বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

হঠাৎ দেখা

চেনা মানুষের অচেনা গাম্ভীর্য। চেনা সুরের অচেনা স্রোত। একটি ট্রেন। কিছু সময়। সামনের স্টেশনে তার নেমে যাওয়া। অনামিকায় আংটি নিয়ে বয়ে বেড়ানো লোকটির একলা একলা চলা! হঠাৎ দেখা। তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

হঠাৎ দেখা কবিতার ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছে বাংলা সিনেমা হঠাৎ দেখা। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রেশমী মিত্র এবং সাহাদাত হোসেন। হেয়ার ড্রেসারে কাজ করেছেন বিনা নাথ। জীবনানন্দ দাশ হয়তো অনেক আগে চুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আমাকেও হতে হলো।আজকে। মানসীর  চুল অন্ধকারের মতো গোল হয়ে আসে। তেজপাতার রেখার মতো মানসীর ঠোঁটরেখা দেখা যায়, ঠোঁটের একটু উপরে কালো তিল। অমিতের ভাষায় বা মানসীর অমিত দার ভাষায় এই কালো তিল নাকি বিউটি স্পট। বাঙালি নারীর চুল কতরকমভাবে সুন্দর করে তুলা যায় তা কিন্তু দেখাল হঠাৎ দেখা সিনেমার মানসী।

মানসী সুন্দর করে শাড়ি পরে, সুন্দর করে হাঁটে, সুন্দর করে কথা বলে। তার কথা বলায় একটি বাচ্চা বাচ্চা ভাব। তার শাড়ি পরায় আছে হাজার বছরের বাঙ্গালি নারীর লজ্জা। মানসীর চুল কখনো রাধার মতো বিরহী, কখনো অন্ধকারের মতো রোমান্টিক, কখনো আবার সময়ের মতো আধুনিক।

হঠাৎ দেখা হঠাৎ করে থেকে গেলে থেকে যায় চিরতরে। মানসীর সলাপ চুল আমার হৃদয়ে দীর্ঘলাপে গুনগুনানি। মানসী নেমে গেলো। আমি এখনো চলছি একলা। আরও অনেক স্টেশন। হঠাৎ দেখা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন