শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

জীবনে

রাত। রাতই বলা যায়। কারন সময় তখন একটার কাছাকাছি কিংবা প্রায় একটা ত্রিশ মিনিট। রাতে ফোন দিলে তাও আবার যখন ঘুমে থাকার কথা তখন ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। ভয় পেয়েছি বটে। আঙ্কেল  সাধারনত এতো রাতে ফোন দেননা।

রাত গেল দিন এলো আবার রাত এলো। ইউটিউবে কালিকা প্রসাদ নিয়ে ব্যস্ত। কালিকা প্রসাদ একজন সংগঠক, একজন শিল্পী একজন গীতিকার একজন প্রেমের মানুষ। তার কথা আর গান শুনতে শুনতে আমি তখন ছিদরাতুল মুনতাহায়, রফরফের অপেক্ষায় বসে আছি। এমন সময় ফোন আসে। ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ভাই সাধারনত এতো রাতে আমাকে ফোন দেন না। তাছাড়া আমি ছিলাম তখন পৃথিবীর বাইরে।

মাঝেমাঝে আমি like doing nothing পৃথিবীতে বসবাস করি। তখন পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকি। ফোন অফ থাকে। কিন্তু কেমনে কেমনে যেন বড় ভাইয়ের ফোন ঢুকে গেলো। অবাক হলাম। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ভয় পেয়েছি বটে।

আঙ্কেল, ভাই, বড় ভাই তিনজনের ফোনে ভয় পাওয়ার মতো কোন কারন ছিল না। তিনজনই আনন্দের সংবাদ দিলেন। দুজন নতুন বাবা হলেন আর বড় ভাই চার নাম্বার সন্তানের বাবা হলেন।

আঙ্কেল, ভাই, বড় ভাই পৃথিবীতে জীবন নিয়ে আসলেন। আর আমি? আমি আমার একমাত্র জীবন নিয়া ভাবতাছি, কেমনে সাগর পারি দিব আমার ভাঙা তরী! এ জীবন কী শাপলা ফুল বর্ষা গেলে যার কোনো থাকে না কুল!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন