আপনি যে কাজ করেন সেই কাজের সার্টিফিকেট আশা করা বোকামি। সার্টিফিকেট দেয়া নেয়া প্রতিষ্ঠানের কাজ। প্রতিষ্ঠান সব সময় তার বানানো ফর্মায় আপনাকে মূল্যায়ন করবে। কখনো আপনার মতো করে প্রতিষ্ঠান চিন্তা করতে পারবে না। এখন আপনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হতে চান নাকি প্রতিষ্ঠানের পন্য হতে চান বিষয়টি একান্ত আপনার।
আমার পরিচিত এক ভাই এখন ভালো মানের ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ী হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল কৃষক হওয়ার। এখন সে কৃষি কাজও দেখাশোনা করে আবার ব্যবসাও করে। কিন্তু তার ব্যবসার শুরুটা খুব মজার। পুঁজি বায়ান্ন টাকা।
মাত্র বায়ান্ন টাকা!
একদিন বায়ান্ন টাকা দিয়ে গ্রামীণ ফোনের একটি মোবাইল কার্ড কিনে নিয়ে আসে নিজে ব্যবহারের জন্য। পাশের বাড়ির যুবক কার্ড কিনতে যাবে। যেহেতু গ্রাম এলাকা এবং রাত সেহেতু আশেপাশে মোবাইল রিচার্জ কার্ড পাওয়া জটিল। খুবই জটিল।
রাস্তায় লোকটির সাথে ভাইয়ের দেখা।
কিরে কই যাস?
আরে ভাই মোবাইলে টেহা শেষ, কার্ড কিনতে যাই।
আমার কাছে একটা আছে।
ভাই দেও দেও, তাড়াতাড়ি দেও।
আগে আমারে একটা গোল্ডলিফ ( তখন গোল্ডলিফ পাঁচ টাকা ছিল) সিগারেট খাওয়া।
এই নাও সিগারেট।
পরের দিন ভাই আরও দুইটি মোবাইল কার্ড বেশী আনে।
প্রায় রাতে লোকটি নিজেই ঘরে খোঁজ করতে আসে মোবাইল কার্ড আছে কিনা।
ভাই বলে আছে তবে দুই টাকা করে লাভ দেয়া লাগবো।
ছেলেটি দুই টাকা লাভ দিয়ে মোবাইল কার্ড কিনে। আস্তে আস্তে ভাই কার্ড কিনে আনার পরিমান বাড়াতে থাকে। একটি থেকে দুইটি, দুইটি থেকে পাঁচটি, পাঁচ থেকে পঞ্চাশ, পঞ্চাশ থেকে পাঁচশ। ক্রেতার পরিমানও বাড়তে থাকে গানিতিক হারে।
এক সময় বাড়িতে বসেই ফ্লেক্সিলোড চালু করে, সিম বিক্রি আরম্ভ করে। সিম বিক্রেতা হিসাবে উপজেলাতে কয়েকবার প্রথমস্থান অর্জন করে।
গ্রামীণ কোম্পানিতে তার স্বনাম ছড়িয়ে পড়ে। কোম্পানির ডিবিশন ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে তার দোকান পরিদর্শনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। আমাকে ভাই ফোন দেই--
ভাই, আমার তো দোকান নাই, এখন কী করবো?
আমি বললাম আপনি যা, অফিসারের কাছে তাই প্রকাশ করেন। আগে অফিসারকে আসতে দেন।
অফিসার তার দোকান দেখতে আসে।
ভাই, অফিসারকে যথেষ্ট পরিমানে আপ্যায়ন করে।
হাবিব সাহেব, আপনার আপ্যায়নে মুগ্ধ। এখন চলেন আপনার দোকানে যাই।
ভাই বলে, আপনারা যেখানে বসে আছেন এটাই আমার দোকান।
প্রাতিষ্ঠানিক অফিসাররা অবাক হয়ে গেলো। মানুষ দোকান দিয়ে, দোকানে লাইটিং ফাইটিং দিয়েও দুই একশ সিম বিক্রি করতে পারে না, আর এই ছেলে দোকান ছাড়া হাজার হাজার সিম বিক্রি করে ফেলে।
এখন হাবিব টেলিকম নামে ভাইয়ের একটি দোকান আছে। তার দোকানে কর্মচারী কাজ করে।
কয়েকদিন আগে ফোন দিয়ে বললাম ভাই আমার পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। সে আমাকে জানায় ভাই তুই আগে ফোন দিলি না, দুইদিন আগে পাঁচ লক্ষ টাকা এক জায়গায় বিনিয়োগ করেছি।
আমি তাকে বললাম বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে ছোট ভাইদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা থাকে না এটাই বাস্তবতা।
সমস্যা নাই আমার কাছেও বায়ান্ন টাকা আছে!
আমার পরিচিত এক ভাই এখন ভালো মানের ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ী হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল কৃষক হওয়ার। এখন সে কৃষি কাজও দেখাশোনা করে আবার ব্যবসাও করে। কিন্তু তার ব্যবসার শুরুটা খুব মজার। পুঁজি বায়ান্ন টাকা।
মাত্র বায়ান্ন টাকা!
একদিন বায়ান্ন টাকা দিয়ে গ্রামীণ ফোনের একটি মোবাইল কার্ড কিনে নিয়ে আসে নিজে ব্যবহারের জন্য। পাশের বাড়ির যুবক কার্ড কিনতে যাবে। যেহেতু গ্রাম এলাকা এবং রাত সেহেতু আশেপাশে মোবাইল রিচার্জ কার্ড পাওয়া জটিল। খুবই জটিল।
রাস্তায় লোকটির সাথে ভাইয়ের দেখা।
কিরে কই যাস?
আরে ভাই মোবাইলে টেহা শেষ, কার্ড কিনতে যাই।
আমার কাছে একটা আছে।
ভাই দেও দেও, তাড়াতাড়ি দেও।
আগে আমারে একটা গোল্ডলিফ ( তখন গোল্ডলিফ পাঁচ টাকা ছিল) সিগারেট খাওয়া।
এই নাও সিগারেট।
পরের দিন ভাই আরও দুইটি মোবাইল কার্ড বেশী আনে।
প্রায় রাতে লোকটি নিজেই ঘরে খোঁজ করতে আসে মোবাইল কার্ড আছে কিনা।
ভাই বলে আছে তবে দুই টাকা করে লাভ দেয়া লাগবো।
ছেলেটি দুই টাকা লাভ দিয়ে মোবাইল কার্ড কিনে। আস্তে আস্তে ভাই কার্ড কিনে আনার পরিমান বাড়াতে থাকে। একটি থেকে দুইটি, দুইটি থেকে পাঁচটি, পাঁচ থেকে পঞ্চাশ, পঞ্চাশ থেকে পাঁচশ। ক্রেতার পরিমানও বাড়তে থাকে গানিতিক হারে।
এক সময় বাড়িতে বসেই ফ্লেক্সিলোড চালু করে, সিম বিক্রি আরম্ভ করে। সিম বিক্রেতা হিসাবে উপজেলাতে কয়েকবার প্রথমস্থান অর্জন করে।
গ্রামীণ কোম্পানিতে তার স্বনাম ছড়িয়ে পড়ে। কোম্পানির ডিবিশন ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে তার দোকান পরিদর্শনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। আমাকে ভাই ফোন দেই--
ভাই, আমার তো দোকান নাই, এখন কী করবো?
আমি বললাম আপনি যা, অফিসারের কাছে তাই প্রকাশ করেন। আগে অফিসারকে আসতে দেন।
অফিসার তার দোকান দেখতে আসে।
ভাই, অফিসারকে যথেষ্ট পরিমানে আপ্যায়ন করে।
হাবিব সাহেব, আপনার আপ্যায়নে মুগ্ধ। এখন চলেন আপনার দোকানে যাই।
ভাই বলে, আপনারা যেখানে বসে আছেন এটাই আমার দোকান।
প্রাতিষ্ঠানিক অফিসাররা অবাক হয়ে গেলো। মানুষ দোকান দিয়ে, দোকানে লাইটিং ফাইটিং দিয়েও দুই একশ সিম বিক্রি করতে পারে না, আর এই ছেলে দোকান ছাড়া হাজার হাজার সিম বিক্রি করে ফেলে।
এখন হাবিব টেলিকম নামে ভাইয়ের একটি দোকান আছে। তার দোকানে কর্মচারী কাজ করে।
কয়েকদিন আগে ফোন দিয়ে বললাম ভাই আমার পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। সে আমাকে জানায় ভাই তুই আগে ফোন দিলি না, দুইদিন আগে পাঁচ লক্ষ টাকা এক জায়গায় বিনিয়োগ করেছি।
আমি তাকে বললাম বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে ছোট ভাইদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা থাকে না এটাই বাস্তবতা।
সমস্যা নাই আমার কাছেও বায়ান্ন টাকা আছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন