এখানে আলো নেই, এখানে দুপুর নেই, এখানে সূর্যভরা সকাল নেই, এখানে কেবল নিস্তব্ধ অন্ধকার।
অন্ধকারের গলিপথ দিয়ে হাঁটছি আর প্রাণ মেলে গান গাচ্ছি। অন্ধকারের নিজস্ব আলো যেখানে থাকে সেখানে আমাকে থেমে যেতে হয়-- কিছুক্ষণ বাধ্যতামূলকভাবে অন্ধকারের চোখে চোখ রাখি, অপ্রিয় কিছু কথা বলি, কিছু দুঃখ ভাগাভাগি করি। কিন্তু আজ শুধু গান গাচ্ছি একেবারে তারায় ওঠে।
সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আর সেন্ট্রাল মসজিদের মাঝামাঝি অবস্থানে আমি। হঠাৎ এক লোক বললেন ` দাঁড়াও'।
এই শহরে প্রথম কেউ আমার কাজে বাধা দিলো। রাগ আমি কোথায় রাখি!
আমি কোথায় পড়াশোনা করি, গ্রামের বাড়ি কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি জানতে চাইলেন।
আমিও ছোট ছোট বাক্যে উত্তর দিচ্ছি।
আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত নিরীক্ষণ করলেন লোকটি। আমার গতরে টিশার্ট, হলুদ কালারের টিশার্ট। টিশার্টে পাখির বাসা আর পাখি, পাখির নিচে ইংরেজিতে লেখা peace ( আমিও পাখির গান গাচ্ছিলাম ~ পাখি তো জন্মের কানা),থ্রীকুয়াটার প্যান্ট ,আর এ্যাপেক্স কোম্পানির জুতা।
লোকটি আমাকে তাঁর মোবাইল নাম্বার লিখতে বললেন। আমি তো ভেতরে ভেতরে আগুন হয়ে যাচ্ছি। তারপরও কেন কিছু বলছি না তার সঠিক কারন জানি না। তবে এতটুকু জানি লোকটির উচ্চারণ নদীয়া, শান্তিপুর, কলকাতার মতো, এই জানাটুকু আমাকে শান্ত রেখেছে।
নাম কী লিখবো?
সুবর্ণ কাজী।
এখন আমার রাগও থেমে গেলো, ভাষাও ( নীরব, সরব ) থেমে গেলো।
গত ক্লাসে আমাদের সৌমিত্র শেখর দাদা সুবর্ণ কাজীর কথা বলেছিলেন, অবশ্যই সম্প্রসারণসহ। তখনই তাঁকে দেখার ইচ্ছা হয়েছিল আমার। আজ কাজী নজরুল ইসলামের জ্ঞাতিকে দেখলাম, কাজী নজরুল ইসলাম হয়তো যৌবনের কোনো এক সময়ে এমনই ছিলেন।
কাজী নজরুল, প্রিয় লেখক আমার, আজকে তোমাকে খুব মিস করছি, তুমি তো কারো সাথে আপোষ করনি, তুমি দেখালে কেমন করে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, শিখালে প্রতিবাদের ভাষা। তুমি জানতে জল আর পানির উপরে এসে কেমন করে মানবিক জীবনযাপন করা যায়, তুমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে কেমন করে প্রতিক্রিয়াশীলদের ঠাণ্ডা করতে হয়, কাকে বলে প্রগতিশীল জীবনচর্চা।
আর প্রেম, প্রেমের কাছে তো নবজাতক শিশুর মতো তোমার আকাঙ্খা।
তোমাকে কে বলে তুমি বিদ্রোহী কবি! তুমি প্রেমের কবি। আমি জানি বাংলা সাহিত্যে তুমিই প্রথম বিদ্রোহ আমদানি করেছো কিন্তু তোমার বিদ্রোহ তো প্রেমের। তাইতো তোমার প্রেম জলের মতো সাগরমুখী।
অন্ধকারের গলিপথ দিয়ে হাঁটছি আর প্রাণ মেলে গান গাচ্ছি। অন্ধকারের নিজস্ব আলো যেখানে থাকে সেখানে আমাকে থেমে যেতে হয়-- কিছুক্ষণ বাধ্যতামূলকভাবে অন্ধকারের চোখে চোখ রাখি, অপ্রিয় কিছু কথা বলি, কিছু দুঃখ ভাগাভাগি করি। কিন্তু আজ শুধু গান গাচ্ছি একেবারে তারায় ওঠে।
সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আর সেন্ট্রাল মসজিদের মাঝামাঝি অবস্থানে আমি। হঠাৎ এক লোক বললেন ` দাঁড়াও'।
এই শহরে প্রথম কেউ আমার কাজে বাধা দিলো। রাগ আমি কোথায় রাখি!
আমি কোথায় পড়াশোনা করি, গ্রামের বাড়ি কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি জানতে চাইলেন।
আমিও ছোট ছোট বাক্যে উত্তর দিচ্ছি।
আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত নিরীক্ষণ করলেন লোকটি। আমার গতরে টিশার্ট, হলুদ কালারের টিশার্ট। টিশার্টে পাখির বাসা আর পাখি, পাখির নিচে ইংরেজিতে লেখা peace ( আমিও পাখির গান গাচ্ছিলাম ~ পাখি তো জন্মের কানা),থ্রীকুয়াটার প্যান্ট ,আর এ্যাপেক্স কোম্পানির জুতা।
লোকটি আমাকে তাঁর মোবাইল নাম্বার লিখতে বললেন। আমি তো ভেতরে ভেতরে আগুন হয়ে যাচ্ছি। তারপরও কেন কিছু বলছি না তার সঠিক কারন জানি না। তবে এতটুকু জানি লোকটির উচ্চারণ নদীয়া, শান্তিপুর, কলকাতার মতো, এই জানাটুকু আমাকে শান্ত রেখেছে।
নাম কী লিখবো?
সুবর্ণ কাজী।
এখন আমার রাগও থেমে গেলো, ভাষাও ( নীরব, সরব ) থেমে গেলো।
গত ক্লাসে আমাদের সৌমিত্র শেখর দাদা সুবর্ণ কাজীর কথা বলেছিলেন, অবশ্যই সম্প্রসারণসহ। তখনই তাঁকে দেখার ইচ্ছা হয়েছিল আমার। আজ কাজী নজরুল ইসলামের জ্ঞাতিকে দেখলাম, কাজী নজরুল ইসলাম হয়তো যৌবনের কোনো এক সময়ে এমনই ছিলেন।
কাজী নজরুল, প্রিয় লেখক আমার, আজকে তোমাকে খুব মিস করছি, তুমি তো কারো সাথে আপোষ করনি, তুমি দেখালে কেমন করে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, শিখালে প্রতিবাদের ভাষা। তুমি জানতে জল আর পানির উপরে এসে কেমন করে মানবিক জীবনযাপন করা যায়, তুমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে কেমন করে প্রতিক্রিয়াশীলদের ঠাণ্ডা করতে হয়, কাকে বলে প্রগতিশীল জীবনচর্চা।
আর প্রেম, প্রেমের কাছে তো নবজাতক শিশুর মতো তোমার আকাঙ্খা।
তোমাকে কে বলে তুমি বিদ্রোহী কবি! তুমি প্রেমের কবি। আমি জানি বাংলা সাহিত্যে তুমিই প্রথম বিদ্রোহ আমদানি করেছো কিন্তু তোমার বিদ্রোহ তো প্রেমের। তাইতো তোমার প্রেম জলের মতো সাগরমুখী।