বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

শব্দের দিকে

শব্দের দিকে চেয়ে থাকি। কোথা থেকে শব্দ আসে-- ঠোঁট থেকে, পেট থেকে, মাথা থেকে, বুকের মাঝপথে? ক্যাসেট হাতে নিয়ে দেখেছি-- গান সেখানে নেই, আছে কালো রঙ্গের জমাট ফিতা। টেপের সঙ্গমে ফিতা বেজে ওঠে-- বিদ্যুৎ লাগে বিদ্যুৎ লাগে। আমার ফিতা তাহলে কোন বিদ্যুতে বেজে ওঠে, গান করে, কথা বলে?  নাকমুখ তো সুন্দর স্পিকার ওঠানামা করে ডানবাম নড়ে-- অধীর অচল দৃশ্য তোমার।

শব্দের সকাল শব্দের বিকাল ঘুমাতে ঘুমাতে মানুষ জাগাতে জাগাতে রাত। পাতা নড়ে কথায় কথায়।

আজকাল শব্দেরা মনোরমভাবে শব্দ হয়ে যায়, আজকাল শব্দেরা মনোরমভাবে ক্যাসেট হয়ে যায়। ছুটি চাই ছুটি চাই পীথাগোরাস জামানায়-- মহতাজ যো মনজিল নান্তনং হো তো নেহি, মহতাজ যো মনজিল মধ্যং হো তো নেহি, মহতাজ যো মনজিল হৃদয়ে গভীরে গভীরে-- শব্দ তুমি প্রিয়তমা রাত ওঠে আসা ফুল বাসরে বাসরে।

বাস চলে নৌকা চলে মাংসের গাড়িও পৃথিবীতে চলে। মাংসের গাড়ি অকারনে হুইসেল বাজায়। বাতাস করেছে দখল শব্দের মানুষ-- মালগাড়ি চলে আবাল পিতার, চোখ নিবে গেলে সবুজ ঘাসে কুয়াশা নামে-- গুড মর্নিং মাই ডিয়ার বিকাল। ঘুম এলে শব্দও আসে স্বপ্নে। শব্দ আর দেহ দুটি ঘর মাঝখানে এক উঠোন ব্যবধান।

তোমাদের বাড়ি গিয়ে বলবো আমিও কথা বলতে জানি অলোকানন্দ জলে-- তলে তলে পলিমাটি হারায় আপন দেহ আপনায়, শব্দের নদী মৃতপ্রায় জনান্তিক নীলিমায়, শব্দের দিকে চেয়ে থাকি অকারনে অজানায়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন