প্রতিদিন কোটি কোটি নক্ষত্র জন্মগ্রহন করে আবার কোটি কোটি নক্ষত্র মারা যায়। কোটি নক্ষত্রের মাঝে একটি নক্ষত্র আমার চেনা। একটি নক্ষত্রের সাথে আমার দেখা হয় রোজ বৈঠকে খাবার টেবিলে, ধ্যানে জ্ঞানে চিন্তায়। তাকে আমি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারি না, তার স্পর্শ অনুভব করি। তার নাম নেই, সে এক উপলব্ধির নাম, আমার সেই প্রিয়তমা উপলব্ধি জলিমা।
জলিমা,
পৃথিবী থেকে আরেকটি সপ্তাহ চলে গেলো, আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম মৃত্যুর পথে। মৃত্যু কোনো সাধারন সমীকরন নয়, মৃত্যু একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। আজও আমার অগোছালো চুলে তোমার হাতনিড়ানি এগিয়ে আসেনি প্রিয়তমা শিহরনের কোনো আমাজিং এলাকায়।
কিন্তু আমি তো তোমার অধরা হাতের ছায়াশিহরন অনুভব করি দেহের প্রত্যেক নালায়। উপলব্ধি আর স্পর্শের মাঝে যতটুকু শুন্যতা ততটুকু অস্থিরতা এই হৃদয়কে সহ্য করতে হয় অসীম সীমানার অব্যক্ত সন্ধ্যার কোনো এক নিশ্চুপ অন্ধকারে।
অন্ধকারের শরীরের ভেতর যদি একখান বাড়ি বানাতে পারতাম তাহলে হয়তো তোমার আধেক নীলিমায় আমার মালিকানা হিসাব কষতে হতো না-- ক্যালকুলাসের সূক্ষ্ম হিসাবের জায়গায়ও আমার অবস্থান মাইনাস বর্গের উপরে থাকতো।
জলিমা,
অসুস্থতা এক মানসিক পর্যায়। সুস্থতাও মানসিক গাঠনিক প্রিয়তা। প্রত্যেক কিছুর পেছনে কাজ করে মানসিকতা। মানসিকতার হিসাবে কেউ রাজা, কেউ প্রজা, কেউ ভালো, কেউ মন্দ।
কিন্তু হৃদয়?
হৃদয় এক কালিক স্রোতের নাম যাকে কাবিনে কেনা যায় না, মন্ত্রপাঠপূর্বক যার মালিকানা অর্জন করা যায় না। তোমার বীজগনিত বীজগনিত খেলা বন্ধ করে কবে আসবে আমার মাতাল প্রায় হৃদয়ের উর্বর আঙিনায়। আমি আধেক হৃদয়ানুভূতি নিয়ে বসে আছি, তুমি আসলেই পূর্নাঙ্গ হবো,পূর্নাঙ্গ হবো জলিমা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন