রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪

গোধূলি

একতরফা বৃষ্টি হওয়ার কথা। বৃষ্টি হবে হয়তো। ভাদ্র মাস বলেই সন্দেহ। ভাদ্রের সূর্য, বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম অর্থাৎ তার কোনো  আচরণ নিয়ে নিশ্চিতভাবে  কথা বলা যায় না, ছন্দহীনের মতো ছন্দময়।

আমাদের গ্রামে এক আলোচিত সাবালক আছে। সাবালক মেয়ে। এখনো বিয়ে বসেনি। কোনো ছেলে হয়তো তাকে বিয়ে করতো।
 কিন্তু!
সে নিজেকে ব্যতীত অন্য কাউকে পরিচ্ছন্ন মনে করে না। সবার আচরণে, পোশাকে যেন ময়লা। সালুনি স্নান করতে যায় রাতে। স্নান শেষে ঘরে আসার আগ পর্যন্ত কেউ যেন তাকে দেখতে না পায়। মানুষের চোখেও ময়লা আছে তার ধারণা।
বাড়ি টু বাড়ি ঘুরাঘুরি তার দৈনিক ডিউটি। প্রত্যেক বাড়ির মুরুববী গিন্নির সাথে তার উঠা- বসা। প্রত্যেক বাড়িতে তার আলোচ্য বিষয় ময়লা। কার শরীরে, মনে কী পরিমাণ ময়লা লেগে আছে। গিন্নিরা ময়লার আলোচনা শুনতে বেশ সুখ পায়, এই সুখ যে অহংকারের।

হায়রে অহংকার!

মানুষ কত বিষয়  নিয়ে অহংকার করতে পারে।সাপলুডু খেলায় প্রতিটি চালই  অহংকারের, প্রতিটি চালই বিনয়ের, প্রত্যেক চালই হীনমন্নতার দীর্ঘশ্বাস।

সালুনির অহংকার সে সবাইকে ময়লার সমার্থক হিসাবে ভাবতে পারে, গিন্নীদের অহংকার তারা জানতে পায় সবাই ময়লাময়। আর সবার অহংকার তারা সালুনির মতো নয়।

আসলে অহংকারের আচরণও ভাদ্র মাসের মতো। তার স্থিরস্বভাব বলেই কিছু নেই।তবে অহংকার ভাদ্র মাসের চেয়ে একটু বেশী ভবঘুরে, বেশী তরল।

বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে গেলে মানুষ খোঁয়ারি হতে থাকে। সময়টাও খোঁয়ারে যাবার।
ভাদ্র মাস বলে বৃষ্টি পৃথিবীতে আসবে না, এমনটাই মনে করছে গোধূলি।
গোধূলির ধারণা ভুল। অবশ্যই গোধূলির অধিকাংশ ধারণায় ভুল হয়।

গোধূলি অসম্ভব সম্ভাবনাময়। চান্দের হাড়ের লাহান তার লকলকে শরীর। ভাঁজ করে পাঠ করা যায়। প্রতিটি পাঠে অনুভূতির নতুন অভিজ্ঞতা, সবুজ শিহরণ। গোধূলি নিজেও জানে দৃশ্যমান আম- কাডলরা তার গন্ধে মাতাল। সুন্দর বনের বাঘও তার চারপাশে ঘুরঘুর করে।
কতজন তার জন্য চোখের জল ফেলে, কত মহাপুরুষ শোনায় তাকে না পেলে আত্মহত্যা করার ভবিষ্যৎ রুডম্যাপ। বিশেষ এই কাহিনীগুলো গোধূলিকে অহংকারী করে। সে ভাবতো এই অহংকার তার মৌলিক, খাবারের মতোই মৌলিক।
কিন্তু না। তার অহংকার বাড়ন্ত  পুরান চালের  বিপরীতে  কমছে তো কমছে।
তার জৈবিক মনে প্রেমের ঝড় উঠে। আসলে উঠানো হয়। প্রভাবক হিসাবে কাজ করে পারিবারিক সম্পর্ক।

প্রযুক্তি গোধূলির মামা। দূর সম্পর্কের মামা। পরিচিত মেয়েদের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক  কামের, কাউকে বলে, কাউকে বলে না। প্রযুক্তির জীবনে ভালো একটি পদবি ঝুলে আছে। আর তাহলো ইনজিনুয়াল এঞ্জিনিয়ার। ছেলেদের ভালো কেরিয়ার দেখলে মেয়েদের মাথা যতটুকু ঘোরে তার চেয়ে বেশি ঘুরে গার্ডিয়ানের মাথা। গোধূলির মা প্রযুক্তির হাতে মেয়েকে তোলে দিতে পারলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে!
প্রযুক্তিরও নতুন নতুন জলে স্নান করা বহুদিনের অভ্যস্ত। স্নান করার আগে কয়েকটি মুখস্থ গান শোনিয়ে ঢেউ তোলে নদীতে --

পড়ে না চোখের পলক
কি তোমার রূপের ঝলক
দোহাই লাগে,
মুখটি তোমার একটু আঁচলে ঢাকো
আমি জ্ঞান হারাবো, মরে যাবো
বাঁচাতে পারবে না কেউ

এই গানটি তার আদ্যোপান্ত মুখস্থ। মেয়েরা স্বভাবতই নিজের প্রসংশা শোনে মাতাল হয়ে যায়। পৃথিবী সম্পর্কে জ্ঞাত মেয়েরা জানে তাকে তোষামোদ করা হচ্ছে, তারপর বিশ্বাস করতে প্রস্তুত আসলে তা তোষামোদ নয়, প্রসংশা।
প্রযুক্তি এই গানটি দিয়ে মেয়েদের মনে প্রথমে নিজবিস্তারের নার্সারী তৈরি করে। তারপর হাসির বাক্স থেকে হাসির আর সম্ভাবনার জারবাতি। বেস! চলতে থাকে ফোনালাপ, ফেইসবুকচেট। মুখস্থ কথার অসম্ভব চক্রাকার আবর্তন। মেয়েরা তার ভাষিক ষরযন্ত্রের জালে আটকা পড়ে।
করুণা থেকে প্রেমের উৎপত্তি 'এই ধারণাটিও প্রযুক্তির হার্টডিস্কে জমা আছে। প্রয়োজন এই ডকট্রিনটি সে অনায়াসে ব্যবহার করতে জানে। নিজের কাছে সৎ থাকে এই বলে ` আমি প্রতি মুহূর্তে ভালো থাকতে চায়।'

কিন্তু কৃষ্ণের ভালো থাকার জন্য রাধাই কী অত্যাবশ্যক? চাতক কিংবা ইগল পাখির জীবনাচার একটু প্রাসঙ্গিক হতে  
পারে না?

হবে না, হওয়ার না। প্রযুক্তির আদর্শ স্নানের  আদর্শ, প্রযুক্তির আদর্শ ভোগের আদর্শ ( ইন্না মা আমালু বিন নিয়াত)।

গোধূলিও আজ পরিপূর্ণ ভাষিক ষরযন্ত্রের অধীন। গোধূলির গাঙে প্রযুক্তি অনেক বার স্নান করেছে। এখন গোধূলি পুরাতন। তাকে আর আগের মতো গান শোনায় না, রূপের কীর্তন করে না। এখন প্রযুক্তির মেজাজ সবর্দা সপ্তমাত্রিক। বলে না চলে যাও, চলে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করে।

একটি শ্রুতকাহিনী মনে পড়লো। এক লোক নতুন বিয়ে করলো। তো, বেশ আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। বছর খানেক অতিবাহিত হওয়ার পর বউডারে আর বাল লাগে না। তাই বউডারে হালি ফিডা। বউডা এলহা এলহা কান্দে। আরেকদিন জামাইরে জিগা,
` আচ্ছা তুমি যে আমারে এবাইতে মারো, তুমি কি আমারে লইয়া হাইতা না?'
জামাই ক,  `আ লো , ফুংডা বেডির জি, তরে কেরে ফিডাই, তুই এডাও বুজস না?'

গ্রামের সেই সহজ সারল্যেপূর্ণ  মেয়ের মতো গোধূলি এখন কাঁদে,বুঝে না ।
সে কেবলই বৃষ্টি খোঁজে। বৃষ্টির কান্না যত গভীর হয় তার কান্না ততই গভীর। বৃষ্টির কান্নার আওয়াজ শোনা যায় কিন্তু তার কান্নার আওয়াজ হয় না।
আজ বৃষ্টি হচ্ছে। ভাদ্রবৃষ্টি। কেউ জানে  না কখন থামবে তার রিমঝিম ঝিমুনি। গোধূলি আজ বৃষ্টিমুখী, তার চোখ দিয়ে অঝোরে ঝরছে লবণাক্ত পানি, যে পানি বৃষ্টিকে ভিজিয়ে যায়, আর বলে
Love me if you dare

শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

সমাধান

কোনো কিছু সমাধানের আগে আমরা কেউ জানি না  `সমস্যাটা' আসলে সমাধান ছিল

Problem is the solution unknown to the whole before strolling across the solution 

মিছে মিছে

মিছে মিছে   এতো কেন স্বপ্ন সাজে
মিছে মিছে   এতো কেন দুতারা বাজে
মিছে মিছে   এতো কেন মনটা সাজে
দূর কুয়াশায়
দূর কুয়াশায় স্বপ্ন খোলে

দূরাগত  তারা কেন  আমাকে ডাকে
আমি কেন   ঝরে যাওয়া মেঘের বাঁকে
ভোর কুয়াশায়
ভোর কুয়াশায় স্বপ্ন খোলে

দূরাগত তারা সতত একা না থাকে
একা মনটা ছেড়ে ঝঞ্জা সদা তোর পাশে
দূর কুয়াশায়
দূর কুয়াশায় স্বপ্ন খোলে


কথা ও সুর : এমরানুর রেজা
29082014, 313

শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৪

সিনেমা

সিনেমা দেখার সময়ে প্রত্যেক ছেলে নায়ক আর প্রত্যেক মেয়ে নায়িকা হয়ে যায়। কেউ ভ্যালিন হতে চাই না। অথচ বাস্তব জীবনে ভ্যালিনের অভিনয়টা আমরা ভালো করি।

At the time of watching movie every boy for hero, every girl for heroine. It is atomic something that no one wants to be villain. But the lives within veritable flow we are indoor villain.

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

আবেগ

আবেগ দিয়ে জীবন চলে, সমাজ চলে না
Life goes on emotion but not the society 

কথা ও সুর

প্রতিদিন সবদিন পাখি ডাকে
আকাশে প্রতিদিন মেঘ ভাসে
নদীর কিনারে বসে মাছ শিকারি
কলসি কাঁখে আসে বধূ কৃষাণী।।

চকিত চাহনিতে ষোড়শী চায়
মাছ শিকারি তখন পিছু পিছু যায়।।

লজ্জা নাইরে নির্লজ্জ জেলে
লজ্জা নাইরে তোর।
গলায় কলসি বাইন্ধা তোই
জলে ডুইবা মর।।
কোথায় পাবো কলসি কন্যা
কোথায় পাবো দড়ি।
তুমি হও গহীন গাঙ
আমি ডুইবা মরি।।


2882014, 2068
কথা ,সুর ও কথার সংযোজনে
এমরানুর রেজা

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

আবেগ

আবেগকে যুক্তিক করতে নেই।  যুক্তির বাজারে আবেগ বিক্রি হয় না। যুক্তির বাজারদর বেশ পুরোনো। যুক্তি একটি বিশেষ শ্রেণী তৈরি। নতুবা আমরা সবাই বিশেষ শ্রেণী ছিলাম।
আবেগ নদীর স্রোতের মতো। নদীর স্রোতকে চোখ দিয়ে চেনা যায়না, মন দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়, উপলব্ধিঅনুভূতির জন্যেও আরাধনার প্রয়োজন আয়তি সাপেক্ষে।
নদীর স্রোত জানে না তার শুরু কিংবা শেষ কোথায় !
স্রোত যদি খোঁজে পায় গন্তব্য তবেই তার অনিবার্য মৃত্যু!
মৃত্যু মানে জন্মের বীজতলা 

দূরত্বের মাস্তানি

পাহাড় মানে দূরত্বের মাস্তানি
পাহাড়ের শীর্ষ চূড়ায় থাকে শুন্যতা
যেখানে বসবাস করে শৈল্পিক নির্জনতা
সমস্ত শরীরে থাকে কোলাহল
শুন্যতা আর কোলাহলে পাহাড়ের জীবন
পাহাড়ে বসে বাজায় তারা পিনাকপাণি
চাষাবাদে জুমচাষ সাম্যের বাণী
ফেইসবুক, টুইটার, ক্লাসিক গান সবই চলে
পারিজাত সজ্জিত ড্রয়িং রুমে
অপ্সরা আর এ্যালকোহল টানে বেবাক মাতাল
পাতালকেতু শোনে না পাহাড়ির মৃত্যুর গান
শুন্যতার হাহাকার,  ভাঙানৌকা, বিধ্বস্ত প্রাণ
আমাকে শোনাও সান্ত্বনার ধ্যান
It appears that the grass is always greener on the other side of the fence

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

বাস্তবায়নের অসুর

খাঁচাটি বেশ পরিপাটি। খাঁচা সাধারণত পরিপাটি হয়ে থাকে। পরিপাটি খাঁচার ভেতর মাংসল অজগর। খাঁচাটি কৃত্রিম বনের ভেতর কৃত্রিম ঘর।
একটি খরগোস দেয়া হলো খাঁচার ভেতর। খরগোসটি অজগরের খাবার,  অজগর জানে, আর জানে মানুষ কিন্তু খরগোস জানে না!
তাইতো খরগোসটি  মনের সানন্দে অল্প-স্বল্প খাবার সংগ্রহ করছে মাটির কাছাকাছি এলাকা থেকে।
অজগর আবার সুন্নত মেনে চলে। ক্ষুধা না লাগলে খাবার খায় না। ক্ষুধার তাপে অজগর খরগোসটি কাচাঁভুনা করে খাবে।খরগোসটিও সদ্য জন্মনেয়া ঘাসটি খেয়ে ক্ষুধার আর্জি পূর্ণ করছে। নবজাতক ঘাসের ওয়া ওয়া কান্না এখনো থামেনি। কিন্তু ক্ষুধার কাছে কান্নার মূল্য নেই! ক্ষুধার প্রয়োজনে শরীর শরীরের অংশ খায়।
ক্ষুধার্ত চাওয়া এমনি নিষ্ঠুর,
এমনি আপনারে লইয়া ব্যস্ত

শুরু

কারো শুরু হওয়া
কেন শেষ হয়ে যায়
আকাশে ঘূর্ণিপাখি
গুনগুন গানে, গুনগুনানি গায়
আমার আকাশ ভরা সকাল
তোমার বিকাল ভরা উদাস
নদীর কাছে সাগর, সাগর খোঁজে বাতাস
খোঁজে খোঁজে খোঁজখবর
কাছ থেকে কাছাকাছি
ভুলে যেতে হয় আমি ছিলাম, আমি আছি
শেষটা কেবলই উত্তম শুরু
শুরুটা তাই  বিকেলে গড়ায়
যতবার ভাঙে ততবার গড়ে
এই তো মনের খেলা
শুরু আর শেষে জীবনের মেলা 

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

বনগাঁ লোকাল

পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোর পরম্পরা। সমাজ অন্ধকারের ভয়াল থাবা থেকে বেরিয়ে আসুক অধিকাংশ মানুষ চায়। কারণ পৃথিবীতে খারাপ মানুষের সংখ্যা আসলেই অল্প। ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী। তবে বেশী ভালো মানুষের বিশাল অংশ নিরীহ। মেরুদণ্ড নেই। সহজভাবে বললে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ।
এমনি মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ আমাদের অনন্ত দাস ( তাপস পাল)। ছাপোষা কেরানি। নিজের চেহারা আয়নায় দেখে শান্তি পাই। বউ, সন্তান আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে তার সংসার। সাদা সাদা মিথ্যার মতো ছোট ছোট অপরাধ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে অনন্ত দাস। নিজের অধিকার যে পরিপূর্ণ আদায় করতে পারে এমন নয়। তাইতো ভদ্র মানুষের প্রতিনিধি ( মুখোশধারী) দুলাল দার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি , একবার অনেক নকশা করে বললেও দুলাল দা অস্বীকার করে। নিজের জীবনে হুমকি আসবে এমন কিছু করতে রাজি নয় অনন্ত দাস।  তার সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে সত্যেন দাসকে(রাজীব) । কিন্তু সে থানায় এই সত্যটুকু প্রকাশ করতে যায়নি। এর জন্য কেবলি দায় মধ্যবিত্তভয়। আমরা দেখেছি মধ্যবিত্তের সমাজ বড় বেশী পছন্দ করে আরোপিত জীবন, জীবনবোধ। একই জীবনপ্রবাহের আবর্তন --

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠা
একই রুটিন, সেই একই ছুটা

মধ্যবিত্তের মানসিকতা অর্থাৎ যারা ভয় পেতে পছন্দ করে, যারা নিরীহ ভালো মানুষ সেই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় আমাদের চিরচেনা অসহায় অনন্ত দাস।
অনন্ত দাস এখন আলোর পরম্পরার একটি অংশ। তার মেরুদণ্ড খুব বেশী সোজা ও সাহসী হয়ে উঠেছে। সে এখন সব জায়গায় প্রতিবাদী। সে জেনে গেছে --

``স্পাইনাল কর্ড খুব খতরনক জিনিস "

অনন্ত দাস এখন তীব্রকণ্ঠে উচ্চারণ করে --

` আগে নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে আমি মানুষ, আর আমার পাশের লোকটি মানুষ '

সত্যেস্রোতের দৃশ্য দেখে  বৃদ্ধ বাবাও কথা বলতে শুরু করে--

` আলো বাড়ছে তো তেজও বাড়ছে'

 মেরুদণ্ড সমেত একজন অনন্ত দাস ডক্টর ভদ্রের কাছে রোগী, সাংবাদিক রজতের কাছে প্রতিবাদী, রাজুর কাছে ত্রাস আর শ্রমজীবী দেবনের ( রঘুবীর) কাছে দেবতা। আর একজন শিশির দত্তের কাছে পলাতক আসামি। কিন্তু শিশির দত্তও  জানে --

` দুবেলা খেতে পায় না যে জায়গায় লোকেরা সেখানে জননেতার আলিশান বাড়ি '

তারপরও শিশির দত্ত কিছু বলতে পারে না, কারণ সে যে সরকারের চাকর, হুকুমের দাস। তাকে বোঝানো হয়েছে --
` The police always go with incident and clues and of course sometimes with political angle '
শিশির দত্ত যে পরিবর্তন চায় এটি আরামদায়ক আবেশ। কিন্তু তার চাওয়াটা ভদ্র চাওয়া, শরীরে যেন ধূলো না লাগে, ইউনিফর্মটা স্বচ্ছ থাকা খুব প্রয়োজন।
শিমুলেরা সমাজে প্রান্তিক,পতিতা হলেও অনন্ত দাস তাদের কাছ থেকে পেয়ে থাকে সংগ্রামী সহযোগিতা, জীবনের দার্শনিক দীর্ঘশ্বাস --

` আমরা সাহায্য না করলে কী হতো, জানো দাদা? মেয়েদেরকে আর কেউ মানুষ বলে গন্য করতো না '

সত্যিই তো,  রিনা রাস্তায় বের হতে পারে না, ট্রেনে সাবলীল আয়েশে করতে পারে  না যাতায়াত, বিরানির মাংসের মাপে হিসাব করা হয় রিনার মাংসের আদ্যোপান্ত।
ভাইসুলভ প্রতিবাদ করায় সত্যেনকে জীবন দিতে হয়, কেউ বুঝতে চায় না রিনার হাহাকার, একজন ভাইহারা বোনের অন্তরকাঁদন।
ভাইহারা বোনের হাহাকার, মেরুদণ্ড সমেত অনন্ত দাসের  প্রতিবাদী উচ্চারণ, বাবুল দত্তের রাজনৈতিক কারিশমা, দুলাল বাবুর ভোগবাদী বিলাসিতার এক স্পষ্ট দৃশ্য

``8.8- এর বনগাঁ লোকাল "

মুভিটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য করেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। প্রযোজনা তরুণ রাউত।
পরিচালনা দেবাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

শুন্যতার পাশে

এখনো রাত হয়
ফুলের ঘ্রাণ ঝিরঝিরে নুয়ে পড়ে স্বপ্নের ডগায়
আকাশ-কুসুম স্বপ্ন এখনো পথ চলে স্ববেগে
পূর্বে সূর্য দেখা যায়
সূর্য চলে যায় চোখের আড়ালে পশ্চিমে
শাপলার মাঠে ব্যাঙের থামেনি অহংকারী নাচন
শিশুর মুখে রোজ ফুটে রোদেলা বচন
আয়নার সামনের আত্মজা
আয়নার পেছনে রক্তহরণ
তবুও জেগে থাকে ভাষার তীব্র উচ্চারণ

শুন্যতার পাশে সংখ্যার মরণ

Exam

Exam is an structure and every structure based on power, power practice. And so seen power practice builds a den of classification, earthly gloom.
As a result of classification a new devastated burn of thought has been  come in our locality, then we have to face Adam and devil complex, Adam - devil hardship.
Exam deserves quality at first, quality is the atomic something to make a huge difference between man and man.
So why? quality is preferably urged! we need preferable life leading by born is the burning cause.
Exam is the infinite choice at all. And only for that man's lives are buried in the infinite earth but not in the eternal appeal.
It is harrowed sorrows that the factor exam fingers our standard lives out still now and now is valuable demand to the human being informed. To explore this idea, penumbra of exploitation traditionally going ahead. Day by day and for Human being is the trade mark question.
We are man swimming in the quotation ocean, exam is the lullaby, exam the race that is our owned existence!

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

প্রার্থী

প্রিয়
ফুলের গান শুনতে চাই না,
কবরে থেকেও ফুলের ঘ্রাণ পেতে চাই

Dear
not eager to listen a song on flower, burning need to have odor of flower even in grave.

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

পিটাসবুর্গ

ভদ্র সমাজ আর ভাদ্র মাস সমান সমান!
দুইখানে প্রবল তাপ, চরম খরা!
পাপীদের একটি মূখ্যত স্থান আলোচিত ভদ্র সমাজ। খাওয়া- দাওয়া করে, মধ্যখানে রাখে মেকআপ হাসি! মধ্যবিত্ত সমাজ তাতে বড় খুশি,
বলে `বড় ভালোবাসি  চিকচিকে চিকেন রাশি।'
পিটুইটারির অনেক বড়, অনেক মূল্যবান গ্রন্থি,
 তাতে কী?
মাইক্রোসফট আছে বলেই সুক্ষ কার্য এতো মূল্যবান। মাইট্রোকন্ড্রিয়া তার কাজেই কেবল মহৎ, আকৃতির হিসাব গাণিতিক  বিষয়।
তুমি চুলের হিসাব করে, আমার বাবা কৃষক, তাই তিনি মাথা নিয়ে ব্যস্ত। ক্যালকুলাসের জটিল ধাঁধা মাথায় ঢুকে না, মাথায় থাকে কেবল দৃশ্যমান আলোর ঘ্রাণ।
আলোতে বসবাস করে প্রমাণ পেয়েছি ভাতের ঘ্রাণে জীবন চলে, ফুলের ঘ্রাণে বিলাসিতা।

ইগলস্রোত

মন ঝুরে তোর নামে ল
সংসারত তোক্ষা কৈলোঁ সারে
আমারে একা রেখে যাবি কার ঘাটে
প্রতীক্ষায় বসে আছি ইগলের স্রোতে
মরার আগে কুড়ল জানে
নারী বাঁচে না
মরার পর ইগল জানে
প্রেম মরে না
চলে আই মালতী ডানা
এক সাথে বাঁচি
তোর নাকে নাক রেখে
পাশাপাশি থাকি

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

গরম দীর্ঘশ্বাস

মনের সাথে মনের গোপন আইলপথ
ক্যাবল কিংবা ইথারে নয়
ব্যথার অদৃশ্য বাতাসে
মনে ছড়াও গরম দীর্ঘশ্বাস
নগ্ন উষ্ণতায় মন আমার খোঁয়ারি বালুচর
তাপ পারে না ভেদ করতে দেহের ওজনস্তর
মনের কোণে জমা হওয়া হিমানী গলে যাচ্ছে প্রায়
অকাল বন্যায় প্লাবিত হবে মানুষজন্ম
তুমি যদি
তুমি যদি গাছ হতে, হতে উষ্ণ প্রস্রবণ
এরশাদ শিকদার পেতো ফুলেল জীবন

বিপ্লবী

বিপ্লবীরা প্রেমে পড়লে হিজড়া হয়ে যায় 

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

Lonely sole

You are lonely sole so far
Alone on me afar
Alone for eye and death
Alone comes from acidity
Acidity is actual zone, uttering truth

Telling the truth is the greatest sin
Lie is the world, the glorious noble

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

গানগুলো

কত রাত কেটে গেল
কত দিন কেটে গেল।
রাতের পাহাড়ে দিন
দিনের পাহাড়ে রাত।।

পেলাম না তো কোনো পথ
জীবনটাকে সাজাবার
পেলাম না তো কোনো মত
দুঃখটুকু ভুলবার।।।

ছেঁড়া কাগজে গল্প লিখে
কড়া লিকারে ঠোঁটকে রেখে
অর্ধজীবন যায় যে চলে, যায় যে চলে।।

এসেছিলাম যখন
স্বপ্নে ভরা জীবন
হাসি- গানে কায়া, তনু, মন
আমার সেই জীবন এনে দাও না
ভবিষ্যতের ওগো পাওনা।।


কথা ও সুর : এমরানুর রেজা
17082014, মল চত্ত্বর 

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

গানের এ লা কা

জীবনটাকে জানতে গিয়ে দেখি
বোকা একটা পাখি
করে হাঁটাহাঁটি।।

নদীর পাশে বাড়ি
নৌকোটা তার গাড়ি
গাড়ি চড়তে গিয়ে
জলে ডুবাডুবি।।

পাখির কোনো ঠিকানা নেই
ভাঙছে মনের পাড়
পাড়ের মতো আমায়ও
ভাঙছে বারংবার।।
The weak will fall
and the strong will remain
No pain, no gain

কথা ও সুর : এমরানুর রেজা
16082014

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

বিবাহিত শোষণ

সমাজে এখনো নারীর জন্ম হয় না, জন্ম হয় এক অভিশাপের!

মায়ের প্রসবব্যথা। একটি চিৎকার বলে দেয় শিশু পৃথিবীতে আসলো। চিৎকার নিচু স্বরে হওয়া  মানে গৃহকর্তা নিশ্চিত,  যে শিশুটির জন্ম হলো সে অবলা।

জননী এক সময় চোখ মেলে তাকায়, চোখে নেমে আসে প্রশান্তির ছায়া। কিন্তু গৃহকর্তার মানসিক প্রভাবে গড়ে উঠা গিন্নির মনে কালো মেঘ জমে উঠে! যে মেঘের কারণ কেবলই ছেলের ক্রাইসিস।

শিশুটি বড় হতে থাকে মেয়ে হিসেবে, তার বেশী খাবারের প্রয়োজন হয় না। কারণ মেয়েরা ঘরে থাকার বিষয়।আসবাবপত্র যেমন ঘরে থাকে। তাদের তো এতো ক্যালরির দরকার নেই।
আবার আকাশ ফেটে বৃষ্টি হলে ছেলেরাই ভিজবে। তাদের তো আর সর্দি- কাশি হবেনা। কারণ তাদের ইমিউনিটি কেপাসিটি অনেক বেশী। তখন শক্তির উৎস সম্পর্কে ইমাম সাহেবের ওয়াজের প্রাসঙ্গিকতা  খোঁজতে ইচ্ছে হয় ( আইনাল হাদি,  আইনাল হক, লাইসাল হাদি ইল্লাল্লাহ)।

মেয়েটি এখন যুবতী। জানালার লোহা ভেদ করে  খেলার মাঠে তার দৃষ্টি। ছেলেরা মানে মানুষেরা খেলছে। তার মনটাও মানুষের সাথে খেলোয়াড় হয়ে যায়। দেহ পড়ে থাকে জানালার ভেতরে চুলা-চুল্লির সাথে।

এক সময় মেয়েটি আয়নার সামনে দাঁড়ায়। এই দাঁড়ানো অর্থ  চুলের শরীর দেখা  নয়। এই দাঁড়ানো অর্থ এক এবং একক। মেয়েটি অবাক হতে থাকে। এতো দিন যে পারিপার্শ্বিক মানুষগুলো বলতো সে আবুল- সাবুলের মতো না, আজতো তাই তার মনে হচ্ছে। ওয়াশরুমের দরজায় সিটকানোর দাপট চলে। নিকটস্থ  আন্তরিক চোখে নিজেকে পাঠ করে। একটি মর্মার্থ বের হয়ে আসে-- যুবতীটির বক্ষের এলাকা  আবুল- সাবুলের মতো নয়।
কিছু দিন পর মেয়েটি চিৎকার করে কাঁদে। `ও মা আমার এ কী হলো, রক্ত আসে কেন? ' মা বোঝায় `মা,  এ কিছু না, ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই, তুমি এখন সাবালক হয়েছো।'
মেয়েটিও মায়ের কথায় সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করে। এবং তার ধারণা  পরিবর্তন হয় যে শুধু কেটে গেলে কিংবা আঘাত পেলেই রক্ত আসে না, রক্ত আসার অনেক কারণ।

তারপর থেকে মেয়েটি রমণী!

তার চরিত্র নিয়ে যে কোনো সময় প্রশ্ন উঠতে পারে। স্কুল, কলেজ, বাস, ট্রেন কোথাও সে নিরাপদ নয়। হরিণীর মাংসের( মাংস = মায়ের অংশ) মতো সেও দামি মাংস। মাংসের রং নিয়ে কথার কলরব। স্মরণে আসেনা  রমণীরও মন বলে কিছু একটা আছে। রমণীও রমণ কার্যের যোগ্য হতে তৈরি করে পার্লারদেহ।

আস্তে আস্তে সূর্যটা চাঁদ হয়ে রাতের ঘরে আসে।
সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশ। ইভালোশন এন্ড জেনেটিক্স প্রবাহের প্রায়োগিক প্রাণী। সবার মন তেলাওয়াত করে তাকে কথা বলতে হয়, হাসতে হয়, এমনকি কাঁদতে হয়!

 হঠাৎ অভ্যাসগত রক্তমাইনাস বন্ধ হয়ে যায়। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে, হতে থাকে শারীরিক অবয়বের আবর্তন।

রমণী এখন জননী!

সবাই দোয়া-মন্ত্র এবং আশার নিশ্চয়তায় সময়ের উপর ভর করে বসে আছে -- সূর্য আসবে জননীর সংসারে, বংশের বাত্তি জ্বালাবে। অবলা তো ঘরের শোভা, বাইরে তাদের যেতে মানা, বাইরে যদি যেতেই হয় সঙ্গে থাকবে জাতীয় পুরুষ।

এই জাতীয় পুরুষের অধীনে অবলা হয়ে উঠে রমণী, রমণী থেকে জননী। অর্থাৎ অবলার বাস্তবিক জীবনচক্র।

এই চক্র থেকে তারা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেনি এমন নয়, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে কালের স্রোতে, তাতে পরিপূর্ণ সফল না হলেও বিফল নয়।

গ্রীক পুরাণ আমাদেরকে একটি গল্প শোনায় --
মানুষ মেয়েদের উপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করে! ভোগের সামগ্রী তারা কেবল! তাদের মানসিক বিকাশ থেমে যেতে থাকে। অত্যাচারে মাত্রা যখন সহ্যসীমানা অতিক্রম করে তখনই গর্জে উঠে প্রতিবাদী উচ্ছ্বাস, উচ্চারণ! ইতিহাসের প্রতিবাদীপাতায় লিখিত হয় ``আমাজন " কণ্ঠস্বর! আমাজন হচ্ছে শক্তিশালী মহিলা সম্প্রদায়। আমাজনেরা এশিয়া- মাইনরের থার-মোডল নদীর তীরে এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলে এবং অত্যাচারী মাংসভোজী পুরুষদের তাড়িয়ে দেয়। পশ্চিম আফ্রিকার ডাহোমী- আমাজনেরা যুদ্ধ ও প্রশাসন যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহের প্রচলন করে, হয়তো ভেবেছিল বিয়ের মাধ্যমে আমৃত্যু মানুষ হিসাবে বাঁচতে পারবে! কিন্তু না! মাঘের কাছে হরিণের বন্ধু হওয়ার সম্ভাবনা কোনো কালে ছিলনা, আসবেও না!

তারপর আমরা যেহেতু মানুষ সেহেতু চরম আশাবাদী
একদিন নিশ্চিত সবাই  বলবে --
আমরা কেউ ইভ কিংবা এ্যাডাম নয়, সকলেই মানুষ!

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

বর্ডার

পাখিদের ভৌগলিক বর্ডার নেই
উড়ার ক্ষমতা, চোখের সীমানা তাদের দেশ
তাদের জীবন হিংসা করার মতো
চলছে তো বেশ, চলছে তো বেশ

মানুষ ক্ষমতা চর্চা করে, লালন করে না। শরীরের এক অংশ অন্য অংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। যেহেতু দুই অংশই শরীরের অংশ ফলাফল হাস্যকর এবং হাস্যকর বেদনাদায়ক। মজার কথা হলো এই বেদনা নিয়ে তৈরি হতো, হতে থাকে শিল্পের ঝনঝনি

আলোর মিছিল কাব্যচিল
দিনের ভেতর অর্ধদিন
জ্ঞানের মূল্য পাপের হিল
মানুষজীবন সরল জটিল

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

রাহী

তোমার জন্য আমি শিল্পী
চকিত চাহনির ধারা
সকাল-বিকাল প্রেমের মাঝি
উদাসী গান গাওয়া
স্তব্ধ দুপুর, নিপুণ আকাশ
তোমার কথা বলে
জন্ম হচ্ছি  দিনের পর দিন
পানসে নদীর কূলে
কোনো কথা নয়,
চুপ করে থাকো সরিষার মিহি  ফুল
চুপ করে দেখি
জোনাক থোকা মিস্টি বকুল
চান্দ সুরুজ মোর আছে দুয়ি সাখী
বনমালীমন্ত্র আস্থপ্রহর দোষে-গুনের রাহী

পুঁথিগান



রংপুরে এক পাখি জন্মে জিননুরাইন নাম
সকাল বেলা হাঁটতে গিয়ে দেখা যে পেলাম
ও ভাই দেখা যে পেলাম ।।

পাখি হাঁটে  ,আমি হাঁটি সময়ের তালে
পাখনা ছাড়া পাখি বসে বাতাসের ডালে
ও মা বাতাসের ডালে ।।

সকাল গেল দুপুর এল রোদেলা বাতাস
পাখি তখন খোঁজে ফিরে রঙিলা আকাশ ।
কাক এল, কোকিল এল আরো এল বক
সবাই তাকে মাতাল করে দিয়ে গেল ঠক ।।

জীবনেরও এক কোণে বসে থাকে পাখি
চোখের জলে ফুলে উঠে তার দুটি আখিঁ ।।

তারপর
ভালোবাসা থেকে অনেক দূরে চলে যায় পাখিটি। চোখের জলে বুক ভাসায় ।বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে মনে ও জনে ।কঠিন কষ্টে সময় কাটায় ।

আবারো কবি সুরে গান ধরে সকালবেলার পাখি
পণ করে তার জন্য রাখবে জীবনবাজি
আ হা রাখবে জীবনবাজী ।।

চুন খেয়ে দই দেখলে বড় বেশি ভয়
আসল পাখি চিনতে পাখির বড় নয়- ছয় ।।
হায় রে
কষ্ট পেয়ে আসল পাখি মনের বনে হাঁটে
চারপাশের পেচাশ্যামা মিটিমিটি হাসে ।।

মাগরিবেরই পরে যখন পাখি থাকবে না
তার কাছে হিসাব চাই বে আপে রাব্বানা ।
পরকালে তুমি ছাড়া বাঁচবে না এ পাখি
জাহান্নামে তুমি থাকবা আর থাকবো আমি
জাহান্নামে সে থাক বে আর থাক বো আমি ।।

মনবাড়িঃ২৩,১০,২০১৩

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

জাহাজ

জাহাজে এতো ভীড় কেন?

পাথার পাড়ি দিতে অধীরে ব্যাকুল
মানুষ কেন ভুলে যায় --
জাহাজ আর জল অহি-নকুল
পাশাপাশি কিন্তু পারস্পরিক নয়

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৪

ভ্রমরপুরুষ

নারী ফুলের মতো,
নারী ফুলের মতো নয় মননে, জীবনের স্লোগানে,
পরাগায়নে প্রয়োজন বহুগামী ভ্রমরপুরুষ,
প্রজননে শিশুর বাবা একমাত্র পুরুষ,
নারী পাঠ করে এক বীর্যের দরুদ 

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৪

চোখের আকাশ

দেখা হওয়া মানে কোনো একটা কিছু
কাঠফুলবাহারে বাসন্তী ঋতু
শাদা মেঘে জোছনা পড়ে,
মেঘ আর জোছনার মিলন মানে তৃতীয় কিছু
পরিচিত  রাতের দেশে আলোর শিশু

একটা কথা বলি

তোমাকে যতটুকু চোখে দেখা যায় সবটাই আলো-আঁধারি
কবিতার খাতায় তুমি লিওনার্দোকাব্যভূমি
কলমের কাছে পৃথিবীর মহাজাতক কিছু ,
আমার পৃথিবীতে সেরেব্রালটিস্যু
নিস্তব্ধ বাতাসে ফুলের আওয়াজহীন  নৃত্য
গুনগুনানি গানের পূর্বপ্রস্তুতি
বিম্বের কাছের প্রতিবিম্বের অকপট হাসি

দেখা যখন হবে কোনো প্রসাধনী নয়, কেবল তোমার প্রাকৃতিক ঢেউগুলো, শুন্য প্রাসাদ পানসে নদীর তীরে, শুন্য দুটি নিথর প্রাণ, তোমার চোখের চেয়ে বড় চোখটিও গ্রহণযোগ্য নহে, গ্রহণযোগ্য নয় কোনো তৃতীয় মন!
হ্যাঁ,
চোখের আকাশে জমা রেখো অপঠিত পাতানো মেঘ ,
আনন্দের আগুনে মেঘগুলো শান্তি, প্রশান্তি হয়ে ঝরে
জোনাককান্নার পথে  হাঁটি,  হাঁটছি হাজার বছর ধরে

এখনকার জমিলা

মিছিলের ভীড়ে বহু আগে হারিয়ে গেছে জমিলা
 লাল শাড়ি চাকরি নিয়েছে বৃদ্ধার কামনার ঘোরে
বৃদ্ধের চোখে জড়িয়ে থাকে লিপস্টিক হাসি
প্রেমের গন্ধম কৌনিক দাবি, উপপাদ্যের পাঠশালা
মজিদ, হুসেন মিয়া আধখানা সমাজ, আধখানা তাহাদের  কুর্নিশফাঁড়ি

নিথুয়া এজাজত প্রতিপাদ্য স্মরণসভা, কাতারে বক্তব্য, বক্তব্যের সারি

চাঁদের জোছনা পৃথিবীর আলোয় দ্বিতীয় অর্জুন
সীতা বির্সজনে নারীপ্রগতি, সময়ের সাংসারিক গুণ
বহুকাল হয়ে গেল সখিনা বিবির কান্দন থামেনি
এখনকার জমিলা রান্না করে আবেগ- মমতার তরকারি 

বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৪

কেন?

যুগে যুগে যোগ্য মানুষগুলো অপবিত্র জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়
Respective mentality is deprived time to time from the glimpse house of the den



আমার একমাত্র বন্ধু যে সব সময় আমার পাশে থাকে ; আমার কাছাকাছি নয়, কাছাকাছির গভীরে তার বসবাস ; দূরে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়না ;আমাকে ভালোবাসে না, ভালোবাসা তৈরি করে ; যদি সে আমা থেকে পালিয়ে যায়, আমি আর আমি থাকিনা! আমার সেই চিরায়িত, চির অচেনা বন্ধুটির নাম
এমরানুর রেজা 

বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০১৪

প্রচেতা

প্রচেতা

তোমার মন্ত্র এক উদ্ভ্রান্ত ঘোড়া
কাঙাল বাঙাল হলো
বাঙাল সকালে বুড়া
প্রিজন ভ্যানে অসহায় চোখ, মানবিক এ্যাম্বুলেন্স মুমূর্ষু
বিধ্বস্ত নীলিমায় ডাহুকপাড়া
ঝাঁকে ঝাঁকে হাহাকার বাতাস করেছে ভারী

প্রচেতা

মন্ত্র হোকনা কিরণবালা, কাপালিক, কপাল কুণ্ডলা
থোকা থোকা স্বপ্নের রবিনহুডআল্পনা

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

পকেটসাঁতার

ফেলে আসা বিকেল
সকালে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে
বৃষ্টির কাছাকাছি ঘুমট বাসমতী দোকান
আদার ঝাঁঝে  বিক্রি হয় পূণ্যময় সাবান
বৃষ্টির কান্নায় মুখলুকানো সুখ তৃপ্তির ঢেকুর
মেঘনা নদীর কৃষাণীর দলে নগ্ন দুপুর
নদী মানে বাতাস, নিস্তব্ধ নিরেট একাকিনীর স্বর্গবাস
জলের উতাল-পাতাল, তরঙ্গের কচ্ছপচলন
খেয়া নৌপথে জেলের ইচ্ছাকৃত মরণ
গোধূলির মিহিকুচি শব্দে নদীতে উলঙ্গ নাচন
গোল গোল সময়  তারানা সুরে এ্যালকোহল মাতাল
নদীর কান্নায় ছোট হয়ে আসে দুংখের মানবিক নামাতা
বৈঠার হাততালিতে জীবনের লক্ষ্য আদিম সাঁওতাল
মাছদের মীননাথ বুক পকেট রেখেছে সাগর, শিখছে সাঁতার

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

মেঘনা

মেঘনা নদী বর্ষার প্রাতর্মধ্যন্দিনে রসে টলমল! চোখের তৃপ্তি সুখকর হয়ে উঠে যখন সূর্যের পশ্চিমআকাশে হেলে পড়ার খেলা শুরু হয়। প্রাকৃতিক গন্ধ আর সূর্যগন্ধ মিলে একাকার। সূর্য বিদায় নিলে শুরু হয় অন্যরকম রঙ্গের খেলা। জলের গায়ে অন্ধকারের শীতল পরশ, নীরবতা জোনাকির মতো জ্বলে মনের আবাসিক এলাকায়। যদি আকাশে চাঁদ থাকে তবে তো রমণীয় পরিবেশ, গন্ধমূষিক চারণভূমি।
জলের আধখানা আওয়াজ মনে হয় প্রিয়ার হারানো সুর।
উত্তম- সুচিত্রা হয়ে উঠে নৌকা আর জলের ঐকতান! রাত যতই গভীরে যেতে থাকে ততই থৈথৈ শব্দে প্রাজ্ঞময় রব তোলে শব্দহীন দেয়াল। দলছুট একজন কচুরিপানাও তখন আপনারে চিনিবার লাইগগা ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
মলাই মাঝির হারিকেনের শব্দ শোনে না মেঘনার সরল মাছ, মেঘনার জল তখনো শোনে রাস্তার কুকুরের হাঁকডাক।
শেকলে বাধা থাকে হাতেগোনা খেয়ানৌকা! আহারে নৌকাও শেকলহীন হতে পারে না! শেকড়হীন হতে পারে না পুরোনো মেঘনা! 

রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৪

রাস্তার কুকুর

কুকুর মূলত রাস্তার কুকুর, পোষা কুকুর কুকুর নয়!
রাস্তার কুকুর মানুষ দেখে, মানুষের ভেতরে পোষা কুকুর দেখে!!

Street dog is actual dog, domestic dog is so called! Street dog recites the man and studies the pet dog within man!!

ভাব বিনিময়

মসনবী শরীফের ভাষান্তর : এমরানুর রেজা



শামস্ দর খারেজ আগর চেহ হাস্ত ফর্দ
মেসলে ঊ হাম মীতুওয়াঁ তসবীর কর্দ


সূর্য জেগে থাকে দিনমান, ঘুমায় না অণুক্ষণ
বন্ধনে বন্ধু
বন্ধুর পাশে বন্ধু সূর্যের মতোন

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

ভিন্নতা

হাসি মাঝে মাঝে ভিন্ন রকম, সেই হাসিতে খুশি থাকে না,
বলি
আহা কী আনন্দ! কিন্তু সেই আনন্দে নন্দ থাকেন না