সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭

নেতার বেড়াল

নামছি। হল থেকে।

হল থেকে রেজা সাহেব আপনি প্রতিদিনই নামেন ওঠেন-- এ আবার নতুন কী, নতুন করে বলার কী হলো?

আরে ভাই, এতো কথাবীর্য হেছেন ক্যান? আমাকে বলতে দেন।

হল থেকে নামছি। হল থেকে তো সবাই নামে তবে আপনার নামার কথা আলাদা করে কেন বলতে হবে রেজা সাহেব?

দেখুন প্রশ্ন করতে জানলেই উত্তর পাওয়া যায় না। শোনার কান তৈরি করেন, অনেক উত্তর আপনি আপনি চলে আসবে।

রেজা সাহেব আপনাকে বানী কে দিতে বলেছে, উপদেশ দেয়ার অভ্যাসটা মনে হয় আপনার জন্মগত।

ও মিয়া, বাজে বকছেন ক্যান? মনে হয় আর ধরি ধরি পৃথিবীর বাইরে আপনার কোনো পৃথিবী নেই আমি নিশ্চিত।

উপদেশ যারা দিয়ে থাকেন তারা যে নিশ্চিতবাদী তা আমি জানি মিস্টার রেজা।

যান যান, আপনার সাথে কথা বলতে রাজি না।

রেগে গেলেন?
শিয়ালকে তো কোনোদিন রাগতে দেখিনি, আপনার মতো করে বললে বলব রেগে গেলে শিয়াল হওয়া যায় না।

ক্লাস নেয়ার অনেক জায়গা আছে সেখানে যান, আমাকে আমার কথাটা বলতে দেন ভাই।

আপনি তো কথা বলতেই আছেন, গোছানো কথার চেয়ে অগোছালো কথায় আপনাকে কয়েক টন অধিক পাওয়া যায়।

তারপর মিস্টার রেজা চুপ।

লোকটি নীরবতা সহ্য করতে পারে না, হারা গতরে তার আগুন লেগে যায়, লোকটি চলে যায় অন্য কোনো কথার মিছিলে।

হল থেকে নামছি। তৃতীয় তলা নামতেই দেখি দুটি বেড়াল, দুটি ইঁদুর। দুটি বেড়াল দুটি চেয়ারে ঘুমাচ্ছে। ইঁদুর দুটি অজ্ঞানের মতো চেয়ারের পাশে পড়ে আছে।

বেড়াল কেন ইঁদুরের মাথা চিবিয়ে চিবিয়ে খেল না?

আরে এই বিড়াল সেই বিড়াল না। এই বিড়াল নেতার বেড়াল। নেতার বেড়াল ইঁদুর খায় না, ইঁদুরকে অজ্ঞান করে রাখে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন