শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কাক

কৃষ্ণনগর। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কৃষ্ণনগর আমার মাসির বাড়ি। বাঁশঝাড় লালিত বাড়ি। প্রকৃতি এখানে কোকিলের মতো মাত্রাপ্রিয়। পাখি আর মানুষের অসম্প্রদায়িক জীবনের ধারাবাহিক প্রবাহ।

প্রকৃতির শান্ত নীরব পরিবেশ আমাকে টানে না। আমার ভেতর খেলা করে কোলাহল, কলরব, ক্রিকেট, ডাংগুলি।

মাসির বাড়িতে পা রাখার সাথে সাথে আমার একজন বন্ধুর দরকার হয়। আমার জন্য একজন বন্ধু ব্যবস্থা করা থাকে। বন্ধু পাওয়া মানে অস্থিরতা ভাগাভাগির অপূর্ব এক সুযোগ পাওয়া। একদিন, দুইদিন, তিনদিন চলে যায়, আমি ভুলে যাই আমার ঠাকুরদাদার বাড়ি, ভুলে যাই আমার প্রিয় ইদগা মাঠ, কড়ই গাছের তলা, সকাল-সন্ধ্যা টেক টেক খেলা।

কৃষ্ণনগর গ্রামে মাসুদ আমার একমাত্র বন্ধু যার সঙ্গ বেশ আরামদায়ক। সে কথায় এবং কাজে বেশ চটপটে। কাজ বলতে তখন খেলাধূলাকেই বুঝি।

আমি আর মাসুদ বাঁশঝাড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। কাক আক্রমণ করে বসলো। ভয়ানক আক্রমণ। মাসুদ চিৎকার করতে আরম্ভ করে। মাথা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। আমি বেড়ালের বাচ্চার মতো দূরে গিয়ে মাসুদের দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে আছি। কথা বলার শক্তি নেই। হাবিব ভাই দৌড়ে এসে মাসুদকে  উদ্ধার করে।

মাসুদকে যে কাক আক্রমণ করলো মাসুদের অপরাধ?

মাসুদের অপরাধ মাসুদ কাকের বাসা ভেঙ্গেছিল, কাকের একটি বাচ্চাকে হত্যা করেছিল।

মাসুদ ভুলে গিয়েছিল কাক রাগ পোষে রাখে, কাক শত্রু চিনতে ভুল করে না, শত্রুতা দেখাতে কাকের দ্বিধাবোধ নেই ....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন