শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

জ লি মা

মেঘনা নদী আমাদের বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। আমি প্রায় মেঘনা নদীর কিনারায় বসি-- মাছের সংসার দেখি, মালামাল ভর্তি জাহাজ দেখি, লঞ্চের জানালার  ফাঁকে লতাপাতার মতো বেড়ে ওঠা চোখ দেখি, আরও দেখি জলের গভীরে প্রবাহমান চুরাস্রোত।

মেঘনা নদীর মাঝখানে দ্বীপের মতো একটি জায়গা আছে, এলাকাবাসী জায়গাটিকে চর বলে। চরে তরমুজ ভালো হয়। বালি মাটিতে তরমুজ ভালো হয় ছোট্ট কাল থেকে শুনে আসছি। সূর্যের তাপে বালি মাটি ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হতে থাকে, লাল দহনের সবটুকু ব্যথা বালি তরমুজের হৃদয়ে ট্রান্সফার করে দেয়, তাইতো তরমুজের হৃদয়ে হৃদয় এতো লাল।
আসলে হৃদয় দহন কেউ দেখে না -- কালিমা পড়া নসিমুন বাবু কিংবা কবুল বলা জলিমা।

জলিমা,
বিগত দিনে কার বুকে মাথা রেখে তুমি শুনালে করবীকুঁড়ির তরল সুর, চিৎকারে চিৎকারে সাজালে রঙিন বাসর?

আমি কিন্তু বালি মাটির তরমুজের মতো ভেতরে ভেতরে লাল হয়ে যাচ্ছি অথচ কত চমৎকার সবুজ আমার চোখে মুখে।

চোখ দেখে মনকে অনুধাবন করা যায় না জলিমা-- মনের মতো মন থাকা চায় 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন