে পরিমাণ ঘাম ছেলেটির ঝরেছে সেই পরিমাণ সন্তুষ্ট মেয়েটি হয় না। জন্মদিন আসলেই মেয়েটি ভাবে এই বুঝি বয়স বেড়ে গেল। মেয়েটির স্বপ্নের রাজা তখন একজন বিসিএস ক্যাডার, একজন বিজনেস ম্যাগনেট। একজন রেডিমেড বর তার চাই-ই চাই।
একদিন স্বপ্নের রাজার সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়।
তারপর ছেলেটি শূন্যতার গর্ভে লীন, বিলীন হয়ে যায়। সঙ্গী হিসেবে প্রথমে সিগারেট তারপর এ্যালকোহল, তারপর ইয়াবা। অনেকে আবার প্রথমেই গাঁজা-এ্যালকোহল থেকে নেশার জগতে প্রবেশ করে।
বিয়ের বয়স পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মেয়েটি একধরনের শূন্যতা বোধ করে। গভীর শূন্যতা। কারণ তার মোবাইলে আর ম্যাসেজ আসে না, তার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেউ অপেক্ষা করে না, তার হাসি নিয়ে আর কেউ গবেষণা করে না। সে কেবল কাঠপেন্সিল জীবন বহন করতে থাকে, জাস্ট কাঠপেন্সিল জীবন।
অনেক মেয়ে কিছু ছেলের মাঝে চমৎকার সম্ভাবনা দেখতে পায়। ফলে কোনো এক মেয়ে কোনো এক সম্ভাবনাময় ছেলের সাথে প্রেম করে। প্রেমের প্রথম দৃশ্যে হৃদয় উজাড় করা আকুতি। একজনের কাঁধে আরেকজনের মাথা, একজনের মনে আরেকজনের প্রেম। যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় সেই প্রেম। মেয়েটি ছেলেটির কাছে অভিভাবকের ভূমিকায়। ফোন করে তিন বেলা খাওয়ানো, নিয়মিত পড়াশোনা করানো, গোসলের আগে মাথায় যেন শ্যাম্পু করে সেই দিকে সর্তক করে দেয়া কিংবা সন্ধ্যায় বের হওয়ার আগে ব্রাশ করে যেন বের হয় সেইদিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করানো প্রভৃতি পরিসেবায় মগ্ন থাকে নারী। ছেলেটি তখন নারীটির কাছে শিশু হয়ে যায়।
একসময় ছেলেটিকে আদ্যোপান্ত মুখস্থ করে ফেলে মেয়েটি। তারপর আর তাকে ভালো লাগে না। ধীরে ধীরে তাকে এ্যাবুয়েড করতে থাকে। ছেলেটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটি অভিভাবকের দায় দিয়ে ছেলেটির কাছ থেকে পলায়ন করে। কোনো এক হাতির সাথে তার বিয়ে হয় এবং শুরু করে নামাতা নামাতা জীবন।
আর ছেলেটি কিছু দিন হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে, মান্না দের গান শোনে, শোকে মুহ্যমান হয়ে থাকে। এক সময় সেও নারীপৃথিবীর নিয়ম বুঝে যায়। বুঝার সাথে সাথে শোককে শক্তিতে পরিণত করে। হাতের কাছের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি এখন ভালোবাসি শুধু আমাকে এই জাতীয় গান শুনে, গান গায়। আর যে ছেলেটি শোককে শক্তিতে পরিণত করতে ব্যর্থ হয় সে দেবদাস হয়ে দাড়িগোঁফ এক করে ফেলে।
এই হলো বিশ্ববিদ্যালয়,
এই হলো দেবতা হয়ে ওঠার, দেবতা থেকে দেবদাস হয়ে উঠার স্ক্রিনশট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন