এক নবজাতক জন্মগ্রহণ করলো। পরিবার তাকে অভিবাদন জানালো আল্লাহু আকবার ধ্বনির মধ্য দিয়ে। জন্মের সাথে সাথে নবজাতক যে রেডিমেড আল্লাহকে পেয়ে গেল তার কারণ কী? কারণ একটাই নবজাতক মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছে। নবজাতক একদিন শিশু হয়। তখন তাকে মক্তবে পাঠানো হয়।
মক্তবে কেন?
মন্দিরে কেন নয়?
কারণ মুসলমানদের জন্য মন্দির হারাম জায়গা।
শিশু একদিন অনেক বড় হয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়ম করে কায়েম করে। ততদিনে সে জেনে যায় গির্জা, প্যাগোডা, মন্দির তার জন্য নিষিদ্ধ জায়গা। শুধু জানা নয় একেবারে মর্মভূমিতে গেঁথে যায়, যেখান থেকে বের হয়ে আসা শিশুটির পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
এইভাবে ধর্ম মানুষকে সীমিত করে ফেলে। সীমাবদ্ধতা শান্তি কিংবা প্রশান্তির কারণ কিনা প্রশ্নটি করা যেতেই পারে। প্রশ্নটি ব্যক্তির, উত্তর যার যার।
সাহিত্য অবাধ বিচরণের বিরাণ ভূমি। চিন্তা খোলা আকাশের মুক্ত মেঘের মতো ভাসতে থাকে, ভাসতে পারে সাহিত্যে। শিল্পও তাই।
শিল্প-সাহিত্যের জন্য যখন প্রতিষ্ঠান খোলে ইমামগণ ওয়াজ নছিহত করেন তখন মানুষ সাহিত্যের নামে আবার ধর্মে প্রবেশ করে কিনা? অবশ্যই করে।
কারণ প্রতিষ্ঠান কাঠামো শেখায়, কাঠামো মুখস্থ করায়, কাঠামোর বাইরে কোনোকিছু চিন্তা করার সুযোগ প্রতিষ্ঠান দেয় না -- এটি প্রতিষ্ঠানের ধর্ম।
এক নবজাতক লেখক যখন সাহিত্যে জন্মগ্রহণ করে তখন তাকে কবিতাধর্ম, উপন্যাসধর্ম, নাটকধর্ম প্রভৃতি নানা ধর্মের সাথে পরিচয় করান গুরুজন। শিষ্য যখন লিখতে আরম্ভ করে তখন সে প্রথমেই ভাবে আমি কি কবিতাধর্ম গ্রহণ করবো নাকি উপন্যাস ধর্ম, না ব্লা ব্লা ধর্ম গ্রহণ করবো। তখন শিষ্যলেখকের অনুভূতি বাল্মীকির মতো স্রোতোস্বিনী হয় না। ইমামগণের কাছে তখন শোকানুভূতি হয়ে যায় শ্লোক। অথচ লেখকের কাছে তা ছিল হৃদয়ের মর্মকথার কালিরূপ।
মক্তবে কেন?
মন্দিরে কেন নয়?
কারণ মুসলমানদের জন্য মন্দির হারাম জায়গা।
শিশু একদিন অনেক বড় হয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়ম করে কায়েম করে। ততদিনে সে জেনে যায় গির্জা, প্যাগোডা, মন্দির তার জন্য নিষিদ্ধ জায়গা। শুধু জানা নয় একেবারে মর্মভূমিতে গেঁথে যায়, যেখান থেকে বের হয়ে আসা শিশুটির পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
এইভাবে ধর্ম মানুষকে সীমিত করে ফেলে। সীমাবদ্ধতা শান্তি কিংবা প্রশান্তির কারণ কিনা প্রশ্নটি করা যেতেই পারে। প্রশ্নটি ব্যক্তির, উত্তর যার যার।
সাহিত্য অবাধ বিচরণের বিরাণ ভূমি। চিন্তা খোলা আকাশের মুক্ত মেঘের মতো ভাসতে থাকে, ভাসতে পারে সাহিত্যে। শিল্পও তাই।
শিল্প-সাহিত্যের জন্য যখন প্রতিষ্ঠান খোলে ইমামগণ ওয়াজ নছিহত করেন তখন মানুষ সাহিত্যের নামে আবার ধর্মে প্রবেশ করে কিনা? অবশ্যই করে।
কারণ প্রতিষ্ঠান কাঠামো শেখায়, কাঠামো মুখস্থ করায়, কাঠামোর বাইরে কোনোকিছু চিন্তা করার সুযোগ প্রতিষ্ঠান দেয় না -- এটি প্রতিষ্ঠানের ধর্ম।
এক নবজাতক লেখক যখন সাহিত্যে জন্মগ্রহণ করে তখন তাকে কবিতাধর্ম, উপন্যাসধর্ম, নাটকধর্ম প্রভৃতি নানা ধর্মের সাথে পরিচয় করান গুরুজন। শিষ্য যখন লিখতে আরম্ভ করে তখন সে প্রথমেই ভাবে আমি কি কবিতাধর্ম গ্রহণ করবো নাকি উপন্যাস ধর্ম, না ব্লা ব্লা ধর্ম গ্রহণ করবো। তখন শিষ্যলেখকের অনুভূতি বাল্মীকির মতো স্রোতোস্বিনী হয় না। ইমামগণের কাছে তখন শোকানুভূতি হয়ে যায় শ্লোক। অথচ লেখকের কাছে তা ছিল হৃদয়ের মর্মকথার কালিরূপ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন