শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

কেউ যদি বলতো

কেউ যদি বলতো কী করছেন?

আমি হয়তো বলতাম অলসতার কূলে শুয়ে আছি।

তখন কেউ বলতো না না, একদম অলসতা করা যাবে না। এখনি স্নান সেরে দায়িত্ব সচেতন হয়ে পড়ুন।

আমি বলতাম, আরেকটু অলসতা পান করি, তারপর না হয়....।

আপনার রূপ-কথার রাণী সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। অলস হলে দৈত্য এসে হালুম করে নিয়ে যাবে আপনার রাণীকে।

তাতে কী? দৈত্যের বুঝি মাংস খাওয়ার স্বাদ জাগে না। ভীতু হরিণের মাংস খুব বেশি লাল হয়ে থাকে, লাল মাংস দৈত্যের কাছে স্বাদ আর স্বাদ, লাফালাফি প্রিয়।

লজ্জা আর লজ্জা, ছি, ছি ছি

কেন? কী হলো আবার

নারীকে মাংস ভাবতে লজ্জা হলো না আপনার, আপনি এত নীচ।

নারীকে মাংস ভাবিনি  বলেই তো অলস হয়ে শুয়ে আছি হায় চিল বেদনায়, এখনো তেলোয়াত করি পদ্মঠোঁটের চুম্বন। আমার ঠোঁট আজ হিরোশিমা-নাগাসাকি যেখানে জন্মাবে না আর কোনো উর্বর চুম্বন!

তবে কী তাকে আর বাঁচাতে যাবেন না?

মৃত মানুষ বেঁচে ওঠার স্বপ্ন দেখতে পারে, বাঁচানোর স্বপ্ন তার কাছে যে নেই। জলে স্নান করতে করতে অনেকে যেমন জল হয়ে যায়, আমিও যে আজ অলসতা মোড়ানো মানুষ, চলনে বলনে অক্ষম!
তবে তার তুলসী পাতার মতো নরমগরম ডান চোখে চুম্বনদৃশ্য অঙ্কন করে বলেছিলাম,কসম খোদার, আমার দেহ থেকে ঝরে পড়েছে বিগত দিনের সকল পাপতাপ। আজ থেকে তোমার এই চোখ প্রেমের পবিত্র নগরী, আর আমি একমাত্র পর্যটক।

সে বলেছিল আমি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ হতে পারবো না।

আমি তো তাকে সম্পদ ভাবিনি সে যেমন করে তার চুলের লাল ফিতাকে সম্পদ ভাবে। আমি তাকে আমার ভেবেছিলাম যেমন করে একজন মানুষ তার চোখ- মুখকে নিজস্ব অংশ মনে করে।
তারপর তার সাথে পিংপং খেলার উল্লাস করিনি, তারপর থেকে আমি ঝুলে আছি আসমান- জমিনের মাঝখানে অভিকর্ষ বলের উল্টো দিকের দিগশূন্য গ্রামের অলস পাড়ায়।

কেউ যদি বলতো কী করছেন?

আমি হয়তো বলতাম....। জানি কেউ বলবে না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন