বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

জলিমা .......

আমার প্রিয়তমা টেবিলের পাশে, খুবই পাশে জানালা। জানালা দিয়ে নাগরিক দালান কোনো প্রকার কষ্ট ছাড়াই ভালো করে দেখা যায়। মাঝে মাঝে সফেদ আকাশ এসে ধরা দেয় দালানের ঠিক মাথা বরাবর। জানালার প্রতিবেশী কিছু সবুজ মাতৃগাছ। কিছু পাখি এসে সবুজ পাতার আড়ালে লুকায়। লুকিয়ে লুকিয়ে গান করে অজানা কথায়, অচেনা সুরে।

নাগরিক জীবন, স্থির আকাশ, সবুজ ঘরের অবুঝ পাখির কুলে শুয়ে আমি শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ করছি--

অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রীতম। পরং ভাবমজানন্তো মম ভূতমহেশ্বরম।।

বিকালের স্নিগ্ধ হাওয়া এসে আমার হৃদয়ে লাগে, শাহবাগের ফুলের দোকান আমার নাকের কাছে এসে মোলায়েম গন্ধ বিলায় -- আমি উত্তাল, আমি বেতাল, আমি মাতাল নগরের বন্য প্রিয় ছবি। তবুও মনে পড়ে কবি বলে একবার ডেকেছিলে তুমি-- সেই তুমি, এই তুমি।

তোমাকে আমি জলিমা বলে ডাকি। জলিমা এক সংসারের নাম, জলিমা প্রিয় কোন ইশান কোনের তারার নাম, জলিমা জলাভূমি-মরুভূমির মাঝখানে আস্তে বয়ে চলা কোনো এক পানসে নদীর নাম। জলিমা আমার মধ্যদিনের ভরা স্বপ্নের রোদেলা দুপুর।

জলিমা,

আমার জানালাটা সব সময় খোলা, রোদ আসে কিন্তু বৃষ্টি কেন যেন আসে না। জানালা দিয়ে যখন তাকাই, যখন দৃষ্টিতে রাস্তা আসে, দেখি তুমি ইশারায় আমাকে ডাকছো , ছায়াধবনি শুনতে পাই '' নীচে নেমে আসো"।

জলিমা,

কতটুকু নীচে নামলে নীচটা ঠিক তোমার মতো দেখায়!?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন