রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

মানুষ মূলত

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আশুগঞ্জ খুব সুবিধা করে যাওয়া যায় জয়ন্তিকা ট্রেনে। সরাসরি ঢাকা টু আশুগঞ্জ। জয়ন্তিকা ট্রেন আশুগঞ্জে স্টপেজ দেয়ার কথা না।

তারপরও কেন দেয়া হলো?

একটি কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। শফিউল আলম আড়াইসিধার সন্তান। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান। তিনিও তখন সচিব। এলাকায় বেড়াতে আসেন কোনো এক ছুটিতে। ছুটি শেষে গন্তব্যে ফিরছেন।আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখেন জয়ন্তিকা ট্রেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে।  তিনি সাথে সাথে ক্ষমতা বলে ট্রেন আশুগঞ্জ ফেরত আনেন এবং আশুগঞ্জে জয়ন্তিকা ট্রেনস্টপেজ নিশ্চিত করেন।

তাই জয়ন্তিকা ট্রেনে ওঠলেই আমার শফিউল আলমের কথা মনে পড়ে। অবশ্যই আরেকটি খাবারের কথাও মনে পড়ে। কাটলেট। কাটলেটে হলুদ আর মরিচের এক চমৎকার কম্বিনেশন আছে।

কিছু দিন আগে কাটলেট সংরক্ষণ কামড়ায় গেলাম। যা দেখলাম তাতে....!
তেলাপোকা, মাকড়সা পায়চারি করছে, পায়খানা করছে। যেহেতু ইতরপ্রাণি যেখানে বসবাস করে সেখানেই হাগু বিসর্জন করে সেহেতু আমার প্রিয় কাটলেট ইতর প্রাণির টয়লেট।

হায় রে ইতর প্রাণির টয়লেট এতোদিন আমি কত্ত মজা করে খেতাম, ওয়াক ওয়াক....।

কোনো মাংসই আমার কাছে খুব প্রিয় না। খেতে হয় তাই খাই। তবে নরসিংদী গেলে গরুর মাংস একটু মজা করেই খেতাম। মাংসের মাঝে কেমন যেন একটু আলাদা টেস্ট।

কিছুদিন আগে এক মাংস বিক্রেতাকে ব্যাপক মারধর করে নরসিংদীর মানুষ।

কেন?

কারণ সে পনেরো বছর যাবৎ গরুর মাংসের সাথে কুকুরের মাংস বিক্রি করে।

তাহলে আমি কি কুকুরের মাংস.... !

মানুষ যা খায় তাই মূলত সে। মানুষ কেন কুকুরের মতো আচরণ করে, কুকুর পুষতে চায় কিংবা তেলাপোকার মতো ভীতুর ডিম আজ আমার কাছে পরিষ্কার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন