জানুয়ারি মাসে চমৎকার সূর্য নেমে আসে গ্রামে। জানুয়ারি মাসে চমৎকার কুয়াশা নেমে আসে গ্রামে। ধানের গন্ধে মন উচাটন। একটু একটু ধান কাটা শুরু হয়।
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে খেলাধূলা নিয়ে ভয়ানক ব্যস্ত গ্রামের যুবক। দুটি পাড়ার দল। ক্রিকেট খেলা। এই খেলাটি শীতকালে দশ-বারো বছর যাবৎ গ্রামের যুবকের প্রিয় অভ্যাসগত খেলা।
জানুয়ারির শেষ দিকে নতুন বইয়ের গন্ধ। নতুন চাল। নতুন ক্লাস। নতুন স্কুল। নতুন টিচার। নতুন কিছু প্রিয় মুখ।
আমিও নতুন ক্লাসে। নতুন স্কুলে। অচেনা মুখের ভীড়ে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয় আমার মাধ্যমিক স্কুল।
আজকে ক্লাস হওয়ার কথা। প্রথম ক্লাস। কিন্তু ক্লাস হয়নি। ফাস্ট বেঞ্চে বসে আছি আমি আর আমার মামাতো ভাই মোনায়েম। মোনায়েম খাঁ। হঠাৎ এক হৃষ্টপুষ্ট ছেলে আমাদের সামনে নাযিল হলো।
মোনায়েম খাঁ কে?
এমরানুর রেজা কে?
মোনায়েম ভাই অবাক হয়েছে কিনা জানি না, আমি বেশ অবাক হয়েছি। অবাক হওয়ার কারন এই পোলা কে না কে, তাছাড়া আমাদের নাম জানে কীভাবে। আমি প্রচণ্ড রকমের ইনট্রুভাট। মেপে মেপে কথা বলি। তাই উত্তরটা মোনায়েম ভাইকেই দিতে হলো।
আমি মোনায়েম, আর সে রেজা।
তারপর বশির যা বলে,
মোনায়েম ও রেজা; তোমরা এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ , ছয় রোলনম্বরের আশা করবা না( বসির সিন্ডিকেট এই রোলনম্বরগুলো দখল করবে)।
আমি আকাশের তারা গুনে আসলাম কিছুক্ষণের জন্য। বক্তব্য দিয়েই সে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো। দ্রুত বের হয়ে গেলো। আমার আক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক । আমি তাকে আক্রমণ করতে পারতাম । কিন্তু যারা আক্রমণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করে আমি কেন যেন তাদের আক্রমণ সহ্য করে তাদের চেয়ে ক্ষমতাবান হিসাবে নিজেকে বিবেচনা করি।
ক্লাস চলে। আমি একদিন ক্লাসে যাই তো দুইদিন যাই না। প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা হয়ে গেলো। রেজাল্ট দিলো। আমি ইংরেজি সেকেন্ড পেপারে পেয়েছি পঁচিশ। মানে ফেইল। তেত্রিশ পেলে পাস। আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। দিদি বললেন জীবনে এক-দুই বার ফেইল না করলে পাসের মর্ম বোঝা যায় না। দিদির কথা শুনে আমি ভয়ঙ্কর রকমের আশাবাদী হয়ে উঠলাম। তারপর থেকে নিয়মিত ক্লাসে যাই, নিয়মিত পড়াশোনা করি।
ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্ট দিলো। মোনায়েম ভাইয়ের রোল হলো এক,
রাজনের দুই
আর আমার তিন।
আমার বন্ধু বশিরের জন্য দুঃখ হলো। কারন সে এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়ের ভেতরে থাকতে পারেনি। তার রোলনম্বর হয়েছিল ষোল।
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে খেলাধূলা নিয়ে ভয়ানক ব্যস্ত গ্রামের যুবক। দুটি পাড়ার দল। ক্রিকেট খেলা। এই খেলাটি শীতকালে দশ-বারো বছর যাবৎ গ্রামের যুবকের প্রিয় অভ্যাসগত খেলা।
জানুয়ারির শেষ দিকে নতুন বইয়ের গন্ধ। নতুন চাল। নতুন ক্লাস। নতুন স্কুল। নতুন টিচার। নতুন কিছু প্রিয় মুখ।
আমিও নতুন ক্লাসে। নতুন স্কুলে। অচেনা মুখের ভীড়ে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয় আমার মাধ্যমিক স্কুল।
আজকে ক্লাস হওয়ার কথা। প্রথম ক্লাস। কিন্তু ক্লাস হয়নি। ফাস্ট বেঞ্চে বসে আছি আমি আর আমার মামাতো ভাই মোনায়েম। মোনায়েম খাঁ। হঠাৎ এক হৃষ্টপুষ্ট ছেলে আমাদের সামনে নাযিল হলো।
মোনায়েম খাঁ কে?
এমরানুর রেজা কে?
মোনায়েম ভাই অবাক হয়েছে কিনা জানি না, আমি বেশ অবাক হয়েছি। অবাক হওয়ার কারন এই পোলা কে না কে, তাছাড়া আমাদের নাম জানে কীভাবে। আমি প্রচণ্ড রকমের ইনট্রুভাট। মেপে মেপে কথা বলি। তাই উত্তরটা মোনায়েম ভাইকেই দিতে হলো।
আমি মোনায়েম, আর সে রেজা।
তারপর বশির যা বলে,
মোনায়েম ও রেজা; তোমরা এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ , ছয় রোলনম্বরের আশা করবা না( বসির সিন্ডিকেট এই রোলনম্বরগুলো দখল করবে)।
আমি আকাশের তারা গুনে আসলাম কিছুক্ষণের জন্য। বক্তব্য দিয়েই সে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো। দ্রুত বের হয়ে গেলো। আমার আক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক । আমি তাকে আক্রমণ করতে পারতাম । কিন্তু যারা আক্রমণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করে আমি কেন যেন তাদের আক্রমণ সহ্য করে তাদের চেয়ে ক্ষমতাবান হিসাবে নিজেকে বিবেচনা করি।
ক্লাস চলে। আমি একদিন ক্লাসে যাই তো দুইদিন যাই না। প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা হয়ে গেলো। রেজাল্ট দিলো। আমি ইংরেজি সেকেন্ড পেপারে পেয়েছি পঁচিশ। মানে ফেইল। তেত্রিশ পেলে পাস। আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। দিদি বললেন জীবনে এক-দুই বার ফেইল না করলে পাসের মর্ম বোঝা যায় না। দিদির কথা শুনে আমি ভয়ঙ্কর রকমের আশাবাদী হয়ে উঠলাম। তারপর থেকে নিয়মিত ক্লাসে যাই, নিয়মিত পড়াশোনা করি।
ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্ট দিলো। মোনায়েম ভাইয়ের রোল হলো এক,
রাজনের দুই
আর আমার তিন।
আমার বন্ধু বশিরের জন্য দুঃখ হলো। কারন সে এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়ের ভেতরে থাকতে পারেনি। তার রোলনম্বর হয়েছিল ষোল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন