তিনি অনেক চেষ্টার পর আমলা হলেন। মানে সরকারের নিজস্ব বাহিনিতে নিজের নাম লেখালেন। আমলাগিরি থেকে অবসর নেয়ার পর এবার জনগণের কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে হবে। তাই বই লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমলা থেকে লেখক। এবার প্রকাশকের সাথে তার বিশেষ খাতির। এখন তিনি পাঠকও চিনতে শুরু করেন। কিন্তু অবাক হোন পাঠক দেখে, পাঠক তো সেই লোক যার কাছ থেকে তিনি অনেক অনেক টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
লেখার চুলচুলানি থেকে অনেকে আবার লেখে। ভালো অভ্যাস। পাশের কয়েকজন বন্ধু লেখকের প্রসংশা করে। আর তাতেই সে নিজেকে নামীদামি গাড়ির মতো নামীদামী লেখক মনে করতে শুরু করে। সুতরাং একটি বই দরকার। শুরু হয় প্রকাশকের কাছাকাছি দৌড়াদৌড়ি। আর প্রকাশক তো মহান কসাই। হাসতে হাসতে কেল্লা কেটে ফেলে কিন্তু লেখক বুঝবেনই না তার কেল্লা নাই।
একটি গাছ থেকে একটি পাতা খসে পড়লে পাতাটি যেমন গাছের থাকে না তেমনি একজন লেখক থেকে একটি লেখা খসে পড়লে সেই লেখাটি আর লেখকের থাকে না। সেই লেখাটি সমাজের হয়ে যায়। শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী। সমাজ এই লেখাটি তার প্রয়োজনে ব্যবহার করে। সমাজ লেখা সংগ্রহের এই দায়িত্ব দিয়েছিল সম্পাদকের হাতে, প্রকাশকের হাতে। মুরুববীদের বলতে শুনতাম, যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। প্রকাশকও তাই টাকার কাছে নিজের আদর্শ বিক্রি করেছেন, বিক্রি নয়, বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন-- যৌন শিল্পীরা যেমন দেহ বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর সম্পাদক একটি তোষামোদকারী দল তৈরি করেন। ফলে লেখকরা সম্পাদকের কাছ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকেন।
লেখার ভাষা আছে অর্থাৎ অন্তমিল দিয়ে মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ, কপালের টিপ, চুলের কালার চমৎকারভাবে উপস্থাপন করতে পারে এমন লেখকের লেখার উদ্দেশ্য আবার অন্যরকম। খ্যাতিমান লেখক হওয়ার তীব্র ইচ্ছা। নারীমহলে অন্তর্বাস হয়ে ঝুলে থাকার গোপন অভিলাষ। যেহেতু প্রথমে নারীদেরকে পাম্পিং করার মধ্য দিয়ে লেখকের অভিযান শুরু সেহেতু তেল-ঘি ঢালার অভ্যাসটা তার ভালো করেই জানা। তাই সর্বদা তেল-ঘি ঢালার পাত্রের সন্ধান করতে থাকেন লেখক। তাই দেখা যায় সুন্নতে খাৎনা, বিয়ের অনুষ্ঠানে ( একটু সম্মান দিয়ে বললাম) নিজের অন্তমিল মার্কা লেখাখানা খুব আয়েশী ঢঙে উপস্থাপন করছেন লেখক। এমন লেখকেরও বই বের হয়।
কারা কিনে?
যারা আগে ঘর সাজানোর জন্য চায়ের কাপ, বাসন, টি-ট্রে, কাচের ট্রপলি কিনতো তারা এখন ঘর সাজানোর জন্য বই কিনে।
মাস্টাররা এখন একটি গোপন হাসপাতাল খুলছে। কোচিং হাসপাতাল তো অনেক পুরাতন, তাই শুধু তা দিয়ে আর চলছে না। এবার নিজের বই ছাত্রদের কিনতে বাধ্য করছেন। কোনো কোনো মাস্টার আবার প্রকাশনীতে সেলসম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। কোন ছাত্র তার বই কিনছে, কোন ছাত্র তার বই কিনছে না-- এই লিস্ট মনে মনে তৈরি করছেন। ছাত্ররা অসহায় কারন মহান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক রাখা তো চাই, নইলে আখেরী মোনাজাতে তার নাম আশীর্বাদের খাতায় উঠবে না।
মেয়েটি বুঝে গেছে দৈহিক সৌন্দর্য আর মানসিক সৌন্দর্য যদি একসঙ্গে থাকে তবে বাজারে তার কদর অনেক। তাই ডায়েরি লেখা থেকে বই বের করার তাগাদা অনুভব করে। কোনো খ্যাতিমান লেখককে এক দুই বেলা টকটকে লাল ঠোঁট আর সাপমাসী জিহব্বাটির কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে লেখার ডায়েরিকে করে তোলে কবিতার খাতা অর্ফে কয়েক ফর্মার গার্হস্থ্য কবিতার বই।
মিডিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ কুতুব যার পড়াপানি খেয়ে অনেক চোর-ডাকাত বিশেষ নেকি বান্দাতে পরিণত হয়েছেন, আর লেখকের ন্যাপকিনমার্কা লেখা পেয়েছে জাতীয় বইকাটতি। মিডিয়া তখন মনে মনে হাসে। কারন যে বইটি অধিক সংখ্যক পাঠকের কাছে গেলো তাতে কিন্তু তাদের বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শ্লেষ কিংবা সামষ্টিক ঘৃণা নেই।
বই বের হচ্ছে। বই বের হতে থাকবে হয়তো। অনেকে বইকে সন্তান মনে করেন। সন্তানকে বাজারে না তুলে দিয়ে যোগ্য পাত্রস্থ করা যোগ্য বাবার উত্তম কাজ আমি বিশ্বাস করি।
লেখার চুলচুলানি থেকে অনেকে আবার লেখে। ভালো অভ্যাস। পাশের কয়েকজন বন্ধু লেখকের প্রসংশা করে। আর তাতেই সে নিজেকে নামীদামি গাড়ির মতো নামীদামী লেখক মনে করতে শুরু করে। সুতরাং একটি বই দরকার। শুরু হয় প্রকাশকের কাছাকাছি দৌড়াদৌড়ি। আর প্রকাশক তো মহান কসাই। হাসতে হাসতে কেল্লা কেটে ফেলে কিন্তু লেখক বুঝবেনই না তার কেল্লা নাই।
একটি গাছ থেকে একটি পাতা খসে পড়লে পাতাটি যেমন গাছের থাকে না তেমনি একজন লেখক থেকে একটি লেখা খসে পড়লে সেই লেখাটি আর লেখকের থাকে না। সেই লেখাটি সমাজের হয়ে যায়। শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী। সমাজ এই লেখাটি তার প্রয়োজনে ব্যবহার করে। সমাজ লেখা সংগ্রহের এই দায়িত্ব দিয়েছিল সম্পাদকের হাতে, প্রকাশকের হাতে। মুরুববীদের বলতে শুনতাম, যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। প্রকাশকও তাই টাকার কাছে নিজের আদর্শ বিক্রি করেছেন, বিক্রি নয়, বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন-- যৌন শিল্পীরা যেমন দেহ বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর সম্পাদক একটি তোষামোদকারী দল তৈরি করেন। ফলে লেখকরা সম্পাদকের কাছ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকেন।
লেখার ভাষা আছে অর্থাৎ অন্তমিল দিয়ে মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ, কপালের টিপ, চুলের কালার চমৎকারভাবে উপস্থাপন করতে পারে এমন লেখকের লেখার উদ্দেশ্য আবার অন্যরকম। খ্যাতিমান লেখক হওয়ার তীব্র ইচ্ছা। নারীমহলে অন্তর্বাস হয়ে ঝুলে থাকার গোপন অভিলাষ। যেহেতু প্রথমে নারীদেরকে পাম্পিং করার মধ্য দিয়ে লেখকের অভিযান শুরু সেহেতু তেল-ঘি ঢালার অভ্যাসটা তার ভালো করেই জানা। তাই সর্বদা তেল-ঘি ঢালার পাত্রের সন্ধান করতে থাকেন লেখক। তাই দেখা যায় সুন্নতে খাৎনা, বিয়ের অনুষ্ঠানে ( একটু সম্মান দিয়ে বললাম) নিজের অন্তমিল মার্কা লেখাখানা খুব আয়েশী ঢঙে উপস্থাপন করছেন লেখক। এমন লেখকেরও বই বের হয়।
কারা কিনে?
যারা আগে ঘর সাজানোর জন্য চায়ের কাপ, বাসন, টি-ট্রে, কাচের ট্রপলি কিনতো তারা এখন ঘর সাজানোর জন্য বই কিনে।
মাস্টাররা এখন একটি গোপন হাসপাতাল খুলছে। কোচিং হাসপাতাল তো অনেক পুরাতন, তাই শুধু তা দিয়ে আর চলছে না। এবার নিজের বই ছাত্রদের কিনতে বাধ্য করছেন। কোনো কোনো মাস্টার আবার প্রকাশনীতে সেলসম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। কোন ছাত্র তার বই কিনছে, কোন ছাত্র তার বই কিনছে না-- এই লিস্ট মনে মনে তৈরি করছেন। ছাত্ররা অসহায় কারন মহান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক রাখা তো চাই, নইলে আখেরী মোনাজাতে তার নাম আশীর্বাদের খাতায় উঠবে না।
মেয়েটি বুঝে গেছে দৈহিক সৌন্দর্য আর মানসিক সৌন্দর্য যদি একসঙ্গে থাকে তবে বাজারে তার কদর অনেক। তাই ডায়েরি লেখা থেকে বই বের করার তাগাদা অনুভব করে। কোনো খ্যাতিমান লেখককে এক দুই বেলা টকটকে লাল ঠোঁট আর সাপমাসী জিহব্বাটির কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে লেখার ডায়েরিকে করে তোলে কবিতার খাতা অর্ফে কয়েক ফর্মার গার্হস্থ্য কবিতার বই।
মিডিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ কুতুব যার পড়াপানি খেয়ে অনেক চোর-ডাকাত বিশেষ নেকি বান্দাতে পরিণত হয়েছেন, আর লেখকের ন্যাপকিনমার্কা লেখা পেয়েছে জাতীয় বইকাটতি। মিডিয়া তখন মনে মনে হাসে। কারন যে বইটি অধিক সংখ্যক পাঠকের কাছে গেলো তাতে কিন্তু তাদের বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শ্লেষ কিংবা সামষ্টিক ঘৃণা নেই।
বই বের হচ্ছে। বই বের হতে থাকবে হয়তো। অনেকে বইকে সন্তান মনে করেন। সন্তানকে বাজারে না তুলে দিয়ে যোগ্য পাত্রস্থ করা যোগ্য বাবার উত্তম কাজ আমি বিশ্বাস করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন