বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

শকুন্তলা

গাছে মেঘকালার। মাঠে মেঘকালার। বসন্তের শাখায় শাখায় মেঘকালার। কলাভবন থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত যে রাস্তাটি চলে গেছে সেই রাস্তার হাড়-কংকাল-মাংসে মেঘকালার। প্রকৃতি আজ নয়টা পাঁচ ডিউটি থেকে মুক্ত। প্রকৃতি আজ নিজের মতো করে বাউলিপনা করবে বলে ঘরকে করেছে বাহির। শকুন্তলাও তার পুরাতন সাইকেলকে ডাক দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রাকৃতিক সাইকেল। সাইকেল হাজির। পৃথিবীর ছাদের নিচে একমাত্র বাউল নারী শকুন্তলা। মেড্ডার অর্ধখণ্ড দিয়ে শকুন্তলা পড়েছে কপালের টিপ।

জল পড়ছে, বাসন্তী জল। জল থেকে রং এনে শকুন্তলা সম্পন্ন করছে পেডিকিউর। জলের সাথে নেমে আসছে শিলা। শিলাবৃষ্টি শরীরে মাখছে আর তাতেই তার শরীর থেকে ঝরে পড়ছে দুষ্মন্তশোক।

প্রকৃতি আর শকুন্তলা যেখানে এক সেইখানেই শকুন্তলার বাহুযুগল  কোমল গাছের মতো, তার ঠোঁটে নতুন পাতার শোভা।

শকুন্তলা তার সাইকেলের কাছে নিরাপদ, প্রকৃতির ভেতর নিরাপদ। দুষ্মন্ত শকুন্তলা থেকে অনেক দূরে -- কোনো এক নাগরিক শহরে।
প্রকৃতিকন্যা শকুন্তলা মাটির আকাঁবাকাঁ  রাস্তায় পোষা সাইকেলকে কান ধরে ঘোরাতে পারে কিন্তু নাগরিক মনে একরাত হারিকেন জ্বালাতে পারে না। হারিকেন নাগরিক মনে উপযোগিতা হারিয়েছে অনেক আগে, সেই এক দেশের এক রাজার দেশের কথার মতো 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন